Shadow

Author: Kulayefera

প্রেমপাহাড় – অর্কজ্যোতি মজুমদার

প্রেমপাহাড় – অর্কজ্যোতি মজুমদার

কবিতা, বিহানবেলায়
প্রেমপাহাড় অর্কজ্যোতি মজুমদার গাছের পাতায় লিখব উপন্যাস মনের ক্ষত কলম তো চিকন সরু মুখ বৃষ্টি তবে কালির আঁধার অমোঘ নীরবতায় ভিজছে টাপুর টুপুর। উপন্যাসের পুরুষ চরিত্র মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকা মেঘের গায়ে পাহাড় চূড়া যেমন‌ পুরুষ ঘরেতে ধৈর্য পাহাড় আনমনা। গল্পের নারী চরিত্র ঝর্ণা ঝোরা শীতল জল নরম কথা, ঘরে যেমন মুখ বুজে আহ্লাদী নারী আলতো মুখে সব কিছু মেনে নেওয়া। পাহাড় চিরেই ঝর্ণা বেরোয় সামনে এগোয় সব সহ্য'তায় ঘাত প্রতিঘাত পাথর বুকে ঝর্ণা তবু তবুও সে শব্দ করে গল্প বলে তার প্রেমের আলাপ পাহাড় কি আদৌ বুঝতে জানে? ঝর্ণা আছে কর্তব্যে বহুদুর অর্কিড পাইন দেবদারু বড় হয় সবুজ সাথী সম্বল সেই ঝর্ণার জল গভীর হয় গল্প তখন আচম্বিতে প্রেমের দাবি। সব গাছ হাতের উপর হাত কোলাকুলি রাত নহবৎ পাহাড় অবিচল গাম্ভীর্যে পারবে কি বলে উঠতে  সুন্দরের আরশি ঝর্ণা তুমি কেমন আছো আজকের ...
শেষ চিঠি – দেবলীনা দে

শেষ চিঠি – দেবলীনা দে

গল্প, বিহানবেলায়
শেষ চিঠি দেবলীনা দে  নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে কোনো স্বপ্ন দেখা এভারেস্ট জয়ের থেকে কোনো অংশে কম নয়। কোনো স্বপ্ন পূরণ করতে সেখানে ঘাত প্রতিঘাত ত্যাগ অনেক কিছুই সইতে হয়। রোহিণীকেও করতে হয়েছে,সইতে হয়ছে অনেক ঝড়। বাংলা ভাষার প্রতি টান ভালবাসা তার অনেক দিনের। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়,মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তার গুলে খাওয়া। বাবার গ্রামে ছোটো কেরানীর দোকান। মায়ের অধীনে বাড়ির বাকি দায়িত্ব। রোহিণীর এক বোন আছে, ঋতিকা। চারজনের এই ছোট্ট সংসারে অভাব অনটন চিরদিনের। তাও সব বাধা অতিক্রম করে জীবন নিজ নিয়ম মেনে চলতে থাকে।বাবার স্বল্প আয়ের কথা দুই বোনেই খুব ছোটো থেকে অবগত। তাই সেভাবে দুজনের কোনো আবদার বা বায়না ছোটো থেকেই নেই।কিন্তু চোখে স্বপ্ন আছে অনেক। দুই কন্যা নিয়ে রথীনবাবু ও রমাদেবীর ছোটো সংসার ভালই চলছিল। মানুষের জীবন বড়ই বিচিত্র। সুখ দুঃখের খেলা লেগেই থাকে। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হলো সুখ আর...
প্রশ্ন – বিয়াস মুখার্জি

প্রশ্ন – বিয়াস মুখার্জি

আবৃত্তি, বিহানবেলায়
প্রশ্ন  আবৃত্তিতে বিয়াস মুখার্জি https://youtu.be/89vZDcEdC64 ***************************************************************** বিয়াস মুখার্জী পরিচিতি: বছর দশেকের বিয়াস মুখার্জী পড়ে কলকাতার শ পাবলিক স্কুলে৷ ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্রী হলেও ভালোবাসে বাংলা কবিতা পড়তে ও আবৃত্তি করতে৷ ছোট্ট বিয়াসের আর এক ভালোবাসা হলো নাচ | সে ভারতনাট্যম শেখে এথনিক ডান্স স্কুলের গুরু দ্রাবিন চ্যাটার্জীর কাছে৷...
মেঘেরা দল বেঁধে যায় – অরা ও অর্নি

