Shadow

Author: Kulayefera

প্রেমের আখর – অগ্নিমিত্র ভট্টাচার্য্য

প্রেমের আখর – অগ্নিমিত্র ভট্টাচার্য্য

পাকা চুলের কলমে
প্রেমের আখর অগ্নিমিত্র ভট্টাচার্য্য "আমার খেলা যখন ছিল তোমার সনে, তখন কে তুমি তা কে জানত ...." ১৯১৬ সালের ঘটনা দিয়ে শুরু করছি। আট বছরের এক ছোট্ট মেয়ের গল্প! কলকাতার থেকে অনেক দূরে, এক  ছোট পাহাড়ী শহরে(১) ছিল তার বাস। পড়াশুনো সেই শহরের "লরেটো কনভেন্ট" স্কুলে। ইংরেজি মাধ্যমে পড়লেও বাংলা ভাষার পাঠ সে তার বাড়িতেই নিয়েছিল।একদিন  বইয়ের তাক থেকে একটা পাতলা মলাটের সরু বই , রবিবাবুর লেখা "খেয়া" নিয়ে তার মা তাকে বললেন "এটা তোমার।" সত্যিকথা এই, যে মেয়েটি বইটি পড়বার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু লেখার একবর্ণও বুঝতে না পেরে বইয়ের তাকেই সেই বই  রাখলো ফেলে। পরে একদিন তেঁতুলের আচার মোছার জন্য একটা পরিষ্কার কাগজের প্রয়োজন হওয়ায়  সেই "দুর্বোধ্য" বইয়ের থেকে  একটা পুরো পাতাও নয়, মাত্র খানিকটা ছিঁড়ে ফেলতে, বাড়ীর সকলের কাছে  যথেষ্ট "হেনস্থা"  হতে হয়েছিল তাকে! আর এখানেই শেষ নয়, সেইসময়  বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন সদ্য ...
শবরী – সন্দীপ মুখার্জী

শবরী – সন্দীপ মুখার্জী

আঁকিবুকি
শবরী শিল্পীঃ সন্দীপ মুখার্জী ************************************************** সন্দীপ মুখার্জী পরিচিতিঃ কলকাতা নিবাসী এই শিল্পী, বিমূর্ত  শিল্পকে নিজের মনের ভাবনার রঙে রাঙিয়ে, রং ও রূপের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন। শিক্ষা গ্রহণ করেছেন চারু ও কারু কলা বিভাগের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ইন্ডিয়ান পেইন্টিং বা অবন ঠাকুর, নন্দলাল বসুর ঘরানার ছাত্র হয়েও, পরবর্তীতে ঘরানার গন্ডী পেরিয়ে বিমূর্ততার মাধ্যমে রঙ, রূপ, সুর ও কথার মেলবন্ধনে মগ্ন একদা বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন জগতের আধিকারিক এই শিল্পী।...
হুগলী ইমামবাড়া – রাজীব দে

হুগলী ইমামবাড়া – রাজীব দে

খিচিক্
হুগলী ইমামবাড়া শিল্পীঃ রাজীব দে  চিত্রটি তোলা হয়েছে যে ক্যামেরাতেঃ Hasselblad X pan camera, with 45mm lens (not digital) ******************************************* শিল্পী রাজীব দে পরিচিতিঃ  একজন বিখ্যাত দার্শনিক, বিভিন্ন পুরস্কার প্রাপ্ত এবং সম্পূর্ন ভাবে নিবেদিত পেশাদারী ও ফ্রিলান্সার আলোকচিত্র শিল্পী। বর্তমানে বিভিন্ন প্রকল্প ও প্রদর্শনীর সঙ্গে যুক্ত। আলোকচিত্র শিল্পী ও চিত্র সম্পাদকের ভুমিকায় কাজ করেছেন যথাক্রমে  টেলিগ্রাফ ও স্টেটসম্যান পত্রিকায়। একাকী ও গ্রুপ প্রদর্শনী করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা আন্তর্জাতিক চিত্রমেলা, ভারতীয় আন্তর্জাতিক কেন্দ্র দিল্লি, ভারতীয় যাদুঘর কলকাতা, Vadera in UK, M.I.L.K. in USA, Australia, UK, New Zealand, Tasveer in Mumbai, Delhi, Bangalore ও কলকাতা ইমেজেস দ্বারা আয়োজিত বিভিন্ন চিত্র প্রদর্শনী তে। বিভিন্ন প্রকাশনঃ Frames of My City, p...
সমুদ্র জীবন – অরূপ কুমার সেনগুপ্ত

