Shadow

Author: Kulayefera

গন্ধমালতী – ডাক্তার (ক্যাপ্টেন) দিলীপ কুমার সিং

গন্ধমালতী – ডাক্তার (ক্যাপ্টেন) দিলীপ কুমার সিং

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
গন্ধমালতী ডাক্তার (ক্যাপ্টেন) দিলীপ কুমার সিংহ রাধিকা দেবী পাশ ফিরে শুলেন। কিছুক্ষণ আগে নার্স এসে চান করিয়ে,কাপড় পরিয়ে চুল আঁচড়ে দিয়ে গেছে। যাবার আগে রাধিকা দেবীর পছন্দ মত স্প্রে ছড়িয়ে দিয়েছে। রাধিকা দেবী একটু বেশি সেনসিটিভ গন্ধ নিয়ে | সব গন্ধ সহ্য করতে পারেন না। হয় তিনি নিজের পছন্দ মত পারফিউম ব্যবহার করবেন নাহলে গন্ধহীন থাকবেন। ‘গন্ধহীন’ শব্দটা মনে আসতেই ঠোঁটের কোণে একটু হাসির ছোঁয়া দেখা গেল। পুজোর সময়ে মা নতুন  কাপড়ে অগুরু লাগিয়ে দিতেন। পুজোর কদিন সেই মিষ্টি গন্ধ লেগে থাকত | এছাড়া বিয়ের আগে গন্ধের বিষয়ে কোন জ্ঞান ছিলনা । তবে বিয়ের দিন কনে সাজবার পরে চন্দনের সুগন্ধে সারা মন ভরে গিয়েছিল। সেই প্রথম তাঁর মন একটা গন্ধকে আলাদা করে চিনে ছিল । ফুলশয্যার দিন তাঁর স্বামী অলক বাবু কিছুক্ষণ নিজের কথা বলার পর হঠাৎ তাঁকে জিজ্ঞেস করেন,'একি তুমি গন্ধহীন কেন?' তারপর নিজেই বুঝিয়ে দিলেন যে তাঁর মতে প্রত...
ফাগের অলি – পাপাই অধিকারী (পদ্মনাভ)

ফাগের অলি – পাপাই অধিকারী (পদ্মনাভ)

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
ফাগের অলি  পাপাই অধিকারী (পদ্মনাভ) রঙ পলাশী আদর কাড়া - দৃষ্টি সুখের মনপাখিরা ; দে ছড়িয়ে মনের আবির - ঋতুর ঘরে সৃষ্টিধারা ! ফাগুন আসুক অন্তরালে - মন বিবাগীর কথার বনে ; নীরব ডালে সজীবতা - সুবাস ছুঁয়ে অন্যমনে । বাহার শোভা আলোর ঝিলিক  - স্নিগ্ধ ধারায় আপন দোলা ; আয় দোদুলের শান্তিবারি - আজ রেখেছি দরজা খোলা ! পাহাড় সাজে আপন ঢঙে - রূপ রসে তার প্রফুল্লতা ; ওই মাঠেতে খুশির হাওয়া - মন চাদরে নবীন কথা ।। ********************************* পাপাই অধিকারী (পদ্মনাভ) পরিচিতিঃ প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক:- উত্তরণ ও সংস্কৃতি (সাংস্কৃতিক সমন্বয় কেন্দ্র) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রশিক্ষক:- শিক্ষা সংস্কৃতি পরিষদ আহ্বায়ক:- কবিতা উৎসব যুগ্ম সম্পাদিত বই :- "মানসপটে মীনা রায়" পেশা- পাঠদান, লিপি লেখক (Script writer), সঞ্চালক, কারু ও চিত্র ও শ্রুতিনাটক শিল্পী,  পাঠক। আগ্রহ - কবিতা ,গল্প ,গান...
ঘুমন্ত পৃথিবী ঘর গাছ – দীপন মিত্র

