Shadow

Author: Kulayefera

পপামাসীর গোয়েন্দাগিরিঃ- দ্বিতীয় অভিযান – প্র ত্যু ষ   সে ন গু প্ত

পপামাসীর গোয়েন্দাগিরিঃ- দ্বিতীয় অভিযান – প্র ত্যু ষ   সে ন গু প্ত

কাশবন ২, ধারাবাহিক
পপামাসীর গোয়েন্দাগিরিঃ- দ্বিতীয় অভিযান যখন পিঁপড়ে পথ দেখায় প্র ত্যু ষ   সে ন গু প্ত ।। এক।। দোর্জে শব্দের অর্থ জানিস? সকাল বেলায় পপামাসী ল্যাপটপে চোখ রেখে আমাকে প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিল।আমি আড়চোখে দেখলাম ওর মেক মাই ট্রিপের ফ্লাইট পেজ খোলা! পপা মাসী কোনও জায়গায় ঘুরতে যাবার আগে সেখানকার ইতিহাস ভূগোল সব নিয়ে পড়াশোনা করে নেয়! এবার বুঝলাম মাসী কোথাও যাওয়ার প্ল্যান করছে। ছুটি জমে আছে,না নিলে নষ্ট হয়ে যাবে বলে বলছিলো। এদিকে আমারও পরীক্ষা শেষ। “তুমি কোথায় যাবার প্ল্যান করছ মাসী? আমাকে নেবে তো”? মাসী বললো,“ আমার প্রশ্নের উত্তর কই”? "দর্জি মানে তো টেলর মাস্টার। জামা কাপড় তৈরি করেন”। -দর্জি নয়,দোর্জে। অর্থ বলতে পারলে তোকে সঙ্গে নেব! আমি বললাম,আমি জানি তুমি আমাকে নেবেই। নেটে তুমি ফ্লাইটের টিকিট কাটছিলে তাতে আমার নামও দেখেছি! বলে দাওনা উত্তর টা? -পাকামো হচ্ছে? শোন,এটি একটি তিব্বতি শব্দ। বজ্রদন্ডকে ...
মূল্যায়ন – তপন চন্দ 

মূল্যায়ন – তপন চন্দ 

কাশবন ২, গল্প
মূল্যায়ন  তপন চন্দ  নীলেন্দু আমার পাড়াতুতো ভাই, শান্ত স্বভাবের নম্র। মাঝারি গড়ন, চেহারার মধ্যে কোন চটক না থাকলেও, মোটের ওপর ভালোই দেখতে শুনতে। ভালো চাকরিও করে শুনেছি। আমার ওকে আর একটা কারণে ভালো লাগে, ওর অসাধারণ গানের গলার জন্য। গানটা ছেলেদের প্রেম করার ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে রাখে। কিন্তু প্রেম তো দূরে থাক বিয়েটাই করে উঠতে পারল না এখনও। নাই নাই করে বয়স ছুঁই ছুঁই চল্লিশ। এখনকার দিনে যদিও চল্লিশ তেমন কোন বয়স নয়, মেয়েরাই ফাইনাল ডিসিশন নিতে তিরিশে এসে পৌঁছয়। তবে পাড়ার মহিলা মহলে নীলেন্দু বেশ পপুলার। ওকে পেলেই সবাই এক সঙ্গে বিয়ে নিয়ে চেপে ধরে। উদ্দেশ্য একটাই, দু-একদিন সেজে গুজে গুছিয়ে আড্ডা। সেদিন রাতে দোকান থেকে রুটি নিয়ে ফিরছিল, জিজ্ঞেস করায় বলল- -- মাম্মি বাপী দাদার কাছে মুম্বাই গেছেন। আমি বললাম, -- আর কতদিন মা'কে জ্বালাবে, এবার সিরিয়াসলি ভাবো। পাড়ার সরস্বতী পূজো। পূজো শেষে দুপুরে খিচ...
সম্পর্ক – দিলীপ সাঁতরা

