Shadow

Author: Kulayefera

অন্য মানে – কঙ্কণা সেন

অন্য মানে – কঙ্কণা সেন

তৃতীয় বর্ষপূর্তি
   অন্য মানে     কঙ্কণা সেন চারদিকে এক সশব্দ নীরবতা কেউ কারো নয়। অচল দৃষ্টিপাতে নিশ্চল সরবতায় সব কিছু ঢেকে রাখা। তুমি সঙ্কটে?,,,,,,,,,,আমার তাতে কী? তুমি অনশনে?,,,,,,,আমার পাতে ঘি। তোমার ঘরে ডাক্তার?,,,,আমার দামী টাইলস তোমার ছেলে মিডিওকার?,,,,,ছিঃ ছিঃ,ইস্। আমার ছেলে পড়তে গেছে আরব সাগর তীরে মেয়ের ইচ্ছে মডেলিংটা যে কোনো মূল্যে করে। আমি চেয়েছি আমার ছেলে শুধু মানুষ হোক কাঁচা টাকার বিনিময়ে নিজেকে না বিকোক। ঘুষ নিয়ে আর ঘুষ দিয়ে হবে না তার খেলা। জগৎ জুড়ে বসেছে আজ অমানবিকতার মেলা। স্রোতের টানে সবাই তো একটি দিকেই ভাসতে পারে যাক্ না কেউ উজান পানে হোক্ না তার অন্য মানে।। -------------------------------------- ২| নারী,তোমার স্তুতি শুধু মুখেতেই হয় কাজের বেলায় নয়। কাজের বেলায় কাজী তুমি কাজ ফুরোলেই পাজী! একথায় সবাই কী রাজী? নারী,তুমি খাক হয়েছো লেলিহান চিতায় আজো ত...
জীবনের গান – সুবীর গুহ

জীবনের গান – সুবীর গুহ

তৃতীয় বর্ষপূর্তি
জীবনের গান    সুবীর গুহ তোমার মানবিকতা সাঁকো হয়ে জুড়ে আছে আমাদের পথ-- ছায়ার সত্ত্বা যেন লীন হয়ে মিশে আছে আমাদের মনে, দীর্ঘ পথ জুড়ে শুধু সারিবদ্ধ রক্তগোলাপ-- ঠিকানা খুঁজেছে পায়ে পায়ে ; যেদিকে তাকাই শুধু অসংখ্য তারার মিছিল, ভিড় করে আছে। শুভ্র ফুলের গন্ধ মলিনতা নিয়ে খোঁজে-- আমাদের জীবনের গান-- নিভৃত অন্তর জুড়ে নিরন্তর আসা-যাওয়া, বয়ে আনে অসংখ্য প্রাণের স্পন্দন। --------------------------------------- দু-টুকরো মনের প্রলাপ            সুবীর গুহ সরলতা আমাকে দ্বিধা-বিভক্ত করে-- টুকরো টুকরো মন নিয়ে ক্রমাগত ভাবতে শেখায়। কাগজের নৌকা হয়ে একটুকরো মন-- অবিশ্রান্ত ভেসে যায় উত্তাল সমুদ্রের বুকে, দিশাহারা উন্মত্ত মাতালের প্রলাপের মত। আমার দ্বিতীয় সত্ত্বা ক্রমে ক্রমে চেতনা হারায়। লুব্ধ-লালসার জতুগৃহে দগ্ধ হয় মন। অরণ্যের সুদূর--গহনে নিয়ে গেলে, সর্পিল গতিতে আমি স্তব্ধ হই ...
পপা মাসীর প্রথম গোয়েন্দাগিরি – প্র ত্যু ষ   সে ন গু প্ত

