এক রাতের প্রেমিক ও জেলখানার গল্প
শাঁওলি দে
প্রলাপ
আকাশের দিকে চোখ মেলে শুয়ে আছি। আহ ! অপূর্ব ! যেন কোনো নিপূণ শিল্পী তার দক্ষ হাত দিয়ে কাঁথার ওপর সেলাই করে রেখেছে। তারই মাঝে একটা গোল ফ্যাকাশে চাঁদ ,না না পোড়া রুটির মতো তো লাগছে না ওকে ! বরং কেমন যেন ওর দিকে তাকিয়ে মনে হল আমি একটা আয়নার দিকে তাকিয়ে আছি ! কিছুক্ষণ থম মেরে তাকিয়ে রইলাম। আমার অবয়ব স্পষ্ট দেখতে পেলাম যেন।
সবাই আমাকে পাগল বলে। আচ্ছা আমি কি সত্যিই পাগল ? কী জানি ? এর উত্তর জানা নেই আমার। আমি রাতকে ছুঁতে ভালোবাসি, আমি রাতের প্রেমিক। কেউ বোঝে না জানেন, সবাই আমায় পাগল বলে !
আজ ভরা পূর্ণিমা। এই সব রাতগুলো আমার খুব প্রিয়। এই রাতকেই আমি বেশি ভালোবাসি। আসলে আমার ভালোবাসা দুজনের জন্যই, কিন্তু কালো রাতের চাইতে এই আলো রাত আমায় অস্থির করে তোলে। আমি একটু একটু করে আলোর চাদর জড়িয়ে নিই শরীরে, তারপর গভীর, তীব্র অশ্লেষে ডুবে থেকে থাকি … ডুব ! ডুব ! ডুব !
-‘অ্যাই পাগলা, আবার তুই এখানে শুয়েছিস ? যা ভাগ এখান থেকে ভাগ ! রাতবিরেতে যত্তসব উৎপাত !’ টোটনদার গলার স্বর পেলাম । এই টোটনদা আমার ছোটবেলার খেলার সাথী, অথচ আজ আমায় দেখলেই খ্যাঁক খ্যাঁক করে ওঠে। আমি ঘাসের ওপর চিত হয়ে শুয়ে আছি। উঠে বসলাম। চাঁদের আলোতেই দেখতে পেলাম টোটোনদা চোখ লাল, যতটা রাগে তার চাইতেই অনেক বেশি নেশায়। হ্যাঁ, টোটোনদা নেশা করে বাড়ি ফেরে, হাতে প্রচুর কাঁচা পয়সা তো, কারো কথা শোনে না। নেশা ছাড়ার কথা বললেই ও রেগে যায়, মারপিঠ করে, অথচ আমার এই রাতের নেশা ওর কাছে অসহ্য।
আচ্ছা বলুন তো কে বেশি পাগল ? আমি না টোটোনদা ?
আচমকা একটা ঢিল আমার মাথায় এসে লাগে। উফ্ ! কঁকিয়ে উঠি আমি। হাত দিয়ে ব্যথার জায়গাটা বোলাতে থাকি, হাতটা ভেজা ভেজা লাগে, না দেখেও বুঝতে পারি ওই তরলের রঙ লাল। ইচ্ছে করে পাশে পড়ে থাকা বড় থান ইঁটটা আমিও ছুঁড়ে মারি টোটনদার দিকে, কিন্তু ছোটবেলার খেলার সাথীর সঙ্গে এটা করে উঠতে পারি না শেষ পর্যন্ত ।
আচ্ছা বলুন তো কে বেশি শয়তান ? আমি না টোটোনদা ?
