Shadow

মধুরেণ – চন্দ্রকান্তি দত্ত

p.c. Zee News

মধুরেণ

  চন্দ্রকান্তি দত্ত

অনেকক্ষণ ধরে মেঘ জমছে। বৃষ্টিটা বেশ জাঁকিয়ে নামবে। আজকাল এই একটা সমস্যা হয়েছে। সারাদিন প্রবল গরম। তার সাথে আর্দ্রতা মিলে সে এক প্রাণান্তকর অবস্থা। তারপর বিকেল থেকে মেঘ জমে ঠিক বাড়ি ফেরার সময়টাতে আকাশভাঙা বৃষ্টি। সাথে হালকা বা ভারী ঝড়।
বাস থেকে নেমে প্রায় প্রতিযোগীর মত হেঁটে বৃষ্টি নামার ঠিক আগের মুহূর্তে অমিত বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছে গেল। তবু একটু দৌড়তে হল। কারণ বৃষ্টি এখনও না নামলেও ধূলোর ঝড় শুরু হয়েছে।
গেট ঠেলে খোলা বারান্দায় উঠেই দেখল,পিছনে একজন অল্পবয়সী ভদ্রমহিলা। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে পড়ে অনন্যোপায় হয়ে এখানে উঠে এসেছেন।
ভদ্রমহিলা অমিতকে চেনেন কিনা সেটা না জানলেও, অমিত কিন্তু ভদ্রমহিলাকে চেনে। অশোক কাননের বাসিন্দা প্রফেসর বেণীমাধব গাঙ্গুলীর মেয়ে মণিমালা। মণিমালাও নাকি সম্প্রতি কোন কলেজে শিক্ষকতায় ঢুকেছে।
অমিত হাসিমুখে মণিমালাকে বলল,”এখানে দাঁড়ালে ঝড়-বৃষ্টি থেকে বাঁচতে পারবেন না ম্যাডাম। আসুন, ভিতরে এসে বসুন।”
মণিমালা কুন্ঠা বোধ করল। বলল,”না না,আপনি ব্যস্ত হবেন না। আমি এখানেই ঠিক আছি। বৃষ্টিটা একটু কমলেই চলে যাব।”
– “কিন্তু ম্যাডাম, এখানে দাঁড়ানো আর রাস্তায় দাঁড়ানো একই ব্যাপার। আমার কিচ্ছু অসুবিধা হবে না। আমি বরং অতিথি সৎকার করে একটু ধন্য হব।”
মণিমালা হেসে ভিতরে এল। এক ঝলকে অন্দরসজ্জা দেখে প্রায় ভিরমি খাওয়ার অবস্থা। এটা বাড়ি না স্টুডিয়ো। মণিমালা বসবে কিনা ভাবছিল। অমিত সবিনয়ে সোফা দেখিয়ে বসতে অনুরোধ করল। মণিমালা বসলে অমিত বলল, “যেরকম নেমেছে, অন্ততঃ ঘন্টাখানেক থামবে বলে মনে হয় না। আমি বাড়ি এসে চা খাই। আপনিও একটু খান?”
