Shadow

Author: Kulayefera

দুটি খুন ও পপা মাসীর গোয়েন্দাগিরি  –  প্রত্যুষ  সেনগুপ্ত

দুটি খুন ও পপা মাসীর গোয়েন্দাগিরি  –  প্রত্যুষ  সেনগুপ্ত

বিহানবেলায়, রহস্য গল্প
  দুটি খুন ও পপা মাসীর গোয়েন্দাগিরি   প্রত্যুষ  সেনগুপ্ত  ।।এক।। পমপম এক মনে ফাইলে চোখ বোলাচ্ছিল। গত সাতদিন ধরে যা ধকল গেলো। আরডিএক্স পাচারকারীদের ধরতে একরাত ধানক্ষেতে জল কাদা আর মশার মধ্যে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে হয়েছিল। পাশেই বাংলাদেশ বর্ডার। জলাজমি ছাড়ালেই আত্রেয়ী নদী। ওটা পেরোলেই পগার পার। পমপম আজ অফিসে যাবেনা। বাড়িতে বসেই তাই কিছু কাজ এগিয়ে রাখছিলো। মুনের সঙ্গে দুপুরে একটা ছবি দেখতে যাওয়ার ইচ্ছে। মুন হলো পমপমের দিদির মেয়ে। ক্লাস ইলেভেন। মাসীর মতন গোয়েন্দা হতে চায়। আর মাসীর পয়েন্ট নাইন রিভলভার দিয়ে মনে মনে গুলি চালায় বদমাশদের উপর। মোবাইলটা বেজে উঠলেই পমপম দেখলো ডিআইজি সাহেব তলব করেছেন। এক্ষুনি যেতে হবে। সিকিউরিটিকে ডেকে দ্রুত গাড়ি বের করতে বললো। ঝটপট জিনসের উপর সাদা টি শার্ট গলিয়ে ওয়ালেট আর বন্দুকটা নিয়ে বেরোতে যাবে তখনই ডাক, - "পপা মাসী? পপা মাসী আজ যাবেনা?”  পমপমের মনটা এ...
ফুটো – দীপাঞ্জন মাইতি

ফুটো – দীপাঞ্জন মাইতি

গল্প, বিহানবেলায়
ফুটো দীপাঞ্জন মাইতি মাকে ফুটোর মনে পড়ে না। আট বছর হলো-জন্ম ইস্তক্ ভোলাকেই চিনেছে বাপ বলে। ভোলার সাথে ফুটোর কোনো মিল নেই। আমিনা চাচী বলে,ফুটোর নাকি মায়ের সাথে খুব মিল তবে আয়নায় ফুটো দেখেছে ওর চোখের কটা রংটা ঠিক রকির মত। রেলগেট থেকে স্কুল মোড় এলাকার সত্তরটা ট্রাফিক মোড়ের সর্বেসর্বা রকি।  রকি হল ফুটোর ফেভরিট,ফুটো বড় হয়ে রকির মত হতে চায় কারণ আর লোকে বলে ফুটো নাকি জন্মের আগে থেকেই রকির ফেভরিট। তখন কত হবে বয়স মাস ঘুরেছে হবে বড় জোর...প্রথম দেখাতেই রকির জহুরী নজরে পড়েছিল ফুটো। তখন ফুটোর সে কি ফুটেজ...। তবে সে সব কিছুই ফুটোর মনে নেই সবই আমিনা চাচীর কাছে শোনা। চাচীই নাকি সব থেকে বেশী কাটে,বেশীদিন কোলে পাততো ফুটোকে...শ টাকায় ৪০ রকির,৩৫ চাচীর আর ২৫ ফুটোর। এতদিন কোলে পেতেছে,চাচীর গায়ের গন্ধটাই তাই বোধহয় ফুটোর সবচে চেনা। বেশী জড়িয়ে পড়লে ধান্ধা চৌপাট হয়ে যাবে তাই রোজ রাতে রকির অর্ডারে ভোলার এক হাতে নোট...
বাসাবাড়ি – ডঃ গৌতম সরকার