(১)
বড় একটা সাপ সুমিতের পাছা, কোমর, পেট, ছাড়িয়ে মাথার কাছে উঠে আসছে। সাপটা মাথার কাছে আসতেই একটা কুকুরের ডাক শুনতে পেল ও। কুকুরগুলো দৌড়ে আসছে সুমিতের দিকে, সুমিত ওদের হাত থেকে বাঁচতে দৌড়চ্ছে, জোরে আরও জোরে। অবশেষে সুমিত ঘুরে দাঁড়াল। কুকুরগুলোও হঠাত কেমন মিইয়ে গেল ! পাশে পড়ে থাকা একটা বড় পাথর হাতে তুলে নিল সুমিত, তারপর সেই পাথর দিয়ে একেবারে সামনের কুকুরটার মাথা থেঁতলে দিল ও।
কোথা থেকে হাজার লোক এসে জড়ো হয়েছে। নানা রকম কথা ভেসে আসছে কানে। কোনোটা আবছা, কোনোটা স্পষ্ট। কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছে না সুমিত। আচ্ছা কুকুরটা কি একেবারে মরে গিয়েছে ?
ধীরে ধীরে চোখ খোলে সুমিত। পার্কের যে বেঞ্চে ও রাত কাটায়, সেখানে চোখ খুলতেই নীল আকাশ দেখতে পায় ও, রোজ। রাতের কালো আকাশটাকে চোখের নিমেষে বদলে যেতে দেখে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে । কিন্তু আজ আকাশের বদলে সারিসারি চেনা অচেনা মুখ, উৎসুক চোখে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। হুড়মুড় করে উঠে বসে সুমিত। চোখ কচলায়।
ভিড়ের মধ্যে থেকে কে যেন বলে ওঠে, মার ব্যাটাকে । পাগল সেজে থাকা !
মাথামুন্ডু কিছুই বুঝতে পারে না সুমিত। হইচইয়ের মধ্যেই খুন, রেপ এইসব শব্দ আবছা কানে ভেসে আসে। খুব চেনা লাগে এই শব্দগুলো, কিন্তু মেলাতে পারে না। অসহায়ভাবে এদিক ওদিক তাকায়। দূরে টোটোনদা দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছে কার সঙ্গে। উঠে ওর কাছে যেতে চায় সুমিত, পারে না। টের পায় ওর পা দুটো বেঞ্চের সঙ্গে বেঁধে রেখেছে কেউ । ভেতরে হঠাৎই অজানা এক ভয় এসে কামড়ে ধরে ওকে। গলার কাছটা শুকনো শুকনো লাগে। জিভ দিয়ে খটখটে ঠোঁটটা চেটে ভিড়ের দিকে তাকায়, লোকগুলোর চোখ লাল, রাতের টোটোনদার মতোই। ওরাও কি তবে সবাই নেশা করে আছে সুমিত ভাবে ।
পুলিশ ভ্যানের সাইরেন শোনা যায় দূর থেকে। চড়া রোদ মাথায় নিয়ে সুমিতকে যখন ভ্যানে তোলা হয় ও তখন টোটন’দার দিকে তাকায়। রতন প্রামাণিক ওরফে টোটন মাথা নিচু করে, চোখের থেকে সরিয়ে নেয় ওর চোখ। এখন আর টোটোনদার চোখ লাল লাগে না, সুমিত বুঝতে পারে ওর খেলার সাথীর সব নেশা কেটে গেছে এখন।
(২)
দেওয়াল জুড়ে আঁকিবুঁকি কাটতে কাটতেই দিন কাটছে সুমিতের। ভাগ্যিস এই ইঁটের টুকরোগুলো জোগাড় করা গিয়েছে। এলোমেলো অনভিজ্ঞ আঁচড়ে দেওয়ালটা ভরে উঠছে বিমূর্ত সব ছবিতে। এক মনে এঁকে চলছে সুমিত, কোনোদিকে ওর খেয়াল নেই, এঁকেই চলছে ও।
-‘কয়েদি নম্বর সাত’শ দুই’ ! বাইরে থেকে একটা চিৎকার কানে এল সুমিতের।
তাকালো না ও, আপন খেয়ালে ঘুপচি ঘরটার দেওয়ালে রেখার পর রেখা জুড়তে লাগল । বাইরে থেকে আবার কে যেন চিৎকার করে উঠল এবার আগের চাইতে আরও জোরে। সুমিত পেছন ফিরে দেখল এবার, খাঁকি পোশাকের সেই লোকটা, যে রোজ আসে তারপর সুমিত’কে নিয়ে যায় এই ঘরের থেকেও ছোট্ট অন্ধকার এক ঘরে। সুমিত এবার চোখ বুজে ফেলে, ওর আর এখন করার কিছুই নেই, পর পর যা ঘটবে সব ওর জানা। বা হাত দিয়ে পিঠের খানিকটা ধরার চেষ্টা করে ও । আহ্, ভীষণ কষ্ট ! কালকের ঘাগুলো আজও তাজা, টাটকা। এর ওপর আজ আরও পড়বে বেল্টের দাগ, চিল চিৎকার করবে সুমিত, তারপর ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে একসময় মৃতের মতো পড়ে থাকবে । তারপর সুমিত টের পাবে না কখন কে ওকে আবার ওর এই আঁকিবুঁকির ঘরটাতে ফেলে গিয়েছে !