মণিমালা লজ্জায় রাঙা হয়ে বলল, “না না, আপনি ব্যস্ত হবেন না, প্লিজ।”
– “আপনি হয়ত ভাবছেন, আমাকে চা বানাতে হবে। কিন্তু তা নয়। আমার অ্যাসিস্টেন্ট কাম সহচর শ্রীমান ফটিকচন্দ্র আছে। সে-ই বানাবে।”
অমিত হালকা করে একটা হাঁক দিল, “ফটিক, দু-কাপ চা। পটে দিবি। দুধ চিনি আলাদা।”
ফটিক হয়ত ইতিমধ্যে চা বসিয়েছিল। মিনিট দুয়েকের মধ্যেই চা নিয়ে হাজির হল। এবারও মণিমালার হোঁচট খাওয়ার পালা। ফটিক একটা কারুকাজ করা চাকা লাগানো কাঠের টুল ঠেলে নিয়ে এল। তাতে পটে চা, দুটো সুদৃশ্য পাত্রে চিনি ও দুধ, দুটো প্লেটে বিস্কুট ও কাজুবাদাম, সাথে দুটো সুদৃশ্য কাপ-প্লেট।
“আপনি কি এখানে একা থাকেন? বাড়ির আর কাউকে দেখছি না তো?” মণিমালা জিজ্ঞাসা না করে পারল না।
– “কেন? ফটিককে দেখলেন না? ও থাকতে আমি একা হব কেন?” অমিতের সপ্রতিভ উত্তর।
তারপরেই বলল, “আমি এখানে ফটিককে নিয়েই থাকি। আমার দেশের বাড়ি মালদায়। মা, বাবা, দাদা, বৌদি, ওরা ওখানেই থাকেন। চাকরির জন্য আমাকে এখানে থাকতে হচ্ছে। তাই এই বাড়িটা কিনে নিয়েছি। নিন, চা খান। দুধ চিনি চলবে?”
– “হ্যাঁ। চিনি এক চামচ আর সামান্য দুধ। দিন,  আমি দিচ্ছি।”
– “বাহ্, এই তো সহজ হতে পেরেছেন। নিন। অনেকদিন এভাবে কেউ চা খাওয়ায় নি। আমার কিন্তু শুধু চা। নো দুধ, নো চিনি।”
– “সে কি? আপনার সুগার আছে নাকি? দেখে তো মনে হচ্ছে না।”
– “না না। ঈশ্বরের কৃপায় রোগ-অসুখ কিছু নেই। দুধ-চিনি ছাড়া চা খাওয়াটা আমার বিলাসিতা বলতে পারেন।”
মণিমালা চায়ে চুমুক দিয়ে বলল, “আপনি দেখছি খুবই শৌখিন মানুষ। চা-টাও খুবই ভাল। ঘর সাজিয়েছে কে? আপনার ফটিক?”
– “না ম্যাডাম। সাজানোটা আমার। রক্ষণাবেক্ষণ ফটিকের।”
– “একজন পুরুষ মানুষ এত সুন্দর করে ঘর সাজাতে পারে বলে আমার ধারনা ছিল না। আমার ভাই তো নিজের পোষাকটাও তুলে রাখে না। ঘর গোছানোর তো প্রশ্নই ওঠে না।”
– “আপনার মত দিদি পেয়েছে তাই। একা থাকলে নিশ্চয় করতো।”
বৃষ্টি থামার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। মণিমালা ভাবল, এত জল আকাশে কোথায় ছিল। বলল, “আমি এসে আপনাকে অসুবিধায় ফেলে দিলাম। অফিস থেকে ফিরে কোথায় একটু বিশ্রাম করবেন, তা নয়। আমাকে সময় দিতে হচ্ছে।”
অমিত হাসল। বলল, “যদি বলি কোয়ালিটি টাইম কাটাচ্ছি, বিশ্বাস করবেন? কথাটা কিন্তু সত্যি। কিছু মনে করবেন না, আপনাদের এই কলকাতা শহরে কেউ কারও সাথে মেশে না। কেমন যেন নাক-উঁচু স্বভাবের। সকালে একজন দুধ দিতে আসে। এছাড়া, পেপার-ওয়ালা, ধোপা আর শুকনো ময়লা নেওয়ার লোক। এরাই আমার রোজকার অতিথি। কেউই অবশ্য ভিতরে ঢোকে না। রাজপ্রাসাদ সাজিয়ে রাজা একাই বসে থাকে। তাই তো বেশী সময় অফিসেই কাটাই। আজ মেঘের অবস্থা দেখে পাঁচটায় বেরিয়ে পড়েছি।”
– “কলকাতার লোকজন যদি এতই খারাপ তাহলে এখানে থাকেন কেন?”
