Shadow

কাশবন ৪

ভিতরমহল , হে সুন্দর ! – দীপান্বিতা দত্ত

ভিতরমহল , হে সুন্দর ! – দীপান্বিতা দত্ত

কাশবন ৪
PC: মা Samprotik Deshkal ভিতরমহল   দীপান্বিতা দত্ত  খোলা আকাশ,এক উঠোন,এক ছাদের মাঝেপ্রতিদিন রাত্রি এসে বসে সং সেজে সময় না সমাজ বোঝা বড় ভার কে যে কার ছলনার শিকার  ।ধীরে ধীরে খোলস খোলে অস্থির সময় মন্ত্রের মতো কেঁপে ওঠে ভিতরমহল তার দম্ভকে মান্যতা দিয়েছি যতবার নিশুতি রাত জুড়ে হিম পড়েছে ততবার  ।পৃথিবী তুমি যেমন আছো তেমনি থাকো ভালো এই মহাশূন্যে অগণিত তারাদের ভিড়ে দুঃখের সাথে সহবাস করতে করতে বেলাশেষের শেষ স্মৃতি টুকু নিয়ে স্বাবলম্বী হবে পুরোনো ব্যথারা অপার প্রত্যাশাতে বাধে , যত গোলযোগ ধুয়ে মুছে যাক --সব অবাঞ্ছিত ক্ষত চলার পথে মনোবল থাক অক্ষত ।*********************************হে সুন্দর ! দীপান্বিতা দত্ত  আকাশ কাঁদুক বাতাস কাঁদুক ত্রিভুবনে উঠুক যতই প্রলয় ঝড়দু'নয়নে দেখবো তোমায় হে...
আকাশ ও মেঘ – দিলীপকুমার মিত্র

আকাশ ও মেঘ – দিলীপকুমার মিত্র

কাশবন ৪
pc .. face book আকাশ ও মেঘদিলীপকুমার মিত্র আকাশের মুখ কালো কেন আজমনখানি তার খারাপ না কি? মেঘের আড়ালে লুকিয়ে চুরিয়েটুপটাপ জল, বোবা কান্না কি?নয়নের জল উষ্ণই হয় -এ জল তো দেখি তুষারশীতল! আকাশরোদন তাহলে এ নয়।তবে কি আকাশ হিমসুশীতলমেঘের পরশ পেয়েছে হৃদয়ে!সেই হিম ঝরে আমাদেরও গায়েমেঘের আঁচল আড়াল করেছেভানুর ভ্রুকুটি নীল আবছায়ে।।********************************* দিলীপকুমার মিত্র পরিচিতি - পৃথিবীর আলো দেখা ১৯৬৬ সালে। বেড়ে ওঠা এবং পড়াশোনা বর্ধমান শহরে। পেশায় একটি সর্বভারতীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আধিকারিক। নেশায় পাঠক। শখে লেখালেখি। ...
কিচির মিচির

কিচির মিচির

কাশবন ৪
শরৎকাল - অর্ণ মৈত্র **ধোঁওয়া ছেড়ে ঝিকঝিক,রেলগাড়ি যায়,কাশবন ঠেলে ওরা সেদিকে তাকায়।**অর্ণ মৈত্র - বয়স ৯, মেঘমালা এডুকেশন সেন্টার, তৃতীয় বর্ষ অর্ণ মৈত্র******************************** গাছটা গেছে চুরি হয়ে ডালপালা সব সাফ! ধুধু পাহাড়,নুড়ির নদী একেই বলে পাপ? - সাগর পণ্ডিত সাগর পণ্ডিত,পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র,বিবেকানন্দ মিশন,জোকা,স্কুলে ছাত্র | ফোটোগ্রাফি করার খুব সখ |  সাগর পণ্ডিত*********************************************************** স্বামীজী র গৈরিক আর নেতাজীর আজাদহিন্দের সামরিক পোষাকের সবুজ রঙকে জাতীয়পতাকার রঙে মিলিয়ে দেশপ্রেম - নৈরঞ্জনা রায় নৈরঞ্জনা রায় - বয়স ৮, তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী নৈরঞ্জনা রায়...
বি ষ ণ্ণ তা – সুবীর গুহ