সম্পর্ক – দিলীপ সাঁতরা

কবিতা, কাশবন ২
সম্পর্ক  দিলীপ সাঁতরা আমাদের সম্পর্ক গুলো হোক মধুরময় আরও নিবিড় হোক সম্পর্ক ভালোবাসা ময় করোনা যতদিনই দূরত্বে রাখুক তবু বন্ধন সকলের সুন্দরতম থাকুক।  নিজস্ব সীমানার বাইরের মানুষকে চেনা পরিধিতে আনি নিজেরাই সকলকে দেখা না হয় যদি আরও কিছু দিন ফোনে আলাপ করে মনে করি অতীতের দিন।  সম্পর্ক গড়ে ওঠে মানুষের আত্মীয়তায় শুধু নেওয়া দেওয়ার জন্য সম্পর্ক তো নয় বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ভালোবাসায় দেওয়ার থাকলে দিও-পাওয়ার আশায় নয়।  অতীতের ফেলে আসা দিনের বন্ধুকে মনে পড়লে কথা বলবে নিশ্চয়ই ফোন নম্বর পাওয়া গেলে দেখো কথা বললেই হয়তো দূরত্ব ঘুচে যাবে স্মৃতি রোমন্থনে নিজেরই তখন ভালো লাগবে।  তাই সম্পর্ক গুলো আবার ঝাঁকানো যাক নিজস্ব সীমানার একাকিত্ব ঘোচানো যাক জানি শেষের দিনে সে জন কেউ রবে না আপন তবু বন্ধুও যে আপন হয় সম্পর্ক রাখবে যেমন। **************************************************...
বুদ্ধদেব গুহঃ একটি বর্ণময় জীবনের কথা (১৯৩৬-২০২১) – প্র ত্যু ষ সে ন গু প্ত

বুদ্ধদেব গুহঃ একটি বর্ণময় জীবনের কথা (১৯৩৬-২০২১) – প্র ত্যু ষ সে ন গু প্ত

হে মহাজীবন
বুদ্ধদেব গুহঃ একটি বর্ণময় জীবনের কথা (১৯৩৬-২০২১) প্র ত্যু ষ সে ন গু প্ত উল্ ঝি সুল্ ঝি রহনে দেও কিঁউ শর পর আফৎ লাতি হো ? দিল্ কা ধড়কন বাহ্ড়তি হ্যায় ... যব বালোঁ কো সুল্ ঝাতি হো"..... তুমি উসকোখুসকো ই থেকো। সেজেগুজে,পরিপটি চুলে আমার মাথায় নতুন বিপদ ডেকে এনো না। তুমি কি জানো না,তুমি সুন্দর করে সাজলে আমার বুকের ধুকপুকুনি টা বেড়ে যায়? এই হলেন বুদ্ধদেব গুহ। চির রোমান্টিক, চির প্রেমিক। হলুদ বসন্ত উপন্যাসে সুসজ্জিতা নয়নাকে দেখে ঋজুর মনে এই শায়েরীটাই যে মনে হলো। ওঁর চোখে দীর্ঘ কেশরাশি কে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতন মনে হতো। বাতিঘরের সেই দক্ষিণী তরুণী উপম্মা,অথবা বাতিঘরের তলে ইঞ্জীনিয়ার জয় চ্যাটার্জির অনুভবে তামিল তরুণীর স্পর্শ নিয়ে রোমশ কাঠবিড়ালির তুলনা? অসাধারণ। কলেজ জীবনে ওঁর লেখায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছি কতবার!চির প্রেমিক, অসাধারণ টপ্পা গায়ক,অঙ্কণ শিল্পী, স্বর্ণকলমের লেখক, শিকারী, বন্ধু ...
দেশমাতা – প্র ত্যু ষ সে ন গু প্ত

