Shadow

Author: Kulayefera

জয়রামবাটি মাতৃমন্দির – বিজিত কুমার রায়

জয়রামবাটি মাতৃমন্দির – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
জয়রামবাটি মাতৃমন্দির বিজিত কুমার রায় সারদামনি মাতার পূত জন্মস্থান জয়রামবাটি ভ্রমণের ইতিবৃত্য। যে গ্রামে জন্মিলা মাতাদেবী ঠাকুরানী। পুণ্যময়ী লীলা-তীর্থ ধামে তারে গণি।। শ্রীপ্রভুর পদরেণু বিকীর্ণ যেখানে। বিধাতার সুদুর্লভ তপস্যা সাধনে।। (শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণপুঁথি, অক্ষয়কুমার সেন) নবদ্বীপধামে দেবী বিষ্ণুপ্রিয়া জয়রামবাটি এলে সারদা সাজিয়া, জীর্ণ চীর বাসে নিজেরে ঢাকিয়া রাজলক্ষ্মী হ’লে যোগিনী।। (মণীন্দ্রকুমার সরকার) পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর মহকুমার অন্তঃপাতী জয়রামবাটি গ্রাম শ্রীশ্রীমা সারদা দেবীর পুণ্য জন্মস্থান। মা বলতেন–‘ওদের এখানে তিনরাত্রি বাস কত্তে বলো। এখানে তিনরাত্রি বাস কল্লে দেহ শুদ্ধ হয়ে যাবে,এটা শিবের পুরী কিনা।’ সত্যিসত্যিই মায়ের মন্দির নির্মাণের সময় ভিত খুঁড়তে গিয়ে পাওয়া গিয়েছিল একটি ছোটো কালো শিবলিঙ্গ। মাতৃমন্দিরের সিংহাসনে আজও সেটি পূজিত হয়। জয়রামবাট...
ঘৃষ্ণেশ্বর মন্দির,মহারাষ্ট্র – বিজিত কুমার রায়

ঘৃষ্ণেশ্বর মন্দির,মহারাষ্ট্র – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
ঘৃষ্ণেশ্বর মন্দির,মহারাষ্ট্র বিজিত কুমার রায় জ্যোতির্লিঙ্গ হল শিবপুরাণ গ্রন্থে উল্লিখিত ১২টিজ্যোতির্লিঙ্গ মন্দিরের অন্যতম। ঘৃষ্ণেশ্বরকেই সর্বশেষ জ্যোতির্লিঙ্গ মনে করা হয়। ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের দৌলতাবাদ থেকে ১১ কিলোমিটার ও আওরঙ্গাবাদ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে বেরুল গ্রামে এই জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দিরটি অবস্থিত। মন্দিরটি ইলোরা গুহার কাছে অবস্থিত। আমি আমার কাজের সুবাদে বহুবার আউরঙ্গবাদ যেতাম। তারই মধ্যে একবার এই মন্দির দর্শনের সৌভাগ্য হয়েছিল। মন্দিরের গাত্র-অলংকরণে প্রাগৈতিহাসিক মন্দির প্রথা ও প্রাগৈতিহাসিক স্থাপত্যশৈলীর মিশ্রণ দেখা যায়। মন্দিরে রক্ষিত শিলালিপিটি এখানকার পর্যটকদের কাছে একটি বিশেষ আকর্ষণ। মন্দিরটি লাল পাথরের তৈরি। এতে পাঁচটি চূড়া দেখা যায়। বর্তমান মন্দিরটি অষ্টাদশ শতাব্দীতে নির্মিত। এর গাতে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি খোদিত আছে। কথিত আছে, বেরুলের শিবভক্ত উপজাতি-প্রধান ঘৃষ্ণেশ্বর...
জ্যোতিরলিঙ্গ দেওঘর – বিজিত কুমার রায়

জ্যোতিরলিঙ্গ দেওঘর – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
জ্যোতিরলিঙ্গ দেওঘর বিজিত কুমার রায় ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগনা জেলার দেবগৃহ অর্থাৎ দেবতার ঘর আজ হয়েছে দেওঘর। বৈদ্যনাথ ধাম নামেও সমধিক খ্যাত। রেল স্টেশনও বৈদ্যনাথ ধাম। দেব লিঙ্গের শিবের পাঁচ আঙুলের ছাপে জড়িয়ে রয়েছে পুরাণ কাহিনি। ৭২ ফুট উঁচু মন্দিরে দেবতা কামনা লিঙ্গ এখানে বৈদ্যনাথ নামে খ্যাত। দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম বৈদ্যনাথ বা ভগবান শিবের মন্দিরটি এক গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু তীর্থ। ১৫৯৬ সালে এই মন্দির গড়েন রাজা পূরণমল। চকবন্দি, গোলাকার মন্দিরে পুষ্পমাল্যে ভূষিতদেবতার স্বরূপ দর্শন মেলে সন্ধ্যায় স্নান অভিষেক কালে। বিপরীতে ৯ অনাদি শিব ছাড়াও নানান দেবদেবী আছেন মন্দিরে। তেমনই আছে মন্দিরের উত্তরে ১৫০ সিঁড়ির ক্ষীরগঙ্গা দিঘি। ৬ কিমি দূরে গঙ্গা। ৫১ পীঠের এক পীঠ এই বৈদ্যনাথ ধাম, বিশ্বাস অনুযায়ী সতীর হৃদয় পড়েছিল এখানে। শিবপুরাণের কাহিনি অনুসারে, ত্রেতাযুগে লঙ্কা অধিপতি রাবণ চেয়েছিলেন যে তার রা...
ইউরোপ ভ্রমণ (সপ্তম পর্ব) : ভেনিস – বিজিত কুমার রায়

