Shadow

Author: Kulayefera

কাব্যময়ী – প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

কাব্যময়ী – প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

কবিতা, বসন্ত সংখ্যা
কাব্যময়ী প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়   দিগন্ত উন্মুক্ত, উন্মোচিত, যেন স্থিত বনস্পতিরাজি। সাগর তরঙ্গসম চিন্তন হিল্লোল প্রশান্ত হইল আজি। সাজিল কুসুমে মন, চিত্রার্পিত, আকিঞ্চিত, নির্বাক, অর্দ্ধ-হতচেতন হেন, মূর্ত হইল এবে বিমূর্তের ডাক। যদিবা আসিল, সুপ্ত চেতনাসমষ্টি  হইল জাগ্রত, যথা প্রত্যাখ্যাত, ক্ষতবিক্ষত, প্রেমিকের ব্রত। অবক্ষেপ প্রকটিত চেতনার সুস্পষ্ট ইঙ্গিতে । হউক সঞ্চয়, যথা ললিত নৃত্য, কাব্য তথা সঙ্গীতে স্পন্দিত, ছন্দিত, বন্দিত আপনার হৃত জাগতিক। যেন কলকাকলিকূজিত বিহগ সঙ্গীত তাহারই প্রতীক। তব অজর প্রণয় হৃদয়বিদারী আজি সঞ্চারিগামিনী। ক্ষণে ক্ষণে প্রলম্বিত তব আবিলতা হে রাজেন্দ্রনন্দিনী। আজি অন্তরা উপেক্ষিত, দলিত, মথিত, হে বীক্ষিত নারী। সুদীর্ঘ তিতিক্ষার অবসানে সিঞ্চিল মহা শান্তিবারি এ হৃদি কন্দরে। আজি সজ্জিত কুসুমিত তাই। অনন্তের প্রতীক্ষা যবে সমাপিবে, মিলিব তথায় অন্তি...
সা র প্রা ই জ – প্রত্যুষ সেনগুপ্ত

সা র প্রা ই জ – প্রত্যুষ সেনগুপ্ত

গল্প, বসন্ত সংখ্যা
সা র প্রা ই জ প্রত্যুষ সেনগুপ্ত -আরে? আপনি কে? আপনি আমার প্রোফাইলে ঢুকলেন কীভাবে? চমকে গেলাম।আজ রবিবার।অফিস নেই।রুমমেট একসপ্তাহের জন্য ছুটিতে। বাড়ি গেছে।গতকাল পর্যন্ত বেশ চাপ ছিলো কাজের।আজ শুধু কুঁড়েমি করব।গাড়িটা সার্ভিসিং য়ে গেছে।সকালে দুবার কফি একবার চা হয়েছে।ব্রেকফাস্ট সারা।রান্না করে চলে গেছে যমুনামাসী। ল্যাপটপ খুলে এদিক সেদিকের পর ফেসবুক খুলতেই এমন ঝাঁঝালো সওয়াল।বেগতিক দেখে আঙুলগুলোও যেন তোতলাতে থাকে।আমি লিখলাম -মানে আমিতো কিছুই করিনি।ফ্রেন্ড  রিকোয়েস্ট লিস্ট দেখতে গিয়ে কয়েকটা নামে ক্লিক করেছিলাম কাল রাতে।আপনার নামে করেছি কি না সেটা মনে করতে পারছি না। -কিন্ত আমি কখনোই আপনার কাছে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাইনি তো? বুঝতে পারলাম কোথাও একটা মারাত্মক ভুল হয়েছে।আমি মহিলাদের থেকে একটু দূরে দূরে থাকতেই ভালোবাসি।আমি কিন্ত হিপোক্রিট নই।স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটিতে কো এড্। চাকরিতে ও অনেক মহিলা ...
আম্মোর রুটি – বিদ্যুৎ পাল