বি ষ ণ্ণ তা – সুবীর গুহ

কাশবন ৪
PC: Wallpaper safari বি ষ ণ্ণ তা  সুবীর গুহ  অকস্মাৎ অন্ধকারে  কবিতার বিষণ্ণ শরীর,  নাড়া দিলে,শব্দ ঝ'রে যায় যেন পাতার মতন--  সে এক অলস সময়, প্রতিটি শব্দের কাছে  মাথা নত করেছিল আমার হৃদয়। মাথার ভিতর থেকে এক একটি  শব্দ ভেঙে ভেঙে যেন  ডুবে যায় নীল বন জ্যোৎস্নায়,অন্ধকারে- প্রতিটি শব্দের কাছে ঋণী ছিল  আমার হৃদয়।   সেই নীল জ্যোৎস্না মাখা  তোমার শরীর,সেখানেও ছেয়ে গেছে ছোট বড় তারাদের ভিড়, সেখানে প্রতিটি কথা রক্তস্রোতে মিশে যায় শিরায় শিরায়।  প্রতিটি শব্দের ঘ্রাণ ফিরে ফিরে  সাড়া দেয় আমার হৃদয়।।*************************************** সুবীর গুহ পরিচিতিজন্ম ১৯৫২ সালে৷ মামাবাড়ির সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বড়ো হওয়া সুবীর বাবু ...
এসেছে কমনীয়তা আজ – দীপন মিত্র

এসেছে কমনীয়তা আজ – দীপন মিত্র

কাশবন ৪
PC Samakal এসেছে কমনীয়তা আজ দীপন মিত্র এসেছে কমনীয়তা আজ-ঘরে বসাবো কোথায়?শনিগ্রস্ত এক ফালি ঘেরা এই বারান্দা আমার!এখানেই খাই,বসি,মরি বাঁচি যেমন তেমনঅশুভ বাতাস দেয় থেকে থেকে ঝরে শুষ্ক ফলকখনো বা গালাগাল,জন্তুদের ভীষণ গর্জনভয় পেয়ে কেঁদে ওঠে আমার শৈশব থরোথরোতবুও কমনীয়তা আসে! ঘরে? ছাড়ে না আমাকেঢুকে পড়ে নৌকা-ঘাট,সিঁড়িতে সে বসে থাকে একাচুপি চুপি বসে পড়ি অন্য ধাপে-নদী ভাঁটি যায়তার দিকে চেয়ে দেখি,এত আলো,এত ভালোঅবিশ্বাস্য মনে হয়;পোকা খাওয়া বই,এ জীবন! গোধূলির ছায়া পায়ে পায়ে বরানগর তখনমই চড়ে রং দেয় আকাশে,সেতার বেজে ওঠে।******************************************...
মাইকেল ২০০ – বিদ্যুৎ পাল

মাইকেল ২০০ – বিদ্যুৎ পাল

কাশবন ৪
মাইকেল ২০০ বিদ্যুৎ পাল আপনারও জন্মের দু’শো বছর আসছে ওস্তাদ,একটু জানলার কাছে গিয়ে দাঁড়ান;মাঘি রোদ –বহুকাল-বন্ধ স্টুডিওটা বড় করতে এসেছি।দেয়াল চারটে ঠেলে জায়গা নেব অনেকখানি,গড়া পরে,ভাঙারই দুর্দম গবেষণা ফিরে পেতে।  ভাববেন না,কোনো তৈরি প্রতিমায় দেব না হাত,সে…বধকাব্যই হোক বা চতুর্দশ…বলি;বা ওইদুটো-ঙ্গনা। নাটকগুলোও সরিয়ে রাখছি যত্নে।ইংরেজিসম্ভার যেমন,দর্পণ-অনুবাদও নয়;ভিন্ন যুদ্ধ তার,আপনারই ছেনি উঠিয়ে লড়ব। এই অদরকারি পা-কাটা টুকরো পাথরগুলোসংজ্ঞা,ক্রিয়াপদের ভগ্নরূপ,যা আর এগুল না,রাগে ছুঁড়ে ভেঙে ফেলা বিকৃত শরীরের মর্মর,এগুলোই আরো অনেকটা জায়গা নিয়ে থাকবে।অবশ্যই গোল কাঁচ হবে ছাত–সূর্য মেঘ বৃষ্টি নক্ষত্রের স্পর্শমাখা,বিস্ময়ে সাজবে গ্রন্থাগার…প্রয়োগশালে হবে রূঢ় দ্বান্দ্বিক মকশো,বিশ্বের; গীতিময়তার চমকে,ভীতিময়ে না ফাঁসে কাব্য!************************************************* ব...
জেল থেকে লেখা চিঠি – অনুপ ঘোষাল 

