Shadow

Author: admin

দুঃখ রইল এই জীবনে-বন্দনা মিত্র

দুঃখ রইল এই জীবনে-বন্দনা মিত্র

কবিতা, শ্লোক থেকে ব্লগ
  দুঃখ রইল এই জীবনে  বন্দনা মিত্র বড় দু:খ রইল এই জীবনে   আমার পাগল হওয়া হইল না।    পাগল হইয়া দিক ভুলিয়া   আমার উজান বাওয়া হইল না। ছাড়লে নীচে পায়ের মাটি তুমুল ঝড়ে ভাঙলে ঘাঁটি চুলোয় যেত চাটি বাটি আমার বেভুল হওয়া হইল না। অনেক দেখল শুকনো এ চোখ অনেক জ্বালা অনেক অসুখ জ্বলে  পুড়ে খাক হইলাম , তবু  আমার শুদ্ধ হওয়া হইল না। পাইতাম যদি রসিক সুজন মাঝ দরিয়ায় ভাসাইতাম নাও ঘূর্ণি স্রোতে নাও টলমল আমার পুঁজি কিছুই রইল না।। জোয়ার গেছে এখন ভাঁটা জানলা কপাট শক্ত আঁটা মেয়ে হিসাব নিকাশ করে দেখে তার আর পাগল হওয়া হইল না। বড় দু:খ রইল মনে আমার পাগল হওয়া হইল না। বন্দনা মিত্র পেশায়   প্রযুক্তিবিদ, ধাতুবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা।  একটি পাবলিক সেক্টর সংস্থায় কর্মরতা ঘোরতর সংসারী।  শখের খাতিরে লিখতে শুরু করে এখন ওটা প্রাণের তাগিদ হয়ে গেছে। তাছাড়া বাদ বিচার...
ইলিশ চুমরা-শ্যামলী চ্যাটার্জী

ইলিশ চুমরা-শ্যামলী চ্যাটার্জী

ঠাম্মি-ইয়াম্মি
ইলিশ  চুমরা শ্যামলী চ্যাটার্জী উপকরণঃ- ইলিশ মাছ                ৫ পিস আদা বাটা                ২ চা চামচ কাঁচা লঙ্কা বাটা         ২ চা চামচ কিসমিস                  ১৫ টা হলুদ এবং নুন           প্রয়োজন মতো সরষের তেল            ৬ টেবিল চামচ টক দই(ফেটানো)             ১ কাপ সরষে বাটা               ২ চা চামচ খোয়া ক্ষীর               ২ টে চামচ (গুঁড়ো করা) কাজুবাদাম               ১৫ টা (টুকরো করা) প্রণালীঃ- ১. প্রয়োজন মতো টুকরো করা ধোয়া ইলিশ ৫টি। টুকরো গুলোকে নুন হলুদ মাখিয়ে রাখুন। ২. ফেটানো দই ছেঁকে রাখুন, কাজুবাদাম ভেঙে টুকরো করে রাখুন এবং খোয়া ক্ষীর গুড়ো করে রাখুন। ৩. কড়াইতে অথবা কুকিং প্যানে সরষের তেল ঢেলে আঁচে বসান।  ৪. গরম তেলে নুন হলুদ মাখানো ইলিশ এর টুকরোগুলো হালকা করে ভেজে তুলে রাখুন। ৫. বাড়তি ভাজা তেলে টক দই, আদা বাটা, সরষে বাটা, লঙ্কা বাটা এবং পরিমাণ ...
সারদামনি মাতার পূত জন্মস্থান জয়রামবাটি ভ্রমণের ইতিবৃত্ত-বিজিত কুমার রায়

