Shadow

কুলায়ফেরা – পঞ্চম বর্ষপূর্তি

কুলায়ফেরা – পঞ্চম বর্ষপূর্তি

‘বাংলার বুলবুল’ উমা বসু : জন্মশতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলি – রাজেশ দত্ত

‘বাংলার বুলবুল’ উমা বসু : জন্মশতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলি – রাজেশ দত্ত

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
'বাংলার বুলবুল' উমা বসু : জন্মশতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলি রাজেশ দত্ত উমা বসু। স্বর্ণযুগের বাংলা গানের আকাশে এক ক্ষণপ্রভা উজ্জ্বল নক্ষত্র। বিশ শতকের দুই ও তিনের দশকে বাংলার সংগীত জগতে তিনি ছিলেন এক বিস্ময় প্রতিভা। 'বাংলার বুলবুল' হিসেবে খ্যাত উমা বসু তাঁর ডাকনাম 'হাসি' নামেই সমধিক পরিচিত ছিলেন। অনন্যসাধারণ এই সংগীত শিল্পীর জন্ম ১৯২১ সালের ২২ জানুয়ারি। জীবনাবসানও ওই একই তারিখে, ২২ জানুয়ারি,  সালটা ১৯৪২। জন্মগ্রহণ আর অকাল মৃত্যুর মধ্যে মাত্র একুশটি বসন্ত। এই স্বল্প আয়ুষ্কালেও তাঁর সাংগীতিক প্রতিভার কী অলোকসামান্য বিচ্ছুরণ! কিন্নরকন্ঠী এই গায়িকার অপ্রতিম গানের উজ্জ্বল আলোকচ্ছটায় বাংলা সংগীতের প্রাঙ্গণ উদ্ভাসিত হয়েছিল। কলকাতায় শিল্প-সংস্কৃতির ঐতিহ্যসম্পন্ন এক নামী, বিদগ্ধ ও অভিজাত পরিবারে তাঁর জন্ম হয়েছিল। তিনি ছিলেন বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান। মায়ের নাম প্রভা বসু (মিত্র)। খ্যাতনামা স্থপত...
স্বপ্নসুখ – পার্থ প্রতিম মিত্র

স্বপ্নসুখ – পার্থ প্রতিম মিত্র

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
স্বপ্নসুখ পার্থ প্রতিম মিত্র একমুঠো আবির ছড়িয়ে দিই রক্তমাখা হৃদয়ে, ভালোলাগার আবেশে চোখ বুজে আসে... মুঠোফোনে হাতরাই ভাষা ভাষা চোখ বিস্মৃতির গভীরে ডুবে। পাড়ভাঙ্গা শব্দ ধেয়ে আসে ঝাউবন পেড়িয়ে... নিকষ কালো অন্ধকার সন্ সন্ বাতাসে দোল খায়... আমি দুহাত বাড়িয়ে জড়িয়ে ধরি নিঃশব্দ পৃথিবীকে... বড়ো একা লাগে নিজেকে। কাল এসে দাঁড়ায় সামনে পেছনে চারদিকে, সময় যায় থমকে... অস্পষ্ট মৃদু পদচারণের ধ্বনি শুনতে পাই.. আমি হারিয়ে যাই বহুদুরে সমুদ্রের ফেনার সাথে ভাসতে ভাসতে... হটাৎ আলোর রোশনাই ধেয়ে আসে অন্ধকার চিরে, আমি মুক্তির আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাই, আত্মদর্শনের পরিতৃপ্তি বাঁচার মোহে ফিরিয়ে নিয়ে আসে আমায়, এইতো আমি দাঁড়িয়ে আছি স্বপ্নের মাঝে খুশির হাওয়ায়। স্বপ্ন ভেঙে যায়...... ঘামে ভেজা আমি চোখ মেলে দেখি আমার একান্ত আপন পৃথিবী, সবুজ মাটি স্বপ্ননীল আকাশ ভোরের ঠান্ডা বাতাসে...বড়ো মায়াময়। ***********...
অবিমৃষ্য – সাজেদুল হক