আম্মোর রুটি – বিদ্যুৎ পাল

গল্প, বসন্ত সংখ্যা
  আম্মোর রুটি বিদ্যুৎ পাল গরমের রাত। ছোট্টো বারান্দার কোণে বসে রুটি তৈরি করছে মা। অন্ধকারে উনুনের লাল আলোয় ম্লান দেখাচ্ছে মায়ের মুখটা। এমন মুখ আম্মোর ভালো লাগে না। ও চায়, মা এই ঘরে, যেখানে ও বইখাতা ছড়িয়ে বসে আছে, এখানে, আলোর কাছাকাছি বসে রুটি করুক। ও মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে মাকে অনেক কথা বলবে। আজ বিকেলে কার সঙ্গে ভাব হয়েছে, কার সঙ্গে আড়ি হয়েছে, কার বাড়িতে ইয়া মোটা একজন লোক এসেছে, বলবে। অনেক কথা জিজ্ঞেস করবে। বাবা কখন আসবে, কাকু কখন আসবে, কাকুর বন্ধুরা আসবে কিনা। আম্মো বইখাতা ফেলে রেখে উঠে গেল মায়ের কাছে। পাশে এসে বসে পড়া আম্মোর দিকে একবার তাকাল মা। তারপর আবার উনুনের দিকে নজর দিল। তাওয়া নামিয়ে রুটিটা চিমটে দিয়ে ধরে উনুনের ওপর রাখল। গোল হয়ে ফুলে উঠল রুটিটা, পাশের বাড়ির বাবুয়ার চোখের মত – ভালুক দেখে যেমন গোল হয়ে উঠেছিল সেদিন। রুটিটা এক জায়গায় ফুটো হয়ে ভুস ভুস করে ভাপ বেরুল। উনুনে...
বিজনেস – কলমে:- অঙ্কন দন্ড

বিজনেস – কলমে:- অঙ্কন দন্ড

কবিতা, বসন্ত সংখ্যা
“বিজনেস” কলমে:- অঙ্কন দন্ড শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা! এর ব্যবসা ভালো। শিক্ষক তো বিজনেসম্যান, জ্ঞান এল ই ডি জ্বালো। টাকা কড়ি,পড়াশুনা কে বলো তো আগে? না ঝরালে অর্থ থোড়াই জ্ঞানের আলো জাগে? ম্যানেজাররা কোম্পানিতে আনেন নতুন প্ল্যান, শিক্ষা বেচে লাখপতি হয় কত বিজনেস ম্যান। সেফ গেম তারা ভালোই খেলে, স্টুডেন্ট তুই বোকা! বন্দুক তো তোদের ঘাড়েই বুঝলে কিছু খোকা? অযাচিত মেসেজ কেন? কেন কনসেন্ট লেটার? বাঁচিয়ে চল বাপ নিজের পিঠ ইট ইজ ফার বেটার। স্টুডেন্ট সবাই বুঝবে যবে ব্যবসায়ীদের কান্ড, শিক্ষা থাকবে,কেবল হবে ব্যবসা লণ্ডভণ্ড। *********************************** অঙ্কন দণ্ড পরিচিতিঃ জন্ম ২০০৩ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারী। বাসস্থান পুরুলিয়া জেলার আদ্রায়। মাতার নাম বনশ্রী দণ্ড,পিতার নাম স্নেহাশিস দণ্ড। অঙ্কনের লেখালেখির পথ চলা কবিতা দিয়ে। আনন্দবাজার পত্রিকার জেলার পাতা "ছোটদের পাতা" শী...
খড়কুটো – জলি চক্রবর্তী শীল (সুধীর কুমার দত্ত স্মৃতি সাহিত্য প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার প্রাপ্ত গল্প)

খড়কুটো – জলি চক্রবর্তী শীল (সুধীর কুমার দত্ত স্মৃতি সাহিত্য প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার প্রাপ্ত গল্প)

গল্প, বসন্ত সংখ্যা
খড়কুটো জলি চক্রবর্তী শীল “পুরুষ কাঁদে” অন্তরে আমাদের মত তোমরা তো কাঁদতে পার না‚ তাই ভেতরে ভেতরে গুমরে মর| প্লীজ মহী সামলে ওঠ|  ' কথাগুলো বলতে বলতে চোখভরা জল উপচে পড়ে| 'আমি ঠিক আছি'| 'না ঠিক নেই তুমি‚ ঠিক নেই| নিজের চেহারাটা আয়নায় দেখেছ? দেড়দিনে কি হাল হয়েছে| এই পরিণতিটা তো তুমি-আমি জানতাম| তবু দুজনের তৃষিত হৃদয়কে বোঝাতে পারিনি সেদিন|' 'তোমার চেহারাটা আয়নায় দেখেছ?' 'আমি ‚ আমি সামলে নেব মহী| আমি ঠিক সামলে নেব| দেখবে একটা সময় চোখের জল শুকিয়ে গেছে| কিন্তু আমার চিন্তা আমাকে নিয়ে নয়‚ তোমাকে নিয়ে'| 'আমি সামলে নিয়েছি'| কথাগুলো যেন মহীরূহকেই ব্যঙ্গ করে| 'সামলে নেওয়া কি এতই সহজ মহী?  হৃদয়ের উত্তাপ দিয়ে এতগুলো বছর ধরে যাকে আগলে আগলে রাখলাম‚ যার সুখ কিসে‚ দুঃখ কিসে‚ ভালো লাগা কিসে এতটাই জানি আমরা দুজনে‚  তার শোক  এত সহজে সামলে ওঠা যায় না| তবু সামলে উঠতে তো হবেই| আমার তো তুমি ছাড়া আর কেউ নেই মহ...
ঘুমন্ত পৃথিবী ঘর গাছ – দীপন মিত্র