– “এই দেখুন, আপনি রেগে গেলেন। আমি কিন্তু আপনাকে আঘাত দিতে চাই নি। আপনি হয়ত কোনদিন মফস্বলে থাকেন নি। থাকলে পার্থক্যটা বুঝতে পারতেন। জানেন, আমার দুই বোনের, মানে আমার দিদি আর বোনের বিয়ে হয়েছে। অথচ, আমাকে বা দাদাকে কিছুই করতে হয়নি। প্রতিবেশীরাই সব দায়িত্ব ভাগ করে নিয়েছে। এমন কি রান্নার ঠাকুর পর্যন্ত এসে হাজির। আমাদের শুধু বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনীয় আলোচনা করতে হয়েছে আর টাকা দেওয়ার কাজটা করতে হয়েছে। ওখানে কে প্রতিবেশী আর কে আত্মীয়, না জানলে আপনি তফাৎ করতে পারবেন না। কলকাতা শহরে এরকম সম্পর্ক আমি অন্ততঃ গত পাঁচ বছরে দেখি নি। মাঝে মাঝে বড় হাঁসফাঁস লাগে, জানেন।”
বৃষ্টি ধরে এসেছে। এখন টিপটিপ করে পড়ছে। মণিমালা উঠে পড়ল। বলল, “এবার আমি যাই। ছাতা আছে। আর ভিজব না। একটা কথা বলব? আপনি তো কথা বলতে ভালবাসেন। আসুন না একদিন আমাদের বাড়ি। বাবার সাথে কথা বলে ভাল লাগবে।”
“আসব।” হেসে জবাব দিল অমিত।
মাসখানেক পরে আবার একই সময়ে দুজনে দেখা হয়ে গেল। অমিত হেসে বলল, “হাতে সময় আছে? আসুন না এক কাপ চা খেয়ে যাবেন।”
মণিমালা কপট রাগ দেখাল, “না। আগে আপনার আসার কথা ছিল। আসেন নি।”
অমিত মাথা নেড়ে বলল, “না না, অন্য কোন কারণ নেই। আসলে ঠিক সময় করে উঠতে পারি নি। যাব একদিন। নিশ্চয় যাব। আজ আপনি আসুন।”
মণিমালা মনে মনে এই নিমন্ত্রণের জন্য তৈরিই ছিল। বলল, “আপনার সেই দার্জিলিং? বড্ডো ভাল চা। চলুন।”
সেই শুরু। এরপর বন্ধুত্ব, ঘনিষ্ঠতা, ভাললাগা ও ভালবাসা – এই ঘটনাগুলো পর্যায়ক্রমে অথচ দ্রুততার সাথে ঘটে গেল।
কিন্তু ব্যাঘাত ঘটল যখন দুজনে পরিণয় সুত্রে আবদ্ধ হয়ে এক সংসারে আসতে চাইল।
বেণীমাধব বাড়িতে কারও সাথে আলোচনা না করেই অন্য একটি ছেলের সাথে মণিমালার বিয়ের কথাবার্তা অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গেছেন। ছেলেটি বেণীমাধবের সহকর্মী প্রফেসর মুখার্জ্জীর ছেলে। ছেলেটিকে বা তার ছবি, কিছুই বেণীমাধব দেখেন নি। ছেলেটির স্বভাব-চরিত্র কেমন, সে খবর নেওয়ারও প্রয়োজন বোধ করেন নি। তাঁর কাছে পাত্রটি গ্রহণযোগ্য কারণ সে শিক্ষিত ও সর্বোপরি ব্রাক্ষ্মণ-সন্তান।
মণিমালার মায়ের কাছে অমিতের কথা শুনে বেণীমাধব বেঁকে বসলেন। বললেন, “তুমি কি পাগল হলে নাকি? আমি এদিকে প্রফেসর মুখার্জ্জীর ছেলের সাথে মণির বিয়ের কথাবার্তা চালাচ্ছি, আর তুমি কোন এক ঘোষের সাথে মেয়ের বিয়ে দিতে চাইছ।”
মানসী বাধা দিলেন। বললেন, “আমি চাইছি না, তোমার মেয়ে নিজে চাইছে।”
বেণীমাধব মেয়ের দাবী নস্যাৎ করে দিয়ে বললেন, “না না। ওসব হবে না। ওকে বলে দিও। ব্রাক্ষ্মণ পাত্র থাকতে কেউ অন্য জাতে মেয়ের বিয়ে দেয়?”