পপা মাসীর প্রথম গোয়েন্দাগিরি – প্র ত্যু ষ   সে ন গু প্ত

তৃতীয় বর্ষপূর্তি
পপা মাসীর প্রথম গোয়েন্দাগিরি    প্র ত্যু ষ   সে ন গু প্ত ।।এক।। (এলেম নতুন দেশে)     বাবার বদলির চাকরি। তিন মাস আগে বদলি হয়ে এসেছেন আনন্দপুরে। এটা একটা মফঃস্বল সদর শহর। বাংলা আর ঝাড়খন্ডের সীমানায়। আমি ক্লাস এইট।কলকাতায় হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করি,ইংরেজি মাধ্যমে। ছুটিতে নতুন বাড়ি এসেছি গত রাতে। সকালে ঘুম ভাঙার পর মনটা ভালো হয়ে গেলো পাখির ডাকে। বাংলো বাড়িটা বেশ বড়।আগে আমরা ছিলাম বক্সী গঞ্জে,এক সদর শহরে। তবে সেই পদ্মাপাড়ের বক্সীগঞ্জ নয়। শুক্রবার সেখানে হাটও বসতোনা। নামে গঞ্জ হলেও সেখানে শহরের আধুনিক সুযোগ সুবিধা কিছু কম ছিলোনা। দোতলার খোলামেলা ছাদে উঠে দেখলাম দূরে,রাস্তা পেরিয়ে গাছগাছালির ফাঁক দিয়ে নদী দেখা যাচ্ছে। চার দিকেই গাছপালা। আমার বাঁ দিক থেকে সূর্য উঠছে। তাহলে আমার পিছন দিকটা উত্তর। ছাদের দেয়াল বরাবর ফুল গাছ। সাদা ফুল বেশী।বেলি,যুঁই, রজনীগন্ধা, গোলাপ আরও অনেক নাম না জানা ফুলগাছ।...
বৃষ্টি – নূপুর মন্ডল

বৃষ্টি – নূপুর মন্ডল

তৃতীয় বর্ষপূর্তি
   বৃষ্টি নূপুর মন্ডল আষাঢ়ের মেঘ ঘনিয়ে এলো বৃষ্টিতে ছোটাছুটি । অনেক মানুষ ভিজছে আজ ভিজছে আবুইঝুটি । রোদ বৃষ্টির হাসি কান্নায়, আকাশ হয়েছে লাল। হাসি কান্নার দোলায় দুলে মানুষের একি হাল ! কেউ দিয়েছে গায়ে রেনকোট কেউবা মাথায় ছাতা । নইলে বৃষ্টিতে ভিজে হবে নাজেহাল হবেনা তো কোনো কথা । আষাঢ়ের মেঘ দেখলেই যেন মন গুনগুন করে । আষাঢ়ের মেঘ দেয় মানুষের মন উল্লাসে ভরে । ****************************  ...
অসময়ে – চিন্ময় চক্রবর্তী

অসময়ে – চিন্ময় চক্রবর্তী

তৃতীয় বর্ষপূর্তি
      অসময়ে       চিন্ময় চক্রবর্তী  তুমি অসময়ে এসো। সময়ের যূপকাষ্ঠে নিহত হোয়ো না। যখন সময় শেষ, পৃথিবী ঘুমিয়ে গেছে, সুমেরু পর্বত একা জেগে আছে শুধু, তুমি সে সময়ে এসো। বন্ধ হয়ে গেছে যদি দরজার তালা, শেষ বাঁশি বেজে গেছে, শেষ সব খেলা, পূজারী সেরেছে পুজো, বেজে গেছে শঙ্খধ্বনি তার, তারপর তুমি এসো। আমার কাছেতে। বারবার। তুমি অসময়ে এসো। ঘুমাবো না আমি। অদৃশ্য হবো না কোনো গভীর জঙ্গলে। হারিয়ে যাব না কোনো ভীড়ে। তুমি অসময়ে এসো। খুব ধীরে ধীরে। আমার তো তাড়া নেই। আজকাল অখন্ড অবকাশ। দু'কানের পাশ দিয়ে শীতল বাতাস বয়। এখন শুনতে পাই।পাখি ডাকে, দূরে কোনো মেয়ে, কোথাও তাকিয়ে আছে অপলকে চেয়ে, পরিষ্কার দেখি আমি। কোনো বাধা নেই। ঝিম ঝিম ভাব নেই,  দ্বেষ নেই। অকারণে রাগ নেই। ঘৃণা নেই কোনো। সান্ধ্য ঘন্টা বাজছে গো! কান পেতে শোনো। কিছু শত্রু আজও আছে গুপ্তঘাতকের মত। তবু তারা আজ সব মাথা নীচু করে ব...
অন্বয় – সুজয় কুমার দাশ

