Shadow

কাশবন ২

গল্প

অবশেষে – জলি চক্রবর্তী শীল

অবশেষে – জলি চক্রবর্তী শীল

কাশবন ২, গল্প
অবশেষে জলি চক্রবর্তী শীল 'চলো এবার বিয়েটা করে ফেলা যাক'| অমিত্র ঘাসের ওপর শরীরটাকে এলিয়ে দিয়ে কথাগুলো বলে। ডিসেম্বরের শেষ বিকেলের আলো তখন নিভু নিভু হয়ে আসছে| সামনের ঝিলের জলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হাওয়ায় তিরতিরে ঠান্ডা মাঝে মাঝেই  তীব্রভাবে অনুভুত হচ্ছে| একটা বছর যেন তালেগোলে কিভাবে কেটে যেতে চলল‚ আর কটা দিন পরেই শেষ হবে অভিশপ্ত বিষে বিশ বছরটি| যদিও করোনা আবহ পুরোপুরি কাটেনি‚ তবু পার্কের ভিতরের ভিড় দেখে কে বলবে যে এখনো চারিদিকে বিধিনিষেধ বহাল? মাস্ক ছাড়া পার্কে প্রবেশ নিষেধ ঠিকই‚ তবে পার্কে প্রবেশের পর অনেকের মুখেই মাস্কের বালাই নেই| সুপ্তি আজ দ্বিতীয়বার এই পার্কে এল অমিত্রর আহ্বানে সাড়া দিয়ে| এর আগে এসেছিল প্রিয় বান্ধবী রিঙ্কার সাথে| উত্তরাখন্ডে অমিত্র একটি কোম্পানীতে কাজ করে| দিনকয়েকের জন্য কলকাতায় এসেছে| উঠেছে রিঙ্কার বাড়িতে| রিঙ্কার বরের বন্ধু|   ভিড় এড়িয়ে ওরা একটা ফাঁকা জায়গাতেই বসেছ...
আমার প্রেম আছে আলোর কাছে – ডঃ অনুপ দত্ত

আমার প্রেম আছে আলোর কাছে – ডঃ অনুপ দত্ত

কবিতা, কাশবন ২
আমার প্রেম আছে আলোর কাছে ডঃ অনুপ দত্ত আমার প্রেম আছে আলোর কাছে বহুদিন ধরে যত্নে রাখা এই ধন হৃদয়ে সঞ্চয়, তাই হারাই সর্বক্ষণ দানপত্র করে দিতে চাই, কোথায় পাবো সেই জন৷ ০ আমার এক চালাঘর আছে ঝোলায় ভরা অযত্নে রাখা মনের মাঝে গোছানো উঠোন তুলসী মঞ্চ ঘিরে আছে ফুল মাধবী কানন জোনাক জ্বালে সাঁঝের আলো, শ্রাবণ ধারা যেমন৷ ০ আমার এক বোষ্টমী সখা আছে এখানে তার হৃদয় গানে মাধব বেড়ায় হেসে এখানে জীবন অর্থ খোঁজে রবীন্দ্র নজরুল বেশে এখানে সূর্য আপন রঙে হোলি খেলে যায় অনুক্ষণ এখানে যেন ঘরপোড়া গরু হৃদয়ে ভয়,হারাই মন সর্বক্ষণ৷ ৹ এখানে আমার প্রেম আছে আলোর কাছে আলোয় ভরা জোনাক ঘেরা তুলসী মঞ্চে শ্রদ্ধা জোড়া সবই আছে হৃদয়ে দুঃখ হরা, এখানে ভৌগোলিক কাঁটাতার বেশে- আমি শুধু নাই আমার অনন্ত নিরিবিলি দেশে ৷ ************************************************** ডঃ অনুপ দত্ত পরিচিতি: কবি অনুপ ...
আলোর অমল কমলখানি কে ফুটালে – মল্লিকা রায়

আলোর অমল কমলখানি কে ফুটালে – মল্লিকা রায়

কাশবন ২, গান নাচ ও বাদ্য
https://youtu.be/KKJQVkdMyC4 মল্লিকা রায় পরিচিতিঃ অধুনা হাওড়া নিবাসী মল্লিকা ছোটবেলা থেকেই শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও রবীন্দ্রসঙ্গীত শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। ইংরেজীতে স্নাতকোত্তর হয়ে ১৯৮২ সালে ভারতীয় জীবন বীমা নিগমে যোগদান করেন তিনি ৷ অফিসার পদ থেকে অবসর গ্রহণ করে এখনও তিনি নিরন্তর সঙ্গীতের সাধনায় নিয়োজিত ৷ তিনি স্বনামধন্য রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ডঃ স্বপ্না ঘোষালের ছাত্রী ৷...
রায়পুর জমিদারবাড়ি – পরাগ ভূষণ ঘোষ

