Shadow

Author: Kulayefera

একইসঙ্গে স্নেহময়ী রক্ষাকর্ত্রী এবং রণরঙ্গিনী মা নিস্তারিণী – জয়িতা সরকার

একইসঙ্গে স্নেহময়ী রক্ষাকর্ত্রী এবং রণরঙ্গিনী মা নিস্তারিণী – জয়িতা সরকার

বিহান বেলায় ২
।। একইসঙ্গে স্নেহময়ী রক্ষাকর্ত্রী এবং রণরঙ্গিনী মা নিস্তারিণী ।।  জয়িতা সরকার                                              ।। একটি প্রতিবেদন ।।   কত রকমের ভাঙ্গা- গড়া, সাফল্য- ব্যর্থতা, লাভ- লোকসান পার করে আবার চলে গেল একটা বছর ,এল নতুন বাংলা বছর ।আরো নানা রকমের বিশেষ তিথির মতন এই বিশেষ দিনে শেওড়াফুলি নিস্তারিণী মায়ের মন্দিরে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন প্রার্থনা নিয়ে উপস্থিত হবেন। পুণ্যার্থীদের হাতে হাতে ফুলমালা- লাল খাতা- ধূপ -দীপ- মিষ্টান্নে ভরে যাবে মন্দির চত্বর। এই ভরসার আশ্রয় তো আসলে একদিনের নয়।বাংলার দিকে দিকে বনে- জঙ্গলে- পাহাড়ে- মণ্ডপে-মন্দিরে-বাড়িতে- শ্মশানে মা কালীর পূজার প্রচলন প্রাচীনকাল থেকেই রয়েছে । আহ্লাদী  মনের কোণায় কোণায় মাতৃ আশ্রয়ের জন্য অপরিসীম আকাঙ্ক্ষা। সেই চাহিদা গিয়ে মিশেছে পুরাণে উল্লিখিত দেবীরূপের সঙ্গে।কালের নিয়ন্ত্রণকারিণী কালী নানা রূপে  নানাস্তরের...
কু উ…  – দেবাশিস দণ্ড

কু উ… – দেবাশিস দণ্ড

বিহান বেলায় ২
কু উ... দেবাশিস দণ্ড ভাড়া বাসায় সবটুকুই ভাড়ার ভাড়া করা জানালায় ভাড়া করা আকাশ। আকাশের গায়ে যত নকশা--সব ভাড়া করা। সুখি আজ জানালার পর্দাটা সরিয়ে দিতেই ফাগুন আলোয় সারা ঘর তছনছ। বুড়ো জামরুল গাছটায় আজও এসে বসেছে পাজি কোকিলটা। রাজার ব্যাটা সুখিকে দেখামাত্রই ডেকে উঠল-কু উ... সুখি বলতে গেল,যাহ! বলা আর হল না,সুরে এমন ঝিমধরা মৌতাত। কোকিলটা কালও এসেছিল। পরশুও। সুখি জানালা খুলতেই ডেকে উঠেছিল - কু উ... সুখি ভাবে,পাখিটা রোজ রোজ কু গায় কেন? পাখিটা বড্ড অলক্ষুনে। দু-একটা উড়নচণ্ডী মেঘ টলতে টলতে যাচ্ছে শিমুলদুয়ার থেকে পলাশদুয়ার। মোদো মাতাল বাতাস মুখ থুবড়ে পড়ে আছে শালগাছের গুঁড়িতে। সারা গায়ে লাল মোরাম মাখামাখি। রাজার ব্যাটা সুখির দিকে গ্রীবা ঘুরিয়ে তাকাল ফিক করে হেসে উঠল-কু উ... খসে গেল আঁচল খসে গেল হাজার হাজার হলুদপাতা। থৈ থৈ সুরে রোদ্দুরে ভেসে গেল পৃথিবীর সব পাড়া। সমস্ত...
ছোটোবেলার সাইকেল – বিদ্যুৎ পাল