সমুদ্র জীবন – অরূপ কুমার সেনগুপ্ত

পাকা চুলের কলমে
সমুদ্র জীবন অরূপ কুমার সেনগুপ্ত আমার সমুদ্র জীবনের ৩৫ বছরে যেমন অনেক সুন্দর মুহূর্ত্ত আছে, তেমনি কিছু কিছু ঘটনা আছে, যেগুলো সারাজীবনেও ভোলা যায় না।   আমার জীবনের স্মরণীয় একটা রাত। সেই রাতে আমি তাকে খুব নিবিড় ভাবে কাছে পেয়েছি। তার বুকে নিজেকে সঁপে দিয়েছিলাম। তার গন্ধ বুক ভরে নিয়েছি। তার স্বাদ আস্বাদন করেছি, তাকে পুরোপুরি ভাবে উপলব্ধি করেছি। সারাটা রাত তার বুকেই হাবুডুবু খেয়েছি। আশা করি বুঝতে পেরেছো, কে সে, যে আমাদের তার বুকের মধ্যে রেখেছিলো। হ্যাঁ সে হচ্ছে দিগন্ত বিস্তৃত মহাসমুদ্র। দিনটা ছিল ২০ মার্চ ১৯৭৯ সাল। আমাদের জাহাজ M V Mandadevi  গুজরাটের জামনগর বন্দর থেকে সিমেন্ট লোড করে দুবাই এর দিকে রওনা দিয়েছে। শান্ত সমুদ্র, জাহাজ খুব স্বাভাবিক ভাবেই সমুদ্রের বুক চিড়ে জল কেটে এগিয়ে চলেছে। জাহাজে খুবই স্বাভাবিক পরিস্থিতি। যে যার নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত। একুশে মার্চ দুপুর বারোটার সময় ...
ফুলেল ফাগুনে – গ্রিন্ডেলিয়া ভট্টাচার্য্য

ফুলেল ফাগুনে – গ্রিন্ডেলিয়া ভট্টাচার্য্য

আঁকিবুকি
ফুলেল ফাগুনে গ্রিন্ডেলিয়া ভট্টাচার্য্য শিল্পী গ্রিন্ডেলিয়া ভট্টাচার্য্যঃ গ্রিন্ডেলিয়া পেশায় একজন শিক্ষিকা এবং স্বশিক্ষিত শিল্পী। চিত্রকলায় শৌখিনতা তার সৃজনশীল কাজের একটি দিক। প্রকৃতির প্রতি অনুরাগ তার চিত্রকলায় ফিরে আসে বারবার। অভিনয়ের সাথে ইনি একজন সমাজসেবিকাও। বিভিন্ন সংস্থা যেমন “হিতৈষিণী”,“দ্য ক্যান্সার ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়া”, “আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি”র সাথে ইনি যুক্ত রয়েছেন। “স্কোপ” একটি সামাজিক সংস্কৃতি সংস্থা। এই সংস্থার সভাপতির পদে থাকাকালীন নিম্নমধ্যবিত্ত শিশুদের এবং প্রবীণ নাগরিকদের জন্য কলকাতা পুলিশের সঙ্গে একসাথে কাজ করেছেন। বিভিন্ন পত্রিকা যেমন “দ্য টেলিগ্রাফ”, “ফেমিনা”য় এনার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে থিয়েটার, স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রে অভিনয় এবং বিভিন্ন কলাশিল্প নিয়ে কাজ করছেন।...
প্রতীক্ষা – সব্যসাচী  দাশগুপ্ত