মেঘেরা দল বেঁধে যায় – অরা ও অর্নি

গান ও বাদ্য, বিহানবেলায়
মেঘেরা দল বেঁধে যায় অরা ও অর্নি https://youtu.be/qng-7Uz2lts অরা ও অর্ণি পরিচিতিঃ অরা চন্দ্র, নবম শ্রেণীর ছাত্রী। শখ: গল্পের বই পড়া। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের শিক্ষা শুরু ৬ বছর বয়স থেকে। পাশাপাশি চলে পিয়ানো, গিটারের তালিম। বিগত দুই বছর ধরে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি এস্রাজ ও তবলার তালিম চলছে। অনেকটা পথ চলা বাকি। সকলের আশীর্বাদ হোক ওর সেই পথের পাথেয়। অর্ণি চন্দ্র, ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। শখ: নানা রকম রান্না করা। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের শিক্ষা শুরু ৫ বছর বয়স থেকে। পাশাপাশি চলে পিয়ানো,তবলা ও গিটারের তালিম। অনেকটা পথ চলা বাকি। সকলের আশীর্বাদ হোক ওর সেই পথের পাথেয়।  ...
বন্ধন – শ্রীময়ী গুহ

বন্ধন – শ্রীময়ী গুহ

অঙ্কন, বিহানবেলায়
বন্ধন  রঙ তুলিতে - শ্রীময়ী গুহ   ।। এই ছবিটি ভালোবাসা আর বিশ্বাসের এক টুকরো রঙ তুলির আসাযাওয়া কবিতা ।। ********************************************************* শ্রীময়ী গুহ পরিচিতি ছোট থেকেই আঁকার মধ্যেই খুঁজে পান আনন্দ, শান্তি, বন্ধুত্ব এবং অবশ্যই নিজেকেও। নাচ, গান, সাঁতার, বাগান করা, পড়ানো এবং এখনও বইয়ের মধ্যে ডুব দেওয়া শ্রীময়ীর শ্বাস প্রশ্বাস। অল্পস্বল্প লেখেন, কখনও কবিতা কখনও ছোট গল্প। লেখক বা কবি হয়ে ওঠার বাসনা নেই। এমনভাবেই বৈচিত্র্যময় জীবনের রঙ তুলির বন্ধনে পরিবারের সাথে সব্বাইকে ভালোবেসে মুহূর্ত বাঁচাটাটাই ওনার সাধনা। এছাড়া অতি সাধারণ এক মানুষ হতে চাওয়া মানুষ,ছোটবেলায় মাতৃহারা, বাবার যত্নে শাসনে বড় হয়ে ওঠা আর আজীবন স্পষ্টভাবে স্পষ্ট কথা বলেই সহজভাবে নিত্যদিনের যাপনে মিশে থাকা এক রঙ তুলি নিয়ে আঁকিবুকি কাটতে চাওয়া একজন ব্যাক্তিত্ব।      ...
যা সখী আজ তারে – ভাস্বতী সাধুখাঁ

যা সখী আজ তারে – ভাস্বতী সাধুখাঁ

গান ও বাদ্য, বিহানবেলায়
যা সখী আজ তারে...... রাগ প্রধান গান ভাস্বতী সাধুখাঁ https://youtu.be/_7jwGe2GbTk ভাস্বতী সাধুখাঁ পরিচিতিঃ রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর৷ দীর্ঘদিন ধরে সঙ্গীতের সাধনায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন৷  
“আকাশ সমুদ্র” – শ্রুতি দত্ত রায়

“আকাশ সমুদ্র” – শ্রুতি দত্ত রায়

কবিতা, বিহানবেলায়
PC-shutterstock.com "আকাশ সমুদ্র" শ্রুতি দত্ত রায় তোমার ও দুটো চোখের তারায় কিভাবে যে দুটো সমুদ্র লুকিয়ে রাখো,বুঝি না আর তাই,যখন সমুদ্রে ওঠে ঢেউ বড়ো অসহায় লাগে, বুঝিবা সাঁতার না জানা এই আমি কোন অতল গভীরে যাব ডুবে।। তোমার ও দুটো চোখের তারাতেই কিভাবে যে দুটো আকাশ লুকিয়ে রাখো,বুঝি না কিন্তু যখন মেঘহীন নির্মল আকাশে সূর্য হেসে দীপ্তি ছড়ায় বড়ো আনন্দ হয়, মনে হয় প্রজাপতি রাঙা ডানা মেলে তোমার অসীম আকাশে যাই হারিয়ে ।। ------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------   শ্রুতি দত্ত রায় পরিচিতি:      সুন্দরী ডুয়ার্সের মফস্বল শহর জলপাইগুড়িতে জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। পেশায় সরকারি বিদ্যালয়ের ভাষা সাহিত্যের শিক্ষিকা। ভালবাসেন গান শুনতে, বই পড়তে, ডুয়ার্সের প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে। আর গান ...
অচেনা একজন – রিমিতা কর 