অবিমৃষ্য – সাজেদুল হক

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
অবিমৃষ্য সাজেদুল হক যুক্তিহীন মানুষের কণ্ঠ বড়, নাটাই কাঁটা ঘুড়ির মতন ছুটে চলে একা; কিছু মানুষ যুক্তিহীন হয়। কিছু মানুষের লুণ্ঠিত প্রেম অধর স্পর্শ করে স্বপ্নজালে, বেহিসেবি লেনাদেনায় । কিছু মানুষের মন ভালো নেই একলা আকাশ একলা প্রহর নিয়ে একা; কোনো পিছুটান নেই। কিছু মানুষ নিরামিষাশী মাংসের খিদে নেই , গোপন ক্ষত নিয়ে ঘোরে এদিক সেদিক। কিছু মানুষের কামুক হৃদয় তৃষ্ণায় বুদ হয়, নগ্নরাত্রির ভেলা ভাসায় দ্রাঘিমা রেখায়। কিছু মানুষ বিশ্বাসের উষ্ণ চাদরে ঢাকে বুকের জমিন । কিছু মানুষ হয় ভালোবেসে, না হয় ভালোবাসায় খুন হয়। কিছু মানুষ যুক্তিহীন হয়।। ************************* সাজেদুল হক পরিচিতি – জন্মঃ সেপ্টেম্বর, ১৯৭০। শিক্ষা - বালিগাও প্রাইমারী স্কুল, ভানুগাছ, কমলগঞ্জ। বশিরউদ্দিন আদর্শ হাইস্কুল, মিরপুর। বাঞ্চারামপুর এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, বাঞ্চারামপুর। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্...
ভালোবাসা – ননীগোপাল মহারাজ

ভালোবাসা – ননীগোপাল মহারাজ

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
ভালোবাসা    ননীগোপাল মহারাজ বেলুড়মঠে স্বামীজীর নির্দেশে রাত চারটের সময় ঘন্টা বাজিয়ে সবাইকে জাগিয়ে দেওয়া হতো। সাধু ব্রহ্মচারীরা সবাই ঘুম থেকে উঠে প্রস্তুত হয়ে এসে ঠাকুরঘরে ধ্যান জপ করতেন। তাঁর প্রখর শাসনে এই নিয়মের কোন নড়চড় হওয়ার উপায় ছিল না। স্বামীজী কঠোর নিয়ম করেছিলেন, যে সাধু বা ব্রহ্মচারী নির্দিষ্ট সময়ে ঠাকুর ঘরে আসতে পারবে না, তাকে সেদিন বাইরে থেকে ভিক্ষা করে এনে খেতে হবে। সেদিন সে মঠে খেতে পাবে না। একদিন মহাপুরুষ মহারাজ স্বামী শিবানন্দ কোন কারণে নির্দিষ্ট সময়ে ঠাকুর ঘরে আসতে পারলেন না। স্বামীজী তাঁর কাছে গিয়ে বললেন, “তারকদা (স্বামী শিবানন্দ, পূর্বাশ্রমের নাম ছিল তারক) আমরা একটা নিয়ম করেছি যে, নির্দিষ্ট সময়ে ঠাকুর ঘরে এসে সাধন-ভজন না করতে পারলে তাকে সেদিন বাইরে ভিক্ষা করে খেতে হবে। শিবানন্দজী ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বেরিয়ে গেলেন। স্বামীজী নীরবে সেই চলে যাওয়া দেখলেন। তার...
গন্ধপুরাণ – হিমাশিস ভট্টাচার্য্য

গন্ধপুরাণ – হিমাশিস ভট্টাচার্য্য

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
গন্ধপুরাণ হিমাশিস ভট্টাচার্য্য শেষ সময়ে বাবা মাঝে মাঝে অদ্ভুত আচরণ করতেন। শরীর খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। থাকতেন আধো ঘুমে, আধো চেতনে। কখনো অতি সক্রিয় হয়ে বলতে শুরু করতেন – ঘরের সোফা চেয়ার গুলো খালি করে দাও। দেখছ না কারা এসেছেন? তাঁদের বসতে দাও। বাবার কথা শুনে মা আশেপাশে তাকিয়ে দেখতেন কেউ তো নেই। বাবা রেগে যেতেন। বলতেন - বাবা, মা, কাকা, ঠাকুরদা, জ্যাঠামশাই সবাই এসেছেন একসঙ্গে। তাঁদের বসতে দাও। মা হয়তো ধোওয়া কাপড়গুলো ছাদ থেকে এনে সোফায় রেখেছেন, পরে গুছিয়ে রাখবেন। বাবার কথা শুনে তাড়াতাড়ি সব সরিয়ে ফেলতেন। তখন বাবা ঠাণ্ডা হয়ে একা একা যেন কার সঙ্গে কথা বলতেন। মা ভয় পেয়ে আমাদের সবাইকে ডেকে নিয়ে আসতেন। আমরা গিয়ে দেখতাম বাবা বিছানায় শুয়ে আছেন। চোখ বন্ধ, মুখে মৃদু মৃদু হাসির রেশ। বাবা তখন দিনরাত তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়েই থাকতেন। বয়স নব্বুই পেরিয়ে গিয়েছিল বাবার। ফুসফুসে ভয়ানক সংক্রমণ। বাবার ছোট বেলার বন্ধু আ...
স্বাধীনতা দিবস আর রূপান্তীর গপ্পো – শ্রুতি দত্ত রায়