বাসাবাড়ি – ডঃ গৌতম সরকার

গল্প, বিহানবেলায়
বাসাবাড়ি ডঃ গৌতম সরকার দরজা দিয়ে ঢুকেই অপ্রশস্ত শ্যাওলা পড়া উঠোন। বাঁদিকে কুয়ো,কুয়োর পাশেই তিন ধাপ সিঁড়ি উঠে এজমালি পায়খানা। একটু এগিয়ে ঢাকা বারান্দা,যার এদিক থেকে ঢুকে বাঁদিকে ঠাকুরের রান্নাঘর পেরিয়ে সোজা ছাদে ওঠার সিঁড়ি। ছাদে একটা ছোট্ট ঘর। ঢাকা বারান্দার বাইরে ডানদিকে পাশাপাশি তিনটে ঘর। মাঝের লাল টুকটুকে মেঝের ঘরটি আমার বাবার বাসা। জায়গাটা আধাশহর হলেও, আমার চোখে এটাই দিল্লী-বোম্বাই-কলকাতা সব। এখানে ঘরের পাশেই পিচ রাস্তা,মুহুর্মুহু বাস-ট্রাক-ট্যাক্সি ছুটছে। আরেকটু দূরের রেলস্টেশন থেকে আসা ট্রেনের আওয়াজ বাসায় বসেই শুনতে পাওয়া যায়। আমাদের গ্রামে এসব কল্পনাও করা যায়না। বাড়ি থেকে বাস রাস্তার দূরত্ব প্রায় দু-কিলোমিটার। হেঁটে,নয় সাইকেলে যেতে হয়। সারা গ্রামে দোকান বলতে দুটো মুদিখানা দোকান। আর এখানে ঘর থেকে বেরোলেই ঝাঁ চকচকে দোকান শত সম্ভার সাজিয়ে বসে আছে। আমি এখানে থাকিনা। এটা আমার বাবার বাসা...
অজানা অচেনা গিরিবর্ত্মের পথে পথে – বিজিত কুমার রায়

অজানা অচেনা গিরিবর্ত্মের পথে পথে – বিজিত কুমার রায়

বিহানবেলায়, ভ্রমণ কাহিনী
অজানা অচেনা গিরিবর্ত্মের পথে পথে    বিজিত কুমার রায় কাশ্মীর হয়ে লেহ লাদাখ  আর হিমাচল হয়ে ফেরত। স্বর্গ যদি কোথাও থাকে তা আছে এখানে। ২০১৬ সালে বেরিয়ে ছিলাম শ্রীনগর হয়ে লেহ লাদাখের পথে প্রান্তরে। কলকাতা থেকে আমাদের ২২ জনের দল বেরিয়েছে কয়েক দিন আগে ট্রেনে পাঠানকোট পাটনিটপ হয়ে তারা আজ শ্রীনগর পৌঁছোবে  । আর আমরা এসেছি আজ সকালের বিমানে কলকাতা দিল্লী শ্রীনগর। লাদাখ বেড়াতে গেলে কিছু বিষয় অবশ্যই চিন্তা ভাবনা করতে হবে৷ প্রথমতঃ আপনি কোথা থেকে শুরু করবেন? লাদাখ তিন দিক দিয়ে শুরু করতে পারেন৷ ১) জম্মু থেকে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক ধরে  শ্রীনগর হয়ে বা দিল্লী -শ্রীনগর  ফ্লাইটে গিয়ে শ্রীনগর হয়ে ২) দিল্লী - লেহ ফ্লাইটে গিয়ে ৩) মানালী -লেহ জাতীয় সড়ক ধরে ৷ মনে রাখতে হবে শ্রীনগর লেহর রাস্তা মে মাসের মাঝামাঝি খুললেও মানালীর রাস্তা মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহের  আগে খোলে না৷ এটা নির্ভর করছে ঐ বছর কি পরিমাণ ব...
আজ মন চেয়ে চেয়ে আমি হারিয়ে যাবো – শ্রুতি দত্ত রায়

