Shadow

Author: Kulayefera

নীরব কোলাহলে – সুলগ্না চক্রবর্তী (সুধীর কুমার দত্ত স্মৃতি সাহিত্য প্রতিযোগিতায় তৃতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত গল্প)

নীরব কোলাহলে – সুলগ্না চক্রবর্তী (সুধীর কুমার দত্ত স্মৃতি সাহিত্য প্রতিযোগিতায় তৃতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত গল্প)

গল্প, বসন্ত সংখ্যা
নীরব কোলাহলে  সুলগ্না চক্রবর্তী গভীর রাত। গোটা শহর ঘুমের অতলে তলিয়ে গেছে। শুধু তঁলেরু বসে আছে সদ্য তৈরী করা প্রাসাদের মতো বাড়ীর বারান্দার চেয়ারে। চরাচর ভেসে যাচ্ছে পূর্ণিমার আলোতে, সামনে বয়ে চলা গঙ্গাতে ভেসে যাচ্ছে চাঁদ খণ্ড খণ্ড হয়ে,আর তঁলেরুর দুই চোখ ভেসে যাচ্ছে জলে। ফ্রান্স থেকে যে চিঠি দুটো এসেছে সেগুলো পাশের ছোট্ট টেবিলটাতে রাখা। তঁলেরুর বাবা জানিয়েছে তার মতো ছেলের বাবা হওয়ার জন্য সে লজ্জিত। প্রেমিকা সিলভিয়া জানিয়েছে এই তাঁর শেষ চিঠি তঁলেরুকে। সে,ফ্রান্সের ব্রিটন অঞ্চলের লজ্জা নয়, গোটা ফরাসী সাম্রাজ্যের লজ্জা। তার জন্যই ব্রিটিশদের কাছে সাঁদেরনগর হারাতে হলো তাদের। কি এমন হয়েছিলো যে তঁলেরু আজ শেষ হয়ে গেলো? সাঁদেরনগর মানে চন্দননগর দখল করা প্রায় দুষ্কর ছিলো রবার্ট ক্লাইভের পক্ষে। অথচ চন্দননগর দখল না করলে কোম্পানীর বাংলার নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে হারানো প্রায় অসম্ভব ছিলো। নবাবে...
যমালয়ে জীবন্ত মানুষ – পরাগ ভূষণ ঘোষ

যমালয়ে জীবন্ত মানুষ – পরাগ ভূষণ ঘোষ

গল্প, বসন্ত সংখ্যা
যমালয়ে জীবন্ত মানুষ  পরাগ ভূষণ ঘোষ যুদ্ধ না বলে মহাযুদ্ধ বলাই সঠিক। ছত্রিশ বছর হলো এই মহাযুদ্ধ অতিক্রান্ত। আত্মীয় পরিজন,বন্ধুবান্ধব অনেকেই আজ আর নেই। সমরক্ষেত্রেই প্রাণ গিয়েছে। যুদ্ধ প্রারম্ভে যারা ছিলেন যুবক তাঁরা আজ বৃদ্ধ হয়েছেন। শিশুরা হয়েছে যুবক। দুপক্ষের মৃত্যু মিছিলে সাম্রাজ্য আজ প্রায় জনশূন্য। হস্তিনাপুরের সিংহাসন যুধিষ্ঠির প্রায় প্রৌঢ়ত্বে এসে লাভ করেছিলেন। এখন তার ভ্রাতারা ও দ্রৌপদীও বার্ধক্যে পদার্পণ করেছেন। ইতিমধ্যে যদুবংশ ধ্বংস হয়েছে মুসল নামক এক অভিশাপের কারণে। এ প্রসঙ্গে  দুটি প্রাসঙ্গিক কথা উল্লেখ করতে হচ্ছে। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পরে দ্বারকায় যাদব বংশীয়দের মধ্যে চরম অরাজকতা সৃষ্টি হয়। দুর্নীতি,বিদ্বেষ চারদিকে ঘিরে ধরে। এই সময়ে কৃষ্ণ বলরামের গৃহে কিছু মুনি ঋষির আগমন ঘটে। অরাজকতা কাটিয়ে শান্তি,সততার বীজ প্রতিষ্ঠা করার মূল লক্ষ্য নিয়ে। বলরামের পুত্র সারণ ও আরও কয়েকজন সমবয়সী যা...
মিঠে রোদ – বনানী ভট্টাচার্য 

