Shadow

কুলায়ফেরা – পঞ্চম বর্ষপূর্তি

কুলায়ফেরা – পঞ্চম বর্ষপূর্তি

পথ – রূপকথা মিত্র

পথ – রূপকথা মিত্র

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
পথ রূপকথা মিত্র যে পথ পড়ে রইলো ফাঁকা, আঁকলো না কেউ ছাপ সে পথ প্রতি রাতের শেষে রাখছে নিজের মাপ! ভোরের মুখে সেই পথটাই মাখছে শিশির সুখ চোখের আড়াল সবটা সময় যেই পথটার মুখ! পাহাড় বাঁকের আবছায়া কোণ কুয়াশাদের উঁকি সেই পথটার বুকেই মেঘের নরম আঁকিবুঁকি... সবকিছু ঠিক, সেই পথটাই একমাত্র ভুল ঠিকের ভিড়ে হারায়নি যার সদ্য ফোটা ফুল! সেই পথটা লুকিয়ে একা পাইন বনের মাঝে পাহাড় যত গল্প লেখে তার পাতাতেই সাজে! অন্য যত পথের ভিড়ে যে নেই কারুর মনে, সেই পথটা অভিষিক্ত মেঘের সিংহাসনে... সে পথ পড়ে রইলো খালি ফেলল না কেউ ছাপ জানলো না কেউ, সেই পথটা নিজেই নিজের মাপ! ******************************** রূপকথা মিত্র পরিচিতি : আদি নিবাস বর্ধমান,বেড়ে ওঠা চন্দননগরে। বর্তমানে শান্তিনিকেতন নিবাসী। কলা বিভাগে উচ্চমাধ্যমিকের পর বিশ্বভারতীতে "প্রাচীন ভারতের ইতিহাস এবং প্রত্নতত্ত্ব" নিয়ে স্নাতক স্তরের পর,এ...
মনে পড়ে – সুপ্রিয়া মুখার্জ্জী

মনে পড়ে – সুপ্রিয়া মুখার্জ্জী

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
মনে পড়ে সুপ্রিয়া মুখার্জ্জী তুমি চলে যাবার পর রক্তিম পলাশগুলো সব ঝরে গেল। অস্তগামী সূর্যের শেষ কিরণের মত তুমি চলে গেলে। আঁধার গাঢ় থেকে গাঢ়তর হল রাত্রির নিস্তব্ধতা,নীরব গভীরতা এক অন্য কথা বলে গেল চুপিচুপি কানে কানে। তুমি আছো,ভীষণভাবে বেঁচে আছো আমার মনে,মননে। বসন্ত আজও আসে,ফুল ফোটে আজও মনে পড়ে তোমার কথা। রোজ তুমি কেন স্বপ্নে আসো? আমি তো কষ্ট পাই,যন্ত্রণায় দীর্ণ হই! বন্ধনে বাঁধা পড়া হল না, স্বর্গের পারিজাতের গন্ধে তুমি আছো ভীষণভাবে আছ ।। ********************************* সুপ্রিয়া মুখার্জী চন্দননগরের বাসিন্দা। কবিতার সঙ্গে পথ চলা শুরু বেশ বড় বয়সেই। কবিতা লিখতে ও পড়তে ভালোবাসেন।    ...

তুমি রবে নীরবে, নিভৃতে সংগোপনে – তীর্থঙ্কর সান্যাল

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
তুমি রবে নীরবে, নিভৃতে সংগোপনে তীর্থঙ্কর সান্যাল নীরা নেই, তবু আমার জীবনের সাথে ওতপ্রোত হয়ে মিশে আছে, ধরা ছোঁয়ার  বাহিরে, নীরবে নিশ্চিন্তে সংগোপনে, রোজ দেখা হয় মনের অলিন্দ গলিতে। অভিজ্ঞতায় বুঝেছি নীরবতা কথা বলে, চিত্য বিকলিত হয়ে, আনন্দধারার প্লাবনে, শোনা যেত পূর্ণতা, নীরবতার মাঝে।  নীরবতায় অপরূপ নির্জনতা, সংগোপনে জেগে ওঠে শিল্পী সত্তা, আঁধারে জীবনবোধের শিক্ষা, নিভৃত যতনে উৎযাপন,শান্তির নীড় গড়া।  নীরবতা যখন কথা বলে শব্দ নিজের থেকে চুপ হয়ে যায়, হয়তো পারস্পরিক বোঝাপড়ার জন্ম হয়, সংগোপনে জ্ঞানের আরাধনা দীপ্ত হয়, মুক্তধারা নিভৃতে যতনে পথ চলায়। তোমার বিচ্ছেদ ব্যথা আমার সংগোপনের ইতিহাস, হৃদয় নন্দন বনে অবসাদ,                                                                                                                                              নীরবতা ...
আগমনী – তিতিলা মুখার্জি