আজ মন চেয়ে চেয়ে আমি হারিয়ে যাবো – শ্রুতি দত্ত রায়

গান ও বাদ্য, বিহানবেলায়
আজ মন চেয়ে চেয়ে আমি হারিয়ে যাবো শ্রুতি দত্ত রায় https://youtu.be/ehqFYWUvqbo *********************************************** শ্রুতি দত্ত রায় পরিচিতি: সুন্দরী ডুয়ার্সের মফস্বল শহর জলপাইগুড়িতে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। পেশায় সরকারি বিদ্যালয়ের ভাষা সাহিত্যের শিক্ষিকা। ভালবাসেন গান শুনতে,বই পড়তে, ডুয়ার্সের প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে। আর গান গাইবার মধ্যে খুঁজে পান মুক্তির স্বাদ।...
কুলায় ফেরা” ওয়েবzine আয়োজিত সম্পদ ব্যানার্জী স্মৃতি সাহিত্য প্রতিযোগিতার ফলাফল

কুলায় ফেরা” ওয়েবzine আয়োজিত সম্পদ ব্যানার্জী স্মৃতি সাহিত্য প্রতিযোগিতার ফলাফল

Uncategorized
"কুলায় ফেরা" ওয়েবzine আয়োজিত সম্পদ ব্যানার্জী স্মৃতি সাহিত্য প্রতিযোগিতার ফলাফল। সাড়া জাগানো এই প্রতিযোগিতায় প্রাপ্ত সকল সাহিত্য কর্মকে সম্মানিত বিচারক মন্ডলী মূল্যায়ন করেছেন। বিচারক মণ্ডলীর দ্বারা নির্ধারিত ফলাফল প্রকাশিত হলো। বিষয়ঃ- রহস্য গল্প প্রথম স্থানাধিকারী- সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায় গল্পঃ- রহস্যময় সেই রাতে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী- সুস্মিতা কর্মকার গল্পঃ- প্রিন্স তৃতীয় স্থানাধিকারী- দেবপ্রিয়া সরকার গল্পঃ- হোয়াইট হাউসে রক্তের দাগ শ্রদ্ধেয় বিচারক মণ্ডলীতে থেকে যাঁরা এই নির্বাচনের কাজটি সম্পন্ন করেছেন, তাঁরা হলেনঃ- শ্রী আশিস সরকার শ্রীমতী কাজরী বসু শ্রীমতী পৃথা রায়চৌধুরী শ্রী দীপঙ্কর মিত্র। প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় প্রতিযোগীকে অর্থমূল্যে সম্মানিত করা হবে। প্রদান করা হবে শংসা পত্র। নির্বাচিত লেখা গুলি প্রকাশ করা হবে কুলায় ফেরার বাংলা নববর্ষ সংখ্যা "বিহানবেলায়"।। সমস...
নীলকন্ঠ ফেরিওয়ালা রিভিউ (আলোকপাত) – পর্ণশবরী ভট্টাচার্য্য

নীলকন্ঠ ফেরিওয়ালা রিভিউ (আলোকপাত) – পর্ণশবরী ভট্টাচার্য্য

সাম্প্রতিক
নীলকন্ঠ ফেরিওয়ালা - আলোকপাত  পর্ণশবরী ভট্টাচার্য্য নীলকন্ঠ ফেরিওয়ালা বইটির লেখক: চিন্ময় চক্রবর্তী (প্রকাশক:গাঙচিল)                     "নীল" শব্দটির মধ্যে আছে অতলান্ত গভীরতার দ্যোতনা,স্বপ্নিল ছায়াবৃত রহস্যময়তা,নিঃসীম অপার ব্যাপ্তি যা কখনও গগনচুম্বী,কখনও অতলস্পর্শী,যার আভাস পাওয়া যায় নাগাল পাওয়া যায় না৷                      "নীলকন্ঠ ফেরিওয়ালা" আখ্যানের কেন্দ্রীয় চরিত্র 'নীল' বাল্যকাল থেকে মধ্যবয়স পর্যন্ত জীবনের গতিময়তাকে বর্ণিল করে তোলে বস্তুজগতের ঘটন অঘটনের রূপ ও রূপহীনতাকে ছান্দসিকের দৃষ্টিতে দেখে৷ তাই কোন পারিপার্শ্বিক বিরূপতাই তার অন্তর্লীন শিল্পীসত্ত্বাকে নিঃশেষে বিক্ষত করতে পারে না৷ জীবনের মাধুরীকে সে পান করে আর গরলকে ধারণ করে 'নীলকন্ঠ' হয়৷                     কাহিনীকার চিন্ময় চক্রবর্তী “নীলকে” নির্মাণ করেছেন তার আবাল্য কৈশোর-যৌবন ও মধ্যবয়সের পরিসীমায়৷ এটি নীলের আত্মকথন| ...
ভাষা এবং … শ্রাবণী বসু

