Shadow

Author: Kulayefera

দাম্পত্য – নবনীতা সাঁতরা দে

দাম্পত্য – নবনীতা সাঁতরা দে

কবিতা
দাম্পত্য নবনীতা সাঁতরা দে আলমারির দরজায় দুজনকে পাশাপাশি দেখা যেত না। একজনকে দেখা গেলে অন্যজন চলে যেত আড়ালে, যেমনটা হয়ে থাকে দাম্পত্য জীবনে। আমি চোখে কাজল লেপতে এলে তোমার চুলের সিঁথি সোজা হতো না, মুখে কপট বিরক্তি নিয়ে সরে জেতে দাম্পত্যের রোজনামচায়। রোজ সকালে বাসি বিছানা গোছানোর সময়, সাহায্যের হাত না বাড়ানোর অকর্মণ্যতা বোঝাতে গিয়ে যখন রাগে নীতিবাক্য আউরেছি, তুমি তখন না শুনেই সরে গেছো অকাজের অছিলায়। তবু জীবন তৃপ্ত থাকে বিছানা গোছানোয়। দাম্পত্য বেঁচেছে এভাবেই। তোমার অফিস মোজা আর আমার মুখ মোছা রুমাল, একসাথে কেচে ধুয়ে রোদে শুকিয়েছে, তারপর আবার জলেও ভিজেছে অনেকগুলো বছর। যেভাবে পাশাপাশি থেকে যায় দাম্পত্যের আলোছায়া। একসাথে পথে বেরিয়ে হেঁটেছ একগজ আগে নয়তো একগজ পিছে। মনে হয়েছে এর চেয়ে একলা চলাই ছিল ভালো। তবু খানিক পথ পেরিয়ে দাঁড়িয়েছ অপেক্ষায়, যেভাবে বহু পথ অতিক্রম করা যায় কোন এক স...
মধ্য কলকাতার পুরানো বাড়ি – রাজীব দে

মধ্য কলকাতার পুরানো বাড়ি – রাজীব দে

খিচিক্
মধ্য কলকাতার পুরানো বাড়ি চিত্রগ্রাহক - রাজীব দে চিত্রটি তোলা হয়েছে যে ক্যামেরাতেঃ Hasselblad X pan camera, with 45mm lens (not digital) ********************************************* শিল্পী রাজীব দে পরিচিতিঃ  একজন বিখ্যাত দার্শনিক, বিভিন্ন পুরস্কার প্রাপ্ত এবং সম্পূর্ন ভাবে নিবেদিত পেশাদারী ও ফ্রিলান্সার আলোকচিত্র শিল্পী। বর্তমানে বিভিন্ন প্রকল্প ও প্রদর্শনীর সঙ্গে যুক্ত। আলোকচিত্র শিল্পী ও চিত্র সম্পাদকের ভুমিকায় কাজ করেছেন যথাক্রমে  টেলিগ্রাফ ও স্টেটসম্যান পত্রিকায়। একাকী ও গ্রুপ প্রদর্শনী করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা আন্তর্জাতিক চিত্রমেলা, ভারতীয় আন্তর্জাতিক কেন্দ্র দিল্লি, ভারতীয় যাদুঘর কলকাতা, Vadera in UK, M.I.L.K. in USA, Australia, UK, New Zealand, Tasveer in Mumbai, Delhi, Bangalore ও কলকাতা ইমেজেস দ্বারা আয়োজিত বিভিন্ন চিত্র প্রদর্শনী তে। বিভিন্ন প্রকাশনঃ Frames...
পুস্কর উৎসবে এক রাজস্থানী – বিতান চক্রবর্তী