অন্বয় – সুজয় কুমার দাশ

তৃতীয় বর্ষপূর্তি
অন্বয়  সুজয় কুমার দাশ সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় --- খানিকটা ঋণাত্মক মুহূর্ত । তাই বলে তুমি চুপচাপ হাত-পা গুটিয়ে বসে নেই । তুমি স্বপ্ন দেখতে জানো ধ্বনাত্মকভাবে । আর তা জানো বলেই ভোর হয়ে ওঠে নিয়মমাফিক । তাই এমনি করেই চেয়ে দেখো, আর সব অন্ধকারে । কালো খাঁচার রন্ধ্র বেয়ে আলো আসতেও পারে ।। ************************* সুজয় কুমার দাশ  ...
গুসকরার ঐতিহ্যমন্ডিত চোংদার পরিবারের মা কালী এবং দুর্গাপূজার মহিমা – জয়িতা সরকার

গুসকরার ঐতিহ্যমন্ডিত চোংদার পরিবারের মা কালী এবং দুর্গাপূজার মহিমা – জয়িতা সরকার

তৃতীয় বর্ষপূর্তি
গুসকরার ঐতিহ্যমন্ডিত চোংদার পরিবারের মা কালী এবং দুর্গাপূজার মহিমা   জয়িতা সরকার কালীপুজোর দিন আমার চোংদার পরিবারের কালীর কথা মনে পড়ে। ফোনের গ্যালারি থেকে ছবি বের করে দেখি সাধারণ ক্যামেরায় তোলা মায়ের সান্ধ্য আলো-আঁধারি রূপ। কৃষ্ণবর্ণ মাতৃমূর্তি। তা হয়ে গেল বেশ কয়েক বছর। তখন ওখানে গিয়ে কিছু বিষয় জানতে পারি।সেসব আমার গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় বলে মনে হয়েছে বেশ। দু-চারজন মানুষের সঙ্গে দেখা বা কথা হবার পরেও কিছু বিষয় জানতে জানতে যে লেখার সৃষ্টি,সেটিই এখানে উপস্থাপিত করছি।              বর্ধমান জেলার পূর্বে গুসকরা শহরের একদিকে দামোদর নদ, অন্যদিকে অজয়ের শাখা। প্রাণবন্ত এই ক্ষুদ্র শহর নিজস্ব সংস্কৃতি নিয়ে টিকে আছে। এখানে রয়েছে মানুষের প্রিয় রটন্তী কালী মন্দির, নিজস্ব নানা মেলা, লোকাচার,চর্চা, পাশের গ্রামে রয়েছে ডোকরা শিল্পের চর্চা, নিকটে রয়েছে সুবিখ্যাত বোলপুর শান্তিনিকেতন ...
মধুরেণ – চন্দ্রকান্তি দত্ত

মধুরেণ – চন্দ্রকান্তি দত্ত

তৃতীয় বর্ষপূর্তি
মধুরেণ   চন্দ্রকান্তি দত্ত অনেকক্ষণ ধরে মেঘ জমছে। বৃষ্টিটা বেশ জাঁকিয়ে নামবে। আজকাল এই একটা সমস্যা হয়েছে। সারাদিন প্রবল গরম। তার সাথে আর্দ্রতা মিলে সে এক প্রাণান্তকর অবস্থা। তারপর বিকেল থেকে মেঘ জমে ঠিক বাড়ি ফেরার সময়টাতে আকাশভাঙা বৃষ্টি। সাথে হালকা বা ভারী ঝড়। বাস থেকে নেমে প্রায় প্রতিযোগীর মত হেঁটে বৃষ্টি নামার ঠিক আগের মুহূর্তে অমিত বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছে গেল। তবু একটু দৌড়তে হল। কারণ বৃষ্টি এখনও না নামলেও ধূলোর ঝড় শুরু হয়েছে। গেট ঠেলে খোলা বারান্দায় উঠেই দেখল,পিছনে একজন অল্পবয়সী ভদ্রমহিলা। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে পড়ে অনন্যোপায় হয়ে এখানে উঠে এসেছেন। ভদ্রমহিলা অমিতকে চেনেন কিনা সেটা না জানলেও, অমিত কিন্তু ভদ্রমহিলাকে চেনে। অশোক কাননের বাসিন্দা প্রফেসর বেণীমাধব গাঙ্গুলীর মেয়ে মণিমালা। মণিমালাও নাকি সম্প্রতি কোন কলেজে শিক্ষকতায় ঢুকেছে। অমিত হাসিমুখে মণিমালাকে বলল,"এখানে দাঁড়ালে ঝড়-ব...
দারে আপা – পল্লব চট্টোপাধ্যায়