আগমনী – তিতিলা মুখার্জি

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
আগমনী   তিতিলা মুখার্জি               কাল মহালয়া l রমলা আর সমর বসে টিভি দেখছিল l রমলা তাড়া দিল l সেই কোন ছোটবেলার অভ্যেস রেডিও তে  বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী পাঠ না শুনলে ওর  চলবেই না l রমলা  যৌথ পরিবারে বড় হয়েছে l সবাই মিলে দাদুর ঘরে বসে একসঙ্গে শোনা হতো  l যদিও রমলা একটু পরেই ঢুলতে শুরু করতো,তবুও ওখানেই বসে থাকতো l ঘুম কেটে গেলে,‘রূপং দেহি জয়ং দেহি' শুনতে পেত l কি করে যে প্রত্যেকবার এক সময়েই ঘুম ভাঙত সেটা ও ভেবে পেতো না  l সেই এখনো এক ব্যাপার রয়ে গেছে,কি করে কে জানে !!  রমলা  সমরকে আবার তাড়া দিলো,-"এই চলো চলো ! খেয়ে নাও কাল তো সকালে উঠতে হবে l" সমর হাসলো-"কি শুনবে ? একটু পরেই তো ঘুমোবে l খালি আমাকেও উঠিয়ে দাও l" -"তা হোক তবুও ভোরেই শুনতে হবে l এমনিতে আজকাল তো ইউটিউবে সারা বছর শোনা যায় l কিন্তু ভোরে উঠে শোনার আনন্দই আলাদা l"               সমর সব জানে তাও মজা কর...
আগমনী – নীতা সরকার

আগমনী – নীতা সরকার

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
আগমনী কলমে -- নীতা সরকার              আশ্বিনের আকাশে দিগন্ত বিস্তৃত পেঁজা তুলোর মেলা। মাঠ ভরা সোনালী শস্য ইতঃস্তত বিস্তৃত কাশফুলের সমারোহ। বাতাসে দোদুল্যমান কাশফুল, সোনালী শস্য। প্রকৃতি যেন নতুন সাজে সেজে উঠেছে। যেন মনে হয় আগমনীর সুর বাজে। মা আসছেন মর্ত্যধামে সঙ্গে আছে লক্ষী- গণেশ, কার্তিক - সরস্বতী। মার আগমনে আনন্দে মেতে উঠেছে মর্ত্যলোক মর্ত্যবাসী দুঃখ- বেদনা ভুলে মার পুজোয় নিজেকে উৎসর্গ করে। এই আনন্দে জাতি- ধর্ম ভেদাভেদ নেই। হিন্দু - মুসলিম,বৌদ্ধ - খৃষ্টান সবাই এই উৎসবে সামিল হয়। বিদায় বেলায় বিষাদের সুর বাজে। মন ভারাক্রান্ত, চোখের জলে মাকে বিদায় জানায় মর্ত্যবাসী বলে -- আসছে বছর আবার এসো "মা"। ***********************************       নীতা সরকার পরিচিতিঃ  চন্দননগর হুগলির নিবাসী। বিজ্ঞানে স্নাতক,বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। একজন বাচিক ও বাটিক শিল্প...
পৃথিবী তুমিময় – শম্পা সরকার

