Shadow

Author: Kulayefera

পলাশ সাথী – নীতা কবি মুখার্জী

পলাশ সাথী – নীতা কবি মুখার্জী

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
        পলাশ সাথী       নীতা কবি মুখার্জী দুরন্ত বসন্তের পাতাঝরা দিনে আনমনে বসেছিলাম আগুন রঙের ফুলে ভরা পলাশের তলায়। তুমি এসে একটা পলাশ ফুল হাতে দিয়ে বললে,"এই,আজ থেকে আমরা পলাশ সাথী হলাম!" একটু পরে  তুমি এসে আমার চোখ টিপে ধরলে,বললে,বলো তো কে? আমি তোমার গায়ের চেনা গন্ধটা অনুভবে করে বললাম---তুমি----তুমি....আমার পলাশ সাথী... হাসতে হাসতে পাশ ঘেঁষে বসে জড়িয়ে ধরলে যেন আষ্টেপৃষ্ঠে। ভালোবেসে একটা ছোট্ট চুম্বন এঁকে দিলে আমার অধরে সেদিন থেকেই ভালোবাসার অনুভূতি জাগ্রত হলো,শরীরে,মননে,চিন্তনে। কতকগুলো পলাশ ফুল কুড়িয়ে গুঁজে দিলে আমার খোঁপায়। বললাম,একি করছো? বললে,বেশ করছি। দেখবে এই পলাশের সুন্দর রঙের মতো রঙিন,অম্লান হবে আমাদের ভালোবাসা। কি অপূর্ব অবশ করা পরশ ছিল সেই পবিত্র চুম্বনে! বুকের মাঝে চেপে ধরে সেদিন তুমি বলেছিলে---তুমি আমার--আমার--শুধু আমার... আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত নিজেকে স...
উন্মুক্ত – মেঘদূত (শক্তি শঙ্কর পাণ্ডা)

উন্মুক্ত – মেঘদূত (শক্তি শঙ্কর পাণ্ডা)

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
               উন্মুক্ত  মেঘদূত (শক্তি শঙ্কর পাণ্ডা) তোমার বিরহে মথিয়া হৃদয়            আকুলি উঠিছে প্রাণ, বিরহ ব্যথায় ভরেছে নয়ন            মেনেছি প্রেমের দান। মনের পাতায় স্মৃতির দোলায়            তৃষিত হৃদয় কাঁদে, হারানো অতীত আবেগে শিঞ্জিত            স্বপ্নকে আগলে বাঁধে। দুরূহ জীবন করুণা কঠিন            তরল গরল ধারা, নিভেছে প্রদীপ তমসা ছেয়েছে            মুদ্রিত নয়ন তারা। আশায় বেঁধেছি ব্যাকুল হিয়ারে           শোনাবো নতুন গান, প্রেমের বীণায় সুরের ঝংকার           তুলেছে উতল তান। কুলায় ফেরার আকুতি রহিল          ত্যজিয়া সকল মান, পুষ্পিত আনন হৃদয় কানন         করিব তোমারে দান। ************************ শক্তি শঙ্কর পাণ্ডা : ( সাহিত্যে ছদ্মনাম "মেঘদূত")  তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর পশ্চিমবঙ্গ নিবাসী। জন্ম ইং ১৯৫৩ সাল। জন্মস্থান নন্দী...
অঙ্কন – মধুরিমা দাশগুপ্ত

অঙ্কন – মধুরিমা দাশগুপ্ত

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
      **************************** ডঃমধুরিমা দাশগুপ্তঃ পশ্চিমবঙ্গ,ভারতের নিউটিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন,যা ২০২৩ সালে এনআইআরএফ রেঙ্কিং-এ ৩য় স্থান অর্জন করেছে। ১০ বছরেরও বেশি শিক্ষকতা এবং গবেষণার অভিজ্ঞতা রয়েছে। শিক্ষাবিদ হিসাবে পুরস্কার ও স্বীকৃতি অর্জন করেছেন,এবং শিল্পী হিসাবেও স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। ২০২০ সালে সেরা প্রতিনিধিত্বমূলক শিল্পী এবং সেরা ফাইন লাইন শিল্পী পুরস্কার অর্জন করেছেন। ভারতীয় সাংস্কৃতিক সম্পর্ক পরিষদ (আইসিসিআর),ভারতের বাছাইকৃত ২০০ টি শিল্পকর্মের মধ্যে মধুরিমার শিল্পকর্মও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। পেন প্রিন্ট পাবলিশার্স ওনার শিল্পকর্ম প্রকাশ করেছে। মানবিক ক্ষেত্রের একজন শিক্ষাবিদ হিসাবে সবসময় বিশ্বাস করেন যে সামগ্রিক বিকাশের জন্য ও সময়োপযো...
ভোলা ময়রা – অনির্বাণ সাহা

