দুধ চিংড়ি
মানসী ব্যানার্জী
উপকরণ –
গলদা চিংড়ি ৫০০ গ্রাম।
সাদা তেল আধ কাপ।
গাওয়া ঘি ২ চা চামচ।
দারুচিনি ১ ইঞ্চি।
এলাচ ২ টি।
লবঙ্গ ২ টি।
তেজপাতা ২ টি।
গরম মশলা গুঁড়ো ১ চা চামচ।
পেঁয়াজ বাটা ৩ চা চামচ।
আদা বাটা ১ চা চামচ।
কাঁচালঙ্কা বাটা ১ চা চামচ।
গোটা কাঁচালঙ্কা ৪ টি।
চিনি আন্দাজ মতো।
লবণ আন্দাজমতো।
নারকেলের দুধ ১ কাপ।
নারকেল কোরা ৫ চা চামচ।
খোয়া ক্ষীর ২ চা চামচ।
ফোটানো দুধ ১ কাপ।
তৈরীর পদ্ধতিঃ
প্রথমে লবণ মাখিয়ে সাদা তেলে চিংড়ি মাছ ভেজে নিন। এবার ওই তেলে ১ চা চামচ ঘি দিয়ে দিন। ফোড়নের জন্য দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ ও তেজপাতা দিয়ে দিন। এবার পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা ও লঙ্কা বাটা দিয়ে কষতে থাকুন। কষা হয়ে গেলে নারকেলের দুধ মিশিয়ে দিন। মিশ্রণ ফুটে উঠলে লবণ, চিনি ও খোয়া ক্ষীর দিয়ে ঢাকা দিয়ে ২ মিনিট গ্যাস সিমে রেখে দিন। ২ মিনিট পর ঢাকনা খুলে নারকেল কোরা ও ভাজা চিংড়ি মাছ দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। ২–৩ মিনিট পর ফ্লেম বাড়িয়ে ঢাকা খুলুন। এবার কাঁচালঙ্কা ও ফোটানো দুধ দিয়ে ৫ মিনিট ফুটতে দিন। ৫ মিনিট পরে ১ চা চামচ ঘি ও ১/২ চা চামচ গরম মশলা দিয়ে নামিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন।
খাওয়ার সময় গরম গরম পরিবেশন করুন।।
বহরমপুর শহরের বিখ্যাত কবিরাজ বাড়ির বৌ মানসী–র পিত্রালয় নদীয়া জেলায়। পিতা শিক্ষক ছিলেন বলেই হয়তো, শৈশব থেকেই মানসী বইয়ের পোকা। যথেষ্ট ঈর্ষনীয় স্তরের ছাত্রী হয়েও আদ্যোপান্ত সংসারী এই ভদ্রমহিলা চাকুরির ঘেরাটোপে নিজেকে আবদ্ধ করতে চাননি। বিরাট যৌথ পরিবারে বিয়ের পরে শাশুড়িদের অসাধারণ রান্নার প্রতি আকৃষ্ট হন তিনি। এবং তার ফলশ্রুতিতেই জিভে জল নিয়ে আসা অজস্র পদের রেসিপি আজ তাঁর নখদর্পণে। নিরামিষ, আমিষ, সেকেলে, একেলে, ওপার বাংলা এবং এপার বাংলার হাজারো পদ রান্নায় তিনি সিদ্ধহস্ত। সেই হাজারো পদের রন্ধন শৈলী “কুলায় ফেরা“-র ঠাম্মি–ইয়াম্মি পাতায় একে একে প্রকাশ করবেন মানসী।
সাধারন সামগ্রী দিয়ে আসাধারন রেসিপি।সহজেই করে খাওয়াওখাওয়ানো যায়।
আপনার মন্তব্য খুব ভালো লাগলো। সকলের রান্নাঘরে এই রেসিপি রান্না হলে তবেই আমার প্রচেষ্টার সার্থকতা।
খুব সহজ রেসিপি।সহজেই রান্না করা যাবে
রান্না করে, খেয়ে, কেমন লাগলো জানাবেন বন্ধু।
Darun recipe
আপনার মন্তব্য খুব ভালো লাগলো। সকলের রান্নাঘরে এই রেসিপি রান্না হলে তবেই আমার প্রচেষ্টার সার্থকতা।
খুব সহজ ও সাধারণ উপকরণ দিয়ে বানানো রেসিপি | চমৎকার স্বাদ হবে সহজেই অনুমেয় ৷