প্রতীক্ষা – সব্যসাচী দাশগুপ্ত

আঁকিবুকি
প্রতীক্ষা সব্যসাচী দাশগুপ্ত শিল্পীঃ সব্যসাচী দাশগুপ্ত সব্যসাচী দাশগুপ্ত মহাশয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা সমাপ্ত করার পর, দীর্ঘ সময় ধরে একটি বহুজাতিক সংস্থায় সাফল্যের সঙ্গে কর্মজীবন কাটিয়ে বর্তমানে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত।  লেখালেখি ও ছবি আঁকা বরাবরই তার মন টানে। তাই এই অবসর জীবনে আবার নতুন করে  সৃষ্টির উন্মাদনায় নিজেকে ব্যাপ্ত করেছেন।...
জাতীয় পতাকার বিবর্তনের ইতিহাস – বিজিত কুমার রায়

জাতীয় পতাকার বিবর্তনের ইতিহাস – বিজিত কুমার রায়

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সপ্তাহ
জাতীয় পতাকার বিবর্তনের ইতিহাস বিজিত কুমার রায় ভারতের জাতীয় পতাকার প্রবর্তন হয়েছিল ১৮৮৩ সালে। সেই সময়ের পতাকাটি ছিল সাদা বর্গাকার, মাঝে ছিল একটি রক্তিম লাল সূর্য্য। শিরীষ চন্দ্র বসু মহাশয় এই পতাকার প্রস্তাব করেন। অনুশীলন সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার প্রমথনাথ মিত্র, যিনি ১৯০৫ সালের ৭ই আগস্ট জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলন করেছিলেন। পতাকার রং ছিল ত্রিবর্ণ। উপরে লাল, মাঝে হলুদ, নীচে সবুজ। লালের উপর আঁকা অষ্টবৃন্তের আটটি কুসুম। হলুদের ওপর লেখা সংস্কৃতে বন্দে মাতরম। সবুজের ওপর সূর্য ও অর্ধ চন্দ্র। এরপর ওই সময়েই চার বিভিন্ন পতাকার প্রস্তাব হয় মেদিনীপুরের স্বদেশী আন্দোলনকারিদের থেকে। ১৯০৬ সালে বিপ্লবী সংগঠন, যুগান্তর সমিতি পার্টি কংগ্রেসে একটি পতাকার প্রস্তাব করেছিলেন। পতাকাটি ছিল লাল রঙের এবং তলোয়ার ও ত্রিশূল গুনিতক আকারে অবস্থান করছে। উপরে চাঁদ ও নীচে চক্র। ঋষি অরবিন্দের ভাই বারিন্দ্র ও স্বামী বিবেকা...
স্বাধীনতা দিবসে প্রাজ্ঞ প্রবীণদের স্মৃতি রোমন্থন

স্বাধীনতা দিবসে প্রাজ্ঞ প্রবীণদের স্মৃতি রোমন্থন

ঘটমান বর্তমান, স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সপ্তাহ
স্বাধীনতা দিবসে প্রাজ্ঞ প্রবীণদের স্মৃতি রোমন্থন  নিখিলরঞ্জন বিশ্বাসের স্মৃতি রোমন্থন ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের এই শুভ দিনটি প্রতিবছর ফিরে ফিরে আসে। যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে আমরা এই দিনটি পালন করি। সমস্ত সরকারী বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই দিনটি পালিত হয় সসম্মানে। দিনটি অনেকের কাছে শুভবার্তা বহন করে আনলেও, আমাদের মতো ভিটেমাটিহারাদের কাছে তা ছিল চরম বেদনাদায়ক। এই দিনে আমরা জানতে পেরেছিলাম  বিভক্ত হয়ে গেছে ভারতবর্ষ। আমাদের আজন্মকালের বাসভূমি ত্যাগ করতে হবে, কারণ পূর্বতন নদীয়া জেলার আলমডাঙা থানার চুয়াডাঙা সাবডিভিশনের মুন্সীগঞ্জের জেহালা গ্রামে থাকা আর সম্ভব নয়।  অল্পদিনের মধ্যেই কিছু মানুষের অত্যাচারে সর্বহারা নিঃস্ব হয়ে আমরা ভারতে আসতে বাধ্য হয়েছিলাম। লাখ লাখ হতভাগ্য মানুষের তখন একটাই গন্তব্যস্থল ভারত। সর্বস্বান্ত হয়ে এক অজানা অচেনা অন্ধকার ও অনিশ্চয়তার পথে যাত্রা। সেকি করুণ অবস্থা...
আলোর আশায় – দেবদত্ত বিশ্বাস

