Shadow

Author: Kulayefera

সম্পাদকীয় (দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি) – দেবদত্ত বিশ্বাস

দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি
সম্পাদকীয় আরও একটা বছর পেরিয়ে এলাম। বয়স বাড়লো আরও এক বছর। ঠিক দুবছর আগে অসুস্থ পৃথিবীর মানুষজনকে সুস্থ সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল উপহার দেবার সৎ প্রচেষ্টা নিয়ে এই আন্তর্জাতিক,আন্তর্জালিক এবং নান্দনিক পত্রিকা কুলায় ফেরার জন্ম হয়েছিল ৷ নানান প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সদস্যবৃদ্ধি, প্রকাশিত পত্রিকার বিপুল জনপ্রিয়তা,দেশজুড়ে বিভিন্ন শিল্পী ও শিল্পীগোষ্ঠীর কুলায় ফেরার নিবেদিত বহুমাত্রিক অনুষ্ঠান গুলিতে অংশ নেওয়া আমাদের এই উদ্দেশ্যের সার্বিক সফলতাকে সুস্পষ্টভাবেই প্রতিফলিত করে এবং নিরন্তর প্রেরণা যোগায় ৷ নিবেদনের বাইরেও নেপথ্য শিল্পীরা যেমন সম্পাদনায় সহায়তা,শিল্পী নির্বাচন,বিষয়চয়ন, গবেষণা,সামঞ্জস্য রেখে গ্রন্থণা লেখা এবং কারিগরি শিল্পীরা যাদের নিরলস পরিশ্রমে,আন্তরিক ভালোবাসায়,সীমাহীন আবেগ,দার্ঢ্য দায়িত্বশীলতায় এই কর্মকান্ডকে করে তোলেন সাফল্যমন্ডিত ৷ রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন বিষয়ের শিল্পীরা অ...
চিঠি, চন্দ্রাহত – দেবযানী সান্যাল

চিঠি, চন্দ্রাহত – দেবযানী সান্যাল

দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি
চিঠি দেবযানী সান্যাল   :আজকাল নিজের সাথেই মজা করে লুকোচুরি খেলি: এই ধরো,কোনো এক শীতের নির্জন দুপুরে, ঠিক যখন রাতের চেয়েও নিঃঝুমতায় খান্ খান্ চারিদিক; ওই যে, যখন "দূরে কাদের ছাদের পরে ছোট্ট মেয়ে রোদ্দুরে দেয় বেগনি রঙের শাড়ি"। ঠিক তখনি,চুপি চুপি পা ফেলে পোস্টম্যানের চলে যাওয়া দেখেই মনে পড়ে যায়--সেই কতোদিন আগে যেন আমাদের ডাকবাক্সটাও জ্বলজ্বল করে উঠতো নীল রঙের আভায়! ঢিপ্ ঢিপ্ করা বুকের মাঝে তাকে যত্নে নিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে প্রার্থনা করতাম, আসুক না সেই গভীর রাতটা যখন এক-একটা অক্ষর হাজারটা কোহিনূর হয়ে জ্বলে উঠে আলোকিত করে দেয় সবকিছু !! তখন আমি নিজেই যেন এক সাম্রাজ্যের অধীশ্বরী,সাক্ষী ছিল হাজার হাজার-তারার ক্যানভাস। এখন খুব ধীরে ধীরে নামছে গোধূলি-বিহান। বাতাসের মৃদু-হিমেল ছোঁয়ায় ফিরছে দিনমনি। অন্য কোনো দূরের দেশের অন্তরীক্ষে দিন-সমাগত প্রায়-- ঠিক তখনই "সিন্ধু-বারোয়াঁ"র তান...
‘চারণ কবি’ কনকভূষণ মুখোপাধ্যায় – রাজেশ দত্ত