সারদামনি মাতার পূত জন্মস্থান জয়রামবাটি ভ্রমণের ইতিবৃত্ত-বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
সারদামনি মাতার পূত জন্মস্থান জয়রামবাটি ভ্রমণের ইতিবৃত্ত বিজিত কুমার রায় “যে গ্রামে জন্মিলা মাতা দেবীঠাকুরানী। পুণ্যময়ী লীলা-তীর্থ ধামে তারে গণি।। শ্রীপ্রভুর পদরেণু বিকীর্ণ যেখানে। বিধাতার সুদুর্লভ তপস্যা সাধনে।।” (শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণপুঁথি, অক্ষয়কুমার সেন) “নবদ্বীপধামে দেবী বিষ্ণুপ্রিয়া জয়রামবাটী এলে সারদা সাজিয়া, জীর্ণ চীর বাসে নিজেরে ঢাকিয়া রাজলক্ষ্মী হ’লে যোগিনী।।” (মণীন্দ্রকুমার সরকার) পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর মহকুমার অন্তঃপাতী জয়রামবাটী গ্রাম শ্রীশ্রীমা সারদা দেবীর পুণ্য জন্মস্থান। মা বলতেন–‘ওদের এখানে তিনরাত্রি বাস কত্তে বলো। এখানে তিনরাত্রি বাস কল্লে দেহ শুদ্ধ হয়ে যাবে, এটা শিবের পুরী কিনা।’ সত্যিসত্যিই মায়ের মন্দির নির্মাণের সময় ভিত খুঁড়তে গিয়ে পাওয়া গিয়েছিল একটি ছোটো কালো শিবলিঙ্গ। মাতৃমন্দিরের সিংহাসনে আজও সেটি পূজিত হয়। জয়রামবাটী গ্রামের আদি...
ফানুস-দেবপ্রিয়া সরকার

ফানুস-দেবপ্রিয়া সরকার

গল্প, শ্লোক থেকে ব্লগ
  কারশেড থেকে ধীর গতিতে একনম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়াল শিয়ালদাগামী দার্জিলিং মেল। ট্রেনটার দিকে তাকিয়ে একটা লম্বা শ্বাস নিল শাওন। বলল, -চলি রে। কুহু আর পিহুর খেয়াল রাখিস। মা কে দেখিস। আমি জানি তোর ওপর অনেক দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে যাচ্ছি। পাড়ার দোকানের ডাব্বুকে বলে রেখেছি তোদের খবর নিতে। কিছু দরকার হলে ওকে বলবি। জানি কষ্ট হবে। তবুও, একটু মানিয়ে নিস গুড়িয়া। কাঁধের ব্যাগটা নামিয়ে আলগোছে অয়ন্তিকাকে জড়িয়ে ধরল শাওন। একটা  চুমু আঁকল কপালে।  তারপর লাগেজগুলো নিয়ে এগিয়ে গেল ট্রেনের দিকে। স্তব্ধ হয়ে অয়ন্তিকা দেখছিল শাওনের চলে যাওয়া। হুইসল বাজল। আস্তে আস্তে এগোচ্ছে ট্রেন। এতক্ষণ ট্রেনের সঙ্গে সঙ্গেই এগিয়ে যাচ্ছিল সে। কিন্তু  আর পারল না। ট্রেনটা চলে গেল দৃষ্টিপথের বাইরে। আর শাওন, তার নাগালের অনেক দূরে। ২ সিটিঅটো থেকে নেমে গলি দিয়ে হাঁটছিল অয়ন্তিকা। পা গুলো কেমন যেন অসাড় হয়ে আসছে। মনে ...
এক রাতের প্রেমিক ও জেলখানার গল্প –শাঁওলি দে

এক রাতের প্রেমিক ও জেলখানার গল্প –শাঁওলি দে

গল্প, শ্লোক থেকে ব্লগ
  এক রাতের প্রেমিক ও জেলখানার গল্প শাঁওলি দে প্রলাপ আকাশের দিকে চোখ মেলে শুয়ে আছি। আহ ! অপূর্ব ! যেন কোনো নিপূণ শিল্পী তার দক্ষ হাত দিয়ে কাঁথার ওপর  সেলাই করে রেখেছে। তারই মাঝে একটা গোল ফ্যাকাশে চাঁদ ,না না পোড়া রুটির মতো তো লাগছে না ওকে ! বরং কেমন যেন ওর দিকে তাকিয়ে মনে হল আমি একটা আয়নার দিকে তাকিয়ে আছি ! কিছুক্ষণ থম মেরে তাকিয়ে রইলাম। আমার অবয়ব স্পষ্ট দেখতে পেলাম যেন।  সবাই আমাকে পাগল বলে। আচ্ছা আমি কি সত্যিই পাগল ? কী জানি ? এর উত্তর জানা নেই আমার। আমি রাতকে ছুঁতে ভালোবাসি, আমি রাতের প্রেমিক। কেউ বোঝে না জানেন, সবাই আমায় পাগল বলে !  আজ ভরা পূর্ণিমা। এই সব রাতগুলো আমার খুব প্রিয়। এই রাতকেই আমি বেশি ভালোবাসি। আসলে আমার ভালোবাসা দুজনের জন্যই, কিন্তু কালো রাতের চাইতে এই আলো রাত আমায় অস্থির করে তোলে। আমি একটু একটু করে আলোর চাদর জড়িয়ে নিই শরীরে, তারপর গভীর, তীব্র অশ্লেষে ডুবে...
শুধু সিনেমায় নয়………-মিঠু  সুর

