Shadow

Author: Kulayefera

সরিয়ে দাও অন্ধকারের পর্দা… – মধুপর্নী চট্টোপাধ্যায় 

সরিয়ে দাও অন্ধকারের পর্দা… – মধুপর্নী চট্টোপাধ্যায় 

কবিতা, প্রথম বর্ষপূর্তি
  সরিয়ে দাও অন্ধকারের পর্দা... মধুপর্নী চট্টোপাধ্যায়  তারপরে একদিন নীল নৌকায় যেতে যেতে কথা হবে - আকাশে থাকবে ক্ষীণ কিছু তারা হয়তো কৃষ্ণচূড়া দেখা যাবে বালিয়াড়ি তীরে থেকে যাবে ঠিকানাহীন কিছু পাথর যার গায়ে লেখা থাকবে কুঁচো কুঁচো লিপিবদ্ধ ঢেউ | সেখানে গিয়ে বসবো নীল শাড়ির ভাঁজে মাথা রেখে কিছু সামুদ্রিক গল্প হবে ঝিনুকের দুলের বালি ঝেড়ে রেখে দেবো নারকোল পাতার গায় রাতের গন্ধ উন্মত্ত হোক আগুনের অভ্যাসে | তারপর কিছু বিরতি আসে বইয়ের পাতা ওল্টায় উইপোকারা সময় আসে চাঁদ ছিঁড়ে ছিঁড়ে একাকিত্ব হবার | রাতের বিস্মৃতি ঢেকে দিক শালপাতাকে পায়ের আওয়াজে নেভে প্রদীপ এই তীরে আমি কতরাত্রি নেই পুরোনো অভিজ্ঞতা ভাবে এ যেন গুহার আঁধারের কথা | কাকে বলবো এই দুঃসময়ে হলুদ কৃষ্ণচূড়া ভেসে গেছে স্রোতে খন সময় সমুদ্রহীন সমুদ্রের মতো চলে যাচ্ছে মৃত আলপথ কোনো জলবিন্দুর খোঁজে || ****************...
স্বপ্নে বাঁচি – তাপস সরখেল

স্বপ্নে বাঁচি – তাপস সরখেল

কবিতা, প্রথম বর্ষপূর্তি
স্বপ্নে বাঁচি তাপস সরখেল স্বেচ্ছাবন্দি রাখলে মন তো মানে না অথৈ স্বপ্নের ভিড়, হারিয়ে যাচ্ছি নীরব সন্ত্রাসে  ত্রস্ত্র পৃথিবী,মৃত্যু মিছিল যারা গেল এভাবেই বা যাবে কেন কেন যাবে খড়কুটোর মতো উড়ে এই ক্ষত সারবে কিসে? অন্তর্লীন শোক বয়ে যাচ্ছে আমার শরীর দুচোখ প্রতীক্ষায় কবে কাটবে এই কালরাত্রি স্বেচ্ছাবন্দি রাখলে মন তো মানে না মনে হয় মেঘের প্রাচীর ভাঙি,উড়ে যায় যেখানে আকাঙ্ক্ষা জেগে আছে জেগে আছে,সকল হৃদয় ************************************************************ কবি পরিচিতিঃ কবি তাপস সরখেলের জন্ম মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের কাশিমবাজারে  ১৯৬৩ সালের ৩রা জানুয়ারী৷ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ., বি. এড. তাপস বাবুর পেশা শিক্ষকতা,  নেশা সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে থেকে কবিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব৷ তাঁর সম্পাদিত পত্রিকা উপসেক যথেষ্ট জনপ্রিয়। তাপস বাবুর রচিত কাব্যগ্রন্থ - এপিটাফ দিনলিপি|...
আফ্রিকা – সু দী পা  ঘো ষ