ঘুমন্ত পৃথিবী ঘর গাছ – দীপন মিত্র

কবিতা, বসন্ত সংখ্যা
ঘুমন্ত পৃথিবী ঘর গাছ দীপন মিত্র রাতের আকাশ থেকে আমি আর ফিরব না আমি আর ফিরব না শৈশবের ঘর থেকে অলিগলি রাস্তা ঘাট সে শহর, ছাড়ে না আমায় প্রতিটা পথের গন্ধ আমার নিঃশ্বাসে বাস করে আমি আর ফিরবনা সে শহর থেকে কী ধূসর, শহরের পুবদিকে শেষ প্রান্ত ক্ষয়ে গেছে রেল গুমটি, প্ল্যাটফর্ম! যে পথ যতটা গেছে আরো যাবে, যাক অতীতের থেকে ফেরা যায় না কখনো ফাল্গুনের দ্বিপ্রহরে হঠাৎ ঝড়ের বেগে পাতারা আকাশ ছেয়ে ফেলে শিরীষ বৃক্ষের নীচে দাঁড়িও তখন…. ফিরব না বছর দশক যুগ ধরে আমি এক পাথরের মতো একটি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি আমি আর ফিরব না, ফিরব না আর *****************************************      ...
ফাগের অলি – পাপাই অধিকারী (পদ্মনাভ)

ফাগের অলি – পাপাই অধিকারী (পদ্মনাভ)

কবিতা, বসন্ত সংখ্যা
ফাগের অলি  পাপাই অধিকারী (পদ্মনাভ) রঙ পলাশী আদর কাড়া - দৃষ্টি সুখের মনপাখিরা ; দে ছড়িয়ে মনের আবির - ঋতুর ঘরে সৃষ্টিধারা ! ফাগুন আসুক অন্তরালে - মন বিবাগীর কথার বনে ; নীরব ডালে সজীবতা - সুবাস ছুঁয়ে অন্যমনে । বাহার শোভা আলোর ঝিলিক  - স্নিগ্ধ ধারায় আপন দোলা ; আয় দোদুলের শান্তিবারি - আজ রেখেছি দরজা খোলা ! পাহাড় সাজে আপন ঢঙে - রূপ রসে তার প্রফুল্লতা ; ওই মাঠেতে খুশির হাওয়া - মন চাদরে নবীন কথা ।। ********************************* পাপাই অধিকারী (পদ্মনাভ) পরিচিতিঃ প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক:- উত্তরণ ও সংস্কৃতি (সাংস্কৃতিক সমন্বয় কেন্দ্র) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রশিক্ষক:- শিক্ষা সংস্কৃতি পরিষদ আহ্বায়ক:- কবিতা উৎসব যুগ্ম সম্পাদিত বই :- "মানসপটে মীনা রায়" পেশা- পাঠদান, লিপি লেখক (Script writer), সঞ্চালক, কারু ও চিত্র ও শ্রুতিনাটক শিল্পী,  পাঠক। আগ্রহ - কবিতা ,গল্প ,গান...
রক্তদান – কবিরুল (রঞ্জিত মল্লিক)

রক্তদান – কবিরুল (রঞ্জিত মল্লিক)