পুস্কর উৎসবে এক রাজস্থানী – বিতান চক্রবর্তী

আঁকিবুকি
পুস্কর উৎসবে এক রাজস্থানী শিল্পীঃ বিতান চক্রবর্তী রাজস্থানের ঐতিহ্যবাহী উট উৎসব পুস্করে প্রতিবছর পালিত হয়। এই উৎসব উপলক্ষে আগমন হয় অনেক দেশী বিদেশী ভ্রমণপিপাসু মানুষের। চলে উট ছাড়াও অন্যান্য গবাদিপশুর কেনাবেচা। কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তে এই উৎসব আয়োজন করে রাজস্থানের ট্যুরিজম বিভাগ। ছবিতে এক বিক্রেতার ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। ছবিটি জল রং এ আঁকা *************************************** বিতান চক্রবর্তী পরিচিতি বিতান চক্রবর্তী পেশায় ইলেক্ট্রনিক এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। KIIT ভুবনেশ্বর থেকে ২০১৭ সালে পাশ করে বর্তমানে হায়দ্রাবাদ এ Tech Mahindra তে কর্মরত। বিতানের ভালোবাসা হল, ছবি আঁকা, ছবি তোলা, গিটার এবং উকুলেলে বাজানো। অবসর সময় এরাই ওর সঙ্গী। বিতানের ছবি আঁকার বা তোলার কোনো প্রথাগত শিক্ষা নেই। এটা ওর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ মাত্র।...
শেষ পৃষ্ঠায় দেখুন – মধুপর্নি  চট্টোপাধ্যায়

শেষ পৃষ্ঠায় দেখুন – মধুপর্নি চট্টোপাধ্যায়

কবিতা
শেষ পৃষ্ঠায় দেখুন মধুপর্নি  চট্টোপাধ্যায় রোজ সকাল হলে দেখি দৌড়ে দৌড়ে ওরা যায়  - ওদের দৌড়োনো দেখে জানলা দিয়ে উঁকি দেয় বুড়ো শালিকেরা চিৎকার করে বলে - "লক্ষ্য তো স্থির - এবার এগোও" কচি ঘাস অনাবৃত একটা শুকনো মাঠে দৌড়োয় ছোট - বড়ো - মেজো রা আমি গেলে ওরা ভয় পায় ওদের চোখে কখনো বা ভাসে তীব্র বিরক্তি আমার শরীরে নেই দৌড় - চাঞ্চল্য ছাপ পড়ে না শৈশব, কৈশোর কিংবা যৌবনের, আমাদের মতো বুড়ো বট গাছের সাথে তাই ওদের ঠিক জমে না চাঞ্চল্য-হীন জীবনে হিসেব রাখি আকাশলীন লেনদেনের আর ওরা হিসেব ধরে - কোনো গন্ধযুক্ত অঙ্কের ।। ********************************************** মধুপর্নি চট্টোপাধ্যায় পরিচিতি বাংলা সাম্মানিক প্রথম বর্ষের ছাত্রী। কবি, আবৃত্তিকার ও বাচিক শিল্পী। বাংলা সাহিত্য এবং সুস্থ সংস্কৃতির অনুরাগী।      ...
ক্রন্দনরত শিশু (Crying Child) – বিতান চক্রবর্তী

ক্রন্দনরত শিশু (Crying Child) – বিতান চক্রবর্তী

আঁকিবুকি
ক্রন্দনরত শিশু (Crying Child) শিল্পীঃ বিতান চক্রবর্তী ছবিটি পেন্সিল স্কেচ। অতিমারির আবহে শিশুটি তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কর্মহীন পিতা প্রয়োজনীয় খাদ্য শিশুটির মুখে তুলে দিতে পারছেনা। ************************************************* বিতান চক্রবর্তীর পরিচিতি বিতান চক্রবর্তী পেশায় ইলেক্ট্রনিক এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। KIIT ভুবনেশ্বর থেকে ২০১৭ সালে পাশ করে বর্তমানে হায়দ্রাবাদ এ Tech Mahindra তে কর্মরত। বিতানের ভালোবাসা হল, ছবি আঁকা, ছবি তোলা, গিটার এবং উকুলেলে বাজানো। অবসর সময় এরাই ওর সঙ্গী। বিতানের ছবি আঁকার বা তোলার কোনো প্রথাগত শিক্ষা নেই। এটা ওর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ মাত্র।...
বেকড্ পটাটো – ক্যারিসা