আলোর আশায় – দেবদত্ত বিশ্বাস

ঘটমান বর্তমান, স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সপ্তাহ
আলোর আশায় দেবদত্ত বিশ্বাস “স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় রে কে বাঁচিতে চায়” - গত শতকের প্রথমার্ধে উচ্চারিত এই কথা গুলোর অর্থ খুঁজতে গেলে আজ হয়রান হয়ে যেতে হয়। ‘স্বরাজ আমাদের জন্মগত অধিকার’ - মানুষের যখন কথাবার্তায়, চালচলনে, জীবনযাত্রায়, খাদ্যাভ্যাসে, বা কোনো কিছুতেই অধিকার থাকেনা, তখনই একমাত্র অন্তর থেকে এই আর্তনাদ উচ্চারিত হতে পারে। জলের ভিতরে থেকে মাছ কি করে জলের অভাব বুঝবে? এপ্রিল মাস থেকে সরকার বাহাদুর বলেছেন বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। এই আদেশ শুনেই পরের দিন ততধিক মানুষ বাইরে বেরিয়ে পড়েছেন। এরপর থেকে আজ পনেরই আগস্ট অবধি যতো দিন এগিয়েছে , এক অদৃশ্য পরাধীনতার সাঁড়াশি যেন আমাদের সকলের গলা চেপে ধরেছে। তিয়াত্তর বছরের স্বাধীন দেশে এটুকু পরাধীনতা (নিজেদের স্বার্থে)র স্বাদও আমাদের তিক্ত লাগছে । আসলে সাতচল্লিশে প্রায় দুশো বছরের পরাধীনতা থেকে স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়ার পর থেকেই স্বাধীনতাকে আমরা...
মিষ্টি শুক্তো – মানসী ব্যানার্জ্জী

মিষ্টি শুক্তো – মানসী ব্যানার্জ্জী

ঠাম্মি-ইয়াম্মি
মিষ্টি শুক্তো মানসী ব্যানার্জ্জী উপকরণঃ ১) মিষ্টি কুমড়ো ৫০০ গ্রাম। ২) বেগুন (বড়) ১টা। ৩) আলু (মাঝারি মাপের) ৫টা। ৪) কাঁঠাল ৫০০ গ্রাম। ৫) সিম ২৫০ গ্রাম। ৬) সজনে ডাঁটা ৫০০ গ্রাম। ৭) পটল ৭-৮টা। ৮) টমেটো ২টো। ৯) পাঁচফোড়ন চা চামচের ২চামচ। ১০) তেজপাতা ৪টে। ১১) শুকনো লঙ্কা ৫। ১২) কালো সরষে চা চামচের ৭ চামচ। ১৩) আটা চা চামচের ৬ চামচ। ১৪) আখের গুড় ১৫০ গ্রাম। প্রনালীঃ প্রথমে কালো সরষে গুঁড়ো করে রাখতে হবে। এবার সজনে ডাঁটা ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে জলে লবণ ও হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করে রাখুন। কাঁঠালের পিঠ ছোট ছোট করে কেটে লবণ ও হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করে রাখুন। মিষ্টি কুমড়ো ডুমো ডুমো করে কাটুন। বেগুন মাঝারি মাপে কাটুন। আলু খোসা সহ লম্বা লম্বা করে কাটুন। পটল লম্বালম্বি আধখানা করে কেটে তারপর ছোট ছোট করে কাটুন। সিম ছোট ছোট করে কাটুন। টমেটো কুচিয়ে রাখুন। এবার কড়াইতে পরিমান মত সরষের তেল গরম করত...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!