আফ্রিকা – সু দী পা ঘো ষ

আবৃত্তি, প্রথম বর্ষপূর্তি
https://youtu.be/iWCKCPDp_0A সুদীপা ঘোষ পরিচিতি বহরমপুরে জন্ম সুদীপা বড় হয়েছেন শান্তিনিকেতনের সাংস্কৃতিক পরিবেশে৷ বর্তমানে কলকাতার বাসিন্দা৷ সুনিপুণ হাতে গৃহস্থ কাজ সামলে তিনি ভালোবাসেন আঁকতে এবং সেলাই সহ অন্যান্য হস্তশিল্পের কাজ৷ তার অন্যতম পছন্দ হলো আবৃত্তি শোনা ও আবৃত্তি করা৷ এছাড়া রন্ধনশিল্পেও তিনি যথেষ্ট পারদর্শী৷...
কুলায় ফেরার বর্ষাবরণ অনুষ্ঠান ‘শাওন গগনে’র  তৃতীয় দিনের প্রতিবেদন

কুলায় ফেরার বর্ষাবরণ অনুষ্ঠান ‘শাওন গগনে’র  তৃতীয় দিনের প্রতিবেদন

সাম্প্রতিক
শাওন গগনে তৃতীয় পর্ব কুলায় ফেরা আন্তর্জালিক পত্রিকার বর্ষাবরণের তৃতীয় পর্বের সরাসরি সম্প্রচার হলো গত রবিবার,আঠারো জুলাই সন্ধ্যায়।"শাওন গগনে" নামে এই অনুষ্ঠান মূলতঃ বিষয় নির্বাচন এবং উপস্থাপনার গুণে আপামর দর্শককে আকৃষ্ট করে রেখেছিল একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।! প্রথম নিবেদন বিশাখাপত্তনমের শিশুশিল্পী সমৃদ্ধি চন্দ্র তার নাচে বাদল বাউলের বাজানো একতারার যে ছন্দ নিয়ে এলো তা অনুষ্ঠানের শেষ পর্যন্ত অটুট ভাবেই ধরা ছিলো। প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর এই শিশু নিজ সপ্রতিভতায় সকলের মনে স্থান করে নিল শুরুতেই। কলকাতার বাচিক শিল্পী মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম নিবেদন রবিঠাকুরের কড়ি ও কোমল থেকে নেওয়া বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুরের প্রথম দুই ছত্রের ও পরে ক্ষণিকা থেকে আষাঢ় কবিতার"নীল নবঘনে..। উচ্চারণের স্নিগ্ধতা, স্পষ্টতা এবং টোনাল মড্যুলেশনে পেশাদারীত্বের চিহ্ন রেখে যান তিনি তাঁর পরিবেশনায়। কলকাতার অমৃতা লাহিড়...
বিশিষ্ট লেখকের কলমে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় – অগ্নিমিত্র ভট্টাচার্য্য

বিশিষ্ট লেখকের কলমে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় – অগ্নিমিত্র ভট্টাচার্য্য

আলোকপাত
বিশিষ্ট লেখকের কলমে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় অগ্নিমিত্র ভট্টাচার্য্য স্মৃতিকথা  ও আত্মজীবনীমূলক লেখার প্রতি আমার আগ্রহ চিরকালের। তার প্রধান কারণ এই যে, বহু অজানা সত্যঘটনা ও তথ্যের আকর এই লেখাগুলি। তবে সাধারণ পাঠকেরা এই জাতীয় বইয়ের চেয়ে ছোটগল্প, নভেল,নাটক বা উপন্যাসকেই বেশিমাত্রায় পছন্দের তালিকাভুক্ত করে থাকেন আর সেই কারণেই  বহু গ্রন্থ পাঠের পরেও,তারা "মহাজীবনের মণিকণা" থেকে সততই বঞ্চিত থাকেন। এই অজানা "মণিকণা" গুলি এক পরিচিত বিশিষ্টজনের চরিত্রের এক অপরিচিত দিককে সহসা উন্মোচিত করে, চমকিত ও পুলকিত  করে তোলে পাঠকের হৃদয়। আজ এই রকমেরই একটি ঘটনার বিবরণ দিতে চলেছি আমাদের অতি পরিচিত লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবুক,আত্মমগ্ন চরিত্রের। তবে এই ঘটনার বর্ণনা করেছেন বাংলা সাহিত্যের  আর এক মহীরুহ। আসুন আমরা তাঁর বয়ানেই জেনে নিই এক অপরিচিত  বিভূতিভূষণকে; "ভাগলপুরের এই সভা-সমিতি প্রসঙ্গে একটি...