বেকড্ পটাটো – ক্যারিসা

ঠাম্মি-ইয়াম্মি
বেকড্ পটাটো (Baked Potato) ক্যারিসার রেসিপি (Carissa's recipe)  উপকরণ আলু ১ কিলোগ্রাম (মাঝারি আকারের আট টুকরো করে কাটা) রসুন ৪ কলি কুচোনো পেয়াজ ১টা (চৌকো করে কাটা) লাল, হলুদ, সবুজ রঙের ক্যাপসিকাম ১ টা করে (চৌকো করে কাটা) ।। অলিভ অয়েল ২চা চামচ মাখন ২চা চামচ (গলানো) নুন  স্বাদমতো লাল লঙ্কা গুড়ো ১/২চা চামচ গোলমরিচ ১/২চা চামচ বিটনুন অথবা চাটমশলা ১/২চা চামচ প্রক্রিয়া উপরের উপকরণ গুলি একটি বড়ো পাত্রে মিশিয়ে রাখুন। কুকিং ওভেন (১৬০ - ১৮০) ডিগ্রীতে প্রিহিট করে নিয়ে, পাত্রে মেশানো উপকরণ গুলি বেকিং ট্রেতে ঢেলে ২০ – ২৫ মিনিট বেক করতে হবে। মাঝে এক দুবার উল্টে পাল্টে দিতে হবে। প্রয়োজনে তাপমাত্রা বাড়িয়ে লালচে কুড়মুড়ে করে বেক করতে হবে। এবার বেকিং ট্রে থেকে বেকড্ পটাটো পরিবেশনের পাত্রে নিয়ে নিন। ****************************************** Carissaর পরিচিতি Born and raised in Oh...
মান – জলি চক্রবর্তী শীল

মান – জলি চক্রবর্তী শীল

গল্প
মান জলি চক্রবর্তী শীল আল্লাহ মেহেরবান!! মনে মনে আল্লাহকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানায় ফরিদা| এবারটায় তার ছেলে হয়েছে| ওয়াকিব হালদারের বংশে প্রদীপ এসেছে। সাত মেয়ের কোলে ছেলে। ফরিদার মনেও আহ্লাদ। কাল হাসপাতাল থেকে ছুটি পাবে সে। তারপর সে‚ওয়কিব হালদারের গর্বিত বউ ছেলে কোলে বাড়ি ফিরবে সেই পাড়া দিয়ে যে পাড়ায় সবাই বলত তাকে অপয়া। এই বউয়ের কোল থেকে কোনদিনই ছেলে জন্মাবে না। শুধু কি পাড়া প্রতিবেশী‚ ওয়াকিবের মা কি কম তানা দিয়েছে। আর ওয়াকিব‚ সেও তো ছেড়ে কথা বলেনি। আল্লাহর দোরে মান্নত মেনেছে ফরিদা কত বার। মাদুরের মত নিজেকে বিছিয়ে দিয়েছে ওয়াকিবের শরীরের তলায়  একটা ছেলের আশায়। অবশেষে আল্লাহ দয়া করেছেন। ফরিদার চোখ দিয়ে জল চুঁইয়ে নামে। এটা ফরিদার দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম বিয়ে মাত্র এগারো বছর বয়সে। বিয়ে কি তা জানার আগেই ফরিদার বিয়ে হয়ে যায় সুলতান আহমেদের সাথে। ফরিদা তখন সবে গ্রামের স্কুলে পড়াশোনা করছে। একদিন লেখাপড়া ...

দ্বাদশ জ্যোতিরলিঙ্গের (দ্বিতীয় পর্ব) – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
দ্বাদশ জ্যোতিরলিঙ্গের (দ্বিতীয় পর্ব) জ্যোতিরলিঙ্গ বিশ্বনাথ বিজিত কুমার রায় বিশ্বেশম মাধবং ঢুন্ডিং দণ্ডপানিঞ্চ ভৈরবম। বন্দে কাশী, গুহাম গঙ্গাম, ভবানী মনিকর্নিকাম এই বন্দনা করে কাশী ধাম ঢোকার প্রচলন। আয়ু বংশের মহারাজা কাশের নাম থেকে হয় কাশী। বরুনা আর অসি এই দুই সঙ্গমে বলে বারাণসী। কথিত কাশী মহাদেবের ত্রিশূলের ওপর স্থিত বলে কোনো ধ্বংস প্রাপ্ত না হয়ে পৃথিবীর প্রাচীনতম নগরী। দশাশ্বমেধ রোড ধরে পশ্চিম দিকে গিয়ে উত্তর দিকে বিশ্বনাথ গলি। মন্দির এই গলিতেই। প্রসঙ্গত আমাদের থাকাও এই গলিতেই। এই গলিতে ঢুকলেই দুধ জ্বাল দেওয়ার, ধূপের, ফুলমালার, পান মশলার, আতরের ও গোবরের মিশ্রিত গন্ধ পাওয়া যায়। আওয়াজ পাওয়া যায় যাত্রীদের হর হর কাশী বিশ্বনাথ অন্নপূর্ণা ডাকের। আর অবশ্যই সাবধান থাকতে হয় সরু গলিতে মহাদেবের বাহনের স্পর্শ এড়াতে। প্রথমে পড়ে অষ্টমবর্ষীয় শঙ্করাচার্যের শ্বেত পাথরের মূর্তি। তারপর কোটিশ্বর আড়াই ...
আঠাশে সেপ্টেম্বর – প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

