আহ্বান
চন্দ্র কান্তি দত্ত
সময় সকাল নটা কুড়ি কি বাইশ। বাইক নিয়ে অফিসে যাচ্ছে প্রবাল। ত্রিকোণ পার্কের কাছে আসতেই সামনে সব গাড়ি দাঁড়িয়ে গেল। রাসবিহারী মোড়ের সিগন্যাল বন্ধ হয়ে গেছে। এখন পাক্কা সাড়ে তিন মিনিটের অপেক্ষা। প্রবাল একটা সিগারেট বার করে ধরালো। সাড়ে তিন মিনিটে শেষ হয়ে যাবে। হঠাৎ চোখে পড়ল,ত্রিকোণ পার্কের লাগোয়া ফুটপাথে একজন মুচি এসে বসেছে। প্রবালের চোখে পড়ল এইজন্যই যে,রোজ এই একই সময়ে প্রবাল এই রাস্তা দিয়ে যায়। অথচ,গতকাল পর্যন্ত প্রবাল এই লোকটিকে দেখেনি।
সিগন্যাল খুলে গেছে। প্রবাল সব চিন্তা সরিয়ে রেখে সোজা এগিয়ে গেল।
সারাদিন কাজের মধ্যে রাস্তার কথাবার্তা আর দেখাশোনার বিষয় বিশেষ কিছুই মনে থাকে না। প্রবালেরও ছিল না। সন্ধ্যায় ফেরার পথে আনমনা ভাবেই চোখ গেল সেই মুচির বসার জায়গায়। মুচি এখন নেই। চলে গেছে। প্রবাল কব্জিতে বাঁধা ঘড়িতে সময় দেখল। প্রায় সাতটা। প্রবাল বাইকের গতি কমিয়ে রোড-হাম্প দুটো পেরিয়ে আবার গতি বাড়িয়ে বাড়ির পথে এগিয়ে গেল।
দেখতে দেখতে তিন–চার দিন পেরিয়ে গেছে। সিগন্যাল বন্ধ না হওয়ায় প্রবালকে পার্কের কাছে দাঁড়াতে হয় নি। তবে প্রতিবারই কোন না কোন ভাবে একবার চোখ চলে গেছে ওই মুচির দিকে। কেন গেছে প্রবাল তার কোন যুক্তি খুঁজে পায় নি।
সেদিন রাত প্রায় দশটা। প্রবাল ও সোমা রাতের খাবার খেতে বসেছে। তখনও খাওয়া শুরু হয় নি। প্রবাল হঠাৎ কপালে করাঘাত করে বলে উঠল,”ইস,সোমা! আমি কি মানুষ!নাকি ক্রমশঃ অমানুষ হয়ে উঠছি!“
সোমা তো শুনে অবাক। লোকটার হল কি? একটু আগেই যে কিনা মজার মজার কথা বলছিল সে–ই হঠাৎ এরকম আক্ষেপ করছে! মাথাটা বিগড়ে গেল নাকি? বলল,”কি ব্যাপার? কি হয়েছে? কারো উপরে কোন অন্যায় করেছ?”
– “হ্যাঁ সোমা,হ্যাঁ। এতবড় অন্যায় আমি আগে কক্ষনো করিনি। আমার জ্ঞান হওয়া অবধি যে মানুষটাকে এত কাছ থেকে,এতবছর দেখেছি,তাঁকেই কিনা পরপর প্রায় সাতদিন দেখেও চিনতে পারলাম না!“
সোমা এখনও বিভ্রান্ত। জিজ্ঞাসা করল,”কে বলতো? কার কথা বলছ? কাকে সাতদিন দেখেও চিনতে পারো নি?”
-“আরে তাপসদা গো! আমাদের চন্দননগরের তাপসদা। তুমিও তো ওঁকে চেনো।“
সোমার কাছে বিষয়টা এখনও পরিস্কার নয়। বলল,”তাপসদাকে তুমি সাতদিন কোথায় দেখলে? তোমার অফিসে?”
প্রবাল এখনও কিছুটা উত্তেজিত। বলল,”না গো না,অফিসে নয়। এইখানে,আমাদের বাড়ির কাছাকাছি,ত্রিকোণ পার্কের ফুটপাথে। তাপসদা লোকের জুতো পালিশ করছে। ভাবতে পারো?”
– “তুমি ঠিক জানো ওটা তাপসদা? কোথাও ভুল হচ্ছে না তো?”
– “সেটাই আসল প্রশ্ন ! দেখা যাক। কাল শনিবার একবার খবর নিতে হবে। দাও,খেতে দাও। বড্ড খিদে পেয়েছে।“
সোমা হাসল। বলল,”সন্ধ্যেবেলা বললাম,একটু মুড়ি মেখে দি। তখন খেলে এতটা খিদে পেয়ে যেত না।“
প্রবাল রুটি ছিঁড়ে বলল,”আরে দূর। সিঙ্গাড়া নেই,চপ নেই,বেগুনী নেই। তোমার ওই চানাচুর আর পেঁয়াজ দিয়ে মাখা মুড়ি কেউ খায়?”
