গুড মর্নিং
সাথী সেনগুপ্ত
এ বাড়িতে এক চিলতে আলো ঢোকে না। সারা দিনে কোন সময়েই না। এর চারপাশে উঁচু উঁচু ফ্ল্যাট বাড়ি । তারই মধ্যে কি জানি, কিভাবে ওই একতলা পুরনো বাড়িটা রয়ে গেছে। ছোট দু কামরার বারান্দা ওয়ালা বাড়ি। সামনে চৌকো মত উঠোন। উঠোনের কোণে পুরনো ঝাঁকড়া আমগাছ। কোণায় একটুখানি কুয়োতলা। সবটাই স্যাঁত স্যাঁত করছে। এই খোপ থেকে বেরোবার রাস্তা সামনের দুটো ফ্ল্যাট বাড়ির মধ্যবর্তী দুহাত চওড়া গলিটুকু। এই ফ্ল্যাটের জঙ্গলে কি করে যে ওই একতলা বাড়িটা রয়ে গেছে সেটাই আশ্চর্য। হয়ত এ অঞ্চলটা এক সময়ে উদ্বাস্তু কলোনি ছিল। পরে আইন টাইন হয়ে সকলেই সত্বাধিকার পায়। নিজস্ব দলিল পায়। তারপর প্রমোটার রাজের দৌলতে খুপরি খুপরি ফ্ল্যাট তৈরি হয়েছে। এ বাড়িটাই শুধু বাদ রয়ে গেছে।
এ বাড়িতে থাকে একটা বুড়ো। একাই থাকে। বয়স সাতাত্তর আটাত্তর হবে। নিয়ম অনুযায়ী বুড়োরও বুড়ি ছিল। সে বুড়ি গত হয়েছে বছর কয়েক আগে। ছেলে বউ আছে,আছে আদুরে নাতনি। কলকাতার কাছাকাছি অন্য শহরে থাকে। মাঝে মধ্যে কলকাতা এলেও ওরা এ বাড়িতে ওঠেনা। বউয়ের বাপের বাড়িতে ওঠে,এখানে দেখা করে যায়। ছেলে কম সম হলেও টাকা পয়সা নিয়মিত পাঠায়। আর বুড়োর সামান্য কিছু পেনশন। একা মানুষের কোন রকমে চলে যায়। ছেলে এসে বুড়োকে ওদের সঙ্গে যেতে বলে। বউ কিছু বলে না। নাতনিটা হুল্লোড়ে,এসেই বুড়োর গলা জড়িয়ে ধরে। খিল খিল করে হেসে ওঠে। নাতনির হাসির শব্দ বেয়ে এক ঝলক রোদ্দুর ও বাড়িতে ঢুকে পড়ে।
বুড়োর বাড়িতে কাজ করে একটা আধ শুকনি বউ। বুড়ো তাকে নাড়ুর মা বলে ডাকে। নাড়ুর মা এসে ঘর ঝাড়পোছ করে,বাসন মাজে,জামাকাপড় কাচে,দু চার পদ রান্না করে। আর পুরো সময়টা কাজের সঙ্গে বক বক করে। বুড়ো চুপ করে থাকে। নাড়ুর মার কথা কখনো শোনে কখনো শোনে না। মাঝে মাঝে বলে–
‘কি যে রাঁধিস,মুখে সোয়াদ পাই না। আজ একটু তেঁতুল,গুড় মিলিয়ে ধনে পাতা বেটে চাটনি করে দে না।’
নাড়ুর মা মুখ ঝামটে ওঠে–‘আ মোলো,বুড়োর নোলা দেক। ছেলেকে বল বেশি পয়সা খরচ করে সব সময়কার নোক রেকে দিতে।‘
তারপর গজগজ করতে থাকে–‘পাঁচ বাড়ি কাজ করে অত আদিখ্যেতা করা যায় না।’
বুড়ো কিছু বলে না। কিছু পরে রান্নাঘর থেকে শিল পাটার শব্দ পাওয়া যায়। বুড়ো মুচকি হাসে।