ছোটোবেলার সাইকেল – বিদ্যুৎ পাল

বিহান বেলায় ২
ছোটোবেলার সাইকেল বিদ্যুৎ পাল ১ মেয়েদের শেষ দলটি চলে যাওয়ার পরেও অপরিচ্ছন্ন বাস্কেটবল কোর্টে কলেজ বাড়িটার ছায়া পড়তে দেরী থাকে। ছায়া শুধু আরেকটু গাঢ় হয় পোর্টিকোর কাছে–প্রিন্সিপাল আর দু’চারজন টিচার,বিদায় নেবার আগে কাজের দিনের শেষ বাক্যালাপটুকু সারতে থাকেন। এতক্ষণে ডিপার্টমেন্টে তালা ঝুলিয়ে তার ও বাড়ির পথে রওনা দেওয়ার কথা কিন্তু আজ ...! সাত বছরে প্রথমবার এ ব্যাপারে এত নিশ্চিত হয়েছে সে,যে লোকটা আসবেই। সে তো বলতে গেলে ওই একবারই দেখা,প্রথম আলাপ,শিপ্রা বৌদির বাড়িতে সন্ধ্যেবেলায়। তাও কোনো অঘটনে নয়,রীতিমত ব্যবস্থা করে। মনে হয়েছিল,লোকটি কথার দাম রাখা নিয়ে একটু বেশিই সচেতন। তবু,যদি না আসে?... হতে পারে না। হলে সে নিজের কাছে ছোটো হয়ে যাবে। কে ছোটো হয়ে যাবে? সে? নিজের কাছে? প্রিয় গোলাপী শাড়িটার আঁচল সে গাছকোমর করে নেয়,পনেরো বছর আগেকার দস্যিপনায়। অসম্ভব ! বলেছিল না প্রতিমাবৌদি ! “ছেড়ে দিবি ক...
নারীদিবস – সুজয় কুমার দাশ

নারীদিবস – সুজয় কুমার দাশ

বিহান বেলায় ২
নারীদিবস সুজয় কুমার দাশ সকালে উঠে দেখি মার্চ ৮ । সব মন মিলে ব্যস্তবাগীশ প্ল্যান-প্রোগ্রামে । এক মন ভাবে খসড়াটা লিখে ফেলি --- জনপ্রিয় সান্ধ্য চ্যানেল শো । অন্যজনা কথা সাজায় সোশ্যাল মিডিয়ায় । বাঁয়া তবলায় বোল ওঠে, রিনঝিন গীটারে । আদেখলাপনা সর্বত্র --- এঁদো গলি থেকে পদাধিকারীর জিভে । আমিও কিছু কম যাই না --- সারিবদ্ধ মিথ্যা শব্দ বুনছি দিনপঞ্জি দেখে, শুধু অন্তর্যামীর চোখে দূরবীক্ষণ --- কলিনারীর স্থান যে কোনখানে ? **********************  ...
দুটি অণুগল্প – রথীন পার্থ মণ্ডল

দুটি অণুগল্প – রথীন পার্থ মণ্ডল

বিহান বেলায় ২
  দুটি অণুগল্প রথীন পার্থ মণ্ডল ১. মহান বজ্রপাতে ছোটভাই হঠাৎ চলে গেল। বড়দা শিবনাথ শোকে আচ্ছন্ন, বাড়ির সকলেও। বৌমা-ভাইপো-ভাইঝির চোখের জল থামছে না। এদিকে বড় বৌ অঝোরে কেঁদেই চলেছে। দুই ছেলে বিছানা নিয়েছে শোকে।       আবার বিপদ--। বোন চন্দনা তার দুই মেয়েকে নিয়ে বিধবার বেশে হাজির। কান্না বিজড়িত স্বরে সে বলল-"তিন দিন আগে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় তোমার জামাই বিদায় নিয়েছে। তোমাদের শোক চলছে তাই জানাইনি। এখন থেকে এখানেই আমরা থাকব। বল দাদা--কি করব? আজ তাকে ফুল-জল নিবেদন করে -এখানেই চলে এলাম- আর উপায় নেই!"       শিবনাথের চোখে জল-"হ্যাঁ, তোরা সবাই এখানেই থাক। ঈশ্বরের দয়ায় সকলে সুখে-দুঃখে একসাথে থাকব।" ২. সারমেয় কথা   আবার গেলাম রতনদের বাড়ি। দরজা পেরিয়ে উঠোনে ঢুকলাম। রতনের মা যেন দেখেও দেখল না। দূর দূর করে তাড়িয়েও দিল না। আর কেনই বা দেবে? তাড়িয়ে দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে গেছে। আমি...
দৃশ্য সুখ – বনানী ভট্টাচার্য