ভোলা ময়রা – অনির্বাণ সাহা

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
ভোলা ময়রা অনির্বাণ সাহা উনিশ শতকের প্রথমার্ধে বাংলার প্রখ্যাত কবিয়ালদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ভোলা ময়রা। তিনি তৎকালীন সময়ে একজন রসিক কবিয়াল হিসেবেও যথেষ্ট পরিচিত ছিলেন। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল ভোলা নায়েক। তবে এখানেও রয়েছে বিতর্ক। অনেক ঐতিহাসিকের মতে তাঁর পিতৃদত্ত বা পারিবারিক নাম ছিল ভোলানাথ মোদক। ভোলা ময়রার পরিবারের নবম পুরুষ শ্রীযুক্ত তারক নাগ বা নায়েক মহাশয় জানান যে,এহেন প্রসিদ্ধ ব্যক্তির জন্মস্থান ছিল হুগলি জেলার অন্তর্গত গুপ্তিপাড়া গ্রামে। তবে অন্য একদল ঐতিহাসিকগণের মত অনুসারে তাঁর জন্মস্থান কলকাতার বাগবাজার অঞ্চলে। "কবিগানে হুগলি জেলা" বইটি থেকে জানা যায় যে ভোলা ময়রা ১৭৭৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ছিল কৃপারাম। অধুনা গুপ্তিপাড়ার পুরানো বাজার অঞ্চলে ছিল তাঁর পারিবারিক মিষ্টান্নের ব্যবসা। অর্থাৎ জীবিকাগত দিক থেকে তাঁরা ছিলেন মোদক বা ময়রা। অনেক ঐতিহাসিকগণ মনে করেন তাঁ...
এ কেমন ভালবাসা – বিনয় দেবনাথ

এ কেমন ভালবাসা – বিনয় দেবনাথ

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
এ কেমন ভালবাসা      বিনয় দেবনাথ মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবেসেছিলাম- মধুর প্রেম ভালোবাসা আমায় যেন কাঁটার মালায় ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে - শুকনো মরুর নিরাশ বালুতে জলের সন্ধান করেছি, অধিকার নেই ভালোবাসার-এ যেন বিধাতা দেখেছে - আমি এখন হেঁয়ালিপনা,হলাম বিলাসসামগ্রী,কখনো হৃদয়কে ছুঁতে পাচ্ছি না- একদিন বলেছিলে-হে পথিক,তোমার ঠিকানা কোথায়? সব যেন ভুলে গেলে। মেঠো পথে উষ্ণতাপে বিকেল বেলায় সেই পথ পাড়ি দেওয়া, বর্ষার কাদা-জলে কদম, গ্রীষ্মের দুপুরে গাছে পাকা আম এসব তোমার জন্যই ছিল। কিন্তু-হৃদয়ের ভাষা যেন বুঝে না-বুঝার ভান করেছো- কোনদিন কাঁদোনি,কখনো একান্ত ভাবে আমায় ডাকোনি। হায়রে নিঠুর স্বপ্ন আশা - এ কেমন ভালোবাসা? ****************************** বিনয় দেবনাথ পরিচিতি:- কবি বিনয় দেবনাথ ১৭,অক্টোবর ১৯৫৫ (পহেলা কার্তিক ১৩৬২ বঙ্গাব্দে)ময়মনসিংহ জেলাধীন ভালুকা উপজেলায়-গোয়ারি গ্রামের এক স...
কিচির মিচির – চতুর্থ  বর্ষপূর্তি