বুড়ো একমনে নতুন মোবাইল ফোনটা নেড়েচেড়ে দেখে। গত সপ্তাহে বুড়োর জন্মদিন ছিল। ওসব অবিশ্যি বুড়োর খেয়াল থাকে না। কিন্তু সপ্তদশী নাতনিটা সব মনে করে রাখে। বুড়োকে সারপ্রাইজ দেবে বলে বাবা মাকে জোর করে নিয়ে বুড়োর বাড়িতে এসে হাজির। শুধু তাই নয় নিজের হাতে একটা কেক বানিয়ে নিয়ে এসেছে।
ছেলে বলে–‘কি কাণ্ড বলত বাবা। এমন হুট বলতে কলকাতা আসা যায়? মেয়ে যেটা বায়না ধরবে,করেই ছাড়বে।’
বউ কিছু বলল না। মেয়ের জেদের জন্য নিজের মা বাবার সঙ্গে দেখা করার একটা সুযোগ মিলে গেল। ছেলে পরদিন চলে গেলেও বউমা মেয়ে নিয়ে দু চার দিন থেকে গেল বাপের বাড়ি।
বউটা অবশ্য বুড়োকে এড়িয়ে চললেও হাতে করে একটা নতুন ফতুয়া এনেছিল। সেটাই দাদুকে পরিয়ে কেক কাটালো নাতনি। দাদুকে জড়িয়ে অনেক আদর করল। যাবার সময় দিয়ে গেল ওর মোবাইল ফোনটা। বলল–‘দাদু এবার জন্মদিনে আমি একটা নতুন মডেলের সেল ফোন পেয়েছি। এটা তুমি রাখ।’
‘আমি কি করব দিদিভাই। আমার তো ছোট পুরনো মোবাইলেই চলে যায়।’
-‘কেন দাদু? তোমার বন্ধু বান্ধব নেই? হোয়াটস অ্যাপে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পার তো। ভিডিও কল করে আমাদের দেখতে পাবে, কল করতে পারবে।‘ বুড়ো অবাক হয়। ও বাবা আজকাল এত সব হয়। তারপরেই বলে–‘না না আমি এত পারব না। তাছাড়া তুমি তোমার ফোনটা দিয়ে গেছ জানলে তোমার বাবা মা রাগ করবেন।’
নাতনি ঠোঁট ফোলায়–‘ইস রাগ করলেই হল। আমি আমার ফোন যাকে খুশি দেব। তাছাড়া ওদের সবার স্মার্ট ফোন আছে,তোমারই শুধু নেই। এই ফোন দিয়ে তুমি আমায় ভিডিও কল করবে।’
আহা,মেয়েটার মনটা বড় ভাল। দোনো মনো করতে করতে ফোনটা নিতেই হয় বুড়োকে। নাতনিই শিখিয়ে পড়িয়ে দেয় সবকিছু।
যাই হোক,ভুল ভাল করতে করতে বুড়ো শিখে নেয় এখনকার যন্তরের নিয়ম কানুন। নাতনির সঙ্গে প্রায় প্রায় কথা হয়। ভিডিওতে দেখা হয়। হোয়াটস অ্যাপে কত রকম মেসেজ আসে। বুড়ো খুঁটে খুঁটে দেখে। দু চার জন বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। তারাও বুড়োকে কতরকম ছবি আর মেসেজ পাঠায়। আজকাল কেমন করে দিন কেটে যায় বুড়ো টেরও পায়না। বুড়োর নাতনি বুড়োর গলা জড়িয়ে একটা সেলফি তুলে অ্যাপের প্রোফাইল পিকচার বানিয়ে দিয়েছে।
নাড়ুর মা কাজ করতে এসে বুড়োর ফোন নিয়ে নাড়া ঘাটা দেখে মুখ বাঁকায়। -‘আ মরণ,আদেখলের ঘটি হল,জল খেতে খেতে পেরাণ গেল। এই বুড়ো বসে ইস্মার্ট ফোন নিয়ে কত আদিখ্যেতা দেক।’ নাড়ুর মার কথার মধ্যে অবজ্ঞার সঙ্গে হিংসে মিশে থাকে ।