ভাষা এবং … শ্রাবণী বসু

মাতৃকথ্য
ভাষা এবং ... শ্রাবণী বসু পংক্তির আড়ালে বসে নিভৃত মনের ভাবনাগুলোকে ঢালা উপুড় করি- রেললাইনের উপর ট্রেন ছুটে চলে নদীর বুকে ঝুলন্ত ছোট্ট সাঁকোটির মতো কেঁপে কেঁপে উঠি ভয় ভাবনা ভালোবাসার মিলিত অনুরণন বারবার নতুন করে ভাবতে শেখায়। কারো কারো শব্দ বাক্য তিরতির বয়ে চলা নদীটির মতো। তাদের মুখনিঃসৃত কথা শুনলে দু-দন্ড শান্তি মেলে। ভাষা যাদের চোখের মণি, বুকের বর্ম - মাঠে মাঠে তাদের সোনালি ধানের ফসল ইচ্ছে হয়, যৌথ খামার গড়ে অক্ষরসাধনা করি একসাথে। কথা যাদের - যাগ-যজ্ঞ-হোম কথা যাদের মৃতসঞ্জীবনী, ঋষির মতো তাঁরা তপস্বী তাঁদের কথায়,খইয়ের মতো সাদা অজস্র ফুল পাপড়ি মেলে দেয় নিঃশব্দে,নিভৃত অরণ্যে ইচ্ছে হয়,সব কটি কথা কুড়িয়ে এনে বুকের ভিতর গোলাঘরে রেখে দিই। ********************************************* পরিচিতি: শ্রাবণী বসু পেশা শিক্ষকতা। কবিতা যাপনে যে সুখ পান,তেমনটি আর কোথাও পাননা। আর...
এখনও চোখ বন্ধ দেখি – অনুপ দত্ত

এখনও চোখ বন্ধ দেখি – অনুপ দত্ত

মাতৃকথ্য
এখনও চোখ বন্ধ দেখি অনুপ দত্ত মনের ভিতরে এক উচ্চাঙ্গ সুর ঘুরে ম’রে ওপারে বাংলাদেশে ঢাকায়,এপারে মনের ঘরে৷ ভাষা ভাষা আমার আপন বাংলা ভাষা মায়ের মুখে প্রথম ডাকা খোকা ভালবাসা৷ সে সুর-ঝর্ণা স্মৃতি নয় মধুর নিরবধি সে আমার দেশ, কানন মনন বননদী৷ আরও কতো সুর সাধা আমার মায়ের মুখ মায়ের মুখে কত গান ঘুমপাড়ানি সুখ৷ এখনও চোখ বন্ধ দেখি হাজার সময় সূর্য তাপে আমার মায়ের ভাষা জ্বলে ওঠে সদর্পে৷ সে দর্পে লোহিত সোহাগ তার ভাষা নেই জুড়ি সে সোহাগ দেয় হাজার ছেলে মারের সাগর পাড়ি৷ বুকে সাজিয়ে বাংলা ভাষা বুলেট মালা সহস্র প্রাণ পার হয় কবর শ্মশান কারবালা৷ তারা ভালবাসা… তারা বাংলা ভাষার তুড়ি তারা তর্জনী তুলে ভুলতে না দেয় একুশে ফেব্রুয়ারি৷ ****************************************************** অনুপ দত্ত পরিচিতি কবি অনুপ দত্ত-র জন্ম কালীতলা হাট, বগুড়া শহর, বাংলাদেশ৷ ওপার বাংলায় ইশকুল শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্র...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!