দেশমাতা – প্র ত্যু ষ সে ন গু প্ত

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সপ্তাহ
দেশমাতা প্র ত্যু ষ সে ন গু প্ত মাথায় ভরা উকুন শনের দড়ির মতন চুলে খড়ি ওঠা সরু সরু হাত দুটি লিকলিকে সতর্ক তার দু'পা আধেক ডুবে দিঘির জলে চক্ষু দুটি নিবদ্ধ ওই শাপলা ফুলের দিকে। কাল দিনমান অভূক্ত সে রাত নিয়েছে ক্ষুধা কালই কেন,জীবনজুড়ে এমনই তার রাতে বুভুক্ষা, বা পশু এসে শোষে দেহের সুধা, শরীরটা হয় ছিন্নভিন্ন জানোয়ারের দাঁতে। এইদুপুরে আকাশকোণ আলোয় আছে মেতে দিঘির পাড়ে ন্যাংটো শিশু পা নাচিয়ে খেলে শালুককুঁড়ি দিদির হাতে দেখেই আনন্দেতে আজকে যদি একটুখানি খাবার কিছু মেলে। গাল দুখানি কোটরগত পিঁচুটি তিন চোখে শুকনো ঠোঁট,চোখের নীচে জলের ওড়াউড়ি হেঁটমস্তক যৌবন মুখ লুকায় নোংরা নোখে দেশমাতা দুর্গা যেন আঠারোতেই বুড়ি।। ************************************************** প্র ত্যু ষ সে ন গু প্ত পরিচিতিঃ সরকারী বেসরকারী মিলিয়ে নানা রকম চাকরী করে এখন বেলাশেষে কলম ধরেছেন। প্রথম চাকরী এক ওষুধ কোম্পানী...

সম্পাদকীয় – দেবদত্ত বিশ্বাস

প্রথম বর্ষপূর্তি
সম্পাদকীয় দেবদত্ত বিশ্বাস বর্ষপূর্তি উদযাপনের এই পুণ্য মুহূর্তে কুলায় ফেরা Webzine-এর পক্ষ থেকে সকল স্তরের লেখক,পাঠক, শুভানুধ্যায়ী কে জানাই সম্পাদকের হার্দিক শুভেচ্ছা। একটা বছর সময়টা খুব একটা কম নয়।তবুও নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়েও 'কুলায় ফেরা' কিন্তু  থেমে থাকেনি। প্রকাশ করেছে শারদীয়া সংখ্যা 'কাশবন' বাংলা নববর্ষ সংখ্যা 'বিহানবেলায়' এবং বর্ষপূর্তিতে  বিশেষ সংখ্যা। এছাড়াও স্বাধীনতা দিবসের,ভাষা দিবসের বিশেষ সংখ্যা। অমোঘ ঋতুচক্রের অন্যতম একটি পর্যায় হলো বর্ষাঋতু। এর অবিরাম বারি ধারায় উব্দেলিত হয়ে ওঠে কবিমন।তাই বর্ষার অনুপম সৌন্দর্যে বিমোহিত রূপকল্পনার কাব্যিক মনোজগতে কুলায় ফেরা সংযোজন করেছে তিন পর্বে "শাওন গগনে" শীর্ষক সাংস্কৃতিক এক বিচিত্রানুষ্ঠান। সৃষ্টিশীলতা  যে সীমাহীন,একথা আবার নতুন করে প্রমাণ করেছে কুলায় ফেরার বর্ষাবরণ অনুষ্ঠান "শাওন গগনে"। সম্প্রতি জুলাই মাসের তিন রবিবার,চার,এগার...
কবির বিস্মরণ? – অগ্নিমিত্র ভট্টাচার্য্য

কবির বিস্মরণ? – অগ্নিমিত্র ভট্টাচার্য্য

পাকাচুলের কলমে, প্রথম বর্ষপূর্তি
  কবির বিস্মরণ ? অগ্নিমিত্র ভট্টাচার্য্য রবীন্দ্রসঙ্গীতে নিবেদিতপ্রাণ, সঙ্গীতসাধক শ্রী শৈলজারঞ্জন মজুমদার মহাশয় তাঁর অসামান্য স্মৃতিকথা "যাত্রাপথের আনন্দগান" গ্রন্থে তাঁর জীবনে রবীন্দ্র সান্নিধ্যের বিভিন্ন ঘটনার বিবরণ লিপিবদ্ধ করেছেন। সকল ঘটনাই যদিও  বহুপঠিত,তবু বার বার ,বিশেষ বিশেষ  কিছু ঘটনার কথা পড়লে শৈলজাবাবু ও রবীন্দ্রনাথের ঘনিষ্ট ও সহজ সম্পর্কের মধুর ছবি মনে ভেসে ওঠে। সেই সব অনুপম মুহুর্তের ঘটনাবলীর  মধ্যে সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক হল শান্তিনিকেতনে ১৯৩৯ সালের বর্ষামঙ্গল অনুষ্ঠানের জন্য কবির কাছ থেকে  শৈলজাবাবুর পছন্দের ও ফরমায়েশের একাধারে পনেরটি গান সুকৌশলে আদায় করে নেবার কাহিনী!  সেই বহুপঠিত পনেরটি গান রচনার পুঙ্খানুপুঙ্খ  বর্ণনার মধ্যে না গিয়ে, আমি আজ কেবল একটি মাত্র  গান রচনার ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করবো , তার প্রেক্ষিতে আমার ব্যক্তিগত অভিমত ব্যক্ত করবো এবং পরিশেষে পাঠককুলের নিরপেক...