বিকেলে বুড়ো মাঝে মাঝে কাছাকাছি পার্কটাতে গিয়ে চার চক্কর হেঁটে আসে। সেখানে আরো কজন বুড়োও আসে। আসে এক বুড়িও। বুড়ির নাতি পার্কে খেলে বেড়ায়। বুড়ি গিয়ে বুড়োদের দলের সঙ্গে গল্প করে। সেখানে গিয়ে বুড়ো বলল –‘আপনাদের স্মার্ট ফোন আছে? এই দেখুন আমার নাতনি এটা আমায় দিয়েছে।’ মোটামুটি সকলেই বললে–‘হ্যাঁ,তাদের আছে।’ বুড়ি তাদের মধ্যে সবচেয়ে স্মার্ট। সে বলল–‘আসুন না,আমরা সবাই মিলে একটা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ করি।’ বুড়ো বলল–‘সে আবার কি?’ বুড়ি বলল- ‘আমাদের পার্কের বন্ধুদের সকলের নাম থাকবে ওই গ্রুপে। আমরা সবাই লিখে লিখে নিজেদের মধ্যে কথা বার্তা বলতে পারব। রোজ তো সবাই পার্কে আসিনা,দেখাও হয়না। খোঁজ খবর টুকু পাওয়া যায় আর কি।’
জনা সাতেকের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ হল। বুড়ি সেই গ্রুপের অ্যাডমিন। গ্রুপের নাম নিয়েও আলোচনা হল। কেউ বলল নাম দেওয়া যাক ‘শেষ বিকেলের আলো’,আরেক জন বলল ‘অস্তরাগ’। বুড়ি বলল–‘কখনো না। ওরকম যমের দুয়ারে পা বাড়ানো নাম আমি মোটেও রাখব না। নাম হোক ‘সপ্তর্ষি’। আমরা সাত জনই তো আছি।
বুড়ো সন্ধ্যাবেলা নাতনিকে বলল গ্রুপ বানাবার কথা। নাতনি শুনে মহাখুশি। -‘এই তো চাই দাদু। দেখবে তোমার কেমন সময় কেটে যাবে।’
সত্যিই আজকাল বুড়োর আর একা লাগে না,কিভাবে সময় কেটে যায় টেরই পায়না। সারাক্ষণ কেউ না কেউ মেসেজ পাঠাচ্ছে। সকালবেলা অ্যাপ খুলতেই এক ঝলক রোদ্দুর যেন বুড়োর স্যাঁতস্যাঁতে আলোহীন ঘরে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। সকলের পাঠানো নানা রঙের ছবি আর গুড মর্নিং মেসেজে বুড়োর চারপাশ ঝলমল করে ওঠে। পার্কে এতদিন যে সকলের মধ্যে ‘কেমন আছেন?’ ‘ভাল আছেন?’ গোছের সম্পর্ক ছিল,গ্রুপে বার্তা বিনিময়ের কখন যেন সবাই সবার কাছের মানুষ হয়ে উঠল।
২৫শে বৈশাখের দিন অ্যাডমিন বুড়ি গ্রুপের দেয়ালে রবীন্দ্রনাথের গান গেয়ে ভয়েস মেসেজ পাঠাল। তারপর লিখল–‘আসুন না সবাই মিলে আজ কিছু করি। যে যা পারেন গ্রুপে পাঠান।’
