Shadow

কুলায়ফেরা – পঞ্চম বর্ষপূর্তি

কুলায়ফেরা – পঞ্চম বর্ষপূর্তি

বারবার আমাকে ডেকো না – গীর্বাণী চক্রবর্তী

বারবার আমাকে ডেকো না – গীর্বাণী চক্রবর্তী

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
বারবার আমাকে ডেকো না গীর্বাণী চক্রবর্তী খুব সাধ হলে তুমি যাও সখা, শুধু বারবার আমাকে ডেকো না। আমি বেশ আছি এই নদী মাঠ বাগিচায় –শান্ত জীবন যাপনে ; তুমি বড়ো বোকাসোকা থেকে গেলে প্রিয় সখা ---এইসব ছেড়ে ছুঁড়ে কখনো চলে যেতে আছে কোথাও ; দূষণ ছড়ানো জটিল ভুবনে ! এখানে সরস মাটি ভালোবাসা দিতে জানে ;এখানে খোলা আকাশ অকৃপণ আজও –নানান রঙে সকাল দুপুর সন্ধে ঘুরে ফিরে আসে। অলস বেলায় দোতারার মিঠে সুর, মধুর ভাওয়াইয়া হৃদয়ে কত না জলছবি আঁকে। খুব সাধ হলে তুমি যাও সখা, শুধু বারবার আমাকে ডেকো না।   গীর্বাণী চক্রবর্তী পরিচিতিঃ জলপাইগুড়ি শহরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা লেখিকা গীর্বাণী চক্রবর্তী পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন শিক্ষকতাকে। প্রায় তিন দশক ছুঁয়ে আছে তার সাহিত্য সৃজন।ইতিমধ্যে অসংখ্য পত্র পত্রিকায় গীর্বাণীর লেখা প্রকাশ পেয়েছে। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা চার। তার লেখা গ্রন্থগুলি হল, এক ডজন গপ্পো, ...
পূর্ণবাবুর জন্মদিন – চন্দ্রকান্তি দত্ত

পূর্ণবাবুর জন্মদিন – চন্দ্রকান্তি দত্ত

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
পূর্ণবাবুর জন্মদিন চন্দ্রকান্তি দত্ত পূর্ণবাবুর মন ভাল নেই। ছেলে-বৌমা তাঁর জন্মদিন পালন করবে এই খবরটা পাওয়া অবধি তিনি কিছুটা মুষড়ে পড়েছেন। পূর্ণবাবু তিনদিন পরে,মানে আগামী ২১শে জ্যৈষ্ঠ পঁচাত্তর পেরিয়ে ছিয়াত্তরে পড়বেন। এই বিশেষ দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখতে ছেলে-বৌমা মিলে কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব নিমন্ত্রিত হবেন,কেক কাটা হবে,গান-বাজনা,খাওয়া-দাওয়াও হবে। সেখানেই পূর্ণবাবুর আপত্তি। যদিও তিনি ওদের সে আপত্তির কথা জানান নি। পূর্ণবাবু মনে-প্রাণে নিপাট বাঙালি। ছেলেবেলা থেকে দেখে এসেছেন,বাড়িতে ঘটা করে জন্মদিন পালনের কোন রেওয়াজ ছিল না। জন্মদিনে কোন উপহারও আসত না। মা গোবিন্দভোগ চালের পায়েস রান্না করতেন। যার জন্মদিন সে আগে পায়েস মুখে দিলে অন্যেরা পায়েস পেত। এভাবেই পালিত হত সবার জন্মদিন। পূর্ণবাবু সেই পরিমন্ডলে বড় হয়েছেন। সেই সংস্কৃতিকেই জীবনের চলার পথে আঁকড়ে...
আলোকবৃত্ত – চিন্ময় চক্রবর্তী