শুধু সিনেমায় নয়………-মিঠু  সুর

ঘটমান বর্তমান
শুধু সিনেমায় নয়.... মিঠু  সুর Nepotism শব্দটির আঁতুরঘর খুঁজতে গিয়ে দেখি শব্দটির Root Latin শব্দ Nepos, যার অর্থ 'nephew' ( বাংলায় ভাইয়ের ছেলে বা ভাইপো )  বাংলা শব্দটির অর্থ হলো স্বজন পোষণ বা স্বজন পোষক। এ শব্দটি বর্তমানে উবে গিয়ে গালভরা ইংরেজি শব্দ Nepotism চলছে। হৈ-হৈ করে চলছে। তাই আমিও নিলাম। সিনেমা ও Nepotism :--  সিনেমা-- বলিউড এবং টলিউডে এর বৃহত্তর জগৎ বিশেষত বলিউড সম্পর্কে আমার যা জানা তা অত্যন্ত কম। সেখানে Nepo র বার--বাড়ন্ত ছিলো এই নিয়ে সংবাদ পত্রে নানা সময়ে নানা মতামত প্রকাশিত হয়েছে। আর সুশান্ত সিং রাতপুত এর আত্মহত্যার পর থেকে বলিউডে আগুন লেগেছে টলিউডও জ্বলছে। টলিউডে তো কেউ কেউ ধোয়া তুলসী পাতা হয়ে এর-ওর কেচ্ছা নিয়ে বসে পড়লেন। এমন একটা ভাবসাব যেন কোনো কালে এটা ছিলো না শুধুমাত্র তাদের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। আসলে Nepotism বহমান একটা স্রোত। পরিবার ও Nepotism :--- আমার তো মনে হ...
ভয়ঙ্করের আকর্ষণ-বিজিত কুমার রায়

ভয়ঙ্করের আকর্ষণ-বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
ভয়ঙ্করের আকর্ষণ বিজিত কুমার রায়  খারদুংলা হয়ে নুব্র ভ্যালী সাল ২০১৬ মে জুন মাসে। লে থেকে ৫০ কিলোমিটার দুর্গম পথ পেরিয়ে খারদুংলা টপ। বিশ্বের উচ্চতম যানোপযোগী পথ (টুরিস্টদের জন্য) বলে খ্যাত সেই স্থানের হাড়-কাঁপানো ঠাণ্ডাও মনে থাকে বহুদিন। খারদুংলা পেরিয়ে একে একে খালসার, হুন্ডার, পানামিক। এই রাস্তার মতো বিপজ্জনক রাস্তা সারা ভারতে কোথাও ট্যুরিস্টদের জন্য আছে কিনা আমার সন্দেহ আছে। খালসারের কাছেই নুব্রা নদী স্বচ্ছতোয়া শিয়ক নদীর সাথে মিশেছে। শিয়ক নদীর ওপর সেতু পেরুলেই শীতল মরুভূমি। সেখানকার দু’কুঁজো উট, সবুজ মরূদ্যান, উষ্ণপ্রস্রবণ সব মিলিয়ে এ এক অচিন দেশের ভ্রমণকথা। আমাদের লাদাখ ভ্রমণের একটা বিশেষ আকর্ষণ ছিল এই খারদুংলা গিরিবর্ত্ম ভ্রমন। অনেক সকালে বাসে রওনা দিলাম আমরা ২০ জন চারটি বাসে। নুব্রা ভ্যালির উদ্দেশ্যে পথে পড়বে এই হাড় কাঁপানো পাস বা “লে”। বলে রাখি যে আমাদের দলের ২০ জনের মধ্যে ১৬ জন ষ...
মানুষ যখন পরিযায়ী-বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত

মানুষ যখন পরিযায়ী-বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত

কবিতা, শ্লোক থেকে ব্লগ
মানুষ যখন পরিযায়ী বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত   আমরা পরিযায়ী বাবু। দিনে দিনে ,মানুষ থেকে , পশুপাখির  দলে ভিড়িয়ে দিল আমাদের। দুমুঠো অন্নের সন্ধানে একদিন ছেড়েছিলাম ঘর। আমাদেরও আছে পরিবার । তোমাদের মত আমার মাও , রোজ রাতে তার খোকার কথা ভেবে , লুকিয়ে চোখের জল ফেলে। রাজনীতির পরিযায়ীরা , আসে পাঁচবছর ছাড়া-ছাড়া। প্রতিশ্রুতি  আর প্রতিশ্রুতি । হেন করেঙ্গা তেন করেঙ্গা। বছরের পর বছর পেরিয়ে যায়। নিজেদের আখের গুছাতে , কার্পণ্য  করে না কখনও। না শিল্পের ভাবনা না কর্মসংস্থান। হীরক রাজার  দেশে সকলেই পরিযায়ী । লম্বা লম্বা ভাষণে পেট ভরে না। চাই আধপেটা ভাত।  বেঁচে থাকার তাগিদে , কাজের সন্ধানে কোথাও গেলেই , আমরা পরিযায়ী । দেশের দুঃসময়ে ,এ তকমা এঁটে বসে , আমাদের গায়ে। তোমরা যখন গৃহবন্দি হয়ে , বাঁচার লড়াই  কর , আমরা তখন খোলা আকাশের তলে বাসা বাঁধি। আমরা তো মানুষ নই , আমরা যে পরিযায়ী । ...
ঠাম্মি – ইয়াম্মি

ঠাম্মি – ইয়াম্মি

ঠাম্মি-ইয়াম্মি
ঠাম্মি - ইয়াম্মি শ্যামলী চ্যাটার্জী    গল্পটা আমার বাবার দিদিমার কাছ থেকে শোনা । দিদিমা প্রায়ই নাত বউদের গাল  দিতেন “ছি ছি মা ঠাকুমারা রান্নাটা এক্কেবারেই শেখায়নি লা, পোড়ারমুখী ভালো রেঁধে না খাওয়ালে কত্তা কি তোকে সোহাগ করবে, দূর হ দূর হ!  - তখন জমিদারি প্রায় শেষের দিকে, তবুও বাবার দাদুর ঠাট বাট কিছু কম ছিল না । জমিজিরেত দেখাশোনা করে, দুপুরবেলা সঙ্গে জাল নিয়ে রূপনারায়ন নদীতে স্নান করতে যেতেন, সঙ্গে থাকত চাকর-বাকরদের কেউ, মাছ ধরার জাল সে-ই নিয়ে যেত কাঁধে করে  দাঠাকুর নিজের হাতে নদীতে জাল ফেলতেন । মাছ সমেত সেই জাল টেনে তুলতো চাকর, দাঠাকুর সেই ফাঁকে দেখে নিতেন কি কি মাছ উঠলো জালে , তারপর স্নান সেরে ফিরে  আসতেন বাসায়। দুয়ারে কেউ না কেউ দাঁড়িয়ে থাকতো হাত পা ধোবার জল নিয়ে। ঠাকুর মশাই কাপড় বদলে পুজোর ঘরে যেতেন। প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে পুজো চলতো। এতক্ষন বাড়ির উঠোনে মাটি ...
দ্বিতীয়া‌

দ্বিতীয়া‌

শ্লোক থেকে ব্লগ
-  আপনার স্ত্রীর অসংলগ্ন আচরণ আপনি প্রথমবার লক্ষ করেছিলেন গত বছর পয়লা জানুয়ারি। কী তাই তো ? সেদিন একজ্যাক্টলি কী হয়েছিল আর একবার শুরু থেকে বলুন প্লিজ। -ডুয়ার্সে গতবার পয়লা জানুয়ারির ভোর থেকে শুরু হয়েছিল ধুন্ধুমার বৃষ্টি। আমি গভীর ঘুমে ডুবে ছিলাম। আমাকে ধাক্কা দিয়ে ডেকে তুলেছিল বিপাশা। আমি ধড়মড় করে উঠে ভেবেছিলাম ভূমিকম্প হচ্ছে। দু’-এক মুহূর্ত পর বুঝতে পারলাম বাড়ি দুলছে না কাঁচের জানলার বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। একটু ধাতস্থ হয়ে দেখি বিপাশা অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কী হয়েছে ? বিপাশা নার্ভাস গলায় বলল ও আর বেঁচে নেই।  - বেঁচে নেই মানে ? -প্রথমে ভেবেছিলাম ঠাট্টা করছে। কিন্তু পরমুহূর্তে বুঝলাম যে তা নয়। বিপাশার চোখেমুখে একটা বিহ্বল ভাব। ভাবলাম বাজে স্বপ্ন দেখেছে। ওর কাঁধ ধরে ঝাঁকি দিয়ে বললাম, রিল্যাক্স। একটু জল খেয়ে এসো। উত্তরে বিপাশা অস্ফুটে বল...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!