গল্প, বসন্ত সংখ্যা
রক্তদান কবিরুল (রঞ্জিত মল্লিক) "আজ ঝুমরি পড়তে আসেনি কেন রে ? সামনেই তো পরীক্ষা।" "স্যার,আজ কাল দুদিন ও আসবে না বলেছে। শহরে যাবে। রেল লাইনের একটু পরেই বিশাল বড় চৌধুরী বাড়ি। ওখানে রক্তদান হবে।  আর বেশ কিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আছে। দুদিন ধরে চলবে নানা ধরনের প্রতিযোগিতা। ও ওখানে অংশগ্রহণ করবে। তাই ....." বর্ণিল একটু ভেবে ভেবে বলল। "ও ভুলেই গিয়েছিলাম। আজ তো পনেরোই আগষ্ট।" স্টেশনের পাশ দিয়ে যে লাল মোরামের রাস্তা চলে গেছে সেখান থেকে মিনিট পনেরো কুড়ি হাঁটলেই জোড়া দীঘি পড়ে। সেই দীঘির পাশেই বহুদিনের ঐতিহ্যশালী চৌধুরী বাড়ি। এই বাড়ির অতীত গরিমা আজও মানুষকে প্রভাবিত করে। দীঘির ঐ পাড়ে একটা দুটো মাঠ পেরোলেই যে কাঁচা পাকা ঘরগুলো চোখে পড়ে সেখানে বহু মানুষের বাস। ওখান থেকে দিনে পাঁচ বার নামাজের শব্দ আসে। ছেলেদের মাথায় অনেকের ফেজ টুপি। মেয়েদের মুখে কারো কারো বোরখা। ঈদের দিনে গান ভেসে আসে। একটা সময় যেক...
শ্রুতি – ডাঃ সুচন্দ্রা মিত্র চৌধুরী

শ্রুতি – ডাঃ সুচন্দ্রা মিত্র চৌধুরী

গল্প, বসন্ত সংখ্যা
শ্রুতি ডাঃ সুচন্দ্রা মিত্র চৌধুরী সুশোভন বসু ভয়ানক সময়নিষ্ঠ।আর হবেনই বা না কেন? ছোটবেলায় পড়াশোনা করেছেন দুন স্কুলে। যখন বয়স মাত্র ছয়, তখন এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মা মারা যান। মাকে ঠিক করে মনেই করতে পারেন না। কলকাতার একটা ইংরেজী মিডিয়াম স্কুলে ক্লাস ফোর পর্যন্ত পড়াশোনার পর, দুন স্কুলে ক্লাস ফাইভে ভর্তি হন। সেখানে থেকেই  টুয়েলভ পাশ ,এরপর সেন্ট জেভিয়ার্স থেকে ইংলিশ অনার্স করে চলে যান বিদেশে, সেখানে এম বি এ  করে দেশে ফিরে একটি এম এন সি তে যোগ দেন , এখন এই অর্গানাইজেশনেরই সি-ই-ও। জেভিয়ার্সে পড়ার সময়,শ্রীতমার সঙ্গে আলাপ এবং সম্পর্ক। শ্রীতমার,সুশোভনের বাড়িতেও যাতায়াত ছিল।বাবা,পঙ্কজ বসু,সব সময় ছেলেকে সাপোর্ট দিয়ে গেছেন। উনি বুঝতে পারতেন, ওর একটা দিক সবসময়ই কম, মা নেই। কিন্তু সুশোভন কিছুই কাউকে বুঝতে দেন না। ওর খুব আবছা মনে পরে, বাবা ছোটবেলায় বকলে ও যখন কাঁদতে কাঁদতে মা এর কাছে দৌড়ে...
বইমেলা ও গঙ্গাফড়িং – শচীদুলাল চট্টোপাধ্যায়

বইমেলা ও গঙ্গাফড়িং – শচীদুলাল চট্টোপাধ্যায়

কবিতা, বসন্ত সংখ্যা
বইমেলা                                                                        শচীদুলাল চট্টোপাধ্যায়                    বইমেলাতে বই খুঁজি না চপকাটলেট আবার কি এধার ওধার ঘুরছি সবাই দুই ঠোঁটেতেই হা হা হি। মাথায় ধুলো জামায় ধুলো ধুলোয় বৃন্দাবন ঢুকছে নাকে ধুলোয় ধুলো নাচছে তবু মন। হঠাৎ যদি বন্ধু মেলে জোরসে তাকে চেঁচিয়ে বলি কেমন আছিস ওরে সময় কাটে মেলার মাঠে সন্ধ্যা নামে ঝুপ বাড়ির পথে যে যার মতে নেই কথা নেই চুপ।। __________________   গঙ্গাফড়িং ঘাসের মাথায় গঙ্গাফড়িং তার মাথাতে হিম গঙ্গাফড়িং গঙ্গাফড়িং তুই কী পাড়িস ডিম? লাফাস ঝাঁপাস দ্বিগুণ হাঁফাস সুড়সুড়ি দিস ঘাড়ে এবার আমি বাঁধব তোকে কেই বা তোকে ছাড়ে? দুষ্টুমিটা দে ছেড়ে দে হাতটা বোলাই গায়ে চোখটি বুজে নাড়বি মাথা সবুজ বনের ছায়ে।। *********************************** শচীদুলাল চট্টোপাধ্যায় পরিচিতিঃ মানকুন্ডু স্...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!