মিঠে রোদ – বনানী ভট্টাচার্য 

কবিতা, বসন্ত সংখ্যা
মিঠে রোদ   বনানী ভট্টাচার্য  আকাশকুসুম ভাবনা থেকে রোদের জন্ম হোক মিঠে ছোঁয়ায় সকালবিকেল সুখী দুটি চোখ বর্ণহীন এক দিগন্তে সে টানুক রঙের তুলি আমলকী বাগানেও তখন রোদের কোলাকুলি বিচ্ছেদ না, তবুও কোথাও মনের দরজা বন্ধ তারপরেও গোলকধাঁধা, হৃদয়পোড়া গন্ধ! আরও আছে, অভিমানের রঙিন গুঞ্জরণ অপেক্ষা, আর অপেক্ষারই ব্যথার সাতকাহন নীলের সাথে সবুজ মেশার ইশারা আকাশময় ভালো না লাগা ভুলে যদি রোদের জন্ম হয়।। *****************************************    ...
চরৈবেতি – কঙ্কণা সেন

চরৈবেতি – কঙ্কণা সেন

কবিতা, বসন্ত সংখ্যা
চরৈবেতি কঙ্কণা সেন জীবন চলে গড়গড়িয়ে কখনো ডানে কখনো বাঁয়ে কখনো রোদে কখনো ছায়ে কখনো নদীর কলতানে কখনো দ্রুত ছন্দেলয়ে আবার হঠাৎ বিলম্বিতে। জীবন চলে হনহনিয়ে বৃষ্টিফোঁটায় জীবন বাঁচে জলে-ঝড়ে মানুষ কাঁদে জীবন-নদী কভু না থামে মেঘমল্লার মন্দ্রস্বরে বেজেই চলে। ভোরের আজান,মন্ত্রপাঠে উজ্জীবিত হওয়ার সাথে এগিয়ে চলি ভৈরবীতে ভীমপলশ্রী ডাকছে কাছে ইমন বুঝি অপেক্ষাতে--- পূরবীর করুণসুরে গোধূলি বুঝি বিরহ মলিন জীবন-বীণা ওই যে বাজে----- সূর্য দ্যাখো অস্তগামী চলার পথে একলা আমি "কে বলে তুই সঙ্গীহীন! জানিস না রবি অস্তহীন"? রবির আলো মাখব গায়ে মনের কালো করব দূর আর ভয় নাই-------মাভৈঃ মাভৈঃ ডাক পেয়েছি মনের মাঝে একলা চলার ডাক যে ভাই।। ************************************ কঙ্কনা সেন পরিচিতি রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এম এ। ছোট থেকেই কবিতার প্রতি ভালোবাসা।...
অন্ধকারের যাত্রী -অনুপম মাহাতো

অন্ধকারের যাত্রী -অনুপম মাহাতো

কবিতা, বসন্ত সংখ্যা
অন্ধকারের যাত্রী অনুপম মাহাতো অন্ধকারের যাত্রী.... ক্লান্ত হওয়া পথের বাঁকে তোমার বাড়ি, অনন্ত পথের রসদ আমার স্বপ্ন দেখা নিঝুম রাত্রি; তোমায় আড়ি! চোখ ভারি হওয়ার ব্যামো, পিছুটানের বদভ্যাস এবেলা ছাড়ি; অগোছালো গল্পগুলো জড়িয়ে হঠাৎ কোনোদিন স্বপ্ন হয়ে নেমো; থামবে ঘড়ি; খালি পায়ে কাঁকর চোবানো শব্দে বন্ধ চোখে আলতো হেসে সুখের যত দুখের সাথে আড়ি। আবার কোনো শীতের শেষের রাত্রি, আসি বন্ধু,.... অন্ধকারের যাত্রী.... **************************************  ...
সুধীর কুমার দত্ত স্মৃতি সাহিত্য প্রতিযোগিতা – বিজয়ীদের নাম ঘোষণা