রায়পুর জমিদারবাড়ি – পরাগ ভূষণ ঘোষ

কাশবন ২, গল্প
রায়পুর জমিদারবাড়ি পরাগ ভূষণ ঘোষ মনুষ্য ধর্ম বিশেষত আমাদের মতো সাধারণ বাঙালী হঠাৎ কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হতে না পারলে যখন দিশাহীন অবস্থায় হাবুডুবু খান, সেই সময়েই ত্রাণকর্তা রূপে গুরুদেব, শান্তিনিকেতন, বোলপুরকে আঁকড়ে ধরে পরিত্রাণ পাওয়ার চিরাচরিত প্রথা আমিও অনুসরণ করতে বাধ্য হলাম। বন্ধুবর ব্যানার্জীমশাইয়ের অনুরোধকে (যেটাকে আমি আদেশ বলেই মেনে নিয়েছি) উপেক্ষা করার ধৃষ্টতা আমার নেই। বীরভূমের নামের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে চলে আসে লালমাটি, মাদল, ধামসা, বিশ্বকবি, শান্তিনিকেতন, দশমহাবিদ্যা, একান্ন পিঠ, সোনাঝুড়ি হাট ইত্যাদি। এই তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর এবং ক্রমবর্ধমান। কিন্তু, না জানা বা স্বল্প জানা ইতিহাসের পাতাও ছড়িয়ে আছে এই জেলায়। সেরকমই একটি গ্রামের নাম রাইপুর বা রায়পুর। ভৌগলিক ভাবে বোলপুর স্টেশন থেকে ইলামবাজার যেতে সাত আট কিমি দূরে এই গ্রাম। অপরপক্ষে ইলামবাজার থেকে চোদ্দ পনেরো কিমি। রায়পুর-সুপুর ...
বৃদ্ধাশ্রম : সমস্যা? না সমাধান? – সোনালী গুহ

বৃদ্ধাশ্রম : সমস্যা? না সমাধান? – সোনালী গুহ

আলোকপাত, কাশবন ২
বৃদ্ধাশ্রম : সমস্যা? না সমাধান? সোনালী গুহ  বৈদিক ভারতবর্ষে চতুরাশ্রমের কথা পাওয়া যায়। প্রৌঢ়ত্বে বাণপ্রস্থে যাবার রীতি ছিল। সংসার থেকে  স্বেচ্ছায় নির্বাসন।সংসারের সব  কাজ সেরে নিজের মতো জীবন যাপন করতে বাণপ্রস্থের পথে এগিয়ে যেতেন তখন সকলে।সংসার ত্যাগ করে ঈশ্বর চিন্তায় দিন অতিবাহ করার জন্য এই ব্যবস্থা। "পঞ্চাশোর্ধে বনং ব্রজেৎ।" বাণপ্রস্থে এইরকমই নিয়ম ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "কণিকা" কাব্যগ্রন্থের "শাস্ত্র" কবিতায় কবি যদিও বলেছেন, "পঞ্চাশোর্ধে বনে যাবে এমন কথা শাস্ত্রে বলে, আমরা বলি বাণপ্রস্থ যৌবনেতেই ভালো চলে।" .....          কিন্তু বিষ্ণুপুরাণে আছে,যখন গৃহস্থের নিজ দেহে বলি ও পলিত  উপস্থিত হবে এবং যখন পৌত্র ভূমিষ্ঠ হবে,তখন বনে গমন করা কর্তব্য। "Retirement from household life."  সংসারে তখন সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করে,তাদের হাতে সব ছেড়ে বাণপ্রস্থে যাওয়াই শ্রেয়। কিন্তু আমাদের ব...
বেগুনি রঙের আলো জন্ম – পৃথা রায় চৌধুরী

বেগুনি রঙের আলো জন্ম – পৃথা রায় চৌধুরী

কবিতা, কাশবন ২
বেগুনি রঙের আলো জন্ম  পৃথা রায় চৌধুরী ⁠অ্যাসফল্ট খোবলানো যায় দেখতেই পাচ্ছিস, আর সার সার ফুটপাথ মাখা গাছের নিচে জমে থাকে থ্যাঁতলানো জামের বেগুনি রক্ত... গোটা জাম খাস, আলোকলতা? আলোকলতা, তুই এমন পেঁচিয়ে শাড়ি জড়াস বুকে? চায়ের ঠেকের ভাঁড় চলকে যায় ছলকে ছলকে আসে আনাড়ি দাগ অ্যাম্বুল্যান্স ডাকি, দাগ তুলে ফেলি তড়িঘড়ি তোর কোলে কোন স্পার্ম অফ্‌? মুখে ওড়না বাঁধিস, কোঁচড়ে খুচরো দশ পাঁচ, ইস্কুল গেটের বাইরে হজমিগুলি বিকোয় না এখন অফিস গেট, ডেকার্স লেন, কোথায় কোথায় যাস আলোকলতা? আমি অভিধান মুখে জামের ইংরাজি খুঁজি খুঁজি খসে পড়া হলদে খয়েরি পাতাটাতার ফরাসি শব্দ। আলোকলতা তোর নাম, তাই তো? ************************************************* ড. পৃথা রায় চৌধুরী পরিচিতিঃ জন্মস্থান ভারতবর্ষের ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ শহরে। সাহিত্য চর্চা শুরু, ছোটবেলা স্কুলে থাকতেই। প্রাণীবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ও পরি...
ঝরা পাতার কবিতা – শ্রীময়ী গুহ