জেল থেকে লেখা চিঠি – অনুপ ঘোষাল 

কাশবন ৪
PC: Samakal জেল থেকে লেখা চিঠি অনুপ ঘোষাল ন'টা গুলির পর মাথায় হাঁসুয়ার কোপ । ডান চোখটা ঠিকরে মিশে গেছে অন্ধকারে। পিছমোড়া করে ফেলে গেছে কেউ।দুটো লাঙল,আধপেটা ঘরআর ছিল,ভোটের লিস্টে নাম ।মেয়েটা সবে ক্লাস ফোর। ঠায় দাঁড়িয়ে। কাঁদছে না। জেনেছে,বাবার আর বয়স বাড়বে না। কত রকম ভাবে চুপ করা শেখা যায়!একবার ওর কাছে যেতে দেবে, ওয়ার্ডেন!কৃষ্ণচূড়া তো এখনও রক্তসম্ভবা নয়!অগ্নিসম্ভবা তো নয় দেশওয়ালী গান! একবার যেতে দাও।টিপাই নদীর খাঁড়ি,শালুকখালির চড়া মেহুলের বৃষ্টিডোবা যুদ্ধক্ষেত্র চিনিয়ে আসি। একটা জিতে যাওয়া চাঁদএকটা জিতে যাওয়া নদী আর-একটা যুদ্ধহীন পৃথিবীর জন্য।************************************** অনুপ ঘোষাল পরিচিতিপঃ বঙ্গ সরকারের একজন সাধারণ কর্মচারী।  স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি, চাকরির পরীক্ষা এবং অবশেষে চাকরি। এর মাঝে হঠাৎ করেই যে কিভাবে আর কবে থেকে লেখালেখি ...
দা’ভিঞ্চির হারানো পেইন্টিং – মোতাজিদ খুররম

দা’ভিঞ্চির হারানো পেইন্টিং – মোতাজিদ খুররম

কাশবন ৪
Leonardo da Vinci PC : iStock দা’ভিঞ্চির হারানো পেইন্টিং মোতাজিদ খুররম তখন রাশিয়ার লেনিনগ্রাদ শহরে থাকি-দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আমি। একদিন ক্লাসমেট নাতাশা বললো,'তোমাকে একটা মজার পেইন্টিং দেখাতে নিয়ে যাবো-লিওনার্দো দা’ভিঞ্চির আঁকা | 'কী পেইন্টিং সেটা আর বলতে চায় না। জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেয়,' ওখানে গেলেই দেখতে পাবে। বলে দিলে আর মজা কীসের?'কিছুদিন আগে নাতাশা আমাকে দস্তয়েভস্কির মিউজিয়াম দেখাতে নিয়ে গিয়েছিল,সেই থেকে ওর সঙ্গে বন্ধুত্ব। দা’ভিঞ্চির মোনালিসা,লাস্ট সাপার,ভিট্রুভিয়ান ম্যান- এইসব ছবি আমার দেখা,নতুন কী দেখাবে ভেবে পাই না। কিন্তু নাতাশার চোখেমুখে কেমন একটা রহস্য রহস্য ভাব-মেয়েদের সিন্দুকে অনেক রহস্য।প্যারিসের যেমন লুভর মিউজিয়াম,লেনিনগ্রাদের তেমনি হেরমিতাজ। একদিন গেলাম আমরা সেখানে বাসে চড়ে। ভিতরে ঢুকে আমার তো মাথা ঘুরে গেল। কত কী যে দেখার আছে! একদিন কেন,এক মাসেও পুরোটা ...
অঙ্গীকার – স্বাগতা ব্যানার্জি