তারপর সারাদিন ধরে চলল গান,কবিতার বিনিময়। সুরে বেসুরে কেউ গাইল গান, কেউ বা লিখে দিল কয়েক লাইন রবীন্দ্রনাথের কবিতা। রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবিও শেয়ার করল কেউ। বুড়ো আধো অন্ধকার,ধূলি মলিন ঘরের কোণার পুরনো ঘুণ ধরা আলমারি খুলে বার করল জরাজীর্ণ সঞ্চয়িতা খানা। সেই ছেলেবেলায় ইস্কুলে প্রাইজ পেয়েছিলেন বইটা। একটু আধটু আবৃত্তি চর্চার অভ্যাস অভ্যাস ছিল একসময়। সেসব কবেকার কথা। এতকাল পরে বইখানা খুলে দেখলেন মুচমুচে হয়ে গেছে পাতাগুলো। কোথাও পোকায় কেটে ফুটো ফুটো করে ফেলেছে। তার থেকেই খুঁজে পেতে ‘শেষ বসন্ত’ কবিতাটা আবৃত্তি করে পাঠালেন গ্রুপে। এক একজনের সুপ্ত প্রতিভা আবিষ্কার করে হৈ হৈ করে উঠছে সবাই। সারাটা দিন কি এক অজানা আনন্দের ঘোরে কেটে গেল ।
রাতে নাতনিকে ফোন করে বললেন–‘জানো,আমরা আজ গ্রুপে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করেছি।’ আবৃত্তির ভয়েস মেসেজটাও পাঠিয়ে দেয়। নাতনি খুশি হয়ে অনেকগুলো হাততালির ইমোজি পাঠাল।
পরিপূর্ণ মন নিয়ে রাতে শুতে যাবার সময় মোবাইলের অ্যাপে চোখ রাখলেন। হঠাৎ দেখলেন গ্রুপ অ্যাডমিন আলাদা করে তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউণ্টে মেসেজ করেছেন–‘আপনি এত চমৎকার আবৃত্তি করেন জানতাম না। চর্চাটা একটু রাখতে পারেন তো।’
খুশিতে ভরপুর মনে বুড়ো উত্তর লিখলেন–‘আপনার গান শুনেও তো মুগ্ধ হয়ে আছি। এত চমৎকার গলা আপনার।’
পরস্পরকে শুভরাত্রি জানিয়ে শুয়ে পড়ে ওরা।
শুয়েও যেন ঘুম আসেনা বুড়োর। এই বয়সে ঘুম না আসা টা অস্বাভাবিক কিছু নয়। অনেকদিনই বার্ধক্যের নানা উপসর্গে নিদ্রাহীন রাত কাটে। কিন্তু আজ অদ্ভুত এক ভালো লাগার আস্বাদ হৃদয় মন জড়িয়ে থাকে। মনে হতে থাকে,সত্যিই এভাবেও তো বেঁচে থাকা যায়। বার্ধক্য তার নিয়মমতো আসুক না,শুধু বিষাদ আর শোক তাপ নিয়ে না থেকে,সমমনস্ক মানুষদের পরস্পরকে ছুঁয়ে, একে অপরের অবলম্বন হয়ে এগিয়ে চলার নামই তো বেঁচে থাকা।
নাতনির কাছে মনে মনে কৃতজ্ঞ বোধ করেন তিনি।
পরের দিন আরও একটা সকাল। আরও একটা অপেক্ষা। এবার পর পর মেসেজ পড়বে গ্রুপে। কেউ বলবে গুড মর্নিং,কেউ বলবে সুপ্রভাত। এভাবে সাত সাতটা মেসেজ এসে পড়বে অ্যাপের পাতায়। বুড়ো ভাবছিল,শুধু রবীন্দ্র জয়ন্তী কেন,গ্রুপের বন্ধুরা মিলে সামনের শীতে কোন পিকনিক করা যেতে পারে। কিংবা কাছাকাছি কোথাও দুদিনের জন্য বেড়াতে যাওয়া যায়।
বেলা বাড়ে। নাড়ুর মা ঘরে এসে কাজকর্ম শুরু করে। বুড়োকে চা দেয়,জলখাবার দেয়। বুড়ো খায়,খেতে খেতে উসখুস করে। বার বার ফোন খুলে দেখে। নাড়ুর মা বকবক করে–‘বুড়ো বয়সে ভেমরতি ধরেছে। বয়স হয়েছে,কোতায় পুজো আচ্চা করবে,সেসব নেইকো, শুধু দিনরাত একনকার ছেলেপিলের মত ফোন ঘাটাঘাটি।’