– “আচ্ছা ঠিক আছে। কালকেই তোমাকে মচমচে বেগুনী বানিয়ে দেব। কিন্তু এখন কেমন খাচ্ছ বললে নাতো?”
– “আজকে তড়কাটা যা বানিয়েছ না। একদম ফাটাফাটি। রুটি কম না পড়ে যায়?”
দুজনের প্রাণখোলা হাসিতে একটু আগের উদ্বেগের পরিবেশ এক মুহূর্তে নির্মল পরিবেশে বদলে গেল।
* * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * *
চন্দননগরের তাপসদা। পাদ্রীপাড়ার তাপস সরকার। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য কিছুই করে উঠতে পারলেন না। ছেলেবেলায় তাপস যখন ইস্কুলে যেত, পিছনের বেঞ্চে একটা জানালার ধারে বসত। মাষ্টারমশাইরা পড়াতেন তাঁদের মত। তাপসের মন উড়ে বেড়াত গঙ্গার উপরে একটানা উড়ে চলা গাঙচিলদের সাথে। ফল যা হওয়ার তাই হতো। তাপস কোন বিষয়েই পাস করতে পারত না। তাপস ছিল মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যানের ছেলে। ইস্কুল হয়ত সেইজন্যই কোন ক্লাসেই ওকে আটকাতো না। কিন্তু গোল বাধল মাধ্যমিকের সময়। পরপর চারবারেও তাপস পাস করতে পারল না। শেষে রণে ভঙ্গ দিল।
পদাধিকার প্রয়োগ করে বাবা চন্দননগর মিউনিসিপ্যালিটিতে একটা চাকরী জুটিয়ে দিলেন। দিন পনেরো বাদে খবর পেলেন,ছেলে মাত্র দুদিন অফিসে এসেছে। আর ওই দুদিনও খাতায় সই করে কেটে পড়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল তাপস কোন কুসঙ্গে মেশে না। কোনরকম নেশাভাঙ করে না। সারাদিন একা একা গঙ্গার ধারে বসে থাকে।
মান–সম্মান মাটিতে মেশে দেখে, সত্যবাবু তাপসকে ডাকলেন। বললেন,”আমি খবর পেয়েছি তুমি অফিসে যাও না। সারাদিন একা একা গঙ্গার ধারে বসে থাকো। কি করো ওখানে? অফিসে না গিয়ে গঙ্গার ধারে বসে থেকে কি পাও তুমি?”
তাপস অকপট,”আমি লেখাপড়া জানি না। অফিসে আমি কি করব?”
সত্যবাবু রাগে জ্বলে উঠলেন,”সেইজন্য অফিস ছেড়ে গঙ্গার ধারে বসে থাকতে হবে? আরে,অফিসে কোন কাজ না করে বসে থাকলেও মাস গেলে দু–পয়সা মাইনে পেতে। মা গঙ্গা কি তোমাকে মাইনে দেবেন? যত্তোসব আহাম্মক জুটেছে আমার কপালে।“
তাপসকে বদলানো গেল না। গাঙচিলের ডাক তাকে পাগল করে দেয়। গঙ্গার ধারে বসে জগত,সংসার,সমাজ সব মিথ্যে মনে হয়। বই খাতা কাগজের সব লেখা তার কাছে হিজিবিজি দাগ ছাড়া কিছু মনে হয় না। কি করবে তাপস? তাকে অফিসে বসতে বলা আর গারদে বন্দি করে রাখা সমার্থক।
তাপস তাই পালিয়ে বেড়ায়। গঙ্গার ধার দিয়ে হেঁটে বহুদূর চলে যায়। বাবা লোক লাগিয়েও খুঁজে বার করতে পারবেন না। খিদে নেই,তেষ্টা নেই,আছে শুধু নদীর টান ও গাঙচিলের কাতর আহ্বান।
তাপসের শরীর দ্রুত ভাঙ্গছে। মা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বলেন,”হ্যাঁরে তপু,সারাদিন কিছু খাসনে বুঝি। শরীরে তো আর মাংস বলে কিছু নেই। কেন এমন করছিস বাবা? একটু মন দিয়ে চাকরিটা কর না! দেখবি ধীরে ধীরে মনটা শান্ত হবে।“
রাত্রে বিছানায় শুয়ে ভাবনায় ডুবে যায় তাপস। ভাবে মায়ের চিন্তার কথা, ভাবে বাবার উদ্বেগের কথা। ভাবতে ভাবতে খানিক বোধদয়ও হয়। তাপস ভাবে,’সত্যিই তো! বাবা–মা যা বলছেন কথাগুলো তো ঠিক। অনেকটা বয়স হয়ে গেল আমার। কি করছি আমি? এভাবে তো জীবন কাটতে পারে না। না,আর নয়। কিছু করতে হবে এবার‘। ঘুমিয়ে পড়ে তাপস।