‘চারণ কবি’ কনকভূষণ মুখোপাধ্যায় – রাজেশ দত্ত

দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি
‘চারণ কবি’ কনকভূষণ মুখোপাধ্যায় : বিস্মৃতির আঁধারে বঙ্গসাহিত্যের আকাশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র  রাজেশ দত্ত 'চারণ কবি’ কনকভূষণ মুখোপাধ্যায়কে জানেন? এই প্রশ্নে সাধারণ কবিতাপ্রেমী বাঙালি পাঠক-পাঠিকারা তো বটেই, বাংলা ভাষা-সাহিত্যের অধিকাংশ শিক্ষক ও বিদ্বজ্জন থেকে গবেষক বিদ্যার্থীরাও নিরুত্তর থাকেন। গভীর পরিতাপের সাথে স্বীকার করতেই হয়, আমরা বাঙালিরা এক আত্মবিস্মৃত জাতি। আমাদের সুমহান ও সুপ্রাচীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের শিকড়-মাটি-বীজ হারিয়ে যায় অনাদরে, অবহেলায়। কবি কনকভূষণও বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে যাওয়া এমনই এক প্রথিতনামা কবি। বিগত বিশ শতকের প্রথমার্ধে তাঁর কাব্যপ্রতিভার দীপ্তিতে উদ্ভাসিত হয়েছিল বঙ্গীয় সাহিত্যের নিখিল ভুবন। তাঁর ‘চারণ’ ও ‘লীলাময়ী’ কাব্যগ্রন্থ দু'টি ছাড়াও সেকালের পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর কবিতাবলী পাঠক মহলে বিপুল সমাদৃত হয়েছিল। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের স্নেহধন্য ছিলে...
মুক্তি – ব্রতী ঘোষ 

মুক্তি – ব্রতী ঘোষ 

দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি
মুক্তি ব্রতী ঘোষ  রাসেল স্ট্রিটের এই রাস্তায় কতবার যে এসেছি ৷ কিন্তু কখনো আজকের মতো মনে হয় নি তো !! রাস্তাটা কি অসম্ভব সোজা ভাবে চলে গেছে ৷ রাস্তার দুপাশে কার পার্কিংএ সারি দিয়ে অফিসের গাড়িগুলো দাঁড়িয়ে আছে ৷ মাঝে মাঝে হুস হুস করে চলে যাচ্ছে এক একটা গাড়ি ৷ এখানেই উৎপলের অফিস। কতবারই তো এসেছি এই  অফিসে ৷ এরকম অদ্ভূত তো কোনদিন লাগেনি ৷ কতবারই তো নিউ ইয়ার্সের আগের রাতে পার্কস্ট্রীটে রাত কাটাব বলে বায়না করেছি উৎপলের কাছে। কিন্তু ও কিছুতেই এসব কথায় কান দিতো না  ৷ বলতো "ও সব লোক দেখানো ! কিছু করার নেই-শুধু সারারাত ধরে মদ খেয়ে স্ফুর্তি করা-সে আমার দ্বারা হবে না ৷ তার থেকে চলো দীঘা ঘুরে আসি ৷" "ধুর ! এই এক দীঘা-ও অনেকবার গেছি,আর যাবো না ৷" কথাগুলো ভাবতে ভাবতে কখন যে উৎপলের অফিসের গেট দিয়ে ঢুকে পড়েছে জয়িতা খেয়ালই করে নি ৷ উৎপলের অফিসটা একটা বেসরকারী অফিস ৷ মালিক আগরওয়ালজি মানুষ ভালো ৷ উ...
প্রকৃতির এক সাচ্চা প্রেমিকের কাহিনী – অজন্তা প্রবাহিতা

প্রকৃতির এক সাচ্চা প্রেমিকের কাহিনী – অজন্তা প্রবাহিতা

দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি
প্রকৃতির এক সাচ্চা প্রেমিকের কাহিনী অজন্তা প্রবাহিতা এক বৃষ্টিমুখর সন্ধ্যায় আমাদের সবার প্রিয় বন্ধু পাখিপ্রেমী গৌতমের সঙ্গে মুঠোফোনে আড্ডা দিচ্ছিলাম। গৌতম পেশায় শিক্ষাবিদ হওয়াতে যেকোনো বিষয়কেই খুব পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বুঝিয়ে দিতে পারে। ওর সঙ্গে আড্ডা দিয়ে কখনো মনে হয় না সময় নষ্ট করলাম,উল্টে মনে হয় ,কত অজানাকে জানতে পারলাম। সেদিনও ঠিক তাই হলো। কথায় কথায় গৌতম জিজ্ঞেস করলো,"আচ্ছা,তুমি সাচ্চা প্রেমিককে দেখেছো কখনো?" আমি  হেসে বললাম,"আজকের এই খোলা দুনিয়াতে তুমি সাচ্চা প্রেমিক দেখবার কথা জিজ্ঞেস করছো গৌতম? তাকে দেখা কি সম্ভব? সিনেমায় দেখেছি লায়লা-মজনু ,হীর-রানঝা,সোনি-মাহিওয়াল। কিন্তু রিয়েল লাইফে এমন কাউকে দেখতে পাবো সেকথা কস্মিনকালেও ভাবি নি।" "আরে, তুমি দেখার চেষ্টা করো না তাই দেখতে পাও না"- ওপাশ থেকে গৌতম বলে উঠলো। এদিকে আমার বিস্ময়ের শেষ নেই , আজকের যুগে যখন একাধিক সম্পর্ককেই  মানুষ অনা...
বাংলা তথা ভারতপ্রেমী ফরাসি দোভাষী অগুস্ট্যা ওসাঁ – অনির্বাণ সাহা