ঘুমন্ত পৃথিবী ঘর গাছ – দীপন মিত্র

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
ঘুমন্ত পৃথিবী ঘর গাছ দীপন মিত্র রাতের আকাশ থেকে আমি আর ফিরব না আমি আর ফিরব না শৈশবের ঘর থেকে অলিগলি রাস্তা ঘাট সে শহর, ছাড়ে না আমায় প্রতিটা পথের গন্ধ আমার নিঃশ্বাসে বাস করে আমি আর ফিরবনা সে শহর থেকে কী ধূসর, শহরের পুবদিকে শেষ প্রান্ত ক্ষয়ে গেছে রেল গুমটি, প্ল্যাটফর্ম! যে পথ যতটা গেছে আরো যাবে, যাক অতীতের থেকে ফেরা যায় না কখনো ফাল্গুনের দ্বিপ্রহরে হঠাৎ ঝড়ের বেগে পাতারা আকাশ ছেয়ে ফেলে শিরীষ বৃক্ষের নীচে দাঁড়িও তখন…. ফিরব না বছর দশক যুগ ধরে আমি এক পাথরের মতো একটি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি আমি আর ফিরব না, ফিরব না আর *****************************************      ...
মৃত্যুঞ্জয় – ধ্রুবজ্যোতি চক্রবর্তী

মৃত্যুঞ্জয় – ধ্রুবজ্যোতি চক্রবর্তী

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
মৃত্যুঞ্জয় ধ্রুবজ্যোতি চক্রবর্তী    জীবন তুমি মৃত্যুকে ছুঁয়ে থাকো ভয়কে জয় করবে তুমি তখনই, জীবন তুমি ভয়কে দূরে রাখো জয়টা তোমার হবেই হবে জানি। জীবন তুমি মানুষকে ভালোবাসো ভালোবাসার মানুষ বড় কাঁদে, চলার পথে থমকে যেয়ো নাকো ভালোবাসা তোমায় বড়ো বাঁধে। বাঁধন পড়া তোমার কর্ম নয় বাঁধন টুটে দিতেই হবে পাড়ি , সঙ্গে থাকুক জীবনমুখী চলা চলার পথে তুমিই তো কান্ডারী। শূন্য হাতের শত বঞ্চনা আসুক শূন্য মানেই শূন্যতা নয়, হতাশার গ্লানি ঝেড়ে পড়ো নির্মোক বিবেকাদর্শে তুমিই মৃত্যুঞ্জয়। জীবন তুমি মৃত্যুকে ছুঁয়ে থাকো মৃত্যু তোমার স্পর্শে জীবন পাক, সত্য নিষ্ঠা সততার জয় হোক দেহটুকু শুধু অগ্নিতে পুড়ে যাক ৷ ********************************* ধ্রুবজ্যোতি  চক্রবর্তী কবি গল্প লেখক ও আবৃত্তিকার। এছাড়াও নাট্যশিল্পী ও নাট্যপরিচালক  ...
শ্রুতি – ডাঃ সুচন্দ্রা মিত্র চৌধুরী

শ্রুতি – ডাঃ সুচন্দ্রা মিত্র চৌধুরী

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
শ্রুতি ডাঃ সুচন্দ্রা মিত্র চৌধুরী সুশোভন বসু ভয়ানক পাংচুয়াল । আর হবেনই বা না কেন? ছোটবেলায় পড়াশোনা করেছেন দুন স্কুলে। যখন বয়স মাত্র ছয়, তখন এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মা মারা যান। মাকে ঠিক করে মনেই করতে পারে না। কলকাতার একটা ইংরেজী মিডিয়াম স্কুলে ক্লাস ফোর পর্যন্ত পড়াশোনার পর,দুন স্কুলে ক্লাস ফাইভে ভর্তি হয়। সেখানে থেকেই  টুয়েলভ পাশ করে সেন্ট জেভিয়ার্স থেকে ইংলিশ অনার্স পাশ করে চলে যান বিদেশে, সেখানে এম বি এ পাশ করে দেশে ফিরে একটি এম এন সি তে যোগ দেন । এখন সেই অর্গানাইজেশনেরই সি ই ও। জেভিয়ার্সে পড়ার সময়, শ্রীতমার সাথে আলাপ এবং সম্পর্ক। শ্রীতমার,সুশোভন এর বাড়িতেও যাতায়াত ছিল।বাবা শ্রী পঙ্কজ বসু, সব সময় ছেলেকে সাপোর্ট দিয়ে গেছেন। উনি বুঝতে পারতেন, ওর একটা দিক সবসময়ই কম, মা নেই। কিন্তু সুশোভন কিছুই কাউকে বুঝতে দেয় না। ওর খুব আবছা মনে পরে, বাবা ছোটবেলায় বকলে ও যখন কাঁদতে কাঁদতে মায়ে...
নারীদিবস – সুজয় কুমার দাশ

