Shadow

Author: Kulayefera

হঠাৎ যাদু – দেবারতি মাইতি

হঠাৎ যাদু – দেবারতি মাইতি

কাশবন ৩
হঠাৎ যাদু দেবারতি মাইতি আকাশ জুড়ে পেঁজা তুলো সোনার বরণ আলোর ছটা কোন যাদুতে উধাও হল ছাইল মেঘের ঘনঘটা? দিনে রাতে শুনছি শুধু ঝিরিঝিরি বৃষ্টি নুপুর চলছে বুঝি বর্ষা -শরৎ লুকোচুরি মিষ্টি মধুর? ধুইয়ে দিয়ে অঝোর ধারে ধরার বুকের সকল কালো, আনবে বুঝি শিউলি, কাশের উজল হাঁসির ধবল আলো? হঠাৎ যাদুর কাঠির ছোঁয়ায় লাগবে মনে খুশির ঘোর, আসবে সোনার রাংতা মোড়া ঝকমকে সেই শারদ ভোর। *********************** দেবারতি মাইতি পরিচিতিঃ কলকাতা নিবাসী। উজ্জয়িনীর বিক্রম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। স্নাতক স্তরে কথ্থক নৃত্য অন্যতম বিষয় ছিল। নৃত্য শিরোমণি গুরু বন্দনা সেনের ছাত্রী। কথথক নৃত্য শিল্পী ও নৃত্য শিক্ষিকা। শৈশবেই কথথক নৃত্য শিক্ষা ও সাহিত্য প্রীতির সূত্রপাত। নৃত্য, সংগীত, সাহিত্যের প্রতি প্রবল অনুরাগ নিয়েই জীবনের পথে এগিয়ে চলা।। ...
কপাল – সুজয় কুমার দাশ

কপাল – সুজয় কুমার দাশ

কাশবন ৩
কপাল সুজয় কুমার দাশ  লাল ভূমধ্যরেখা উবে গেছে, শুধু পড়ে আছে সামান্য স্মৃতি । ঘন রেশমি চুলের দু-একটি কুঁচো তিরতির করে কাঁপছে তোমার কপালে । সে তো কাঁপারই কথা । রংচটা ইতিহাস ভেঙে প্লাক করা ভ্রূ, দেরাজভর্তি আধুনিকতা, রূপালি জেল্লা, তিনইঞ্চি হাইহিল, সোনালী ফ্রেমের গগলস ; সে তো হওয়ারই কথা । শত সহস্রের দৌলতে চাঁদ উঠেছে তোমার কপালে । তেরছা চোখে ঘুরছে ফিরছে আর পুড়ে মরছে বঙ্গপুরুষ ।। ********************************** সুজয় কুমার দাশ  ...
জীবনী – মেরী খাতুন 

জীবনী – মেরী খাতুন 

কাশবন ৩
জীবনী মেরী খাতুন  "কষ্টই ফারমিনা-কে প্রতিবাদের শক্তি দিয়েছে" একটি শিশু যখন ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠে,তখন তার চোখে থাকে কতই না স্বপ্ন আর ডানা মেলার ইচ্ছে। কিন্তু ফারমিনা নাজের গল্পটা অন্যরকম। অভাবের সংসারে  অবহেলায় বড় হতে থাকে ফারমিনা। দুবেলা ভরপেট খাওয়ার আশায় ছোট্ট মেয়েটি দিনের পর দিন নানা কষ্ট সহ্য করে গিয়েছে মুখ বুজে। এই পরিস্থিতির মধ্যেও ফারমিনা স্কুলে ভর্তি হয়। কিন্তু লেখা পড়ার উৎসাহ থাকা সত্ত্বেও অভাবের তাড়নায় বেশিদিন পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারলো না। তাঁর বাবা জানালেন, মেয়ের দায়িত্ব নেওয়া তাঁর পক্ষে আর সম্ভব নয়। জোর করে কম বয়সেই ফারমিনার বিয়ে দেওয়া হয়। লেখাপড়া শেখার ইচ্ছেতে জলাঞ্জলি দিয়ে ফারমিনা নতুন সংসারে প্রবেশ করল। কিন্তু সে সংসারে সুখ তো দূরের কথা নানা তুচ্ছ ছুতোয় স্বামী তাকে প্রায়ই মারধর করত। কিছুদিনের মধ্যে সে এক শিশু পুত্রের মা'ও হয়। পুত্রের জন্মের পর থেকে...
অথ মানবজমিন চরিত .. সুরজিত সরখেল