সুমিতের বেশ মজা লাগে এসব। কী সুন্দর ক’দিন খাওয়া দাওয়ার চিন্তা নেই, দিব্য আছে ও, শুধু চারিদিকে অন্ধকার নেমে এলে আকাশটা খোঁজে ও । প্রায় মাথায় লেগে যাওয়া ছাদটার দিকে তাকিয়ে আকাশটাকে দেখার চেষ্টা করে ও। চোখ বুজে অন্ধকারকে অনুভব করে, দু’টো হাত বুকের কাছে জড়ো অন্ধকারকে জড়িয়ে ধরে ও।
-‘অ্যাই, নে খেয়ে নে’, খাওয়ারের থালাটা গারদের ফাঁক দিয়ে দিয়ে গেল কয়েদখানার এক কর্মী। শুকনো দুটি রুটি আর ডাল। সারা শরীর অসাড় সুমিতের। হাত বাড়িয়ে থালাটা ধরার চেষ্টা করল ও। পারল না। গড়িয়ে গড়িয়ে সামনে এগিয়ে আসল ও। নাহ্ ! আরও দূরে থালা, অনেকটা দূরে। খিদেয় পেট ব্যথা করে ওর। সুমিত পাগল হয়েও বুঝতে পারে পিঠের ব্যথার চাইতেও এই ব্যথা আরও বেশি, অনেকটাই বেশি।
(৩)
-সই করতে পারিস ? উলটো দিকের চেয়ারের বসে থাকা পুলিশটা জোর গলায় বলে।
ঘাড় নাড়ে সুমিত। মানে সে সই করতে পারে।
-নে এই এখানটায়, দাগ দেওয়া জায়গাটায় সই কর একটা, বাংলায় করবি, বুঝলি। বিশ্রি গলায় লোকটা বলে ওঠে।
সুমিতের মনে পড়ে সেই কবে এভাবেই ওর দাদা ওকে দিয়ে সই করিয়ে নিয়েছিল একটা কাগজে, তারপর থেকে সুমিত ঘর ছাড়া। মনে মনে ভাবে এবার ও না জিজ্ঞেস করে সই করবেই না, পর মুহূর্তেই ভাবে কী আছে ওর আর লিখে নেওয়ার, এই জীবনটা ছাড়া, ওই রাতগুলো ছাড়া ? সেগুলো কি এই কাগজে সই করলে হারিয়ে যাবে ? আপন খেয়ালেই ঘাড় নাড়ে সুমিত। তারপর টেবিলের ওপর রাখা কলমটা তুলে নিয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে নিজের নামটা লিখে দেয় ও, লোকটির দেখানো দাগ দেওয়া জায়গাতেই।
লোকটির মুখে হাসি ফোটে, ঠিক এই হাসিটাই ও সেদিন দাদার মুখে দেখেছিল, ভাবে সুমিত । তবে এবারও কি ও আরও কিছু হারালো ? আরও দামি কিছু ?