কুলায় ফেরার বর্ষাবরণ অনুষ্ঠান ‘শাওন গগনে’র  দ্বিতীয় দিনের প্রতিবেদন

সাম্প্রতিক
এগারোই জুলাই রবিবার সন্ধ্যায় 'শাওন গগনে',কুলায় ফেরার বর্ষাবরণের দ্বিতীয় পর্বের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোট ন'জন কলাকুশলী যাঁরা তাঁদের গুণপনার প্রকাশে এই অনুষ্ঠানকে করে তুলেছিলেন সর্বতোভাবে উপভোগ্য। এদিন ছিল "কুলায় ফেরা"র ফেসবুক পেজের প্রথম সরাসরি সম্প্রচার৷ অনুষ্ঠানের সুত্রপাত বহরমপুরের প্রেরণা মুখার্জির নৃত্য পরিবেশনা 'মেঘ বলেছে যাব যাব' দিয়ে ৷ তাঁর অনুপম  নৃত্যশৈলী প্রমাণ করে তাঁর সহজাত নৃত্য পারদর্শীতা,যা এক সংগীত নৃত্য মুখর আবহের শুভ সূচনা  করে। বহরমপুরের আরো এক কিশোর শিল্পী সুপর্ণ ত্রিপাঠী পরিবেশন করেন জয় সরকারের সুরে অত্যন্ত জনপ্রিয় গান 'দেখেছ কি তাকে ঐ নীল নদীর ধারে'। তাঁর সাবলীল ও অপূর্ব গায়নশৈলী উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদের মনে ভালোলাগার রেশ ছড়িয়ে দেয়। এই মুগ্ধতার রেশকে টেনে নিয়ে যায় কলকাতার গোপা ভরদ্বাজের আবৃত্তি পরিবেশনা রবীন্দ্রনাথের 'বর্ষার দিনে'। প্রেমে উদ্বেল হয়ে ওঠা ক...
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন – প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

শ্রদ্ধাজ্ঞাপন – প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

হে মহাজীবন
********************************************* প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচিতি ফরিদপুর কাউলিপাড়ার শেষ জমিদার নন্দমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের  বংশের বর্তমান প্রজন্মের প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ও নিবাস ইতিহাস প্রসিদ্ধ মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরে। ১৯৬৫-তে তাঁর জন্ম হয় ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের পরিবেশে এমন এক পরিবারে, যেখানে ভারতবিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞদের যাতায়াত ছিলো অবারিত। কৈশোরে কবিতা লেখা দিয়ে সাহিত্যানুরাগের হাতেখড়ি। পরবর্তীতে জেলার ইতিহাস নিয়ে গবেষণামূলক কাজে নিজেকে জড়িয়েছেন। বাড়িতে সঙ্গীতাবহে বড় হয়ে ওঠায় সঙ্গীতের প্রতি প্রসেনজিৎ যথেষ্ট অনুরক্ত। ব্যাঙ্ক কর্মচারীর গুরুদায়িত্ব সামলিয়েও তিনি ইতিহাস, সাহিত্য ও সঙ্গীতের প্রতি তাঁর অনুরাগ যে এতোটুকুও নষ্ট হতে দেননি, সেকথা বলার অপেক্ষা রাখেনা।...
সত্যজিৎ রায় – বর্তমান সময়ে তাঁর চলচ্চিত্রের প্রাসঙ্গিকতা – ব্রতী ঘোষ