সকালে ঘুম ভাঙ্গে অনেকটা বেলায়। সত্যবাবু তখন বেরিয়ে গেছেন। তাপস স্নান সেরে খাওয়াদাওয়া করে বেরিয়ে পড়ে। বাবার কাছে যেতে হবে। দেখতে হবে এখনও চাকরিটা আছে কি না। করবে চাকরিটা। জীবনটাকে এবার একটা সুনির্দিষ্ট খাতে বইয়ে দিতে হবে। অনেক হয়েছে ভাবের ঘরে ঘোরাঘুরি। আর নয়।
গলি ছেড়ে রাজপথে এসে পৌঁছয় তাপস। রাস্তাটা গঙ্গার ধার দিয়ে কিছুটা গিয়ে ভিতরে বাঁক নিয়েছে। গঙ্গার ধার দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ তাপসের মনে কিছু তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হয়। গতকাল রাত্রে যে বোধের উদয় হয়েছিল,আজ কয়েক মুহূর্তের মধ্যে সে বোধ অস্তমিত হয়। তাপস মিউনিসিপ্যালিটির পথ হারিয়ে ফেলে। লম্বা লম্বা পায়ে হেঁটে পৌঁছে যায় তার প্রাত্যহিক গন্তব্যে, বাড়ি থেকে দূরে,অনেক দূরে গঙ্গার অন্য এক ঘাটে। সব ভুলে খুঁজতে থাকে নদীর উপরে একটানা চক্কর দিতে থাকা তার প্রিয় গাঙচিলদের। ভুলে যায় সমাজ, ভুলে যায় সংসার। প্রতিদিনকার বাস্তবতার কাছে আবারও হার মানে তাপস।
তিক্তবিরক্ত সত্যবাবু তাপসকে ডেকে বললেন,”তোমার জন্য,শুধু তোমার জন্য আমার মান–সম্মান সব ধূলোয় মিশে যেতে বসেছে। আমার পক্ষে তোমার দায়িত্ব নেওয়া আর সম্ভব হচ্ছে না। তোমাকে আমি আর সাতদিন সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে পাগলামি ছেড়ে যদি কিছু করতে পারো,তাহলে এ বাড়িতে ঠাঁই হবে। না পারলে,আসছে বুধবার থেকে নিজের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা নিজে করে নেবে। তোমার কোন দায়িত্ব আমি আর নেব না। এই আমার শেষ কথা।“
প্রমাদ গনে তাপস। এত বড় বিপদ জীবনে কখনও আসেনি। এতদিন দিনে কিছু খেত না ঠিকই। মা গঙ্গা তার ক্ষুধা–তৃষ্ণা সব ভুলিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সব কিছুর পরেও সকাল–সন্ধ্যে মায়ের হাতের যত্নের স্পর্শ মাখানো খাবার জুটত,জুটত রাতে ঘুমোবার একটা নির্দিষ্ট বিছানা। অসহায় তাপস ভাবে,যে মানুষটা জীবনের পেরিয়ে আসা এতগুলো বছরে কিছুই করল না,বা করতে পারল না,তাকে সাতদিন সময় দেওয়া আর সাত বছর সময় দেওয়ার মধ্যে তফাত কিছু নেই। কি করবে এখন তাপস? শিয়রে যে শমন। রাশভারী,প্রভাবশালী,আপাদমস্তক রাজনীতিক সত্যবাবু,যিনি স্নেহময় পিতা হিসেবে তাঁর অস্তিত্ব যত না প্রকাশ করেন তার চেয়ে অনেক বেশী প্রকাশিত হয় তাঁর কঠোর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাঁর কথা না মেনেও উপায় নেই।
দিনের পর দিন পেরিয়ে যেতে থাকে। মা গঙ্গার অমোঘ আহ্বান উপেক্ষা করতে পারে না তাপস। তারই মধ্যে সকাল–সন্ধ্যে কাজের সন্ধানে ঘুরতে থাকে চন্দননগরের এ প্রান্ত থেকে সে প্রান্ত। মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যানের ছেলেকে কেউ যেমন–তেমন কাজ দিতে চায় না। আবার পড়াশোনা না জানায় অন্য কাজও জোটে না তাপসের। অবশেষে প্রায় শেষ লগ্নে এসে পথ দেখায় এক মুচি। তারই সহযোগিতায় জিনিষ–পত্র কিনে গোপনে কলকাতা রওনা হয় তাপস।
* * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * *
জন্মাবধি দেখা তাপসদার এই অবনতি মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না প্রবালের। অনেক বুঝিয়ে তাই চন্দননগরে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। সত্যজ্যাঠার সাথে কথা বলে সময় চেয়ে নেয়। সত্যবাবু মৃদু হেসে বলেন,”ওকে সাতদিন বললেও ততটা কঠোর আমি আমার একমাত্র ছেলের প্রতি হতে পারি না। সাতদিন বললেও সাত বছরও আমি মেনে নিতাম। এখন দেখ তোমরা এই অকম্মার ঢেঁকিকে দিয়ে কি করাতে পারো।“
লেখাপড়া না করলেও তাপসের একটা প্রতিভা সম্পর্কে অনেকেই অবহিত। তাপস ছেলেবেলা থেকেই মাটির মূর্ত্তি গড়তে পারে। পরে মা গঙ্গার টানে আর গাঙচিলদের কাতর আহ্বানে সব ছেড়ে দিয়েছে,তবু প্রবালরা আজও বিশ্বাস করে যে সহজাত প্রতিভা কেউ ভোলে না। অতএব, জুতো পালিশ নয়,তাপস মুর্ত্তি গড়বে। চন্দননগরে তিনশ এর বেশী জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। আপাততঃ তারই দুটো ছোট আকারের পুজোর প্রতিমা গড়বে তাপস। শর্ত একটাই। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে তাপস যাবে না। ওগুলো সময়ে সময়ে এনে দেবে গোপাল ও সহদেব। তাপস গঙ্গার ধারে বড় রাস্তায় গেলে কি হতে পারে সে আশঙ্কা সবারই আছে।
মূর্তি গড়ে তাপস। গঙ্গার কলতান,গাঙচিলদের কাতর আহ্বান উপেক্ষা করে একমনে মুর্ত্তি গড়ে যায়। শেষে দিন দশেক বহু কষ্টে পার করে আর পেরে ওঠে না তাপস। হাঁপিয়ে ওঠে। গোপাল ও সহদেবের সাময়িক অনুপস্হিতির সুযোগ নিয়ে বেরিয়ে পড়ে গঙ্গার উদ্দেশে। গোপাল ফিরে এসে দেখেই বুঝতে পারে। পিছু নেয় সঙ্গে সঙ্গে। গোপালের উপস্হিতি টের পেয়ে গতি বাড়ায় তাপস। প্রথমে জোরে হাঁটা,পরে দৌড়ানো। অতিরিক্ত উত্তেজনায় সামলাতে পারে না নিজেকে। সোজা গিয়ে পড়ে গঙ্গার অথৈ জলে। ছেলেবেলা থেকে গঙ্গার ধারে এলেও নদীতে নামেনি কোনদিন। সাঁতার শেখাও তাই হয়ে ওঠে নি। কয়েকবার হাবুডুবু খেয়ে নদীর গভীরে তলিয়ে যায় তাপস। গোপাল ঝাঁপ দিয়েও খুঁজে পায় না। শেষে,তিন–চার ঘন্টার চেষ্টায় ডুবুরি এসে মাইল দুয়েক দূরে মা গঙ্গার কোল থেকে তুলে আনে তাপসের প্রাণহীন নশ্বর দেহ।
তাপসের প্রিয় গাঙচিলেরা তখন মাথার উপর চক্কর দিতে দিতে একটানা আর্তনাদ করে চলেছে।
**********************************
লেখক পরিচিতি (চন্দ্রকান্তি দত্ত):
ভারতীয় জীবন বীমা নিগমের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। জন্ম মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুনা শহরে ১৯৫৯ সালে। স্কুল শিক্ষার শুরুটা পুরুলিয়ায় হলেও,প্রায় পুরোটাই হয়েছে দুর্গাপুরে। উচ্চ শিক্ষাও সেখানেই। নিজেকে লেখক না বলে গল্পকার বলতেই বেশী ভালবাসেন। লেখার শুরু গত শতকের নয়ের দশকের শেষ দিকে,তাও একজন সিনিয়র সহকর্মীর উৎসাহ ও চাপে। সেই থেকে টুকটাক লিখলেও,শারীরিক অসুস্হতার কারণে লেখাতে ছেদ পড়েছে অনেকবার। এখন,চাকরী থেকে অবসরের পরে,প্রায় নিয়মিত লেখেন। গল্প ছাড়াও কয়েকটি কবিতাও লিখেছেন-বাংলা ও হিন্দিতে।
তাপসরা একদিন ছিলেন আমাদের আসে পাশে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ যে ওদেরকে ভোলেন নি। ভালো থাকুন।🌹