বাংলা তথা ভারতপ্রেমী ফরাসি দোভাষী অগুস্ট্যা ওসাঁ – অনির্বাণ সাহা

দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি
বাংলা তথা ভারতপ্রেমী ফরাসি দোভাষী অগুস্ট্যা ওসাঁ অনির্বাণ সাহা তৎকালীন ফরাসি চন্দননগরে অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয় দশক থেকেই শুরু হয় নগর সৌন্দর্যায়ন। ফরাসি তত্ত্বাবধানে এখানে বাণিজ্যের মূল কেন্দ্র গড়ে ওঠে। শহর ধীরে ধীরে সেজে উঠতে শুরু করে। জনসংখ্যা বাড়ে, পাকা বাড়ি তৈরি হয়,রাস্তা তৈরি হয়,ফরাসি স্থাপত্য-ভাস্কর্যে সেজে উঠতে থাকে চন্দননগর শহরের বিভিন্ন প্রান্ত। সাহিত্য-সংস্কৃতির দিক থেকেও দ্রুত গতিতে এগিয়ে যেতে থাকে চন্দননগরের স্থান। আর সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ভাস্কর্যের কথা বলতে গেলে এই শহরের তৎকালীন ফরাসি দোভাষী অগুস্ট্যা ওসাঁর নাম অবশ্যই উল্লেখ করতে হয়। অধ্যাপক বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে অগুস্ট্যা ওসাঁ আনুমানিক ১৭৭৮ সাল পর্যন্ত ছিলেন তৎকালীন চন্দননগরের ফরাসি সরকারের দোভাষী । তিনি ফরাসি,উর্দু,ফার্সি এবং বাংলা ভাষায় পারদর্শী ছিলেন বলে জানা যায়। বাংলা তথা ভারতীয় সংস্কৃতিতে অগুস্ট্যা ও...
একলা – শুভ্রা মজুমদার

একলা – শুভ্রা মজুমদার

দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি
কবিতা: একলা কলমে: শুভ্রা মজুমদার মানুষ বড় একলা। এই কলি যুগে মানুষ কেন ,প্রতিটি প্রাণী অসহায়। সদ্যোজাত মেয়ে যখন ডাস্টবিনের পাশে পড়ে থাকে,তার থেকে একলা হয়তো কেউ নেই। অঙ্কে সর্বোচ্চ নম্বর পায়নি বলে মা যখন পাশবিক শাসন করেন তখন সে হয়ে যায় অনেকটাই নিরুপায়। অনার্স কেটে গিয়ে পাস কোর্সে পড়া মেয়েটিকে পাড়া-প্রতিবেশী,এমনকি শিক্ষকদের কাছ থেকেও কটু কথা শুনতে হয়। সত্যি মানুষ বড় কষ্টে আছে। রাতে রঙিন জল পান করে যে স্বামী স্ত্রীকে মারধর করে,সে যে বড় একলা। দিনের পর দিন ভালোবাসার মিথ্যে নাটক করে যারা একে অপরকে ঠকায় তারা তো পাষাণ। এই যুগে যারা সৎ ভাবে কাজ করে, যারা টেবিলের তলা দিয়ে কোনো অর্থের বিনিময় করে না,তারাই হয়ে যায় বদলি। চাকরি পায়নি বলে যে ছেলের মা ছেলেকে মানসিক অত্যাচার করে সে কি একলা নয় !! যে মেয়েটি সন্তান প্রসবে অক্ষম,তাকে বিশ্রী ভাবে অপমান করে এই শিক্ষিত সমাজ। নিরপরাধ ব্যক্তিকে ফাঁ...
Quilling paper art – অনন্যা চট্টোপাধ্যায়