সুধীর কুমার দত্ত স্মৃতি সাহিত্য প্রতিযোগিতা – বিজয়ীদের নাম ঘোষণা

সাম্প্রতিক
"সুধীর কুমার দত্ত স্মৃতি সাহিত্য প্রতিযোগিতা" র আহ্বানে সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাহিত্যিকদের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদানে আমরা অভিভূত ৷ তাঁদের প্রত্যেককে আমাদের পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। চারজন বিদগ্ধ বিচারকদের বিচারে প্রথম তিনজন বিজয়ীদের নাম ঘোষিত হলো ৷ তাঁদের জন্য রইলো হার্দিক অভিনন্দন ও শুভকামনা ৷ যথাসময়ে তাঁদের পুরস্কার প্রদান করা হবে এবং আগামী বসন্ত সংখ্যায় তাঁদের গল্প প্রকাশিত হবে ৷ জলি চক্রবর্তী শীল পরিচিতিঃ পেশাগতভাবে একজন কম্পিউটার অপারেটর একটি  সওদাগরী আপিসে। নেশা বই পড়া এবং কিছু লিখতে চেষ্টা করা। জলির লিখতে ভালো লাগে সেইসব প্রান্তিক মানুষদের নিয়ে, জীবন যাদের কাছে প্রাত্যহিক লড়াইয়ের নাম। এক টুকরো রুটি বা এক থালা ভাতের কদর যেখানে সবচেয়ে বেশি সেইসব মানুষদের সুখ-দুঃখ-বেদনা-ভালোবাসার দৈনন্দিন গাঁথাই জলির লেখার উপজীব্য। মনি ফকির পরিচিতিঃ মণি ফকিরের জন্ম শিল্পনগরী বার্ণপু...
সতীপীঠ কিরীটেশ্বরী – প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

সতীপীঠ কিরীটেশ্বরী – প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

আলোকপাত, কাশবন ২
  সতীপীঠ কিরীটেশ্বরী প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বৃষ্টির শব্দ, কড়কড় করে বাজের আওয়াজ, হ্যারিকেনের আলোয় এক গা ছমছম পরিবেশে দিদিমার কোলের ভেতর আরও একটু ঢুকতে পারলে মনে হয় ভালো হতো, এমন অবস্থায় দিদিমার মুখে অনেক অনেক গল্প শুনেছি তাঁর জীবনের। তার মধ্যে ঘুরেফিরে যে কথাগুলো বারেবারে এসেছে, তা হলো পুঠিয়া রাজবাড়ির কথা। রাজসাহী জেলার নাটোর মহাসড়কে অবস্থিত পুঠিয়া রাজবাড়ীর পাঁচআনা তরফের অন্যতম অংশীদার হিসেবে দিদিমার মুখে সেই সময়ের কথা শোনা খুব মনোগ্রাহী বিষয় ছিল। দিদিমার কাছেই শুনেছি বাণগাছির জমিদার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় রঘুনন্দন তাঁর ভাই রামজীবনের নামে জমিদারি পত্তন করেন। শুরু হয় নাটোর রাজবংশের ইতিহাস। রঘুনন্দন ও রামজীবন যখন ভাতঝাড়ার বিলে নাটোরের রাজপ্রাসাদ তৈরি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, তখন যে স্থান তাঁরা প্রাসাদের জন্য নির্বাচিত করেন, তা ছিল পুঠিয়া রাজবাড়ীর সম্পত্তি। পুঠিয়ার তদানীন্তন রাজা দ...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!