Shadow

কাশবন ৪

আবার বাজল সানাই – চন্দ্রকান্তি দত্ত

আবার বাজল সানাই – চন্দ্রকান্তি দত্ত

কাশবন ৪
P. C . Dreamstime আবার বাজল সানাই চন্দ্রকান্তি দত্ত প্রেমে পড়লে মানুষের যে এরকম দুর্গতি হয়, ভোলাদাকে না দেখলে সেটা আমি জানতে পারতাম না।ভোলাদা আমার থেকে বছর তিনেকের বড়। আমি যখন ক্লাস নাইনে, ভোলাদা তখন কলেজের ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্র।কলেজে যাওয়ার আগে পর্যন্ত আমাদের জ্ঞানদাসুন্দরী হাই স্কুলের ফুটবল টিমের ক্যাপটেন ছিল। আর শুধু ক্যাপটেন নয়, ফুটবল টিমের অবিসংবাদী সেন্টার ফরোয়ার্ড। ভোলাদা খেললে এ অঞ্চলের কোন দলেরই ক্ষমতা ছিল না যে জ্ঞানদাসুন্দরীকে হারায়। ভোলাদা পায়ে বল নিয়ে এগোলে অন্যপক্ষ 'ত্রাহি মধুসূদন' ডাক ছাড়ত।আমাদের জ্ঞানদাসুন্দরীতে আমরা ছেলেরা মেয়েরা একসাথে পড়তাম। ক্লাস নাইনে ওঠার পর যখন আমরা হাফ প্যান্ট ছেড়ে ফুল প্যান্ট ধরলাম, তখন কিছু ছেলের মধ্যে শাড়ি পরা মেয়েদের দেখে একটু অতিরিক্ত পুলক জাগল। তবে সেটা শুধুই পুলক, তার বেশী কিছু নয়। কারণ, স্কুলের ছেলেমেয়ে পড়াশোনা ছেড...
রেলওয়ে লাউঞ্জ – জলি চক্রবর্তী শীল

রেলওয়ে লাউঞ্জ – জলি চক্রবর্তী শীল

কাশবন ৪
Pc.. ArchDaily রেলওয়ে লাউঞ্জজলি চক্রবর্তী শীল ট্রেনটা যখন প্ল্যাটফর্মে ইন করল তখন ঘড়িতে প্রায় মধ্যরাত | প্রায় সাতঘন্টা লেট | ট্রেনের যাত্রীদের আর ধৈর্য ধরছে না বসে থাকার | প্ল্যাটফর্মে ঢোকার অনেক আগে থাকতেই তাই যাত্রীদের মধ্যে অস্থিরতা | অনেকেই বাক্স-প্যাঁটরা নিয়ে ট্রেনের গেটের কাছে গিয়ে অপেক্ষা করছে | প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ঢোকার সাথে সাথেই তাদের মধ্যে তাড়াহুড়ো পড়ে গেছে নামার | ফলে ট্রেনের দরজার কাছে নামা নিয়ে গোলমাল চলছে | ট্রেনটা এখন স্টেশনে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়াবে | তাড়াহুড়োর কিছু নেই আর এই মধ্যরাতে অনেকে স্টেশনেই কাটিয়ে দেবে | কিন্তু সেটা কে কাকে বোঝায় ! লুম্বিনী ধীরেসুস্থে দুটো পায়েই নীকাপ গলিয়ে নেয় | তারপর উঠে দাঁড়িয়ে এদিক-ওদিক তাকায় ট্যুর পার্টির ছেলেগুলোকে দেখতে পায় কিনা | ঠিক সেইসময় উল্টোদিক থেকে শশাঙ্ক নামে ট্যুর পার্টির ছেলেটা এসে বলে‚'রেডি তো জেঠিমা?...
জোকার – অঙ্কন দন্ড

জোকার – অঙ্কন দন্ড

কাশবন ৪
জোকার ✍️ কলমে – অঙ্কন দন্ড সার্কাসের ওই জোকারটাকেনিজের মতই লাগে,দেখলে তাকে সহানুভূতিনিজের প্রতিই  জাগে।পেটের দায়ে লোক হাসাবে তাই তো সাজে সঙ্,কান্নাগুলো হাসির আড়ালদেখায় নানান ঢঙ। আমিও ডুবে আমার রোলেজীবন নাটক স্টেজে,সবার সাথে মানিয়ে চলিনকল সাজে সেজে।সংলাপটা আমার ঠোঁটেররাখছে সমাজ লিখে,অভিনয়ে দক্ষ আমিনিচ্ছি তুরন্ত্ শিখে। ভুল তবু করলে কভুদিচ্ছে সমাজ চাটি,মানুষ সাজার অ্যাক্টিং চাইষোলো আনাই খাঁটি।**************************** অঙ্কন দণ্ড, জন্ম ২০০৩ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারী। বাসস্থান পুরুলিয়া জেলার আদ্রায়। অঙ্কনের লেখালেখির পথ চলা কবিতা দিয়ে। আনন্দবাজার পত্রিকার জেলার পাতা " ছোটদের পাতা " শীর্ষক - এ তার স্বরচিত কবিতা নিয়মিত প্রকাশিত হত। স্থানীয় পত্রিকা " ঊষশী" তেও স্থান পেয়েছে তার কবিতা। এছাড়া নানান গল্প ও প্রবন্ধ লিখে স্থানীয় স্তরে অনেক শুভেচ্ছালাভ করেছে ...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!