আলোকবৃত্ত – চিন্ময় চক্রবর্তী

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
আলোকবৃত্ত             চিন্ময় চক্রবর্তী             আমার একটা অন্ধকার আছে। জানো? যখন খুব কষ্ট হয়, তখন যাই। ঐ অন্ধকারে। মাঝে মাঝে এক ঢোঁক খেয়েও ফেলি। ওই অন্ধকারটা। প্রচুর জায়গা আছে ওখানে। বসার, দাঁড়াবার, এমনকি শোবারও। এক এক ঢোঁক অন্ধকারে পেয়ে যাই এক এক রাতের ঘুম। খুব দামী ঐ ঘুমগুলো। অনেক দাম দিয়ে কেনা। আলোর রোশনাই ভাল লাগে না সবসময়। চোখে বড্ড লাগে। খানিকটা প্রেম, খানিকটা ব্যথা, আর অনেকটা না পাওয়া আকাঙ্খা মেশানো ওই অন্ধকারটা বড্ড প্রিয় আমার। ওই অন্ধকারে ঘুরে বেড়ায় আমার সব প্রেমিকারা। আমাকে ছুঁতে চায়, পারেনা। আমি জানি, আমিও আছি ওদের নিজস্ব অন্ধকারে। সেটাও ওদের একান্তই নিজের। ভাবি কতগুলো অন্ধকারে আছি আমি? যারা খুব সযত্নে আগলে রাখে নিজের নিজের অন্ধকার? আর কে কে আছে ওই অন্ধকারে? ওদের অন্ধকার কি আমার অন্ধকারের মত গাঢ়? কি পোশাক সেখানে আমার? না কি আমি সেখানে সম্পূর্ণ...
উমাশশী কর্মকার – জলি চক্রবর্তী শীল

উমাশশী কর্মকার – জলি চক্রবর্তী শীল

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
উমাশশী কর্মকার জলি চক্রবর্তী শীল 'উমাশশী কর্মকার আছে তো?' ফড়িং এবার মাথা চুলকায়|  এ বাড়িতে উমশশী বলে কেউ আছে নাকি? 'খোকা এই জন্য বললাম বাড়ির বড় কাউকে ডাক?' ভোটার লিস্ট কারেকশন করতে আসা লোকটি মৃদু বিরক্তি নিয়ে ফড়িংকে বলে| ফড়িং দুপুরবেলা একা একাই খেলছিল| এই সময় বাড়ির সবাই একটু বিশ্রাম নেয়| আর এই সময়টাতে ফড়িং এ বাড়ির সর্বেসর্বা| তাই কর্মীটি আসতেই সেই বলেছিল‚ তার সাথেই কথা বলতে‚ এখন কাউকে ডাকা যাবে না| অগত্যা কি আর করার আছে‚ বড় কাউকে তো ডাকতেই হবে| ফড়িং ভিতরে চলে যায়| কুঁজি ঠাম্মি তো জেগেই থাকে| কুঁজি তখন বসে বসে ঝিমোচ্ছিল| একটু পরেই রাস্তাকলে জল আসবে| লাইন পড়বে| তার আগেই তাকে গিয়ে লাইন দিতে হবে| 'ও কুঁজি ঠাম্মি‚ উমাশশী কর্মকারকে চেনো?' ঝিমুনি টুটে গেলেও তখুনি কুঁজি বুঝে উঠতে পারে না‚ ফড়িং কি জানতে চাইছে| 'কি বললি?' 'বলছি উমাশশী কার নাম তুমি কি জান?' 'তাকে তোর কি দরকার শুনি?' 'ঐ ...
যন্ত্রবৎ – দিলীপকুমার মিত্র

যন্ত্রবৎ – দিলীপকুমার মিত্র

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
যন্ত্রবৎ দিলীপকুমার মিত্র বৃষ্টিস্নাত শীতের সকালে যখন হাওয়ার ডানায় ভর করে শীকরেরা হানা দেয় ঘরে, লুটোপুটি খায় সোয়েটারে, চাদরে --- তখনই, কেবল তখনই আমার হিমের জন্যে মন কেমন করে নইলে শীকর তো ঝর্ণাকলেও ওড়ে! ঘোরতর শীতের মাঝেও যেদিন মেঘলা আকাশ, তাই মৃদু মৃদু ঘাম বালাপোশ বাড়তি মনে হয়, জড়ো হয় পায়ের তলায় --- সেইদিন, কেবল সেইদিনই আমার ওমের জন্য মন কেমন করে, নইলে উত্তাপ তো হীটারও ছড়ায়! প্রতিদিনের আসা যাওয়ার মাঝে, পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে হঠাৎ দেখা যেদিন বাঁধভাঙা কলতান আনে হৃদয়, শরীর জুড়ে, আনে মনেপ্রাণে --- সেই, কেবল সেই মুহুর্তেই আমার তোমার জন্যে মন কেমন করে, নইলে যন্ত্রবৎ তুমিই তো নিত্য এ জীবনে ।। ----------------------------------------------------- দিলীপকুমার মিত্র দিলীপকুমার মিত্র পরিচিতি: পৃথিবীর আলো দেখা ১৯৬৬ সালে। বেড়ে ওঠা এবং পড়াশোনা বর্ধমান শহরে। পেশায় একটি সর্বভারতীয় ...
স্নায়ুযুদ্ধ – দীপান্বিতা দত্ত