অচেনা একজন – রিমিতা কর 

গল্প, বিহানবেলায়
অচেনা একজন  রিমিতা কর  আজ সারাদিন রাহীর সাথে একবারও কথা বলার সময় পায়নি অত্রি। হাতের কব্জি উল্টে সে দেখল সন্ধ্যে ছটা। রাহীর লাস্ট মিসড কলটা বোধহয় বিকেল তিনটেতে এসেছিল। একবার নয় পরপর তিনবার। অত্রি  তখন মিস্টার তলাপাত্রর কাছ থেকে আগামী সাতদিনের অ্যাসাইনমেন্টটা বুঝে নিচ্ছিল। মিস্টার তলাপাত্র অত্রির বস এবং এই রিজিয়নের জোনাল ম্যানেজার। বয়স মধ্য চল্লিশ। লম্বা ফর্সা ফ্রেঞ্চ কাট দাড়ির সাথে দামী গোল্ডেন ফ্রেমের চশমা। যেমন স্মার্ট তেমন খুঁতখুঁতে আর ডিসিপ্লিনড। আরও একটা আশ্চর্য  গুন ওনার আছে। লোকটা চোখ দেখে মন পড়তে পারে। এই একটা কারনে অত্রি রীতিমতো তলাপাত্র কে ভয় পেয়ে চলে। সত্যিই আশ্চর্য ক্ষমতা বলতে হবে। এই যেমন  কিছুক্ষণ  আগে তলাপাত্র  নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে অত্রিকে বোঝাচ্ছিল। সামান্য বিষয় নিয়ে লোকটা এত ডিটেলে বলে যে অত্রির ঘুম পেয়ে যাচ্ছিল। টিফিনের পর ঠান্ডা ঘরে বসে এত বকবকানি শুনলে কার না ঘুম পাবে। ...
রাঙিয়ে দিয়ে যাও – স্মৃতিকণা রায়

রাঙিয়ে দিয়ে যাও – স্মৃতিকণা রায়

গল্প, বিহানবেলায়
রাঙিয়ে দিয়ে যাও স্মৃতিকণা রায় প্রায় কুড়ি মিনিট ইউনিয়ন রুমে বসে আছে। শঙ্খদার সঙ্গে দেখা করবে। শেষ দুটো অনার্সের ক্লাস হয়নি। আড্ডা না মেরে ক্যারাম খেলছিল। শঙ্খদা সাধারণত বিকেলের দিকে আসে। তাই একটা গেম শেষ করেই চলে এসেছে। আজ দেখা করতেই হবে। প্রায় ৩৫ মিনিট হয়ে গেল। একটা ছেলে প্রথম থেকেই ইউনিয়ন রুমে রয়েছে। আপাতত ইউনিয়ন রুমে আর কেউ নেই। তারা দু’জন। এখনও পর্যন্ত তারা কেউ কারও সঙ্গে কথা বলেনি। সে উঠে বইয়ের আলমারির কাছে দাঁড়াল। সব কবিতার বই। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, শক্তি, সুনীল। সুভাষ মুখোপাধ্যায় এখনও পড়া হয়নি। তার চোখটা আটকে রয়েছে বইটার দিকে। যদি পাওয়া যেত—! কিন্তু আলমারিতে তালা। বাইরে থেকে দু’বার হাত বোলাল বইটার ওপর। —‘‘পড়বে?’’ —‘‘চাবি দেওয়া তো!’’ —‘‘নেবে কিনা বলো?’’ —‘‘দিন।’’ —‘‘আপনি–আজ্ঞে করলে দেব না।’’ একটু হেসে বলল, ‘‘দাও।’’ —‘‘গুড গার্ল।’’ বইটা পেয়ে সে একটা চেয়ারে বস...
রাবড়ি গ্রামের কড়চা – সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়

রাবড়ি গ্রামের কড়চা – সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়

বিহানবেলায়, ভ্রমণ কাহিনী
রাবড়ি গ্রামের কড়চা সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায় গত শতকের দ্বিতীয়ার্দ্ধের ঘটনা। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রমঞ্চে এক স্বনামধন্য সাহিত্যিকের সংবর্ধনার ব্যবস্থা হয়েছে। তাঁর পাশে উপবিষ্ট সভার অন্যতম বক্তা শিশুসাহিত্যিক অখিলবন্ধু নিয়োগী। ‘স্বপনবুড়ো’ নামে যাঁর অধিক পরিচিতি। মঞ্চে মানপত্র পাঠ হল। বক্তারা একে একে বলছেন। কিন্তু যাঁকে ঘিরে এত আয়োজন, তাঁর মন উশখুশ। একসময় অস্থির হয়ে স্বপনবুড়োকে তিনি বলেই ফেললেন,“এসব মানপত্রটত্র দিয়ে আমার কী হবে? ঘরের দেওয়ালে টাঙানোর জায়গা নেই। আর পেরেকই বা কে এনে দেবে?” স্বপনবুড়ো আশ্বস্ত করলেন তাঁকে। বললেন,“সে পেরেকের ব্যবস্থা না হয় করে দেওয়া যাবে।”এবার তিনি আরও অসহিষ্ণু। বললেন,“ধুর মশাই,পেরেক আনানোর বদলে একটু রাবড়িটাবড়ি আনলে… বেজায় খিদে পেয়েছে।”শেষে তাঁর জন্য রাবড়ি এল। মঞ্চে বসেই শিবনেত্র হয়ে তিনি তা খেতে শুরু করে দিলেন। এই না হলে তিনি শিবরাম চক্রবর্তী! রাবড়ি খেতে খুব ভ...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!