Shadow

Author: Kulayefera

সন্ধ্যার মিলনমেলা – প্রণব  আচার্য্য

সন্ধ্যার মিলনমেলা – প্রণব আচার্য্য

কবিতা
সন্ধ্যার মিলনমেলা প্রণব আচার্য্য সন্ধ্যা যখন নামে, মন এই আশাতেই থাকে। যে তারারা লুকিয়েছিলো দিনের আলোতে, মিটিমিটি হয়ে জ্বলবে এবার নীল আকাশেতে। জ্বলবে প্রদীপ তুলসী তলায় শঙ্খ ধ্বনি দিয়ে, আনন্দে মোরা মেতে উঠবো সবাইকে নিয়ে। সন্ধ্যার তমসা ছায় যখন চারিদিকে, গৃহগুলি হয় রোশনাই কৃত্রিম আলোকে। খুশির জোয়ার বয় প্রতি ঘরে ঘরে, ফিরবে ঘরে তারা, যারা গিয়েছে বাইরে। সন্তানেরা চেয়ে থাকে বাবার প্রাতিক্ষায়, বধূরা থাকে চেয়ে তাদের স্বামীর অপেক্ষায়। এমন শ্রেষ্ঠ সময় আছে নাকি আর  ? পরিবারকে মিলিত করে একই ছাদের তলায়, ফিরিয়ে আনে ঘরে ঘরে খুশির জোয়ার, সন্ধ্যাই হয়ে ওঠে শুভক্ষণ সবার মিলনমেলার। *****************************************   প্রণব আচার্য্য পরিচিতি :  বি. কম (অনার্স), কাব্য ও সাহিত্য চর্চায় অনুরাগী। সম্প্রতি কিছুদিন আগে থেকে কলম কে সাথী করে পথ চলা।...
কই ফিস ডুডল – সব্যসাচী  দাশগুপ্ত

কই ফিস ডুডল – সব্যসাচী দাশগুপ্ত

আঁকিবুকি
মান্ডালা আর্টের অনুপ্রেরণায় "কই ফিস ডুডল" koi fish doodle। সাধারণতঃ জাপানি কৈ ফিশ কার্প ইলাস্ট্রেশনে এই মুভমেন্ট গুলো পাওয়া যায়, আর তাতে মিশে আছে মান্ডালা আর্টের ডুডল মোটিভ! সাকুরা সিগমা মাইক্রন পেনে ৩০০ জি এস এম কোল্ড কম্প্রেস পেপারে আঁকা হয়েছে। ******************************************   সব্যসাচী  দাশগুপ্ত পরিচিতি: শিল্পী, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা সমাপ্ত করার পর, দীর্ঘ সময় ধরে একটি বহুজাতিক সংস্থায় সাফল্যের সঙ্গে কর্মজীবন কাটিয়ে বর্তমানে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত।  লেখালেখি ও ছবি আঁকা বরাবরই তার মন টানে। তাই এই অবসর জীবনে আবার নতুন করে  সৃষ্টির উন্মাদনায় নিজেকে ব্যাপ্ত করেছেন।...
জ্যোতিরলিঙ্গ ভীমাশঙ্কর – বিজিত কুমার রায়

জ্যোতিরলিঙ্গ ভীমাশঙ্কর – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
জ্যোতিরলিঙ্গ ভীমাশঙ্কর বিজিত কুমার রায় জ্যোতিরলিঙ্গ ভীমাশঙ্কর মন্দির পুনে থেকে ১২৭ কিমি দূরে সহ্যাদ্রী পাহাড়ের ওপরে অবস্থিত, যা ভীমা নদীর উৎসস্থল। এই ভীমা নদী দক্ষিণপূর্ব দিকে গিয়ে রাইচুরের কাছে কৃষ্ণা নদীতে মিলেছে। ২০০৯ অথবা ২০১০ সালে পুনেতে আমার মেয়ের বাড়ীতে থাকার সময় আমরা ভীমাশঙ্কর দর্শনে যাই। সকাল বেলা ৫টার সময়ে রওয়ানা হয়ে যাওয়া হয় গাড়ীতে। সহ্যাদ্রি পাহাড়ের অপূর্ব সুন্দর রাস্তা। বর্ষাকাল বলে চারিদিক সবুজ। পুনে থেকে প্রায় ১২৭ কিমি দূরে সমুদ্রতল থেকে ৩৫০০ ফুট উঁচুতে, চারিদিকে পাহাড় আর জঙ্গলের মধ্যে বহু প্রাচীন গ্রানাইট পাথরের মন্দির। ওপর থেকে কিছুটা সিঁড়ি দিয়ে নেমে মন্দির প্রাঙ্গন। গর্ভমন্দিরে প্রবেশের আগে নন্দিশ্বরের মূর্তিকে প্রণাম জানিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম। ভেতরটা আলো আঁধারী। প্রদীপের আলোতে বিগ্রহ দর্শন। সামনে বেশ বড় গৌরীপট্টর মধ্যে মূল ভীমাশঙ্কর লিঙ্গ। এক হাতেরও কম উঁচু। লিঙ্গের ম...