দৃশ্য সুখ – বনানী ভট্টাচার্য

বিহান বেলায় ২
দৃশ্য সুখ বনানী ভট্টাচার্য মাঝেমাঝে তুমি নদী হয়ে যাও বৃষ্টির আলপনা নিয়ে উত্তাল যেন চুপচাপ দেখতে থাকি আমি আঁচল বিছিয়ে দিই একসময় যদি ছুঁয়ে দাও একটিবার! মাঝেমাঝে তুমি আকাশ হয়ে যাও শুক্লা ত্রয়োদশীর আলো খুঁজতে থাকি আমি খোলা ছাদে ছুটে ছুটে যাই জানো? অন্তত যদি একবার দুচোখে ধরা দাও! মাঝেমাঝে অধরা সময় হয়ে যাও তুমি কেমন অনায়াসে এ জানালা, ও জানালায় অপেক্ষা সাজিয়ে রাখো! আমি নির্বাক, নিঃশব্দে তোলপাড় হই অহর্নিশি সদর-অন্দরের বাতিগুলো জ্বেলে দিই একে একে শূন্যের মধ্যে আরেক শূন্যতাকে ধরে রেখে.... **********************  ...
নারীত্ব – কবরী ঘোষ

নারীত্ব – কবরী ঘোষ

বিহান বেলায় ২
নারীত্ব কলমে - কবরী ঘোষ নারী তুমি কার? পিতার ? পুত্রের ? না প্রেমিকের ?  না গৃহস্বামীর ? তুমি কখনো হারাও ? কার বুকে মাথা রাখার অভিলাষ তোমার ? স্নেহ চাও ?  ভালোবাসা চাও ? না অভিভাবকত্ব চাও ? জীবনটা তোমার টোটাল কনফিউস্ড! তুমি কি সত্যি জলের আকার – নেই তোমার নিজস্ব আধার – তুমি কি জলজ? জলজ প্রাণি? না কি তুমি  কেবলই অভিমানী? ************************ কবরী ঘোষ পরিচিতি- হুগলি চন্দননগরের বাসিন্দা। কবিতা আবৃত্তি করেন আর কবিতা লেখেন। এছাড়া ফাইন আর্টস এ জলরং, তেলরং, এক্রেলিক মিক্স মিডিয়া অ্যাপস ট্র্যাক এর উপর ছোটবেলা থেকে ছবি আঁকতে ভালোবাসেন। মাঝে মাঝে আর্ট এক্সিবিশন করেন। কবিতা ও ছবি আঁকা দুটোই ওনার খুব ভালোবাসার বিষয়বস্তু।...
পাখিটা ডাকছে – শ্রাবণী বসু

পাখিটা ডাকছে – শ্রাবণী বসু

বিহান বেলায় ২
পাখিটা ডাকছে  শ্রাবণী বসু  আলোর বাঁশি বাজতেই ফুল পাতা পাখির ঘুম ভাঙছে। আঁধার জয়ের শব্দ আমি খুঁজে পাইনি - অথচ একটা দোয়েল কেমন করে যেন সে সব শিখে নিয়েছে। পাখিটা ডাকছে - সূর্যোদয়ের শান্ত নীরবতায় আলোছায়ার  নিস্তব্ধ নির্জনতায় কৃষ্ণের বাঁশিটির মতো সম্মোহনে পাখিটা ডাকছে। অদৃশ্য রজ্জুবাঁধা ঘরে আমরা অনবরত গান খুঁজছি । যেহেতু - গানই মুক্তির পথ। পাখিটা ডাকছে- গাছগুলি,পাতাগুলি, ফুলগুলি বাজনা বাজাচ্ছে। আসমুদ্র হিমাচল ঘুম ভাঙিয়ে মোহন বাঁশিটির মতো উদাস সুরে খিটা ডাকছে। *********************** শ্রাবণী বসু পরিচিতি: পেশা শিক্ষকতা। কবিতা যাপনে যে সুখ পান,তেমনটি আর কোথাও পাননা। আর সেই কারণে কবিতা পাঠ করার সাথে সাথে লেখালিখি চলতে থাকে। প্রকাশিত যৌথ কাব্যগ্রন্থ: দ্বিপ্রহর-১ (প্রিয়মুখ প্রকাশনী বাংলাদেশ), ফেলে আসা শহর (বিভা পাবলিকেশন,কলকাতা),দুই বাংলার লতিফা কলস (২০১৭),(২০১৮),(২০১৯) সম্পাদক...
নির্বাণ-মণি ফকির