বুড়ো কান দেয় না,মনে মনে অস্থির হয়। সব মিলে ছ খানা গুড মর্নিং মেসেজ এসেছে। দলের একমাত্র মহিলা সদস্যর মেসেজ তো নেই। অথচ উনি ভীষণ ভোরে ওঠেন বলে ঘুম ভাঙতে না ভাঙতেই ওঁর মেসেজই সবার আগে চোখে পড়ে। আর কোন ঠাকুর দেবতার ছবি নয়, বেশির ভাগই সূর্যোদয়ের ছবি থাকে। কী হল? উনি কি আজ কোন কারণে খুব ব্যস্ত? নাকি ঘুম ভাঙতে দেরি হয়েছে? কিংবা বাড়িতে কারুর অসুখ বিসুখ? ওঁর নিজেরই শরীর খারাপ নয়তো। একবার যাবেন নাকি হাঁটতে হাঁটতে? কিন্তু বাড়িটা তো চেনেন না,পার্কেই দেখা সাক্ষাত হয়।
অস্থিরতা ছড়িয়ে পরে গ্রুপের মধ্যে। একজন লিখেই বসেন–‘এখনও তো অ্যাডমিন ম্যাডামের ‘গুড মর্নিং’ মেসেজ দেখছি না।’ আরেকজন লিখলেন–‘কি হল আজ আপনি চুপ কেন?’ বুড়োর একথাও মনে হল,কে জানে ওঁর বাড়ির লোকজন কেমন? ওরা যতই বৃদ্ধ বৃদ্ধা হন না কেন,হয়ত বাড়ির লোকজন এই মেলামেশা,গ্রুপ তৈরি পছন্দ করছেনা। তাদের কোন বাঁকা কথায় উনি আহত হয়েছেন। …ঘণ্টা দুয়েক পরে খবরটা মেসেজ করেন একজন। ‘আজ ভোরে ঘুমের মধ্যে না ফেরার দেশে চলে গেছেন তিনি।’
স্তব্ধ হয়ে থাকে বুড়ো। গতকাল রাতে ম্যাডামের পাঠানো ব্যক্তিগত মেসেজটি মনে পড়ে। মানুষ নেই অথচ তার আঙুলের উষ্ণ ছোঁয়ায় লেখা মেসেজটি রয়ে গেছে। এভাবেই কি একে একে তাদের সপ্তর্ষি মণ্ডলের তারাগুলো খসে খসে পড়বে। এরপরে কার পালা কে জানে।
এই গ্রীষ্ম দুপুরেও বুড়োর কেমন শীত করে উঠল।
**************************************
সাথী সেনগুপ্ত পরিচিতি:
প্রায় দু দশকের ওপর ছোটগল্প লিখছেন। প্রকাশিত হয়েছে দেশ,সাপ্তাহিক বর্তমান,উনিশ কুড়ি,ফেমিনা বাংলা,তথ্যকেন্দ্র,আনন্দমেলা,সন্দেশ,শুকতারা প্রভৃতি বিখ্যাত বানিজ্যিক পত্রিকায় এবং বিভিন্ন অবানিজ্যিক ছোট পত্রিকায়। প্রকাশিত গল্প সংকলন দুটি। সুহা এবং গুপি চোরের কান্ড। ব্যক্তিগত জীবনে শিক্ষকতা করেন। শখ-আবৃত্তি চর্চা,বইপড়া,ভ্রমণ এবং অবশ্যই লেখালেখি।
মন ছুঁয়ে গেলো সাথীদি
খুব ভালো লাগলো। তোর ছোট গল্প গুলো সব সময়ই অনবদ্য হয়।
খুব সুন্দর গল্প । ঠিক গল্প না একটা বাস্তব জীবনের কথা যেন। মন ছুঁয়ে গেল ❤
কি সুন্দর গল্প !! ঠিক গল্প না জীবনের সত্যি কিছু কথা❤❤❤
খুব সুন্দর গল্প । ঠিক গল্প না একটা বাস্তব জীবনের কথা যেন। মন ছুঁয়ে গেল ❤