সম্পাদকীয়
‘ কুলায় ফেরার চতুর্থ বর্ষপূর্তি ‘
তীব্র দহনের দু:সহ একটা লম্বা সময়ের পর বৃষ্টি ধারায় শুষ্ক ধরা অবশেষে শীতল হতে শুরু করেছে। রুক্ষ ফুটিফাটা মাটি, সিক্ত হয়েছে বর্ষণে। ধুলোময়,নোংরা,বিবর্ণ গাছের পাতাগুলো ধারা স্নানে এখন পরিস্কার,চকচকে,সবুজ,প্রাণবন্ত। এই নীলগ্রহের একমাত্র আত্মঘাতী, ভাতৃঘাতী, অকৃতজ্ঞ মানুষরা বিশ্বের সর্বত্রই অরণ্য ধ্বংস করে বসত বিস্তৃত করে চলেছে। এদেশও পিছিয়ে থাকবে কেন? পুষ্করিণী,জলাশয় বুজিয়ে,তোলা হচ্ছে অজস্র বহুতল। বিপন্ন হচ্ছে বন্যপ্রাণী,পাখিকুল। সাগর/সমুদ্রের পৃষ্ঠতলের তাপমাত্রা ও পৃথিবীর পৃষ্ঠতলের তাপমাত্রার মধ্যে ব্যবধান ক্রমশই কমে আসছে,যার জন্য মৌসুমী বায়ু পৃথিবীর পৃষ্ঠতলে প্রবেশ করতে সময় নিচ্ছে। ফল স্বরূপ,বর্ষা দেরীতে শুরু হচ্ছে। আগামী দিনে এই ঘটমান বিষয় আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে চলেছে। বিশ্বের তাপমাত্রা ৬০ ডিগ্রী ছুঁই ছুঁই! তবে এবারের মত বর্ষা এসে যাওয়ায় স্বস্তি। এই লেখা যখন প্রকাশিত হবে,ততদিনে ঝমঝমিয়ে বর্ষণের কাল শুরু হয়ে যাবে! এই চরম প্রতিকূল আবহাওয়াতেও ‘কুলায় ফেরা’ কিন্তু তার নিজ কাজে আত্ম নিমগ্ন। দেখতে দেখতে চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ করলো “কুলায় ফেরা”। এই চার বছরে অনেক কিছুর সাক্ষী সে। কুলায় ফেরার জন্ম হয়েছিলো যখন,সারা বিশ্ব তখন এক ভয়ঙ্কর প্রাণঘাতী ভাইরাসের আগ্রাসনে অতিমারীর মৃত্যুলীলায় কাঁপছে। বিশ্বের মহা শক্তিধর মানবকুল তখন প্রাণভয়ে নিজ ঘরে ইচ্ছাবন্দী। পশু পাখিরা মুক্ত বিশ্বে নির্ভয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে,এই অভূতপূর্ব মারণলীলা কুলায় ফেরাকে,তার এগিয়ে চলার পথকে থামাতে পারেনি। পত্রিকা নির্দিষ্ট সময় প্রকাশিত হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনে সে অক্লান্ত। বেশ কয়েকটি ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠান হয়েছে ইতিমধ্যে। তার নিবিড় উদ্যমের সেই সাহিত্য,সংস্কৃতির বহমান ধারা আজও অব্যাহত।
এই চরম প্রতিকূল আবহাওয়াতেও কুলায় ফেরা তার নিজ কাজে কিন্তু আত্মমগ্ন। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের ১৬৪ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে,গত ২৩ মে (২০২৪),সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভে নিবেদিত হলো কচি কাঁচা দের সঙ্গীত ও আবৃত্তির অনুষ্ঠান। কাজী নজরুলের ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপনে ‘কুলায় ফেরা’ র ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠিত হয় ১৪ই জুলাই ২০২৪ এ | দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে বহু শিল্পী এই অনুষ্ঠান গুলিতে অংশ নিয়েছিলো। অত্যন্ত উপভোগ্য এই অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেছেন দেশ বিদেশের বহু দর্শক। আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই সম্প্রচার করা হয়। এটা অত্যন্ত সুখের এবং আশার কথা,সামগ্রিকভাবে এই সব অনুষ্ঠানের সংস্কৃতি ও প্রযুক্তিগত দিকে প্রভূত উন্নতি করেছে এবং করে চলেছে কুলায় ফেরা।
আগামীতে আমরা আরো উজ্জ্বল উপস্থাপনার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করে চলেছি,নিরন্তর।
কুলায় ফেরার আন্তর্জালিক,আন্তর্জাতিক এবং নান্দনিক পত্রিকার সকল লেখক লেখিকা,পাঠক পাঠিকা এবং এর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সব ধরণের শিল্পী,কলাকুশলী,নেপথ্য শিল্পী,প্রযুক্তিবিদ ও শুভাকাঙ্খীদের কুলায় ফেরা পরিবারের পক্ষ থেকে ভালোবাসা,অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।।
নমস্কারান্তে,
দেবদত্ত বিশ্বাস
সম্পাদক
কু লা য় ফে রা
২৬শে জুলাই ২০২৪