স্বাধীনতা দিবস আর রূপান্তীর গপ্পো – শ্রুতি দত্ত রায়

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
স্বাধীনতা দিবস আর রূপান্তীর গপ্পো শ্রুতি দত্ত রায় (১) সকাল থেকেই আজ বাড়িতে ব্যস্ততার শেষ নেই। সেই কোন কাকভোরে উঠে কাকিমণি স্নান-টান সেরে পুজো দিয়ে রান্নাঘরে ঢুকেছে।আর কাকিমণির সাথে রূপান্তীকেও ঘুম ঘুম চোখে বিছানা ছাড়তে হয়েছে। ওকে ছাড়া কাকিমণির এক সেকেন্ডও চলে না যে। "রূপান্তী শিগগির বাসি ঘর ঝাড়ু দে"... "বাথরুমে গিজার অন কর"..."কাকুর জুতো জোড়া পালিশ করলি?"..."ময়দাটা তাড়াতাড়ি মেখে, লুচি কটা একটু বেলে দে তো"....সকাল থেকে একটার পর  একটা ফরমায়েশ চলছে তো চলছেই, দম ফেলার সময় নেই আজ। আর হবে নাই বা কেন? কাকু, কাকিমণি আর তিতলিকে যে সকাল আটটার মধ্যেই তৈরী হয়ে বেরিয়ে পড়তে হবে। তার আগে কাকিমণির বাড়তি কাজ হলো তিতলিকে সাজিয়ে গুজিয়ে নাচের অনুষ্ঠানের জন্য তৈরী করা। আজ "ইনডিপিনডিন"..না কি যেন একটা বিশেষ দিন। কদিন ধরেই আলোচনা চলছে এ বাড়িতে। তিতলিসোনা নাচবে ঐদিন একটা বড়ো অনুষ্ঠানে। খুব ত...
ঘুষ – মধুমিতা ভট্টাচার্য্য

ঘুষ – মধুমিতা ভট্টাচার্য্য

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
ঘুষ  মধুমিতা ভট্টাচার্য্য মই মেধোলাল মাহাতো। জন্ম হইছিল একুনকার ঝাড়খন্ডে মানে তকুনকার বিহারে পেরায় দুকুড়ি-পাঁচ বচর আগে। দু-বচরের হতিই ঠাকুদ্দা তেনার পরিবার নে কলকেতায় চলি আসেছেল। পত্থমে হাওড়া-ইস্টেশনের পেলাটফরম, পরে ইদিক-সিদিক কত্তি কত্তি এখেনে। বড় হতিই বেবাক কাজকামের ধান্দায় নানান ঘাটের জল খেইয়ে মুর মুখের ভাষাটুকও জগাখেচুড়ি হই গিচে। আপাতক ঠিকনা খাস কলকেতায় না হলিও কলকেতাতেই বলতি পার। হুই-ই সোনারপুরের উদিকটায়। সেখেনেই ইস্টেশনের হাতায় আমার ছ’ট্ট চা-দ’কান। সক্কালে গেই তোলা উলুনটো ধরাই, ছচপ্যান-টচপ্যান ধোই চায়ের জল চাপাই। তার পিছে দুধ, চিনি ঢেলি চা বেনাই। দ’কানের সম্পত্তি বলতি কয়টা লড়বড়া বেঞ্চি আর এট্টা টুল, ব্যস। ভাঙ্গা কাঁচের পাল্লাওলা ছোটোমোটো লজঝড়ে বাস্কটোতে লেড়ো বিস্‌কুট, সস্তা চানাচুরের পাকিট আর গোটাকয় বিড়ির বাণ্ডিল রাকি। দ’কানের এক কোণে ঝুলাই দি আগুন মাথাওলা রসি। লোকজন সিটুর থিকে বিড়...
প্রকৃতির সন্তান (ওলট চন্ডাল- gloriosa superba) – সোমনাথ দাস অধিকারী