অথ মানবজমিন চরিত .. সুরজিত সরখেল

কাশবন ৩, পাকাচুলের কলমে
অথ মানবজমিন চরিত ..........  সুরজিত সরখেল          "চারো তরফ সন্নাটা ছায়ী হুয়ী হ্যায়     বিরান দিলকী দহলিজমে           আসমাঁ রো রহি হ্যায় ......    না মুনাসিব ইস দুনিয়ামে            কুছ ভী নহী হ্যায়   এতবার এ খামোসী মে  চারোতরফ বদলিয়া বরষ রহি হ্যায় ( বহ্নিশিখা)....... (চারিদিক বিষণ্নতায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে। শূন্য হৃদয়ের অঙ্গনে অসীমও রোদন করছে। অসম্ভবের এই দুনিয়ায় কিছুই নেই। এই বিশ্বাসের নিস্তব্ধতায় চারিদিক বর্ষার মেঘে ঢাকা পড়েছে)। বাস্তবিকই চারদিকেই যেন বিষণ্নতার চড়া মেঘে সাধারণ মানুষের জীবন ঢাকা পড়ে গেছে । মুহুর্মুহু এই নাগপাশের বাঁধন আষ্টেপৃষ্ঠে যেন শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পৌঁছে দিচ্ছে বিষাক্ত যন্ত্রণা ! মানুষ যেন হাসতেই ভুলে গেছে । অথচ প্রতিনিয়তই কত হাস্যোজ্জ্বল মুহূর্ত এবং তার সঙ্গে মানানসই কুশীলব চরিত্ররা আমাদের চারপাশে নক্ষত্র খচিত আকাশের মতই বিস্মৃত হয়ে আছে; ...
স্বাধীনোত্তর ভারত – মেরী খাতুন

স্বাধীনোত্তর ভারত – মেরী খাতুন

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সপ্তাহ
"স্বাধীনোত্তর ভারত" মেরী খাতুন মানুষের জীবনে স্বাধীনতার থেকে বড় কিছু নেই।  দেশ স্বাধীন হলেই মানুষের সর্বাধিক উন্নতির পথ প্রশস্ত হয়ে যায়। কবি রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় তাই বলেছেন----- স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায়। দাসত্ব শৃংখল বল কে পরিবে পায় হে, কে পরিবে পায়?" পুরাতনের বিদায়ের মধ্যে দিয়েই ঘটে নবীনের আগমন। পুরনো শতকের সুখ-দুঃখ, জয়-পরাজয়, হাসি-কান্না ভুলে স্বাগত জানাতে হবে নতুন শতককে। নতুন শতক নতুন আশা-উদ্দীপনায়, প্রাণ-প্রাচুর্যে মানুষের হৃদয় ভরে তুলবে,  নাকি বিংশ শতাব্দীর চেয়েও হতাশার অন্ধকারে ভারতবাসীকে নিক্ষিপ্ত করবে?-- এটাই জিজ্ঞাসা। ভারতবর্ষের ইতিহাসে বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতবাসীর যা-কিছু আশা-আকাঙ্ক্ষা,সংশয় সবই এই প্রথমার্ধ জুড়ে। বিভিন্ন ঘটনায় পূর্ণ এই ভারতবাসীর মনে গভীর দাগ কাটতে সক্ষম হয়েছে। এই শতকের সূচনাতেই লর্ড কার্জনের "বঙ্গভঙ্গ আইন" ...
অঙ্কনঃ স্বাধীনতার ৭৫ বছর – সঙ্কল্প মাঝি

অঙ্কনঃ স্বাধীনতার ৭৫ বছর – সঙ্কল্প মাঝি

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সপ্তাহ
স্বাধীনতার ৭৫ বছর শিল্পীঃ সঙ্কল্প মাঝি   সঙ্কল্প, কোন্নগর হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাড়ি রিষড়ায়। সঙ্কল্পর সখ অঙ্কন এবং ফটো ও ভিডিও এডিটিং।      
স্বাধীনতা : প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির ৭৫ বছর – প্র ত্যু ষ  সে ন গু প্ত

স্বাধীনতা : প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির ৭৫ বছর – প্র ত্যু ষ  সে ন গু প্ত