জ্যোতিরলিঙ্গ ত্র্যম্বকেশ্বর – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
জ্যোতিরলিঙ্গ ত্র্যম্বকেশ্বর বিজিত কুমার রায় কোম্পানির কাজের সুবাদে ২০০৬ সালে থাকতে হয়েছিল নাসিকে ৫ দিন। সেই সময়ে সস্ত্রীক ভ্রমণ করি নাসিক, ত্র্যম্বকেশ্বর, শিরডি সাই ও শনি সিংনাপুর। একদিন বৈকাল বেলা বেরিয়ে আমরা নাসিক শহর ঘুরে দেখলাম। বনবাসকালে শ্রী রামচন্দ্র, সীতা ও লক্ষণ এই নাসিকের পঞ্চবটিতে কিছুদিন অবস্থান করেছিলেন। তখন এই জায়গার নাম ছিল "জনস্থান"। এই স্থানেই রামায়ণে আছে শুর্পনখার নাক কেটে দেন লক্ষণ তাই প্রচলিত আছে এই জায়গার নাম নাসিক বলে। চারিদিকে দূরে দূরে সবুজ পাহাড় ঘেরা সুন্দর শহর নাসিক। প্রথমে আমরা মা গোদাবরীর মন্দিরে দেবীমূর্তি দর্শন ও প্রণাম করে রামঘাটে এসে নদীর জল স্পর্শ করলাম। এই বিখ্যাত রামঘাট। এখানেই প্রতি বারো বছর অন্তর মাঘ মাসের শুক্লা দশমী তিথিতে বৃহস্পতি গ্রহ সিংহ রাশিস্থ হলে বৃহস্পতিবারের মধ্যাহ্নে কুম্ভ যোগ হয়। এরপর দর্শন করলাম কপালেশ্বর মহাদেব। তারপরে 'কালারামের' মন্...
শ্রীহরি – সোনালী গুহ

শ্রীহরি – সোনালী গুহ

গল্প, শ্লোক থেকে ব্লগ
শ্রীহরি সোনালী গুহ বৈকুন্ঠপুরের দক্ষিণারঞ্জন মিত্র ব্যবসায়ী মানুষ|পরম বৈষ্ণব|গলায় তুলসীর মালা, দুই বেলা ইষ্ট নাম জপ না করে মুখে কিছুই দেননা| বাড়িতে মাংস দূরের কথা, মাছ ও ঢোকে না| অসম্ভব নিয়ম নিষ্ঠায় জীবন কাটান| বয়েস হয়েছে, চার ছেলেই এখন কারবার দেখা শোনা করে| মিত্রমশাই বাকিজীবন ধর্ম কর্মেই কাটাবেন স্থির করেছেন| স্ত্রী মনোরমা গত হবার পর থেকে আরো যেন পুজো পাঠ বেড়েছে| বাড়িতে চার ছেলে, চার বৌমা, দুই নাতি, একটি নাতনি| ছোট ছেলের এখনো সন্তানাদি হয়নি| এই নিয়ে মিত্রমশাই একটু আক্ষেপ করেন মনে মনে, কিন্তু মুখে কিছু বলেননা| ভাবেন, মনোরমা থাকলে নিশ্চয় যাগযজ্ঞ, তাবিজ কবজ করতেন কিছু| এটা ছাড়া সংসারে আপাত দৃষ্টিতে কোনো সমস্যা নেই| স্বচ্ছল পরিবারের চাকর বাকরের ও অভাব নেই| সংসারের রথ নির্বিঘ্নেই চলছে বলা চলে| রাশভারী মিত্র মশাই একবার গঙ্গা স্নানে গেলেন কলকাতায়| বড় বৌমাকে ডেকে বলে গেলেন, "বৌমা, তুমি বড়, এ...
বেলুড় মঠে দুর্গাপূজা – বিজিত কুমার রায়