কিচির মিচির – চতুর্থ বর্ষপূর্তি

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
অঙ্কন - সৃজনী দাশগুপ্ত             ************************* সৃজনীর পরিচিতি : সৃজনী দাশগুপ্ত মাইকেলনগর শিক্ষা নিকেতনে অষ্টম শ্রেনীতে পড়ে | নামের সাথে সাজুয্য রেখে সৃজনশীল কাজে সে ধীরে ধীরে পারদর্শী হয়ে উঠছে | আঁকতে‚হ্যান্ড ক্রাফটের কাজ করতে ওর ভালো লাগে | ভবিষ্যতে সবার প্রথমে সে একজন ভালো মানুষ হয়ে উঠতে চায় | পেশাগত জীবনে সে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় একজন দক্ষ ও সফল ফ্যাশন ডিজাইনার হিসাবে | -------------------------------------------------------------------------- তানিশা গুহর পেন্টিং ************************** তানিশা গুহ: কাঁকিনাড়া নিবাসী তানিশা গুহ রথ তলা রাজলক্ষ্মী বালিকা বিদ্যামন্দিরের দশম শ্রেণীর ছাত্রী,আঁকতে ভালোবাসে।  ...
আরব্ধ শৈশব – বিদ্যুৎ পাল

আরব্ধ শৈশব – বিদ্যুৎ পাল

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
আরব্ধ শৈশব বিদ্যুৎ পাল   ক্রুশের কাঠ বেয়ে আপনার শেষ রক্তবিন্দু মাটিতে মিশে যাওয়ার অনেক পরে অত্যাচারিত মানুষের গোপন হৃদয়সভাগুলোয় আস্তে আস্তে জুটেছিল শৈশবকথা: সেই রাত,দূরের তারাটি,তিন মহাদেশ থেকে জ্ঞানী, এমনকি খড়ের পিছনে ভেড়াটির ডাক!  অত্যাচারিত মানুষেরা তাদের রোজকার আত্মপরিচয়ে এঁকেছিল, তরুণী কন্যার প্রসবক্লান্ত মুখ দেখে চিন্তিত পিতা, এঁকেছিল প্রশ্নদীর্ণ নৈঃশব্দ– এ শিশু কি ভালোবাসার? নাকি...? চুপ! গ্রামের বাইরে কুচকাওয়াজ রোমক বাহিনীর! ...  তারা শুনেছিল, কুমারী মায়ের অটল প্রসবসিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়ানো তাদের পূর্বপুরুষদের জয়ধ্বনি,"এই তবে ঈশ্বরপুত্র!              জন্ম হোক! মুক্তির বার্তা ছড়াক দিকে দিকে!" বলা হয় নাকি বেথেলহেমের রাস্তায় ইয়ারদোস্তদের সঙ্গে মৌজে মশগুল ভিনদেশি ব্যাপারিদের আপনি ত্রাস ছিলেন! শহরটাকে ঘিনঘিনে বাজার করে তুলছিল তারা ... ...
অনন্তবাবুর সমস্যা – চন্দ্র কান্তি দত্ত

অনন্তবাবুর সমস্যা – চন্দ্র কান্তি দত্ত

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
অনন্তবাবুর সমস্যা চন্দ্র কান্তি দত্ত আমার কাছে 'মানুষ চেনা' কথাটার দুটো অর্থ হয়। একটা অর্থ হল মানুষটা কে,কি নাম,সেটা মনে রাখা,আর একটা অর্থ হল কোন একজনের স্বভাব-চরিত্র সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া। অনন্তবাবুর ক্ষেত্রে এ নিয়ে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। কারণ, দ্বিতীয় কাজটা তো দূর,তিনি প্রথম কাজটাই ইদানীং ঠিকমতো করে উঠতে পারছেন না। কি যে হয়েছে বা হচ্ছে কে জানে। হঠাৎ দেখা হলে অনন্তবাবু পরিচিত মানুষকেও চিনতে পারছেন না। সেদিন যেমন হল। পাশের বাড়ির বিশু কোথাও যাচ্ছিল। অনন্তবাবুও কোন কাজে বাইরে ছিলেন। বিশুকে দেখে ডাক দিলেন,"আরে,সুবল যে? সকাল সকাল কোথায় চললে?" বেচারা বিশু। ডাক শুনে কিছুক্ষণ এদিক ওদিক চাইল। তারপর তৃতীয় কাউকে দেখতে না পেয়ে বলল,"কাকা,আপনি কি আমাকে ডাকলেন?" অনন্তবাবু যেন আকাশ থেকে পড়লেন। বললেন,"হ্যাঁ! এখানে তুমি আর আমি ছাড়া আর কাউকে তো দেখছি না।" বিশু তখন আরও বিহ্বল। বলল,"কাকা! আমি তো ...
জয় পরাজয় – রেশমি দত্ত

