Shadow

Author: Kulayefera

অঙ্কন – আহেরি মন্ডল

অঙ্কন – আহেরি মন্ডল

তৃতীয় বর্ষপূর্তি
"সাদা কালো ডালপালা উঁচু করে মাথা গাছে নেই একটাও পাতা। ## দু'হাত মুকুটে ঝুঁকে সামনে খুঁজছে পথ, নাক জুড়ে এই বড় নথ্! ## তারা জ্বলে আকাশের গায়, বাবার হাতটি ধরে সন্ধ্যায় খুকুটি বেড়ায়।।" - আহেরি মন্ডল আহেরী মন্ডলঃ বিশাখাপত্তনম নিবাসী আহেরী, টিম্পনি স্টীল সিটি স্কুলে সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী। পড়াশোনার ফাঁকে ছবি আঁকতে, পাশ্চাত্য গান গাইতে এবং শুনতে খুব ভালোবাসে।  আহেরীর বিজ্ঞান বিষয়টি খুবই পছন্দের। বিজ্ঞান বিষয়ক পরীক্ষা নীরিক্ষা গুলো করে সময় সুযোগ মতো। পড়াশোনা ছাড়াও আহেরী teakwondo মার্সাল আর্ট এবং বাংলা গান শেখে।...
এ যেন এক দুঃস্বপ্ন – কল্যাণী ঘোষ

এ যেন এক দুঃস্বপ্ন – কল্যাণী ঘোষ

তৃতীয় বর্ষপূর্তি
        এ যেন এক দুঃস্বপ্ন                কল্যাণী ঘোষ         গভীর রাত, নিস্তব্ধ -নীরব       নিবিড় সত্য করি অনুভব,         ভাবিনি এমন এক দুঃস্বপ্ন               ঘুম ভাঙাবে আমার,     স্বজন হারা মানুষের আর্তনাদ,               কাঁদাবে আমায়  ........ মানুষ যেমন অসহায় মৃত্যুর কাছে          তেমনি অসহায় প্রকৃতির কাছে, প্রকৃতিও যেন আজ         নীরবতা পালন করছে, নির্দোষ মানুষের মৃত্যু দেখে।        আমরা সমাজবদ্ধ জীব, সমগ্র মানবজাতি নিয়ে গড়া সুন্দর এই পরিবার.......          সেই পরিবারের সদস্য আমরা,                কিছু দায়িত্বজ্ঞানহীন মানুষের 'অসচেতনতা' কলঙ্কিত করে সমগ্র মানবজাতিকে.........           লজ্জার আবরণে মুখ ঢাকতে হয় মানবতাকে।         তাই আজও "বিচারের বাণী"                    নীরবে নিভৃতে কাঁদে........            একান্তে, সততার আদালতে। ************************...
নির্বিকল্প – অর্চনা মহান্তি

নির্বিকল্প – অর্চনা মহান্তি

তৃতীয় বর্ষপূর্তি
 নির্বিকল্প অর্চনা মহান্তি  অসংখ্য ছোট বড় ঘূর্ণিপাক ,বক্ররেখার সমষ্টিতে আঁকা হয় জীবন-মৃত্যুর সংযোগ রেখা। যা অনিবার্য সরলরেখা,তবু 'সরল' রেখা নয় তবুও হাঁটতে হয় গন্তব্যে হাঁটা ! নাকি গড়ানো ? সময়ের অমোঘ ঠেলায় । যখন শ্রান্ত পথিক হাত-পা জুড়িয়ে নিচ্ছ পৃথিবীর কোনো সরাইখানায় , ভাবছ এ তোমার ক্ষণিকের থেমে থাকা যাত্রাকে দীর্ঘায়ত করার ছল তখনও তো এগিয়েই যাও নিরুপায় পরমায়ুর পায়ে পায়ে । পৃথিবীর অতিথি,গোনাগুন্তি তোমার দিনরাত,সীমিত ভিসার মেয়াদ । প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান।  -- তাই ভালো থাকার আপ্রাণ চেষ্টায় অনিবার্য দুর্গম পথ অতিক্রান্ত করার নিবিষ্ট প্রয়াসে সহযাত্রীদের সঙ্গে নিবিড় সদ্ভাবের শর্তে করে নিতে হয় পারস্পরিক সহযোগিতার দরপত্র। পর্যটকের দৃষ্টিতে অথবা তীর্থ যাত্রীর দৃষ্টিতে দেখে নিতে নয় মহাকালের সুসজ্জিত মন্দির, ঈশ্বরের ভালোবাসার নন্দন-কানন হেম-শীর্ষ সুমহান হিমালয়। প্রশান্তির মলয়-সাগ...
চপের যাদু – অঙ্কন দন্ড