পৃথিবী তুমিময় – শম্পা সরকার

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
কবির প্রতি আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি কবির ই ভাষায়: পৃথিবী তুমিময় শম্পা সরকার সকালের প্রথম শিশির কণায় তোমার বাণী "তুমি প্রভাতের শুকতারা" ভালোবাসার প্রতিটি শব্দ যেন তোমারি লেখা "চিরকাল রবে প্রেমের কাঙাল" পথের প্রতিটি বাঁকে তোমার ছন্দ "আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ" দুপুরে তপ্ত হাওয়ায় তুমি গেয়ে ওঠো "দারুণ অগ্নিবাণে ---" সন্ধ্যাবেলায় বিরহীর সুরে সুর দিয়ে বলো "বলেছিনু ভুলিবো না যবে তব ছলছল আঁখি.." জ্যোৎস্না প্লাবিত নীরব রাতে আবার তুমি গেয়ে ওঠো "চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙেছে --" জীবনের শেষ প্রান্তে যেতে যেতেও আশার বাণী বলো "মোর মরণে তোমার হবে জয় --" কবি জীবন আমার তুমি তুমি ময় ভাষা আমার তোমাতেই শুরু আর তোমাতেই শেষ "যেদিন সে প্রথম দেখিনু--" সেদিন ই তোমাতে একাকার হয়ে গেনু ৷ **************************************** শম্পা সরকার একজন শিক্ষিকা তবে অধ্যাপনার সাথে সাথে লেখা লে...
ইচ্ছে মোড়ক – রাজর্ষি দত্ত

ইচ্ছে মোড়ক – রাজর্ষি দত্ত

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
ইচ্ছে মোড়ক  রাজর্ষি দত্ত   আমার চাওয়াগুলো সব মোড়কে বাঁধা! কোনটি রাংতা, সেলোফেন পেপার, কখনও মলাট  বা খবরের কাগজে মোড়া। আমি নিজেও জানিনা কোন মোড়কের ভেতর,  আমার কোন ইচ্ছে-টি লুকিয়ে আছে।  তবে তারা রোজ আমার সাথে ঘুরে বেড়ায়; হাতে বা পকেটে, রাস্তাঘাটে-কাজে, অকাজে। মোড়ক গুলো কেউ চেয়েও নেয়। ভুল ভাঙে-যখন খুলে দেখে - কি চেয়ে, কি পেয়েছে! বাকিগুলো রাস্তায় খসে পড়ে ওমনি; বাড়ি ফিরে তাই ইচ্ছেগুলোকে আর খুঁজে পাইনা! যদিও বা পড়ে থাকে -  নিছক রাংতা বা সেলোফেনের টুকরো। ************************* রাজর্ষি দত্ত পরিচিতি: শিলিগুড়িতে জন্ম ও উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ায় বেড়ে ওঠা। কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন চা-শিল্পের সাথে যুক্ত। পরিবেশ ও মানুষের প্রতি টান তার লেখার প্রেরণা। ভালবাসেন বই পড়তে,গান শুনতে,খেলাধূলা আর প্রকৃতির সান্নিধ্য।     &...
আজকের দিনে রবীন্দ্রসংগীত কতটা প্রাসঙ্গিক – ঋতুপর্ণা রুদ্র

আজকের দিনে রবীন্দ্রসংগীত কতটা প্রাসঙ্গিক – ঋতুপর্ণা রুদ্র

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
আজকের দিনে রবীন্দ্রসংগীত কতটা প্রাসঙ্গিক ঋতুপর্ণা রুদ্র মন এই বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগামী আর সর্বত্রগামী বস্তু বলে মহাভারতে জানিয়েছিলেন যুধিষ্ঠির। সেই মনের চোখে দেখি,ছোট ষোল বছরের ছেলেটি নিজের ঘরে একান্তে লিখছে 'সজনি সজনি রাধিকা লো' বা,'শাওন গগনে ঘোর ঘনঘটা'। বৈষ্ণব পদাবলীর অনুকরণে ব্রজবুলি ও মৈথিলি ভাষায় রচিত তাঁর পদাবলীর নাম ভানুসিংহের পদাবলী। ভানুসিংহ নাম নিয়ে ছেলেটি নিজেই রোমাঞ্চিত। এই সব ছাড়াও পিতৃদেব পছন্দ করেন ব্রহ্মসংগীত,একের পর এক লিখে চলে ছেলেটি। পিতা ব্যস্ত মানুষ,মাসের পর মাস পশ্চিমে চলে যান। তবে সেখান থেকে ফিরলেই রবির ডাক পড়বে। ছোটবেলায় রবির কবিতা পড়ে হেসে ফেলেছিলেন দেবেন্দ্রনাথ,সেই তিনিই এখন পুত্রের সৃষ্টিতে মুগ্ধ। ধীরে ধীরে ব্রাহ্মসমাজের অধিবেশনেও রবিকে গান গাইতে হয়। মাঘোৎসবের অধিবেশনের জন্য লিখলেন 'নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে রয়েছো নয়নে নয়নে'। উৎসবে নিজেই গাইলেন সেই গান। পিতা স...
ক্ষমা করো আজিকের দিনে – বিনয় দেবনাথ