স্নায়ুযুদ্ধ – দীপান্বিতা দত্ত

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
স্নায়ুযুদ্ধ  দীপান্বিতা দত্ত  আলোর পৃথিবী ডুবে যাচ্ছে অন্ধকারে জোৎস্না রাতে নিজেকে বড় একা লাগে সময়ের দিকে চেয়ে শব্দ শুনি শব্দ শুনি , ভয়াবহ পতনের জানালা কপাট ভাঙনের শব্দে নিঃশ্বাস নিতে বড় কষ্ট হয় এক চিলতে সুখ খুঁজি আপন মনে ঘন বর্ষা নেমে আসে চোখের কোণে । কথার মাঝে কথা থাকে অন্তরালে স্বপ্নগুলো থমকে থাকে অনাদরে বাঁধনগুলো আলগা হয় একটা ঝড়ে । দুর্বল হলে জীবন থেমে যায় ধর যদি , হঠাৎ মনের বদল হয় মুখ বুঝে আর নয় অশ্রুক্ষয় । স্বার্থের দুনিয়ায় শিখে নেবো অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার কৌশল  বাঁচার জন্য ঝেড়ে ফেলে সব ভয় মন খুলে করি কুশল বিনিময় । ***************************** দীপান্বিতা দত্ত-জন্ম আসামে,বিবাহসূত্রে বর্তমানে কলকাতায় থাকেন ৷ সংসারের সব রকম গুরু দায়িত্ব সামলেও কবিতার মধ্যেই তিনি নিজের মনের মুক্তি খুঁজে পান ৷ আর এই ভালোবাসা ছোট বেলা থেকেই ৷ গানেও তাঁর অসীম আগ্...
দ্বীপভূমি ময়নাগড় – শক্তিপদ ভট্টাচার্য্য

দ্বীপভূমি ময়নাগড় – শক্তিপদ ভট্টাচার্য্য

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
দ্বীপভূমি ময়নাগড় শক্তিপদ ভট্টাচার্য্য সার্থক জনম মাগো জন্মেছি এই দেশে। আরো বেশী করে ভাগ্যবান কারণ এই দেশের মধ্যে আবার বাংলায় জন্মগ্রহণ করার জন্য। বাংলাকে আমরা মা বলে ডাকি। নদীর ধার, সবুজ ধানের ক্ষেত, বাউলের গান, পাহাড়ের ডাক, বার মাসের তেরোপার্বণ নিয়ে আনন্দে মেতে থাকি আমরা। তাই বাংলায় ঘুরে বেড়িয়ে সবচেয়ে বেশী মজা পাই। বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে বেড়ানোর মজাই আলাদা। আর সে বেড়ানো যদি হয় জল, জঙ্গল, পরিখা, আর দ্বীপের মধ্যে তাহলে তো কেয়া বাত। না না আন্দামান নয়, আমাদের রাজ্যেই রয়েছে এক চমৎকার দ্বীপভূমি যার সন্ধান অনেকেরই অজানা। আমাদের খেয়ালই থাকে না যে আমাদের রাজ্য কত সুন্দর কেবল একটু খুঁজে ঘুরে বেড়ানো। তাই খুঁজতে খুঁজতে গিয়ে পৌঁছালাম পূর্ব মেদিনীপুরের এক সুপ্রাচীন পুণ্যভূমি ময়নাগড়ে। গড় বা কেল্লা বলতে বিরাট বিরাট উঁচু প্রাচীর দিয়ে ঘেরা অঞ্চল বোঝালেও এই ময়নাগড় তার চেয়েও চিত্তাকর্ষক। কারণ এই ময়নাগড় ঘের...
দ্বিতীয়া‌ -মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য্য