চপের যাদু – অঙ্কন দন্ড

তৃতীয় বর্ষপূর্তি
-- “ চপের যাদু ” --    কলমে:- অঙ্কন দন্ড ~~~~~~~~~~~~~~~~~~ নিমাই কাকুর চপের দোকান গার্লস স্কুলের মোড়ে, রাত দশটায় বন্ধ করে দোকান খোলে ভোরে। চপ - সিঙ্গারা - বেগুনি আছে আছে পাপড়ি চাট, মনের সুখে খাচ্ছে কিনে আশি থেকে আট। প্রথম যেদিন দোকান খোলে সেদিন যে তেল ঢালে, পাঁচটা বছর পরেও সে তেল ভাসে কড়াই তলে। আগের সে তেল কমলে তাতেই ঢালে নতুন তেল, সেই তেলেরই চপ বেগুনি দিচ্ছে ভীষণ সেল। ভুলবশত চুলকে বগল ঠোঙায় ভরে চপ, সেই চপেরই স্বাদ সীমাহীন খায় যে টপাটপ। বাঁচলে কভু তেলেভাজা পাম তেলেতে ভেজে, পরের দিনই বিকিয়ে যাবে ফ্রেশ লুকেতে সেজে। কম দামেতে বেছে বেছে আলু কিনে পচা সেই আলু পুর চপের ভেতর বন্দী করে চাচা। কাকীমা তো আগের রাতেই চপের আলু মাখে, খুব গরমে কপাল মোছে সে হাত ঢোকায় নাকে। তোমার কাছে আমার কাছে সে চপ যেন মধু, খোঁজ নিয়েছ নিমাই কাকু মেশায় কী সেই যাদু! *****...

সম্পাদকীয় ‘বিহানবেলায়’ তৃতীয় বার্ষিকী

বিহানবেলায় ৩
সম্পাদকীয় 'বিহানবেলায়' তৃতীয় বার্ষিকী বছর তিন আগে মেদিনী ভেদ করে মাথা তুলে দাঁড়ানো সুগন্ধময় শিশু পর্ণখন্ডটি এখন পল্লবিত এবং পুষ্প শোভিত। ডালপালা ছড়িয়ে যেন বহু বিস্তৃত এক পুষ্পবন। বাঙলার ঋতুচক্রের আবর্তন সঞ্চালিত হয় নিয়মিত। গ্রীষ্মের শুষ্ক তপ্ত দিনগুলির শেষে,বাদল ছোঁওয়া লেগে নবপত্র শোভিত সবুজ মেঘে ঢেকে সে তখন যেন নতুন জীবনের বার্তা বয়ে আনে। এরপরেই ঝলমলে রূপোলী কাশবনের হাসিতে মুখর এক শ্বেতলীনা! আলো ছড়িয়ে দেয় দিক থেকে দিগন্তরে। শিউলি দিন শেষ হলে,পাতা খসানোর পালা সারা হলে,পার্বণে মেতে ওঠে। আর? দীর্ঘ বর্ষ শেষে,আবাহন করে নূতনকে,নব সূর্যরশ্মি মাখা কুসুম কুসুম বিহান বেলায়। কুলায় ফেরা'র নববর্ষ সংখ্যা 'বিহান বেলায়' র প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় বাংলা ১৪২৭ সনে। পর পর প্রকাশিত হতে থাকে নির্ধারিত সংখ্যাগুলি। এর মধ্যে বিভিন্ন রকমের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপিত হয় 'ফেসবুক লাইভে'। উল্লেখ্য বিষয়,ভার্চু...
টাকুয়ামেনন – সুজয় দত্ত 