ইউরোপ ভ্রমণ (সপ্তম পর্ব) : ভেনিস – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
ইউরোপ ভ্রমণ (সপ্তম পর্ব) : ভেনিস বিজিত কুমার রায় রুটিন ধরে সকাল ৬টায় ওঠা, ৭টাতে ব্রেকফাস্ট আর ৮টার সময় বেরোনো। যদিও ১০-১১ দিনের ক্রমাগত ঘোরাঘুরিতে শরীর একটু টায়ার্ড তবুও কিছু করার নেই। আবার ৫ ঘন্টার বাস জার্নি। তবে বাসে কোনো ঝাঁকুনি না থাকাতে চাইলে পরে ঘুমের কোনো অসুবিধা নেই। সিটগুলিও খুবই আরামপ্রদ। তবে আমার বাইরের দৃশ্য মিস করার কোনো ইচ্ছা ছিল না। আমাদের এই জার্নিতে পুরোটাই আপেল আর অলিভ ক্ষেতের পাশ দিয়ে যাওয়া। আমরা এসে পৌঁছালাম ভেনিস ম্যাস্ত্রো বলে একটি স্থানে যেটি মেনল্যান্ডে। এখানে একটি ভারতীয় রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ সারা হলো। এরপর ২৫ মিনিটের ফেরি সার্ভিসে আমরা ভেনিস পৌঁছালাম। ফেরিঘাটের সামনেই সব হোটেল রেস্তোরাঁ ইত্যাদি আর সবসময়েই যেন হইহই চলছে। বিক্রি হচ্ছে নানা স্যুভেনির, নানা রকমের মুখোশ। এই সামনের রাস্তাটি পুরোটাই যেনো একটি মেলা গ্রাউন্ডের মতো। নানা কিছু বিক্রী হচ্ছে। গান হচ্ছে একর্ড...
ইউরোপ ভ্রমণ (ষষ্ঠ পর্ব) : লুসর্ন হয়ে জার্মানি এক রাত্রি তারপর অস্ট্রিয়া – বিজিত কুমার রায়

ইউরোপ ভ্রমণ (ষষ্ঠ পর্ব) : লুসর্ন হয়ে জার্মানি এক রাত্রি তারপর অস্ট্রিয়া – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
ইউরোপ ভ্রমণ (ষষ্ঠ পর্ব) : লুসর্ন হয়ে জার্মানি এক রাত্রি তারপর অস্ট্রিয়া বিজিত কুমার রায় প্রথম ভাগ সকাল সকাল তৈরি হয়ে, ব্যাগ সুটকেস গুছিয়ে ব্রেকফাস্ট হলে। তারপর ব্রেকফাস্ট সেরে বাসে। সকাল ৭.৩০ মিনিটে বাস ছাড়লো লুসর্নের দিকে। সকাল ১০টার সময়ে পৌঁছালাম একটি সুন্দর লেকে যার চারদিকে বরফে ঢাকা পাহাড়। সুইজারল্যান্ড তার আশ্চর্যজনক হ্রদের জন্য বিখ্যাত। বিশেষ গৌরব হ'ল লুসর্ন হ্রদ, যা প্রায়শই দেশের ভিজিটিং কার্ড নামে পরিচিত। লুসর্ন হ্রদকে অন্যথায় Firvaldstetsky বলা হয়। এটি সুইজারল্যান্ডের একেবারে কেন্দ্রে অবস্থিত। ঐতিহাসিকভাবে, এই জলাশয়ের তীরে চারটি সেনানিবাস ছিল: লুসর্ন, উরি, শোয়েজ এবং আনটারওয়াল্ডেন। এই পুকুরটি প্রায়শই সুইজারল্যান্ডের ভিজিটিং কার্ড নামে পরিচিত কারণ হ্রদটি খুব মনোরম জায়গায় রয়েছে। চারদিক থেকে, লুসর্ন হ্রদ, সুন্দর বন এবং তুষারে ঢাকা পর্বতশৃঙ্গ দ্বারা বেষ্টিত। লেক লুসর্নে...
শ্বেতকালী রাজবল্লভী ও ইতিহাসের রাজবলহাট – ড: স্বয়ংদীপ্ত বাগ