দারে আপা – পল্লব চট্টোপাধ্যায়

তৃতীয় বর্ষপূর্তি
দারে আপা পল্লব চট্টোপাধ্যায় (১) দুম করে চাকরিটা দিলাম ছেড়ে। আর ভাল লাগছিল না। তাস-পাশার নেশা ছিল না,তেমন কিছু সামাজিকও নই। তবে আর পরের চাকরি করার ইচ্ছে নেই। পয়সাকড়ি যা জমেছে দু’জনের দু’বেলা বাকি জীবনটা বসে খাওয়ার জন্যে যথেষ্ট। তাপসরা একটা এন-জি-ওর মত চালায় পুরুলিয়ার দিকে,ওকে ধরেছি সময় কাটানোর জন্যে কিছু কাজ-টাজ করব বলে। এমনি অবৈতনিক,মাঝে মাঝে টুকটাক গিয়ে ঘুরে আসার ইচ্ছে। তবে তাপস একটু টেড়িয়া মাল,বলে,'তার জন্যে লোক আছে,শখের সেবায় আমাদের কাজ নেই। পারলে কিছু চাঁদা দিস,কাজে লাগবে।' কি অপমানজনক দেখেছ! হঠাৎ মোবাইল বেজে উঠতেই দেখি নাম করতেই শয়তান হাজির। 'কাল সকাল সাড়ে আটটায় হাওড়া থেকে লালমাটি এক্সপ্রেস,প্ল্যাটফর্মের গেটের কাছে চলে আয়। টিকিট কেটে রাখছি।' এইটুকু বলেই ফোন কেটে দিল তাপস। যাঃ বাবা,এ যে মেঘ না চাইতেই জল। কিন্তু ব্যাপারটা আমার একটু অদ্ভুত লাগল-এই তাড়া কিসের? যাই হোক কৌতূহল বলে তো এক...
“রবীন্দ্রনাথের মর্ত্য-চেতনা” – মেরী খাতুন

“রবীন্দ্রনাথের মর্ত্য-চেতনা” – মেরী খাতুন

তৃতীয় বর্ষপূর্তি
"রবীন্দ্রনাথের মর্ত্য-চেতনা" মেরী খাতুন  সত্যম্ শিবম্ সুন্দরম্--এরই ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে সত্য,শিব,সুন্দরের সাধক---কবি রবীন্দ্রনাথের আদর্শ মর্ত্য-প্রীতি। তাঁর এই  প্রীতি তথা সৌন্দর্যবোধই সাধারণের মধ্যে অসাধারনকে আর সীমার মধ্যে অসীমের স্থাপনায় ব্রতী হয়েছে। তাইতো,'সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি','পল্লীবধূর আঁকা-বাঁকা সর্পিল পথে জল আনার দৃশ্য','বিকশিত সর্ষে ফুলের গন্ধ 'তাঁর মনে নির্বিকল্প অনুভূতির সঞ্চার করে হৃদয়ে স্থান রচনা করেছে।তাঁর সাধনার দীর্ঘপথে বার বার একই সুর ধ্বনিত হয়েছে---'আমি ভালোবাসি,আমি ভালোবাসি এই জীব,এই জীবন,এই জীবলোক। রবীন্দ্রনাথ বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হলেও তাঁর সত্যকার পরিচয় নিহিত রয়েছে তাঁর সুগভীর মর্ত্য-প্রীতি তথা জীবনপ্রীতিতে। মানুষের কবি,ধুলার-ধরনীর কবি রবীন্দ্রনাথ তাই  অকপটে বলতে পেরেছিলেন---                     "মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে                   ...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!