টাকুয়ামেনন – সুজয় দত্ত 

বিহানবেলায় ৩
টাকুয়ামেনন  সুজয় দত্ত  ছোট্ট একটা নাম-না-জানা হলুদ রঙের পাখী সামনের জুনিপার গাছটার ডালে বসে শিস দিচ্ছে মাঝে মাঝে। ব্যস,এছাড়া আর একটাই শব্দ। জলের। অনেক দূর থেকে শোনা যায়। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে প্রচন্ড বেগে গড়িয়ে আসা এই বাঁধন-না-মানা,দুরন্ত,সফেন জলরাশি অনেকটা নীচে পাথরের ওপর আছড়ে পড়ছে যেখানে,সেখানটা ধোঁয়াধোঁয়া অস্পষ্ট। জলের ছোট ছোট ঘূর্ণি ইতস্ততঃ জেগে থাকা ডুবো-পাথরের মাথাগুলোকে  ঘিরে। আর তারপর আঁকাবাঁকা নদী কুলকুল করে বয়ে চলে গেছে ঘন গাছগাছালিতে ঘেরা রহস্যময় বনপথে। সন্ধ্যা নেমে এল প্রায়। ধারেকাছে কোথাও কেউ নেই। একা আমি রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে ডুবে রয়েছি সেই জলতরঙ্গের মূর্ছনায়। এপ্রিলে এখানে বসন্ত ঠিক নয়, বসন্তের প্রস্তুতিপর্বের শুরু। দমকা,জোলো হাওয়ায় এখনো সদ্য-বিদায়-নেওয়া শীতের বরফগলা স্পর্শ। সেই হিমশীতলতা আমার মুখে,মাথায়,শরীরের অন্যত্র ছুঁয়ে যাচ্ছে,কিন্তু আমি অনুভব করছি না। ভেতর থেকে এক গভীর ভাললাগ...
স্বপ্ননীড় – ব্রতী ঘোষ

স্বপ্ননীড় – ব্রতী ঘোষ

বিহানবেলায় ৩
স্বপ্ননীড় ব্রতী ঘোষ  " শরত আলোর কমল বনে বাহির হয়ে বিহার করে,যে ছিল মোর মনে মনে !" - গুনগুন করে গানটা গাইতে গাইতে প্রজ্ঞা ঘরে ঢোকে ৷ -' উহ্! মা! কি হচ্ছে! সবে দশটা বাজে ৷  প্লিজ ! বিন্নি পাশ  ফিরে চাদরটা টেনে নেয় ৷ প্রজ্ঞা চুপ করে যায় ৷ এখনকার ছেলেমেয়েদের এই বেলা করে বিছানায় শুয়ে থাকাটা একেবারে অসহ্য লাগে প্রজ্ঞার ৷ আজকে ছুটির দিনে যে গলা ছেড়ে একটু গান করবে-তার উপায় আছে ? ও ঘরে প্রবাল আর এ ঘরে বিন্নি ৷ দুজনেই শুয়়ে আছে ৷ আজ রবিবার - প্রবালকে ডাকা চলবে না ৷ প্রজ্ঞার স্কুলে এ সপ্তাহটা ছুটি ছিল ৷ তাই রবিবারটা একটু হাত পা ছড়িয়ে কাটাচ্ছে ৷ সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা প্রজ্ঞার বরাবরের অভ্যাস | তাড়াতাড়ি রান্নাঘরের কাজ সেরে ও একটু নিজের মতো করে সময় কাটাতে ভালোবাসে বরাবরই ৷ কখনো একটু আধটু লেখা,কখনো বা গান-কখনো বা কোন বই পড়া-এই নিয়ে ওর সময়টা দিব্যি কাটে ৷ একটা সময় ছিল বিন্নির স্কুল,নিজের স...
সংস্কার – সোনালী গুহ