বেলুড় মঠে দুর্গাপূজা – বিজিত কুমার রায়

পাকা চুলের কলমে
বেলুড় মঠে দুর্গাপূজা বিজিত কুমার রায় স্মৃতির পাতা থেকে............... অনেক দিন ধরেই স্বামী বিবেকানন্দের মনে এই ইচ্ছেটা ছিল যে তিনি বেলুড়মঠে দুর্গাপূজো করবেন। কিন্তু নানা কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি। ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে বেলুড়মঠ প্রতিষ্ঠার পর স্বামীজি প্রায়ই তাঁর প্রিয় বেলগাছতলায় বসে সম্মুখে প্রবাহিতা গঙ্গার দিকে তাকিয়ে আপন মনে গাইতেন ‘‘…বিল্ববৃক্ষমুলে পাতিয়া বোধন/গণেশের কল্যাণে গৌরীর আগমন।/ঘরে আনব চণ্ডী, কর্ণে শুনব চণ্ডী,/আসবে কত দণ্ডী, জটাজুটধারী"। এরপর একদিন ১৯০১ খ্রিস্টাব্দের মে-জুন মাস নাগাদ স্বামীজির অন্যতম গৃহী শিষ্য শরৎচন্দ্র চক্রবর্তী বেলুড়মঠে এলে বিবেকানন্দ তাঁকে ডেকে রঘুনন্দনের ‘অষ্টবিংশতি তত্ত্ব’ বইটি কিনে আনার জন্য বললেন। শরৎচন্দ্র চক্রবর্তী কৌতূহলী হয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘আপনি রঘুনন্দনের বইটি নিয়ে কি করবেন?’ স্বামীজি বললেন, ‘এবার মঠে দুর্গোৎসব করবার ইচ্ছে হচ্ছে। যদি খরচ সঙ্কুলান হয় ত মহ...
পাত্র পাত্রী চাই – দিওতিমা আচার্য্য

পাত্র পাত্রী চাই – দিওতিমা আচার্য্য

ঘটমান বর্তমান
পাত্র পাত্রী চাই দিওতিমা আচার্য্য যুগ যুগ ধরে মানুষের অগ্রগতির সঙ্গে পরিবারগুলির মধ্যে একটি দৃঢ় বদ্ধমূল ধারনা ও বিশ্বাস তৈরী হয়েছে যে, ‘বিয়ে’ হচ্ছে একটি পবিত্র সামাজিক গঠনমূলক বন্ধন যার মাধ্যমে পরিবার ও বংশ এগিয়ে চলে। পথ চলার সঙ্গে সঙ্গে দেখা যাচ্ছে ‘বিয়ে’ নামক সামাজিক বন্ধন, অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে এগোচ্ছে এবং আজ এই বন্ধন একটি সামাজিক মর্যাদার চিহ্নে পরিণত হয়েছে। আজ সকালের সংবাদপত্রটি পড়তে পড়তে হঠাৎ এই প্রথম ‘পাত্র পাত্রী চাই’ বিভাগে চোখ পড়ল। বিভাগটিতে দুটি উজ্জ্বল রং দেখতে পেলাম। নীল রং পাত্র আর গোলাপী পাত্রী। এটা অত্যন্ত হাস্যকর যে, আমরা যখন নারী–পুরুষ বিভেদের বিপক্ষে সোচ্চার, সমানান্তরে তখন কাগজে লিঙ্গ বিভেদ জাজ্জ্বল্যমান! শুধু তাই নয়, বিভেদকে আরও প্রকট করা হয়েছে জাতি, ধর্ম এবং পেশায়। বিভাগটিতে মনোনিবেশ করলে বোঝা যায়, পাত্রীদের যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তার একটিও পাত্রীর স্বয়ং রচি...