শ্বেতকালী রাজবল্লভী ও ইতিহাসের রাজবলহাট – ড: স্বয়ংদীপ্ত বাগ

দেখবো এবার জগৎটাকে
শ্বেতকালী রাজবল্লভী ও ইতিহাসের রাজবলহাট ড: স্বয়ংদীপ্ত বাগ বাংলার লোক সংস্কৃতির ইতিহাস অনেকটাই সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলার নানা দেবদেবীর মন্দির ও তাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠান সহ নানান ধর্মী সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে। পশ্চিমবঙ্গে হুগলী জেলার রাজবলহাটে রয়েছে প্রায় আটশো বছরের পুরনো এমনই এক বিখ্যাত মন্দির।  শ্বেতকালী রাজবল্লভী মাতার মন্দির। যাকে কেন্দ্র করে একসময় বিকাশ হয়েছিল রাজবলহাটের মতো একটি সমৃদ্ধ জনপদের। দুর্ভাগ্যক্রমে একের পর এক সংস্কার ও পরিবর্তনের কারণে মন্দিরের কোথাও আজ আর সেই প্রাচীনত্বের ছোঁয়া পাওয়া যায় না। কিন্তু ইতিহাসের পথ ধরে, লোককথার পথ ধরে এর গৌরবোজ্জ্বল অতীতে ফিরে যাওয়া যায় খুব সহজেই...। আনুমানিক ১২৪২ খ্রীষ্টাব্দে, ‘রাজপুর’এ (বর্তমানে হুগলী জেলার রাজবলহাটে) শ্রীশ্রী রাজবল্লভী মায়ের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন রাজা সদানন্দ রায়। অবশ্য মতান্তরে, ষোড়শ শতকে ভূরিশ্রেষ্ঠ রাজ, রা...
কুলায় ফেরা কে সাধুবাদ – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

কুলায় ফেরা কে সাধুবাদ – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

আশীর্বাণী
কুলায় ফেরা কে সাধুবাদ "কুলায় ফেরা" ওয়েব পত্রিকার তরঙ্গাভিঘাত বহু মানুষের কাছে তার বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। সাধুবাদযোগ্য তাদের এই উদ্যোগ। আমি তাঁদের আমার গভীর ভালবাসা ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়   শ্রদ্ধেয় সাহিত্যিক শ্রী শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের আশীর্বাণী কুলায়ফেরা-র এবং কুলায়ফেরা পরিবারের প্রত্যেকের কাছে এক মহার্ঘ্য পদক স্বরূপ। অশীতিপর সাহিত্যসেবকের এই শংসা কুলায়ফেরা-র সাথে যুক্ত প্রত্যেকের মনোবল,কর্মোদ্যম তথা সৃষ্টিশীলতা কে বহুগুণ বর্ধিত করবে,সে বিষয়ে আমরা নিঃসংশয়। আমরা কুলায়ফেরা পরিবারের পক্ষে বিদগ্ধ সাহিত্যস্রষ্টা ও বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী,শ্রদ্ধেয় শ্রী শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের দীর্ঘ,সুস্থ,আনন্দময় জীবন প্রার্থনা করি। কুলায়ফেরা পরিবার...
ভুয়ো – চন্দ্রকান্তি দত্ত

ভুয়ো – চন্দ্রকান্তি দত্ত

গল্প
ভুয়ো চন্দ্রকান্তি দত্ত চাকরী থেকে অবসর নেওয়ার পর দক্ষিণবাংলার কোন ছোট শহরে স্হায়ীভাবে বসবাস করব ভেবে রেখেছিলাম। সেইমতো খোঁজখবর করে কোন্নগরে একটা বাড়ি ভাড়া নিয়ে সমস্তিপুর থেকে সোজা এখানে এসে উঠেছি। বাড়িটা মূল লোকালয় থেকে একটু তফাতে, গঙ্গার ধারে। পুরনো বাড়ি, একতলা। তবে যত্নে বেশ ঝকঝকে রাখা হয়েছে। সামনে পিছনে খানিকটা জমি। তারপর পুরো চত্তরটা উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ভিতরের জমিতে বড় বড় কয়েকটা গাছ-আম, কাঁঠাল, নিম, সজনে ও পেঁপে। কিছু ফুলের গাছও আছে। একজন মালি দেখাশোনা করে। আমি একা মানুষ। তিনকুলে এক বৃদ্ধা পিসি ও নবতিপর পিসেমশাই ছাড়া আর কেউ নেই। খুব ছেলেবেলায় অনাথ হওয়ার পর এই পিসিই আমাকে কোলেপিঠে করে মানুষ করেন। পিসেমশাই রেলে চাকরী করতেন। আমার রেলের চাকরীটাও পিসেমশাই-এরই বদান্যতায়। আমার বিয়ের বছর দুয়েকের মাথায় আমাদের প্রথম সন্তানের জন্মের অনতিবলম্ব পরেই সন্তান ও তার মা দুজনেই আমাকে ছেড়ে গে...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!