সত্যজিৎ রায় – বর্তমান সময়ে তাঁর চলচ্চিত্রের প্রাসঙ্গিকতা – ব্রতী ঘোষ

হে মহাজীবন
সত্যজিৎ রায় - বর্তমান সময়ে তাঁর চলচ্চিত্রের প্রাসঙ্গিকতা ব্রতী ঘোষ সত্যজিৎ রায় কে নিয়েকিছু লেখার মত ক্ষমতা বা ধৃষ্টতা কোনটাই আমার নেই ৷ ২মে  তাঁর জন্মশতবর্ষের  এই ক্ষণটা বড়ই উথাল পাথাল | একদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মারণব্যাধির ভ্রুকুটি। তার সঙ্গে বিশ্ব জুড়ে চরম দুর্দশায় মানব সমাজ।  আমাদের দেশও তার ব্যতিক্রম নয়।   চতুর্দিকে মৃত্যুর ভ্রুকুটি। তবে তার মধ্যেও জন্মশতবর্ষের পাদপ্রদীপের আলোয় যখন আসেন সত্যজিৎ রায়ের মতো ব্যক্তিত্ব তখন শত সংকটকে সরিয়ে রেখেও ভাবতে হয় তাঁর কথা ৷ রবীন্দ্রনাথের পর আন্তর্জাতিক বাঙালি বলতে সম্ভবত এক কথাতেই তাঁর নাম সর্বাগ্রে স্থান পাবে ৷   শুধু চলচ্চিত্রে নয় সাহিত্য-সঙ্গীত চিত্রকলা এ সমস্ত ধারা গুলিকেই তিনি আত্মস্থ করেছিলেন এক অসামান্য দক্ষতায় ৷ তাঁর সম্পর্কে কোনও বিশেষণই যথেষ্ট নয় ৷ তাঁর জীবনদর্শন ছিল মানবতাবাদের  উপর প্রতিষ্ঠিত।৷ গত শতাব্দীতে যে কজন বাঙাল...
নিভৃতলোকে এক অনন্য প্রতিবাদী কলম – অমৃতা লাহিড়ী

নিভৃতলোকে এক অনন্য প্রতিবাদী কলম – অমৃতা লাহিড়ী

সাম্প্রতিক, হে মহাজীবন
নিভৃত লোকে এক অনন্য প্রতিবাদী কলম অমৃতা লাহিড়ী "আমি কেবল দেখেছি চোখ চেয়ে হারিয়ে গেল স্বপ্নে দিশাহারা শ্রাবণময় আকাশ ভাঙা চোখ বিপ্লবে সে দীর্ঘজীবি হোক ৷" আকাশ ভাঙা অশ্রু জলে আমাদের ভাসিয়ে চির অমৃতলোকবাসী হলেন দশকের পর দশক ধরে আমাদের হৃদয় আর বাঙলা সাহিত্য জগৎ জুড়ে নিরন্তরভাবে উপস্থিত প্রতিবাদী কবি শঙ্খ ঘোষ।বয়স জনিত কারণে কবি সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন না। আমাদের প্রিয় 'কুন্তক',অশীতিপর কবিকে শেষ পর্যন্ত ছিনিয়ে নিয়ে গেল অভিশপ্ত করোনা ভাইরাস। গত দশকের পর দশক ধরে বাঙালীর জীবনে আর বাংলা সাহিত্যে নিরন্তর তাঁর উপস্থিতি চোখে পড়েছে। শঙ্খ ঘোষ সেই বিরল কবি যিনি শুধু কবিতায় নয়,গদ্যে,ভাষণে,নিয়ত জীবন যাপনেও প্রাতিষ্ঠানিকতাকে ভেঙেছেন,গড়েছেন ৷ শিক্ষক শঙ্খ ঘোষ ছিলেন যেন নদীর মতো। নদী যেমন তার আপন স্রোতে বয়ে চলেছে,তিনিও ঠিক তেমনি ছিলেন। তাঁর পড়ানো বয়ে চলত নদীর স্রোতের মতো ৷ বর্তমান যুগের স্মার্টফোন এর ব্যব...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!