জ্যোতিরলিঙ্গ মহাকালেশ্বর – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
জ্যোতিরলিঙ্গ মহাকালেশ্বর বিজিত কুমার রায় মহাকাল জ্যোতিরলিঙ্গের মন্দির উজ্জয়িনী বা অবন্তিকাতে। আমার চাকরির সূত্রে ভুপাল থাকার সময় এই পুণ্যক্ষেত্র দর্শনের অভিজ্ঞতা একাধিকবার হয়েছে। ১৯৯৪ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে। তবে স্মরণীয় হয়ে আছে ২০০৫ সালে এসে দুই দিন থাকার স্মৃতি। এই উজ্জয়িনীর কত নাম। অবন্তিকা, অমরাবতী, কুশস্থলী, ভোগবতী, হিরণ্যবতী, কনকশৃঙ্গা, কুমুদবতী, বিশালা ইত্যাদি। কথিত আছে স্বয়ং মহাদেব এখানে ত্রিপুরাসুরকে বধ করার জন্য দেবী রক্তদন্তিকা চন্ডীর আরাধনা করে পাশুপত অস্ত্র লাভ করেন। প্রবল শত্রুকে 'উজ্জিত' অর্থাৎ পরাজিত করার জন্য এই স্থানের নাম হয় উজ্জয়িনী । ভোপাল থেকে গাড়িতে করে আমরা এসে পৌঁছাই এই তীর্থে ও বৈকালবেলা মহাকাল দর্শনে আসি। ভিড়ের জন্য লাইন দিয়ে ধীরে ধীরে মন্দিরে প্রবেশ করে মন্দির চত্বর পেরিয়ে মুলমন্দিরের সিঁড়ির কাছে দাঁড়ালাম। তারপর সিঁড়ি বেয়ে ভুগৰ্ভস্থ মন্দিরে প্রবেশ। শ্বেতপাথরের...
পীত দোয়েল ও নীলকণ্ঠ পাখি – চিত্রগ্রাহকঃ ভাস্কর চ্যাটার্জি

পীত দোয়েল ও নীলকণ্ঠ পাখি – চিত্রগ্রাহকঃ ভাস্কর চ্যাটার্জি

খিচিক্
পীত দোয়েল (Citrine wagtail) দৈর্ঘে প্রায় ৫.৫-১৭ সেমি হয়ে থাকে। প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষটি মূলত ধূসর বা কালোর উপরে ও লেজের অংশ কালো হয়। মাথার দিকটা পুরোটাই উজ্জ্বল হলুদ বর্নের হয়ে থাকে। চিত্রগ্রাহকঃ ভাস্কর চ্যাটার্জি ----------------------------------------------------------------------------- নীলকণ্ঠ নীলকন্ঠ পাখি মাপে ৩১-৩৩ সে.মি. পর্যন্ত হয়ে থাকে। মাথার উপরে কিছুটা নীল রং থাকে এবং পালকের নিচের দিকে নীল রং থাকে। তবে এই পাখিকে অনেকটা কলার মোচার মত দেখতে হয়। নীলকন্ঠ পাখি সমগ্র ভারত, বাংলাদেশের গারো পাহাড়, হবিগঞ্জ, পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ সমগ্র দঃক্ষিণ এশিয়াতে দেখা যায়। পোকা, কীটপতঙ্গ, ব্যাঙ, সাপের, বাচ্চা, টিকটিকি, গিরগিটি ইত্যাদি নীলকন্ঠ পাখির খাদ্য । চিত্রগ্রাহকঃ ভাস্কর চ্যাটার্জি ************************************************     ভাস্কর চ্যাটার্জি পরিচিতিঃ বিপ...
জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শন – সোমনাথ – বিজিত কুমার রায়

জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শন – সোমনাথ – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শন - সোমনাথ বিজিত কুমার রায় এবার চলুন গুজরাটের এক অপরূপ সুন্দর মন্দির দেখে আসি। বিশাল জায়গা নিয়ে অপূর্ব সুন্দর মন্দির ও মুর্তি (লিঙ্গ) একদম সমুদ্রের ধারে। এই মন্দিরটি প্রভাস পাটান নামক জায়গাতে। একদম ভিড় না থাকাতে আমরা প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে দর্শন করলাম ও পূজা দিলাম। এখানে শিবলিঙ্গের মাথাতে জল দেওয়ার জন্য অনেকটা দূর থেকে একটি পাইপলাইন মতো আছে। এই মন্দিরের দর্শনের অনুভূতি লেখাতে প্রকাশ করার শক্তি আমার নেই কারণ বহুকাল ধরে স্বপ্ন ছিল এখানে আসার। তবুও সোমনাথের সম্বন্ধে কিছুটা ঐতিহাসিক পটভূমিকা দেওয়ার চেষ্টা করছি। সোমনাথ মন্দির ভারতের একটি প্রসিদ্ধ শিব মন্দির। গুজরাট রাজ্যের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের ভেরাভলের নিকটস্থ প্রভাস ক্ষেত্রে এই মন্দির অবস্থিত। শিবের দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে পবিত্রতম। সোমনাথ শব্দটির অর্থ “চন্দ্র দেবতার রক্ষাকর্তা”। সোমনাথ মন্দিরটি...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!