সেদিন রাতে কয়েদখানার ঘুপচি ঘরটাতে শুয়ে শুয়ে স্বপ্ন দেখল সুমিত। এক আকাশ ঝিকমিক তারার স্বপ্ন । একটা রঙ উঠে যাওয়া চাঁদের স্বপ্ন। অন্ধকারের স্বপ্ন। সুমিত স্বপ্ন দেখল ও এক বুক কালো ওকে জড়িয়ে ধরেছে আষ্টেপৃষ্টে। অসম্ভব এক সুখ সুখ অনুভূতি হতে লাগল ওর।
সকালে উঠতেই মাথাটা ভার ভার। কয়েদখানার ঘরটা এত ছোট যে ভালো ভাবে পা ছড়িয়ে শোওয়া যায় না। কষ্ট করে কনুইয়ে ভর দিয়ে উঠে বসে ও। কতদিন হয়ে গেল এই ঘরটাতে থাকতে থাকতে। আর কি কোনোদিন আকাশটাকে সত্যি সত্যি ছোঁয়া হবে না ওর ? মাঝে মাঝে মনে উঁকি দিয়ে যায় একটা প্রশ্ন, ’সেদিন আমি কী করেছিলাম ?’
সুমিত জিজ্ঞেস করতে গিয়েও করতে পারে না। আসলে এতদিনে ও তো জেনে গেছে এই উত্তর কারো কাছে নেই। কিন্তু টোটোনদাও কি পারবে না উত্তর দিতে ? খুব জানতে ইচ্ছে করে সুমিতের ,তবু ও চুপ করে থাকতে বাধ্য হয়। কয়েদখানার দেওয়ালটা ভরে ওঠে নানা রকম আঁকিবুঁকিতে।
(৪)
আজকাল সুমিতের একমুখ দাঁড়ি হয়েছে। মাথার চুলগুলো সবই প্রায় সাদা। সেই কবে এক ভোরবেলায় এই ঘরটিতে ঠাঁই নিয়েছিল ও, আজও সেখান থেকে বেরুতে পারেনি সে। কতদিন হয়ে গেল কেউ আসে না এই ঘরে, শুধু গারদের ফাঁক দিয়ে কে একজন খাবার দিয়ে যায় , অন্ধকারে নাকি চোখের দোষে তার মুখ দেখতে পারে না ও।
আজকাল সবসময় চোখ দুটো জ্বালা করে সুমিতের। যে অন্ধকারকে এত ভালো লাগত, সেটাই আজ সুমিতের কাছে অসহ্য। একটু আলো দেখার জন্য আজ ও পাগল।
গারদের শিকগুলো ধরে গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে ঝাঁকাতে থাকে সুমিত। লোহাগুলো সামান্য নড়ে উঠলেও আওয়াজ হয় না তেমন। সুমিতের গলা চিরে বের হয়ে আসতে চায় আর্তনাদ। বের হয় না। কী করেই বা বের হবে ? সেই কোন ছোটবেলায় বাবাকে ট্রাকের তলায় পিষ্ট হতে দেখে বোধ বুদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গলার আওয়াজও তো হারিয়ে ফেলেছিল ছোট্ট সুমিত। ইচ্ছে করলেও তাই ও ডাকতে পারে না কাউকে, বলতে পারে না নিজের কথা। ঠিক যেমন সেদিন পুলিশের সামনে বলতে পারেনি আমি নই টোটোনদাই পাড়ার মেয়েটাকে জোর করে …
রাত নেমে আসে অর্ধেক পৃথিবী জুড়ে। অন্ধকার সুমিতের ঘুপচি ঘরেও। তবে আজকের এই আঁধার অন্যদিনের চাইতে অনেক অনেক বেশি। চির ঘুমে আচ্ছন্ন সুমিত, কয়েদি নম্বর সাত’শ দুই। একটু আগেই শেষ নিঃশ্বাস পড়েছে তার অথচ কেউ জানতে পারেনি, কেউ না।
(৫)
আজ প্রায় চারদিন পর ঘর থেকে বের করা হয়েছে সুমিতকে। পচা গন্ধ ছড়াতেই শোরগোল পড়েছিল, তারপর উদ্ধার করা হয় সুমিতকে, সঙ্গে পাঁচদিনের না খাওয়া খাবারের থালা। অন্ধকার প্রিয় একটা ছেলের অন্ধকারে থাকতে থাকতেই কখন যে বয়স বেড়ে গেল সে নিজেই তার হিসেব রাখল না। অবশেষে সে একদিন অন্ধকারেই হারিয়ে গেল।
খাঁকি পোশাকের লোকগুলো ঘর পরিষ্কার করতে তৎপর হল। সম্পূর্ণ দরজা খুলে যেতেই হুড়মুড় করে আলো ঢুকে পড়ল কোথা থেকে। সে আলোতে সবাই দেখতে পেল দেওয়াল জোড়া অপূর্ব সব কারুকাজ। অনভিজ্ঞ হাতেই পাগল কয়েদিটা কী নিদারুণ সব ছবি এঁকেছে! অবিশ্বাস্য যেন !