আঠাশে সেপ্টেম্বর – প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

গল্প
আঠাশে সেপ্টেম্বর প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভ যখন স্টেশনে পৌঁছলো, তখন আটটা তিরিশের ট্রেনটা ঢুকছে। এই ট্রেনটা ধরলে মেদিনীপুরে সাড়ে নটার মধ্যে নেমে যাওয়া যায়। নটা চল্লিশের বাসটা ধরতে সুবিধে হয়। অফিসে পৌঁছতে খুব বেশী দেরী হলেও দশটা কুড়ি। কিন্তু পরের ট্রেনে গেলেই সাহেবের সুমধুর বাণী শুনে তবেই টেবিলে বসতে পাবে। ট্রেনটা বেরিয়ে যেতে দেখে শুভ-র মুখটা ভার হয়ে গেল। আজ আবার সাহেবের সুরেলা বচন হজম করতে হবে। কিন্তু আজ সে নিরুপায় হয়েই ট্রেনটা ছেড়ে দিলো। মান্থলিটা কালই দেহ রেখেছে। টিকিট চেকার প্রতিটি নিত্যযাত্রীকে বিলক্ষণ চেনেন। তিনি টিকিট দেখতে চাইবেনও না। তবু, নিজের কাছে ছোটো হওয়ার পক্ষপাতী নয় শুভ। চোরের মতো বিনাটিকিটের যাত্রী হয়ে ট্রেনে যাওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। পরের ট্রেন দশমিনিটের মধ্যেই। এদিকে লাইনে এখনো জনা দশেক দাঁড়িয়ে। পেছন থেকে একজন চেঁচিয়ে উঠলো, “ও টিকিট দাদা, আপনার একটা সেলফি দেবেন প্লীজ।...
স্মরণে বরণে কিংবদন্তী সুরকার ও শিল্পী শৈলেন মুখোপাধ্যায় – রাজেশ দত্ত

স্মরণে বরণে কিংবদন্তী সুরকার ও শিল্পী শৈলেন মুখোপাধ্যায় – রাজেশ দত্ত

সংস্কৃতির বৈঠক
‘বারে বারে কে যেন ডাকে আমারে? কার ছোঁয়া লাগে যেন মনোবীণা তারে?’ স্মরণে বরণে কিংবদন্তী সুরকার ও শিল্পী শৈলেন মুখোপাধ্যায় শৈলেন মুখোপাধ্যায় (জন্ম: ১২ সেপ্টেম্বর, ১৯৩১ — মৃত্যু: ৮ নভেম্বর, ১৯৭৮) ছিলেন বিশ শতকের পাঁচের দশকের শেষার্ধ থেকে সাতের দশক পর্যন্ত সময়কালে বাংলা স্বর্ণযুগের গানের জগতের এক অগ্রগণ্য সুরস্রষ্টা ও শিল্পী। সুদর্শন, সৌম্যকান্তি, সদাশয় ও মিষ্টভাষী এই মানুষটি ছিলেন একাধারে গায়ক, সুরকার এবং সংগীত শিক্ষক। মাত্র সাতচল্লিশ বছরের স্বল্প আয়ুষ্কালে এমন সব কালোত্তীর্ণ গান সৃষ্টি করেছিলেন যে, আজও সেই গানগুলি সংগীতপ্রেমী বাঙালিদের বিমোহিত করে। এছাড়া তাঁর সুমধুর ও অনিন্দ্যসুন্দর রোম্যান্টিক আবেশে পরিপূর্ণ দরদি কণ্ঠের গানগুলিও বাংলা গানের চিরায়ত সম্পদ। ১৯৫৭ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে জীবনের প্রথম রেকর্ডেই তাঁর কণ্ঠে ‘স্বপ্ন আমার ওগো সপ্তরঙের প্রজাপতির পাখা’ এবং ‘স্বাতী তারা ডুবে গেল’ গান ...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!