দ্বিতীয়া‌ -মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য্য

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
দ্বিতীয়া‌ মৃগাঙ্ক‌‌ ‌‌ভট্টাচার্য‌ -  আপনার স্ত্রীর অসংলগ্ন আচরণ আপনি প্রথমবার লক্ষ করেছিলেন গত বছর পয়লা জানুয়ারি। কী তাই তো ? সেদিন একজ্যাক্টলি কী হয়েছিল আর একবার শুরু থেকে বলুন প্লিজ। -ডুয়ার্সে গতবার পয়লা জানুয়ারির ভোর থেকে শুরু হয়েছিল ধুন্ধুমার বৃষ্টি। আমি গভীর ঘুমে ডুবে ছিলাম। আমাকে ধাক্কা দিয়ে ডেকে তুলেছিল বিপাশা। আমি ধড়মড় করে উঠে ভেবেছিলাম ভূমিকম্প হচ্ছে। দু’-এক মুহূর্ত পর বুঝতে পারলাম বাড়ি দুলছে না কাঁচের জানলার বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। একটু ধাতস্থ হয়ে দেখি বিপাশা অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কী হয়েছে ? বিপাশা নার্ভাস গলায় বলল ও আর বেঁচে নেই। - বেঁচে নেই মানে ? -প্রথমে ভেবেছিলাম ঠাট্টা করছে। কিন্তু পরমুহূর্তে বুঝলাম যে তা নয়। বিপাশার চোখেমুখে একটা বিহ্বল ভাব। ভাবলাম বাজে স্বপ্ন দেখেছে। ওর কাঁধ ধরে ঝাঁকি দিয়ে বললাম, রিল্যাক্স। একটু জল...
মানুষ যখন পরিযায়ী – বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত

মানুষ যখন পরিযায়ী – বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
মানুষ যখন পরিযায়ী বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত আমরা পরিযায়ী বাবু। দিনে দিনে ,মানুষ থেকে , পশুপাখির  দলে ভিড়িয়ে দিল আমাদের। দুমুঠো অন্নের সন্ধানে একদিন ছেড়েছিলাম ঘর। আমাদেরও আছে পরিবার । তোমাদের মত আমার মাও , রোজ রাতে তার খোকার কথা ভেবে , লুকিয়ে চোখের জল ফেলে। রাজনীতির পরিযায়ীরা , আসে পাঁচবছর ছাড়া-ছাড়া। প্রতিশ্রুতি  আর প্রতিশ্রুতি । হেন করেঙ্গা তেন করেঙ্গা। বছরের পর বছর পেরিয়ে যায়। নিজেদের আখের গুছাতে , কার্পণ্য  করে না কখনও। না শিল্পের ভাবনা না কর্মসংস্থান। হীরক রাজার  দেশে সকলেই পরিযায়ী । লম্বা লম্বা ভাষণে পেট ভরে না। চাই আধপেটা ভাত।  বেঁচে থাকার তাগিদে , কাজের সন্ধানে কোথাও গেলেই , আমরা পরিযায়ী । দেশের দুঃসময়ে ,এ তকমা এঁটে বসে , আমাদের গায়ে। তোমরা যখন গৃহবন্দি হয়ে , বাঁচার লড়াই  কর , আমরা তখন খোলা আকাশের তলে বাসা বাঁধি। আমরা তো মানুষ নই , আমরা যে পরিযায়ী । সন্তান স...
সারদামনি মাতার পূত জন্মস্থান জয়রামবাটি ভ্রমণের ইতিবৃত্ত – বিজিত কুমার রায়

সারদামনি মাতার পূত জন্মস্থান জয়রামবাটি ভ্রমণের ইতিবৃত্ত – বিজিত কুমার রায়

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
সারদামনি মাতার পূত জন্মস্থান জয়রামবাটি ভ্রমণের ইতিবৃত্ত বিজিত কুমার রায় “যে গ্রামে জন্মিলা মাতা দেবীঠাকুরানী। পুণ্যময়ী লীলা-তীর্থ ধামে তারে গণি।। শ্রীপ্রভুর পদরেণু বিকীর্ণ যেখানে। বিধাতার সুদুর্লভ তপস্যা সাধনে।।” (শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণপুঁথি, অক্ষয়কুমার সেন) “নবদ্বীপধামে দেবী বিষ্ণুপ্রিয়া জয়রামবাটী এলে সারদা সাজিয়া, জীর্ণ চীর বাসে নিজেরে ঢাকিয়া রাজলক্ষ্মী হ’লে যোগিনী।।” (মণীন্দ্রকুমার সরকার) পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর মহকুমার অন্তঃপাতী জয়রামবাটী গ্রাম শ্রীশ্রীমা সারদা দেবীর পুণ্য জন্মস্থান। মা বলতেন–‘ওদের এখানে তিনরাত্রি বাস কত্তে বলো। এখানে তিনরাত্রি বাস কল্লে দেহ শুদ্ধ হয়ে যাবে, এটা শিবের পুরী কিনা।’ সত্যিসত্যিই মায়ের মন্দির নির্মাণের সময় ভিত খুঁড়তে গিয়ে পাওয়া গিয়েছিল একটি ছোটো কালো শিবলিঙ্গ। মাতৃমন্দিরের সিংহাসনে আজও সেটি পূজিত হয়। জয়রামবাটী গ্রামের আদি...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!