জেলখানার অন্য কয়েদিরা, কর্মীরা দুচোখ ভরে দেখছে সেসব। ওই তো এই দিকটায় দেওয়ালে বস্ত্রহীন একটা মেয়ে, আর তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটা চাদর দিয়ে মুড়ে দিচ্ছে মেয়েটিকে। ছেলেটাকে ওদের কেমন চেনা চেনা লাগে।
খাবার দিত যে লোকটা সেই একসময় চিৎকার করে বলে ওঠে, আরে এই ছেলেটাই তো পাগল কয়েদিটা। মেয়েটাকে কেমন পরম মমতায় ঢেকে দিচ্ছে দেখো। আহা রে !
কঠোর লোকগুলোর চোখে তখন জল।
বোবা সুমিত, পাগল সুমিত বেঁচে থাকতে থাকতে এই জলের কথা জানতে পায় না এই যা !
||পরিচিতি||
জন্ম ১৯৮২ সালের ডিসেম্বরে কোচবিহার জেলার প্রান্তিক শহর হলদিবাড়িতে। বর্তমানে বৈবাহিক সূত্রে জলপাইগুড়ির বাসিন্দা ইংরাজি সাহিত্যের এই ছাত্রীর লেখালিখি শুরু ছোটবেলাতেই। ইংরাজির সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশবিদ্যায় স্নাতকোত্তর। কবিতা দিয়ে শুরু, পরবর্তীতে ছোটগল্প, অণুগল্প ও ভ্রমণ প্রকাশিত হয়েছে বহু পত্র পত্রিকায়। দেশ, উনিশকুড়ি, উত্তরবঙ্গ সংবাদ, এখন ডুয়ার্স, রং রুট, ফেমিনা বাংলা, কথা সাহিত্য, নন্দন, শিলাদিত্য, তথ্যকেন্দ্র, লং জার্নি, উত্তরের সারাদিন, গৃহশোভা, আজকালসহ নানা পত্রিকায় বেরিয়েছে লেখা৷ ফিচার লেখাতেও সমান স্বচ্ছন্দ। যৌথভাবে
অণুগল্প সংকলন (দুই দুগুনে এক) ছাড়াও আরও অনেক সংকলনে লেখা প্রকাশিত হয়েছে।কলকাতা বইমেলা ২০১৯-য় প্রকাশিত হয়েছে ছোটগল্পের বই ‘মায়াঘর’ (প্রকাশক ‘দ্য কাফে টেবল’)ও অণুগল্পের বই ‘বৃষ্টিফোঁটার মতো’ (প্রকাশক- সৃষ্টিসুখ), আছে একটা ই-বুক ‘মেয়েবেলার গল্প'(প্রকাশক-শপিজেন)। নির্বাচিত গল্পের সবগুলোই কোনো না কোনো বাণিজ্যিক কিংবা ছোট পত্রিকায় প্রকাশিত।
উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি বই পড়া, গান শোনা নেশা।
বেশ ভাল।
ধন্যবাদ
ভালো গল্প
ভাল লাগল গল্পটা।
ধন্যবাদ
😍😍
বেশ ভালো লাগল। গল্পের রেশটা থেকে গেল মনে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