নারীদিবস – সুজয় কুমার দাশ

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
নারীদিবস সুজয় কুমার দাশ সকালে উঠে দেখি মার্চ ৮ । সব মন মিলে ব্যস্তবাগীশ প্ল্যান-প্রোগ্রামে । এক মন ভাবে খসড়াটা লিখে ফেলি --- জনপ্রিয় সান্ধ্য চ্যানেল শো । অন্যজনা কথা সাজায় সোশ্যাল মিডিয়ায় । বাঁয়া তবলায় বোল ওঠে, রিনঝিন গীটারে । আদেখলাপনা সর্বত্র --- এঁদো গলি থেকে পদাধিকারীর জিভে । আমিও কিছু কম যাই না --- সারিবদ্ধ মিথ্যা শব্দ বুনছি দিনপঞ্জি দেখে, শুধু অন্তর্যামীর চোখে দূরবীক্ষণ --- কলিনারীর স্থান যে কোনখানে ? **********************  ...
ধ্রুপদী ভাষা বাংলা এবং মাতৃভাষা দিবস সংক্রান্ত আরো কিছু কথা – জয়িতা সরকার

ধ্রুপদী ভাষা বাংলা এবং মাতৃভাষা দিবস সংক্রান্ত আরো কিছু কথা – জয়িতা সরকার

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
ধ্রুপদী ভাষা বাংলা এবং মাতৃভাষা দিবস সংক্রান্ত 'আরো' কিছু কথা জয়িতা সরকার একুশে ফেব্রুয়ারি 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস'। এটি বাংলা ভাষা দিবস না হলেও বাঙালির দাঁতে দাঁত চেপে বহু যন্ত্রণা সহ্য করে লড়াই করা ও একটি রাষ্ট্র ছিনিয়ে নেওয়ার ক্ষমতার বিষয়টিকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এই ঘোষণা হয়েছিল। এই দিনটিতে দিকে দিকে সেই ব্যাপার চর্চিত হয়। ভাষার আবেগ রাষ্ট্রের জন্ম দেয় দেখা গেল। "দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা,কারো দানে পাওয়া নয়"(আব্দুল লতিফ)। খুশির কথা এবং ন্যায্য,ধ্রুপদী ভাষা হিসাবে বাংলা ভাষা স্বীকৃতি পেয়েছে, অনেকটা দেরিতে হলেও। এর প্রাচীনত্ব,এর সমৃদ্ধি,এর অসামান্য বিস্তার,এর চর্চা,প্রাচীন কাল থেকে একটানা এর পথচলা সবই তো গৌরবময় এক অবস্থান সৃষ্টি করেছে। ক্লাসিক্যাল ভাষার সন্তান বিভিন্ন রাজ্যে এবং সারা বিশ্বে গর্বিত হবে।        কিন্তু বাড়িতে বসেই হোক,আর রাস্তায় বের হয়েই হোক,বিশ্বায়নে...
টাকুয়া মেনন – সুজয় দত্ত