বাবা যে এতটা প্রাচীনপন্থী সেটা মণিমালা জানত না। যখন জানল তখন অবাক হয়ে মাকে বলল, “মানে? এই যুগে ব্রাক্ষ্মণ কায়স্থ এসব আবার কোন মাপকাঠি নাকি? বাবা এসব বলেছে?”
– “তোর বাবা না বললে আমি কি বানিয়ে বলছি?”
– “তাহলে শোনো মা। বাবা না চাইলে এ বিয়ে হবে না। কিন্তু বাবাকে বলে দিও, আমার জন্য পাত্র দেখার প্রয়োজন নেই। আমি বিয়ে করব না।”
মানসী মেয়ের এতবড় প্রতিক্রিয়া আশা করেন নি। বললেন, “কি বলছিস তুই? কথাটা ভেবে বলছিস তো? এর ফল জানিস?”
– “জানি মা। তোমরা হয়ত বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেবে। কিন্তু আমি অমিতকে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করতে পারব না।”
– “সেটা তোমার বাবাকেই বোলো।”
– “না মা। বাবা তো আমাকে কিছু বলে নি। তোমাকে বলেছে। আমি কেন নিজে থেকে বলতে যাব?”
মানসী বিরক্ত হয়ে বললেন, “তোরা বাপ-বেটি দুই-ই সমান।”
দুপক্ষের দ্বন্দ্ব শুরু হল ও দিনের পর দিন চলতে লাগল। একদিকে মণিমালা ও তার জেদ, সাথে  ভাইয়ের সমর্থন। অন্যদিকে, বেণীমাধবের নিজস্ব সামাজিক সম্মান রক্ষার লড়াই। মানসী নীরব দর্শক – শঙ্কিত ও দিশাহারা। দুপক্ষের দৌত্য করেন কিন্তু নিজের কোন মতামত ব্যক্ত করেন না। মণিমালা বাড়িতে কথা বলা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। সুমন কিন্তু দিদির হয়ে নানাভাবে মা-বাবার উপর চাপ সৃষ্টি করছে।
বেণীমাধবকে কোন ভাবেই বোঝানো যাচ্ছে না।মানসী কিছু বললে তিনি একটাই কথা বলছেন, “তোমার ছেলেমেয়ে কি লায়েক হয়ে উঠেছে নাকি যে, যা চাইবে দিতে হবে? সমাজে মান-ইজ্জত বলে একটা কথা আছে, জানো তো? তোমার আদরের সন্তানদের জানিয়ে দিও।”
– “তোমাকে তো বলেছি, ওদের মধ্যে ভাব-ভালবাসা হয়েছে। অবশ্য তুমি ওসব বুঝবে না। আমাকে চিরকাল দাবিয়ে রেখেছ। এখন ভাবছ, মেয়েকেও দাবিয়ে রাখবে। দিন পাল্টেছে, ভুলে যেও না।”
এক মাসেরও বেশী সময় অতিক্রান্ত। সমস্যার সমাধান বা দুপক্ষের মধ্যে সন্ধির কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বেণীমাধবের মধ্যে কোন হেলদোল দেখা না গেলেও এই দম বন্ধ করা আবহ ও ক্রমাগত বাড়তে থাকা মানসিক চাপ মানসীর কোমল মাতৃহৃদয়ে অসহনীয় প্রভাব বিস্তার করছে। অবশেষে, সহনসীমার প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে একদিন মানসী বললেন,  “শোন, এভাবে তো চলতে পারে না। তুমি হয় কিছু একটা করো, নয়ত আমি আত্মঘাতী হব। এরকম দমবন্ধ করা অবস্থা আমি আর সহ্য করতে পারছি না।”
বেণীমাধব ক্ষুব্ধ হলেন। বললেন, “আমাকে কি করতে হবে? মেয়ের কাছে গিয়ে হাতজোড় করে বলতে হবে, তোমার পছন্দের পাত্রকেই বিয়ে করো মা। আমি আমার আপত্তি ফিরিয়ে নিচ্ছি?”