তিরিবাও – প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রথম বর্ষপূর্তি, লোকজীবনের বারোমাস্যা
তিরিবাও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়   তিরিবাও লিহি ফুঁইকছো, উয়ার আবাজ হচেক লাই। তিরিবাও-য়ের মিঠা টান হ মুনে যদহি বাজাই। বীরভূম জেলার রাজনগর ব্লকের এক আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম ছাতিনা। আমার যেমন এলোমেলো ভাবনা, তেমনই এলোমেলো কাজ। ২০১৮-র এক বসন্তের সকালে চললাম সেই গ্রামে। সেখানে গিয়ে কি দেখবো, কি শুনবো, কোথায় বেড়াবো, কিছুরই ঠিক ঠিকানা নেই। সাধারণত এমনটা আমি করিনা। কোথাও যাওয়ার আগে সেই জায়গার ইতিহাস, ভূগোল মায় প্রকৃতি বিজ্ঞানও পারলে ঠোঁটস্থ করে তবেই যাই। কিন্তু ছাতিনার বেলা সেসবের ধার ধারিনি। সবে ফাল্গুনের মাঝামাঝি। তাই,বিকেলের পরে হালকা কুয়াশা নেমে এসেছিল ক্ষেতের ওপর। তবুও সর্ষে ক্ষেতের মাঝ দিয়ে পথ করে এগিয়ে চললাম ধামসা আর মাদলের শব্দ লক্ষ্য করে। একমাত্র সঙ্গী, বছর চল্লিশের টোটো চালক মনোজ। সে তার টোটো নিয়ে সেই পথেই এগিয়ে চললো। তার মাথাতেও যে আমারই মতো পোকা আছে,তা তখনও বুঝিনি। খানিক যাওয়...
বাজি – ব ন্দ না  মি ত্র

বাজি – ব ন্দ না মি ত্র

গল্প, প্রথম বর্ষপূর্তি
বাজি ব ন্দ না  মি ত্র সমুদ্রের তীর থেকে একটু ভেতরে সরু জেলে ডিঙিটা ঢেউএর তালে ব্যালান্স করছিল বলাই,শক্ত তামাটে পেশিবদ্ধ দুই হাতে বৈঠা ফেলছিল স্রোতের ওঠা পড়া বুঝে। গা চিট চিট করছে নোনা ঘামে,সুয্যি মাথায় উঠেছে দু প্রহর হল, এখনও তেমন মাছ পড়ে নি আজ। এই সময় অন্যদিন ঝাঁক বেঁধে রূপচাঁদা,লইট্যা,ম্যাকারেল,সার্ডিন,করাতি,চিংড়ি, এমনকি ইলিশও জালে উঠে পড়ে,আজ পূর্ণিমা,জোয়ারের হেতু জল বেড়েছে-মাছ মোটেই আসছে না ধারে কাছে। এমন চললে ও আজ নিজেই বা কি  নেবে আর ওর সাকরেদ শম্ভুকেই বা কি দেবে! সেই সকাল থেকে ওর সঙ্গে রয়েছে ছেলেটা, খাই খরচ বলেও তো দশ বিশ টাকার মাছ হাতে তুলে দিতে হবে! মেজাজ ভাল নেই বলাইএর। কোমর হাতড়ে বিড়ির প্যাকেটটা বের করল - যাঃ শালা, মাত্র একটা বিড়ি পড়ে আছে! সামনে একটা সাদা পাল খাটানো বড় নৌকা ভাসছে, পালের ডগায় একটা মাছরাঙা। বলাই হাঁক দেয়," শম্ভু, বল তো পাখিটা কোন দিকে বাঁক নেবে? বলতে পারলে শেষ বি...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!