ক্ষমা করো আজিকের দিনে – বিনয় দেবনাথ

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
ক্ষমা করো আজিকের দিনে বিনয় দেবনাথ এলো নতুন প্রভাতে মৃদু হেসে সূর্যের আলো যেন আজিকের দিনে  ভুলে যাবো সব পুরাতন দিন শত্রু  ভেবো না মোরে হে বন্ধুবর এই অয়নে   কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকি যদি রেখো না মনে কিছু,  ভুলে যেও  জনে  ক্ষমা করো আজিকের দিনে।    অতীতের দিনে যা করেছি সব যেন ভুলে যাই এই নতুন বর্ষের  সনে  এসো সব বন্ধুগণ নতুন আলোর স্বপ্ন, আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠি মনে জীবন সংসার থাকিবে সবি যদি ভুলে যাই আবার মায়া মমতার ক্ষনে   ক্ষমা করো আজিকের দিনে।  আসুখ ঝড়-তুফান আসুক যতই  অশুভ শক্তি,করিবো-না ভয় রুখে  দাঁড়াবো  মানুষ আর্তনাদ করিবো-না  সহ্য  দ্রোহের শপথ নিয়ে সবাই পাশে থাকবো  নতুন দিনের নতুন উদয়ে উড়ন্ত পাখির ন্যায় আনন্দে উপভোগ করিবো    ক্ষমা করো আজিকের দিনে।  নতুন দিনে নতুন স্বপ্ন পূরণ করে সার্থক করিবো এ যেন মোদের আশা  বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন...
তালাশ – প্রদীপ মন্ডল

তালাশ – প্রদীপ মন্ডল

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
      তালাশ কলমে - প্রদীপ মন্ডল পৃথিবীর গা শুঁকে শুঁকে নিচ্ছিলাম ভালোবাসার ঘ্রাণ, যদি,কোথাও মিলে যায় নিঃস্বার্থ একটা মন। নিষ্পাপ কোমল অতিশয় বিগলিত হৃদয়, মিথ্যা ছলনা প্রবঞ্চনা আর দুষ্টাচার নেই তেমন। পাথরের কাছে গিয়ে পেলাম বিড়ম্বনা, অশ্রু বিগলিত ঝর্ণাধারা বলে আমি নিজেই তো পাথর। যুগ যুগান্তর ঘাত-প্রতিঘাতে হয়েছি কঠোর শিলা, আমার কাছে মন খোঁজা অবান্তর। অশ্রুধারায় নিমজ্জিত হয়ে গেলাম নদীর কিনারে, সেও বলে আমিও যে ভীষণ নিরুপায়। সব ময়লা ধুতে ধুতে নিজেই এক আবর্জনা, আঘাতে আঘাতে গেছি এদিক সেদিক বেঁকে। আকাশকে বললাম মনের কথা, তারারা শুনে হাসলো মিটিমিটি। চাঁদও বললো আমি নিজেই কলঙ্কিনী, পরের আলোয় আলো দিয়ে আঁধারে মুখ ঢাকি। ফিসফিসিয়ে শুনলাম বাতাসের কথা, ঝড়ের গতিতে চলে একবুক দীর্ঘশ্বাস। তার মন ঝড়ো হাওয়ায় ছুটে দিগ্বিদিক, ভেঙেচুরে হয়ে গেছে তছনছ। রাত সেও দেখি বেজায় মুখ গম্ভীর, যত অপরাধী তা...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!