– “তুমি কোনদিন বদলাবে না। তুমি তো অধ্যাপক। ছাত্রছাত্রীদের পড়াও। এবার থেকে ওদের মনগুলোকেও একটু বুঝতে চেষ্টা কোরো, বুঝলে?”
মানসী চলে গেলেন। বেণীমাধব কিন্তু বসেই থাকলেন। এই অচলাবস্থায় তিনি নিজেও বিভ্রান্ত। নিজের বিবেক, নিজের সংস্কার, সামাজিক সম্মান – এসব নিয়ে প্রচুর নাড়াচাড়া করেছেন। কিন্তু সব শেষে এতকালের সংস্কার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেণীমাধব এমন আতান্তরে বহুকাল পড়েন নি।
           *  *  *  *  *  *  *  *
সন্ধ্যা নামতে আর বেশী দেরী নেই। মানসিক দ্বন্দ্বকে সঙ্গী করেই মানসী জলখাবার তৈরী করছিলেন। মণিমালা এসে গেলেও বেণীমাধব এখনও  আসেন নি। হয়ত কোথাও কাজে আটকে গেছেন। মানসী চা বসাবেন কিনা ভাবছিলেন। দরজায় বেল বাজল। বেণীমাধব এসে গেছেন। মানসী গিয়ে দরজা খুললেন। অবাক চোখে দেখলেন, বছর তিরিশ-বত্রিশের এক সৌম্যদর্শন যুবককে পাশে নিয়ে বেণীমাধব হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন। মানসীকে বললেন, “নাও গো, তোমার হবু জামাইকে ভাল করে দেখে নাও। পারলে প্রাথমিক আশীর্ব্বাদটাও সেরে নিতে পারো।”
মানসী হতবাক। বুঝতে পারছেন না ছেলেটি কার পছন্দের – মেয়ের না মেয়ের বাবার। বেণীমাধব বোধহয় মানসীর সমস্যাটা অনুধাবন করলেন। বললেন, “তোমার মেয়ের পছন্দের তারিফ করতে হয়, কি বলো?”
মানসী গোধূলী বেলার আলোর মত রোমান্টিক হাসি নিয়ে অমিতকে হাত ধরে বসালেন। বললেন, “বোসো বাবা বোসো। মণিমালা এসে গেছে। ডাকছি ওকে।”
               *  * শেষ *  *
******************************
চন্দ্রকান্তি দত্ত
লেখক পরিচিতি (চন্দ্রকান্তি দত্ত):
ভারতীয় জীবন বীমা নিগমের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। জন্ম মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুনা শহরে ১৯৫৯ সালে। স্কুল শিক্ষার শুরুটা পুরুলিয়ায় হলেও, প্রায় পুরোটাই হয়েছে দুর্গাপুরে। উচ্চ শিক্ষাও সেখানেই। নিজেকে লেখক না বলে গল্পকার বলতেই বেশী ভালবাসেন। লেখার শুরু গত শতকের নয়ের দশকের শেষ দিকে,তাও একজন সিনিয়র সহকর্মীর উৎসাহ ও চাপে। সেই থেকে টুকটাক লিখলেও,শারীরিক অসুস্হতার কারণে  লেখাতে ছেদ পড়েছে অনেকবার। এখন,চাকরী থেকে অবসরের পরে,প্রায় নিয়মিত লেখেন। গল্প ছাড়াও কয়েকটি কবিতাও লিখেছেন-বাংলা ও হিন্দিতে।

error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!