নির্বাণ-মণি ফকির

বিহান বেলায় ২
*নির্বাণ* মণি ফকির মেন্টাল সাবট্র‍্যাকশন বা মন-বিয়োজন! শুনেছ কখনো? বললাম: না। বাট সাউন্ডস ইন্টারেস্টিং। প্লিজ ইলাবরেট। ওকে, রাতে আমরা যখন ঘুমোতে যাই, শোওয়ার পর, অন্ধকার ঘরে অনেক শব্দ কানে আসে। পারিপার্শ্বিক শব্দ,অ্যামবিয়েন্ট সাউন্ডস। সেগুলোতে মনোযোগ দিলে নির্ধারণ করা যায় কোন শব্দটা সবচেয়ে দূর থেকে আসছে। আর কোনটা সবচেয়ে কাছে। এবার চেষ্টা কর, দূরত্বের ক্রম অনুযায়ী শব্দগুলোকে mentally mute করার। আস্তে আস্তে মনকে নিকটতম শব্দে নিয়ে এস। তারপর সেটাকেও ছেঁটে ফেল। শুধু নিজের শ্বাসের শব্দ পাবে। তুমি যদি কোনো অর্কেস্ট্রা বা ব্যান্ডে পারফর্ম করার সময় নিজের গলা বা বাজনা শুনতে না পাও, তখন এই অনুশীলন তোমায় সাহায্য করবে। নিজের কথা চাপা পড়ে গেলে মানুষ বড় একা হয়ে যায়। ...................................... মুনখাগড়া। ঘন জঙ্গল, বড় ঝিল, চারপাশে সাদা রডোডেন্ড্রন ফুলে ভরা গাছ। দূরে বরফের চাদ...
দত্তবাটি থেকে বংশবাটি-দত্তবংশের ইতিহাস – অনুপ মুখার্জি

দত্তবাটি থেকে বংশবাটি-দত্তবংশের ইতিহাস – অনুপ মুখার্জি

বিহান বেলায় ২
দত্তবাটি থেকে বংশবাটি-দত্তবংশের ইতিহাস অনুপ মুখার্জি রাঢ়ভূমি এদেশের সভ্যতা, সংস্কৃতি,সমাজ ও অর্থনীতির গুটিকতক আদিমতম পীঠস্থানের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উজ্জ্বল গতিশীল অঞ্চল হওয়ায় যুগে যুগে দেশি-বিদেশিদের আপন আপন আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে।সময়ের ধারা বেয়ে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় পরিবর্তনের সূত্র ধরে পরিবর্তিত হয়েছে সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি। ঘটেছে সংঘাত ও সমন্বয়। সেই পথ বেয়ে আজ থেকে প্রায় ১৪০০ বছর আগে উত্তর রাঢ়ে আসে পশ্চিমী পঞ্চকায়স্থরা। তাঁদের অন্যতম দত্তবংশের অধিষ্ঠান হয় বরেট্টা গ্রামে (বর্তমান মুর্শিদাবাদের)। অত:পর নাম হয় দত্তবাটি বা দত্তবরুটিয়া। এই অঞ্চলটি রাঢ় ভূমির বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী পশ্চিম থেকে পূর্বে ঢালু হওয়ায় জেলার বাগড়ি এলাকা অপেক্ষা অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর, আবাদযোগ্য এবং প্রাচীন। বঙ্গে পঞ্চকায়স্থ আগমন এই প্রবন্ধের মুখ্য বিষয়ের সূচক। যে সকল *পঞ্চকায়স্থ  পশ্চিমী দেশ থেকে গৌড়ে এসেছে, কুলপঞ্জিকা...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!