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সপ্তাহ
১৯৪৭-২০২২ স্বাধীনতা : প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির ৭৫ বছর প্র ত্যু ষ  সে ন গু প্ত   ইংরেজ ঔপনিবেশিকতার শৃঙ্খল মুক্ত হয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে পঁচাত্তর বছর আগে, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট।ছিয়াত্তরতম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে একটু পিছন ফিরে তাকাতে ইচ্ছে করছে। স্বাধীনতা দিবসের সেই সন্ধিক্ষণে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য আমার হয়নি।যা জেনেছি, শুনেছি পিতামাতা ও প্রবীণদের কাছ থেকে, বিভিন্ন পুস্তক পাঠ করে,বিদ্যালয়,মহাবিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ থেকে এবং সর্বোপরি পত্রপত্রিকার সংবাদ থেকে।স্বাধীনতার দশ বছর পর এক ভারতীয় নাগরিক হিসেবে জন্মগ্রহণ আমার জীবনের সর্বাপেক্ষা গর্বের বিষয়। কিন্ত এর ঠিক দুশো বছর আগে,২৩ জুন,১৭৫৭ সালে একটি বিদেশী বণিকদের কোম্পানি দেশের কিছু  ক্ষমতালোভী বেইমানদের চক্রান্তে সুবে বাঙলার নবাব সিরাজদৌল্লাকে হারিয়ে হিংস্র ভাবে একটি দেশের সম্পদ ও সার্বভৌমত্বেকে লুঠ করে। দখল নেয় কলকাতার।সূত্রপাত ...
স্বাধীনতা পঁচাত্তর – পারমিতা গাঙ্গুলী

স্বাধীনতা পঁচাত্তর – পারমিতা গাঙ্গুলী

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সপ্তাহ
স্বাধীনতা পঁচাত্তর পারমিতা গাঙ্গুলী স্বাধীনতা মানে মুক্ত বাতাস  মুক্ত চিন্তাধারা স্বাধীনতা মানে বিরুদ্ধ মতও সজোরে বলতে পারা। স্বাধীনতা মানে আমার ফসলে আমিই হকদার স্বাধীনতা মানে শবরীমালায় সমান অধিকার। স্বাধীনতা মানে আমার ধর্ম আমার একান্ততা স্বাধীনতা মানে রাত বারোটায় নির্ভয়ে বাসে ওঠা। স্বাধীনতা মানে ফিরে ফিরে দেখা পরাধীনতার স্মৃতি স্বাধীনতা মানে শত শহীদের আত্মত্যাগের গীতি। স্বাধীনতা মানে দিনবদলের স্বপ্ন অন্তহীন স্বাধীনতা মানে প্রতিটি শিশুর হাসিমুখ অমলিন। স্বাধীনতা মানে দোকানে দোকানে ছাড়ের পশরা নয় স্বাধীনতা মানে অমূল্য এক সম্পদ অক্ষয়। আজাদী উৎসব দিল পঁচাত্তরে পা উৎসব শেষে সমস্ত রঙ ফুরিয়ে ফেলোনা স্বাধীনতা থাক.... জীবনে যাপনে নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে স্বাধীনতা থাক.... মায়ের মতোই অবিচল আশ্বাসে। ************************************        ...
স্বাধীনতা – ব্রতী ঘোষ

স্বাধীনতা – ব্রতী ঘোষ

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সপ্তাহ
স্বাধীনতা ব্রতী ঘোষ ক্লাস ফাইভের শ্রেয়াংশের আজ এই প্রথম স্কুলে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আসা। গত  দু বছরে তো স্কুলে এ সব হয়নি  ৷ "লেফ্ট রাইট লেফ্ট" প্যারেড করতে করতে ওর সারা শরীরের রক্ত যেন গরম হয়ে গেল ৷ আর তখনই ও ঠিক করে ফেললো বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে  যোগ দেবে  ৷ কিন্তু ওর যে মাঝে মাঝেই চোখে জল এসে যায় - বিশেষ করে বাবা ওকে বকলে, মা কাঁদলে,লক্ষ্মী মাসির ছেলে বাপীকে পাড়ার চায়ের দোকানে বাসন মাজতে দেখলে - এই সব আর কি ! আবার যেমন আজকে ক্লাস নাইনের দাদারা যখন, "ভায়ে মায়ে এত স্নেহ - কোথায় গেলে পাবে  কেহ, ওমা তোমার চরণ দুটি বক্ষে আমার ধরি, আমার এই দেশেতে জন্ম যেন,এই দেশেতেই মরি" - গাইছিল তখনও ওর চোখে জল এসে গেছিল ৷  যখন ও বড় হয়ে যুদ্ধ করতে যাবে তখন শত্রুদের গুলি চালাতে গেলে যদি ওর চোখে জল এসে যায় - তাহলে কি হবে ? না ! না! ও বড় হয়ে গেলে ওর চোখে আর জল আসবেই না ৷ এই সব ভাবতে ভাবতে বাড়ি ফিরেই...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!