অঙ্গীকার – স্বাগতা ব্যানার্জি

কাশবন ৪
pc.-আত্মার-বাণী অঙ্গীকার স্বাগতা ব্যানার্জি সকাল থেকেই মন টা খচ খচ করছে। কতকরে বারণ করলো শীলা আজ বাড়ি থাকো,যেও না।সীমান্ত একটু  কাছে এগিয়ে গাল ধরে আদর করে বললো,ওই তো একটু দোকান,ডিসেম্বর মাস,জানো তো কত লোক বেড়াতে বেরোয়,চা টিফিন একটু বেশি ই বিক্রি এখন । এই ভরা ব্যবসার সময় বাড়ি থেকে সময় নষ্ট করা উচিত?শীলা জানে সব বোঝে ও । একটু আবদার করেই বলে একদিন ও কি নিয়ম ভাঙতে নেই। একদিন না হয় একটু আনন্দই করলাম। ফড়িং দূরে বসে শুনছিলো হঠাৎ ই বলে,'হ্যাঁ দাদা আজ থাক।'ফড়িং ডাক নাম,ভালো নাম সুমন্ত। কিন্তু কেউ ই ফড়িং ছাড়া ডাকে না। ফড়িং ক্লাস টেনের এর ছাত্র। ছুটির দিন দাদাকে পূর্ণ সাহায্য করে।সীমান্ত চোখ বড় বড় করে বলে এলেন বৌদির পোঁ,' তুই ও চল আজ দোকানে।সীমান্ত এক প্রকাশনীর প্রুফ রিডার, কিন্তু কাজ শেষে দম দম স্টেশনে  ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এই টিফিনের ছোট্ট দোকান। বিকালে কাজ সেরে প্রতিদিন ৫ ...
মধ্যরাতের রূপকথা – দেবযানী ঘোষ

মধ্যরাতের রূপকথা – দেবযানী ঘোষ

কাশবন ৪
Pc.. Freepik মধ্যরাতের রূপকথা দেবযানী ঘোষ রোজ মাঝরাতে বৃষ্টি নামে নীরার আকাশে। সিঁড়ি বারান্দার লম্বা জানালার গরাদ শক্ত করে ধরে দাঁড়িয়ে থাকে  নীরা।বাতাসে অশরীরী হাতছানি। অথচ নীরা একটা পুরোনো  সোঁদা গন্ধের আড়ালে নিজেকে বেঁধে ফেলে ঐ গরাদের সাথে। এ বাড়ির রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে আছে কিছু দীর্ঘশ্বাস। এই দীর্ঘশ্বাসের বাষ্পে পুড়তে থাকে নীরা। পুড়তে পুড়তে ভস্মীভূত হয়ে সেই ভস্মে কপালে তিলক কেটে ঘরে ফিরে আসে  শেষ রাতে। ঠিক  সূর্য ওঠার আগে। এসেই এক ঘটি জল খায়। যেন এক যজ্ঞের সমাপ্তি। এরপর স্নান সেরে ছাদে এসে যখন দাঁড়ায় ওর পিঠ ছেয়ে থাকে কোঁকড়া,কালো চুলে। যা রোজ একটু একটু করে হাল্কা হচ্ছে তা বুঝতে পারে নীরা। বুক পেতে শুষে নেয় সূর্যের প্রথম রশ্মি কণা। ওর প্রতি রোমকূপে সঞ্চারিত হয় আরো একটা নতুন দিনের যাপন। বড় পিসিমণি নন্দিনী যত্ন করে নাম রেখেছিলেন "নীরা"।...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!