জয় পরাজয় – রেশমি দত্ত

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
জয় পরাজয়                 রেশমি দত্ত                    জীতেনবাবুর ভাগ্যকে অনেকেই ঈর্ষা করেন। জীতেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় যা চান তাই পান। অফিসের দাবা কম্পিটিশনে ব’লে ব’লে হারিয়ে দেন সকলকে। বংশের একমাত্র ছেলে,শ্বশুর বাড়িতে একমাত্র জামাই,কপাল যেন সোনায় বাঁধানো। সরকারি চাকরিটাও করে দিয়েছিলেন আপন মেসোমশাই। এহেন পুরুষকে নির্দ্বিধায় ভাগ্যবান বলা যায়। তিনি নিজেও এর জন্য বেশ গর্ব অনুভব করতেন। এবার তিনি বাবা হতে চলেছেন,দারুণ আনন্দের খবর,বাড়িতে বংশধর আসতে চলেছে,জীতেনবাবু তো তাঁর মা'কে গিয়ে বললেন 'মা নাতির নাম ঠিক করো |' অর্থাৎ তিনি ধরেই নিয়েছেন তাঁর একটি পুত্র সন্তানই হবে। কিন্তু এবার উল্টে গেল পাশা। হল একটা ফুটফুটে সুন্দর মেয়ে। এই খবর পাওয়া মাত্র তিনি বিছানায় ধরাশায়ী হলেন। এই প্রথম বার তিনি হারলেন,না পাওয়ার জ্বালা বুঝলেন। ভাবলেন মুখ দেখাবেন কি করে সকলকে? কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ায় তার পৌর...
আবেগের আরেক নামঃ গুলজার – অজন্তা প্রবাহিতা

আবেগের আরেক নামঃ গুলজার – অজন্তা প্রবাহিতা

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
আবেগের আরেক নাম-গুলজার অজন্তা প্রবাহিতা সারা পৃথিবী যখন অমাবস্যার অন্ধকারে আছন্ন,তখন,একমাত্র বান্দ্রার আকাশে জ্বলজ্বল করে দুধীয়া চাঁদ । আমাদের সবার প্রিয় গুলজার সাহেব । যাঁর অনুমতি না পেলে রাত অপেক্ষা করে,চাঁদ অস্ত যায় না। “তুম জো কেহ দো তো আজ কি রাত চাঁদ ডুবেগা নেহি । রাত কো রোক লো ।"  শান্ত,মৃদুভাষী,ধবধবে সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি  পরা এই মানুষটাকে দূর থেকে দেখলেই চেনা যায় । পরিচয় করিয়ে দিতে হয় না । সাহিত্য ও চলচ্চিত্রে আগ্রহী  গুলজার সাহেবের আসল নাম,'সম্পূরণ সিং কালরা'। তাঁর ওস্তাদ কবিতার প্রতি  ভালোবাসা দেখে  তাঁকে কলম-নাম 'গুলজার' দিয়েছিলেন,যার অর্থ গোলাপের বিছানা ।  তিনি শিখ-পরিবারে জন্মেছেন ১৯৩৬,মতান্তরে  ১৯৩৪ সালের ১৮ আগস্ট দিনায় (ব্রিটিশ ভারতের ঝিলম জেলা,বর্তমানে যেটা পাকিস্তানে অবস্থিত)।বাবা মাখন সিং কালরা এবং  মা সুজান কাউর । দেশত্যাগ নামক প্রলয়ের আঘাতে তাসের ঘরের মতো তছনছ হয়...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!