Quilling paper art – অনন্যা চট্টোপাধ্যায়

দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি
Quilling paper art শিল্পীঃ অনন্যা চট্টোপাধ্যায়       অনন্যা চট্টোপাধ্যায় চন্দননগরের বাসিন্দা, একজন Aerobic ট্রেনার এবং নৃত্য শিল্পী। আঁকতে ও ক্র্যাফট এর কাজ করতে ভালোবাসেন।
সূর্যোদয়ের সাক্ষী হয়ে – কঙ্কণা সেন

সূর্যোদয়ের সাক্ষী হয়ে – কঙ্কণা সেন

দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি
"সূর্যোদয়ের সাক্ষী হয়ে" কঙ্কণা সেন  আরব সাগরের তীরে বসে করেছিলে শপথ--- আসুক যত ভাঙন কেননা ভাঙব না কভু মোরা দু'জনা। চারহাতের উষ্ণ পরশে কেটেছিল কত ক্ষণ-------হিসেব ছিল না। শুধু দুটি মনের জড়াজড়ি ছিল অতীত হয়েছে এমন কত মুহূর্ত সূর্যাস্তের অস্তরাগে বিলীন হয়েছে সেই দিন কথা দেওয়া কথাগুলো উড়ে গেছে বালুকণার সাথে সময়ের ঘূর্ণাবর্তে নেই কিছু নেই। তবে বাঁচতে শিখেছি নতুন করে এখন নেই কোনো ক্ষণ গোনা নেই পথ চাওয়া শুধু নিজের শক্তিতে দৃপ্তভাবে এগিয়ে চলা সূর্যোদয়ের সাক্ষী হয়ে সূর্যাস্তের অস্তরাগে রঙিন হয়ে।। **************************** "মুক্তিকামী" কঙ্কণা সেন প্রজ্জ্বলিত আগুনেই যদি সব শেষ,তবে কেন এই অকারণ মান অভিমান ঈর্ষাকাতরতা? ক্ষুদ্র স্বার্থে করি অগ্নি সংযোগ দাও না বলি যূপকাষ্ঠে কামনার মোহজাল অন্ধ জরাজীর্ণতা ! খন্ড আমি,ক্ষুদ্র আমি তমসাচ্ছন্ন আমি,কালিমালিপ্ত ...
শিলচরের আলো – পাপাই অধিকারী (পদ্মনাভ)

শিলচরের আলো – পাপাই অধিকারী (পদ্মনাভ)

দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি
কবিতা- শিলচরের আলো পাপাই অধিকারী (পদ্মনাভ)   প্রতীকী লড়াই হারিয়ে যায়নি- মিষ্টি মধুর স্বরে; আজও কথা ফোটে শিশুদের মুখে- বাংলা শব্দ ঝরে। ফোটে ফুল গাছে কুঁড়ি ঘুম ভাঙ্গে- পাতাদের শোভা আসে; লালিত আবেগ মনোভাবে রোখা- বাংলার অবকাশে। বাঁধা একস্বরে বাঙালি জীবন- একাদশে রূপ গাঁথা; সতেরো রাউন্ড গুলি বর্ষণে- রঞ্জিত পথ হাঁটা। হিন্দি ভাষারই বজ্র আঘাতে- দুর্বার গতিধারা; আত্মশুদ্ধির ভালোবাসা জানে- শিলচরে আজ কারা! চেতনা সাগর ভাব সমাহিত- দুর্বার পদগতি; বাংলা ভাষার ব্যবহারে আসে- অক্ষয় ধারা জ্যোতি। **************************************** পাপাই অধিকারী (পদ্মনাভ) পরিচিতিঃ প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক:- উত্তরণ ও সংস্কৃতি (সাংস্কৃতিক সমন্বয় কেন্দ্র) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রশিক্ষক:- শিক্ষা সংস্কৃতি পরিষদ আহ্বায়ক:- কবিতা উৎসব যুগ্ম সম্পাদিত বই :- "মানসপটে মীনা রায়" পেশা- পাঠদান, লিপি লে...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!