টাকুয়া মেনন – সুজয় দত্ত

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
টাকুয়ামেনন  সুজয় দত্ত  ছোট্ট একটা নাম-না-জানা হলুদ রঙের পাখী সামনের জুনিপার গাছটার ডালে বসে শিস দিচ্ছে মাঝে মাঝে। ব্যস,এছাড়া আর একটাই শব্দ। জলের। অনেক দূর থেকে শোনা যায়। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে প্রচন্ড বেগে গড়িয়ে আসা এই বাঁধন-না-মানা,দুরন্ত,সফেন জলরাশি অনেকটা নীচে পাথরের ওপর আছড়ে পড়ছে যেখানে,সেখানটা ধোঁয়াধোঁয়া অস্পষ্ট। জলের ছোট ছোট ঘূর্ণি ইতস্ততঃ জেগে থাকা ডুবো-পাথরের মাথাগুলোকে  ঘিরে। আর তারপর আঁকাবাঁকা নদী কুলকুল করে বয়ে চলে গেছে ঘন গাছগাছালিতে ঘেরা রহস্যময় বনপথে। সন্ধ্যা নেমে এল প্রায়। ধারেকাছে কোথাও কেউ নেই। একা আমি রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে ডুবে রয়েছি সেই জলতরঙ্গের মূর্ছনায়। এপ্রিলে এখানে বসন্ত ঠিক নয়, বসন্তের প্রস্তুতিপর্বের শুরু। দমকা,জোলো হাওয়ায় এখনো সদ্য-বিদায়-নেওয়া শীতের বরফগলা স্পর্শ। সেই হিমশীতলতা আমার মুখে,মাথায়,শরীরের অন্যত্র ছুঁয়ে যাচ্ছে,কিন্তু আমি অনুভব করছি না। ভেতর থেকে এক গভীর ভাললাগ...
সাইবেরিয়ার ভালুক – মোতাজিদ খুররম

সাইবেরিয়ার ভালুক – মোতাজিদ খুররম

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
                                                                                                                         সাইবেরিয়ার ভালুক                                                                          মোতাজিদ খুররম *******************************  
বাংলা তথা ভারতপ্রেমী ফরাসি দোভাষী অগুস্ট্যা ওসাঁ – অনির্বাণ সাহা

বাংলা তথা ভারতপ্রেমী ফরাসি দোভাষী অগুস্ট্যা ওসাঁ – অনির্বাণ সাহা

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
বাংলা তথা ভারতপ্রেমী ফরাসি দোভাষী অগুস্ট্যা ওসাঁ অনির্বাণ সাহা তৎকালীন ফরাসি চন্দননগরে অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয় দশক থেকেই শুরু হয় নগর সৌন্দর্যায়ন। ফরাসি তত্ত্বাবধানে এখানে বাণিজ্যের মূল কেন্দ্র গড়ে ওঠে। শহর ধীরে ধীরে সেজে উঠতে শুরু করে। জনসংখ্যা বাড়ে, পাকা বাড়ি তৈরি হয়,রাস্তা তৈরি হয়,ফরাসি স্থাপত্য-ভাস্কর্যে সেজে উঠতে থাকে চন্দননগর শহরের বিভিন্ন প্রান্ত। সাহিত্য-সংস্কৃতির দিক থেকেও দ্রুত গতিতে এগিয়ে যেতে থাকে চন্দননগরের স্থান। আর সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ভাস্কর্যের কথা বলতে গেলে এই শহরের তৎকালীন ফরাসি দোভাষী অগুস্ট্যা ওসাঁর নাম অবশ্যই উল্লেখ করতে হয়। অধ্যাপক বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে অগুস্ট্যা ওসাঁ আনুমানিক ১৭৭৮ সাল পর্যন্ত ছিলেন তৎকালীন চন্দননগরের ফরাসি সরকারের দোভাষী । তিনি ফরাসি,উর্দু,ফার্সি এবং বাংলা ভাষায় পারদর্শী ছিলেন বলে জানা যায়। বাংলা তথা ভারতীয় সংস্কৃতিতে অগুস্ট্যা ও...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!