
বনভোজন
বিদ্যুৎ পাল
বহুদিন হয়ে গেল ভাড়াবাড়ি বদল করি না। নিজের বাড়িতে আছি; ফ্ল্যাটবাড়ি। ফোনে,“কুম্হ্রার? মানে সেই পুরাতত্ত্ব বিভাগের পার্ক,অশোকের দরবার?” শুনে বলি,হ্যাঁ,দাদা,সাম্রাজ্য তাঁহার! পার্ক মানে অনেকেরি মধুস্মৃতি বনভোজনের! যদিও যাইনি সে পার্কে বনভোজনে কোনোদিন। বনভোজন সবার কপালে থাকে না। কবে আসে সে সময় যখন সবাই,মানে যে ক’জন হলে, আশৈশব,বলতে পারি সবাই,পৌঁছেছি কোথাও একসাথে? কখনো পৌঁছোবো? স্মৃতিতে থাকবে শুধু নদীচরে ধুলো ওড়া,কাঁপা কাঁপা কিছু প্রিয় মুখ,অসমাপ্তির একটি অপরাহ্ন,ক্ষীয়মাণ ডাক…! না থাকলেই যেন ভালো হত,বার বার ফিরে সেদিকে তাকিয়ে খোঁজা,রোদের ওপারে…তারপর?
***************************************

বিদ্যুৎ পাল পরিচিতি জন্মতারিখ ২৪শে জুলাই ১৯৫২। জন্মস্থান পাটনা (বিহার)। পড়াশুনো সবটাই পাটনায়। চাকরি ব্যাঙ্কে,বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। সারাদিনের ব্যস্ততায় শামিল নিজের লেখালিখি,পড়াশুনো,বিহার হেরল্ডের সম্পাদনা,দেশবিদেশের সঙ্গীত শোনা,বইপত্র সম্পাদনা। বিভিন্ন পত্রিকায় কবিতা,গল্প ও প্রবন্ধ (প্রবন্ধটা অবশ্য বাংলা,হিন্দী এবং ইংরেজি,তিন ভাষাতেই লিখতে হয়) প্রকাশিত। আপাততঃ ইংরেজি সাপ্তাহিক ‘বিহার হেরল্ড’এর সম্পাদক,ও বিহার বাঙালি সমিতির মুখপত্র ‘সঞ্চিতা’র যুগ্মসম্পাদক।