সংস্কার – সোনালী গুহ

বিহানবেলায় ৩
।। সংস্কার ।।     সোনালী গুহ             আজ সকাল থেকেই মুখুজ্জে বাড়িতে দারুণ হইচই। ঊষা মুহূর্তে দেহ রেখেছেন বাড়ির অশীতিপর গিন্নি। মৌশল গ্রামের একদা জমিদার ছিলেন রাধারমণ মুখুজ্জে। এই গ্রামে তাঁদের প্রায় দশ পুরুষের বাস। অনেক জায়গা,ধানি জমি,পুকুর নিয়ে তাঁদের সাম্রাজ্য। বাড়িতে নিষ্ঠা ভরে পালা,পার্বণ সবই হয়। বড় করে হয় শ্রাবণ মাসের সংক্রান্তিতে মনসা পূজা। মন্দির আছে স্বতন্ত্র। এছাড়া দুর্গা দালানেই সব পূজা অনুষ্ঠিত হয়। সারা গ্রাম ভেঙে পড়ে। একটাই দুর্গাপূজা গ্রামে। পুরো গ্রামের মানুষ নিজেদেরই পূজা জ্ঞানে সব কাজকর্মে হাত লাগায়। আগে পিছে প্রায় একমাস এই বাড়িতেই সকলের পাত পরে দুইবেলা। সে এক এলাহী ব্যবস্থা। আলাদা সব বাঁধানো জায়গা আছে,রান্না,খাওয়ার। সকলে হাতে হাতে কাজ করে। সেও এক আনন্দ। কর্তা মশাই দেহ রাখার পর রাধারমণ বাবু বাড়ির কর্তা। গিন্নিমা শয্যাশায়ী ছিলেন বেশ কয়েক বছর ধরেই। আ...
জলকন্যার উপাখ্যান – সাথী সেনগুপ্ত 

জলকন্যার উপাখ্যান – সাথী সেনগুপ্ত 

বিহানবেলায় ৩
জলকন্যার উপাখ্যান সাথী সেনগুপ্ত  বাঘাদার সঙ্গে বাঘের কোন সম্পর্ক নেই,বাঘাদার ভাল নাম  কি ছিল,তাও আমাদের  জানা নেই। তবে আট থেকে আশি সকলেই তাকে বাঘাদা নামে ডাকে। পাড়ার মোড়ের ছোট খাট  চায়ের দোকানটা বাঘাদার দোকান নামেই সকলের কাছে খ্যাত। জায়গাটা ঠিক শহর নয় বরং বলা যায় মফ:স্বল। ফলে এখানে পাড়া আছে,এর ওর ব্যাপারে নাক গলানো আছে,চায়ের দোকানের আড্ডাও আছে। আমি,তপা,দেবা আর বিশু চায়ের দোকানের নিত্য খদ্দের কাম আড্ডাবাজ। তবে দিন রাত আড্ডা দেবার মত শৌখিনতা কজন আর করতে পারে। ফলে আমরাও দিনরাত আড্ডা দেবার সময় পাইনা। আমি বছর দুয়েক আগে পাসকোর্সে একটা বিএসসি পাশ করেছিলাম। তারপর কম্পিউটার ক্লাসে দিনকয়েক যাতায়াত করেছিলাম,কোন ঠিক ঠাক চাকরি বাকরি না জোটায় বেশ কখানা টিউশনি করে বেড়াই। তপা মাধ্যমিক টা কোন রকমে পাশ করেছে,তারপর আর পড়াশোনা এগোয়নি। ওর দাদার গুঁতোগুঁতিতে ড্রাইভিং টা শিখেছিল। এখন মাঝে মধ্যে অন্য...
‘একুশ মানে মাথা নত না করা’ – অরুণ শীল

‘একুশ মানে মাথা নত না করা’ – অরুণ শীল

বিহানবেলায় ৩
'একুশ মানে মাথা নত না করা' অরুণ শীল বাঙালি জাতির অন্যতম প্রেরণা ও চেতনার নাম 'একুশে ফেব্রুয়ারি'। একটি রাজনৈতিক ও জাতিগত বিপ্লবের নাম একুশে ফেব্রুয়ারি। এটি  আমাদের চির প্রেরণা ও অবিস্মরণীয় একটি দিন। এটি শুধু বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ,ত্রিপুরা ও আসামে নয়,এখন এটি সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। ১৯৫২ সালের ২১-এ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার্থে বাঙালির জীবনােৎসর্গের ঘটনা গড়েছে এক অনন্য ইতিহাস। বাঙালি জাতিকে স্বতন্ত্র মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অমর একুশের রয়েছে সীমাহীন অবদান। একুশের চেতনা বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসের এক অনন্য চেতনাদীপ্ত অধ্যায়। ভাষা আন্দোলন ও একুশের চেতনার তাৎপর্য বহুমুখী। মহান একুশ আমাদের দিয়েছে জিতে যাওয়ার শক্তি সাহস ও অসীম প্রেরণা। সে সাহসে বলীয়ান হয়ে আন্দোলনের ধাপে ধাপে এগিয়ে গিয়ে ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পেয়েছি স্বাধীনতা। তাই আমা...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!