ঝরা পাতার কবিতা – শ্রীময়ী গুহ

কবিতা, কাশবন ২
ঝরা পাতার কবিতা   শ্রীময়ী গুহ কবিতা লেখার জন্য একটু বেদনা লাগে! একটু বালিশ ভেজা কান্না.... আর লাগে এক ছটাক ব্যর্থ প্রণয়! তুমি কিচ্ছু জানো না কবি! কবিতা লিখতে গেলে গরীব হতে হয়। মনে গো মনে! হৃদয়ের অভ্যন্তরে অভূক্ত তৃষ্ণার্ত চাতক হতে হয়! ও গোঁসাই! বাস্তবে নয়..... গরীব হতে হয় শুধু একাকীত্বের আখর খাতায়!! কবিতা লিখতে মন লাগে! একটা গোটা মন! ভাঙা মন হলে আরও ভালো লেখা হয়! আসলে লেখনীতে শব্দ আসেনা; আসেনা নুপূরের বা সেতারের ঝঙ্কার! তাও ভালোবাসার এ এক অলিখিত সেতু পারাবার! একটা কফি হাউস লাগে  জানো! চিলতে কলেজ স্ট্রিট, ছোট্ট চায়ের কেবিন, বা নিদেনপক্ষে.....ট্রামলাইনের অহেতুক হঠাৎই জলেভেজা! অথবা.... কোনো ছাতের পুরোনো চিলেকোঠার  কম্পন চুম্বনে চিঠি দিয়েও, বন্ধনে ডানা ঝাপটানো প্রেমে মুক্তি   খোঁজা! ঘাসজমি ,আলপথ শহরতলীর.... বেফসলা মাঠঘাট, পটভূমি........ একটু তো লাগেই গো! আজ ...
বৃষ্টিনদী – শ্রাবণী বসু 

বৃষ্টিনদী – শ্রাবণী বসু 

কবিতা, কাশবন ২
বৃষ্টিনদী শ্রাবণী বসু  চালচুলোহীন একখানা মেঘ বৃষ্টি হয়েছে তোমার জন্য, কঠিন শিলা উত্তাপে গলে গিয়ে ঝরছে ঝরঝর ...ঝরঝর...ঝরঝর...! এ কী ! ছাদের আড়াল দিলে যে ? মেঘেরা দুঃসাহসী কিন্তু বেহায়া নয়, অদম্য কিন্তু অশালীন নয়।  আকাশের নীচে ভুবন জুড়ে দাঁড়াও শুধু একটা মুহূর্তের জন্য - তুমি আর ক্রন্দসী সমার্থক হয়ে যাও। ওভাবেই দাঁড়িয়ে থাকো- বুকের বোতাম খুলে। তোমার বাদামি বুকে নীল জলের নদী হয়ে যাবে বৃষ্টি । ********************************************** শ্রাবণী বসু পরিচিতি: পেশা শিক্ষকতা। কবিতা যাপনে যে সুখ পান,তেমনটি আর কোথাও পাননা। আর সেই কারণে কবিতা পাঠ করার সাথে সাথে লেখালিখি চলতে থাকে। প্রকাশিত যৌথ কাব্যগ্রন্থ: দ্বিপ্রহর-১ (প্রিয়মুখ প্রকাশনী বাংলাদেশ) ফেলে আসা শহর (বিভা পাবলিকেশন,কলকাতা) দুই বাংলার লতিফা কলস (২০১৭),(২০১৮),(২০১৯) সম্পাদক ডঃ অনুপ দত্ত পাল তুলে দিই কবিতায় ...

নব কুন্দধবলদলসুশীতলা – স্বর্গশ্রী আদিত্য

কাশবন ২, গান নাচ ও বাদ্য
https://youtu.be/ZujYDxcpfS0 স্বর্গশ্রী আদিত্য পরিচিতি - জন্ম ও পড়াশোনা কোলকাতায়৷ প্রথমে কমার্সে স্নাতক এবং পরে ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে আমেরিকা নিবাসী স্বর্গশ্রী একটি সরকারী সংস্থায় চাকুরীরতা৷ গান শিখেছেন বেঙ্গল মিউজিক কলেজ থেকে৷ এছাড়া তার আগ্রহ রয়েছে অঙ্কনে৷ ছোটবেলা থেকে শিখেছেন সাঁতার,বোয়িং প্রভৃতি৷ বর্তমানে চাকরী করার পাশাপাশি সঙ্গীত ও অঙ্কন চর্চা সমানভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন।...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!