প্রকৃতির সন্তান (ওলট চন্ডাল- gloriosa superba) – সোমনাথ দাস অধিকারী

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
প্রকৃতির সন্তান (ওলট চন্ডাল- gloriosa superba) সোমনাথ দাস অধিকারী মনে হয় মানব শিশু মাতৃস্তন্য পান করেছিল বলে পানীয়কে এত ভালবাসে ,শরীরের ৭৫% ভাগ জলীয় অংশ মাত্র ২৫% শক্ত বস্তু। হ্যাঁ কথা হচ্ছিল পানীয় নিয়ে, আমরা মানুষ নানান রকম পানীয় ব্যবহার করি, নানা জাতের স্বাদে-গন্ধে ভিন্ন ভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন নামে। সপ্তসতী চন্ডীকে দেবী দুর্গা বলেছেন, --"গর্জ  গর্জ ক্ষণং মূঢ়"। "মধু যাবৎ পীবামহ্যৎ"  এই বাক্য দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করার আগে, শক্তি সঞ্চয় পূর্বক দেবী মধু রূপে সুরা পান করেছিলেন। এই ঘটনা অনেক প্রাচীন। অতীতে শক্তির উৎস হিসেবে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন আদিম জাতির ভিন্ন ভিন্ন পানীয় ছিল। আজকে খুব প্রাচীন সাঁওতাল জাতির প্রিয় পানীয় "হেঁড়্য/হাড্ডি" সম্বন্ধে বলছি। ওদের সমাজে বিবাহ সবচেয়ে বড় আনন্দদায়ক উৎসব। মেয়ের বাড়িতে ছেলেরা তাদের পরিবারের সমস্ত সদস্য/ সদস্যা, প্রতিবেশী সহ দলবেঁধে ধা...
দশাবতার তাসঃ এক লুপ্তপ্রায় শিল্প ও খেলার উৎস সন্ধানে – সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়

দশাবতার তাসঃ এক লুপ্তপ্রায় শিল্প ও খেলার উৎস সন্ধানে – সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
দশাবতার তাসঃ এক লুপ্তপ্রায় শিল্প ও খেলার উৎস সন্ধানে সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘সর্বনাশা’ তকমা জুটলেও ‘রঙ্গে ভরা’ বঙ্গদেশে তাসখেলার জনপ্রিয়তায় কোনোদিনই ভাঁটা পড়েনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নষ্টনীড়’-এর চারুলতা ও মন্দাকিনীর মতো অন্তঃপুরে নারীরা এখন আর বিশেষ তাস খেলেনা সত্য। কিন্তু শহর-মফস্বলে ভিড়ে ঠাসা লোকাল ট্রেনের এক চিলতে বসার আসনে বা গ্রামের বুড়ো বটতলায় কি ভাঙা মন্দির-চত্বরে ছেলে-বুড়োর দল জমিয়ে বসে তাস খেলছে, এ ছবি দুর্লভ নয়। যদিও ইউরোপীয়রা এদেশে নোঙর ফেলার আগে সাহেব-বিবি-গোলামের বাহান্ন তাসের সঙ্গে ভারতীয়দের পরিচয় ছিলনা। পঞ্চদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে জার্মানীতে জোহানেস গুটেনবার্গের আবিষ্কৃত যন্ত্র মুদ্রণ ব্যবস্থায় বিপ্লব আনলে ইউরোপে বিপুল পরিমানে কাগজের তাস তৈরি হতে থাকে। ফলে সেখানকার বিভিন্ন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও তাসখেলা ছড়িয়ে পড়ে। ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে আমাদের দেশের বাজারেও আসতে শুর...
দাম্পত্য – নবনীতা সাঁতরা দে

দাম্পত্য – নবনীতা সাঁতরা দে

কুলায়ফেরা - পঞ্চম বর্ষপূর্তি
দাম্পত্য নবনীতা সাঁতরা দে আলমারির দরজায় দুজনকে পাশাপাশি দেখা যেত না। একজনকে দেখা গেলে অন্যজন চলে যেত আড়ালে, যেমনটা হয়ে থাকে দাম্পত্য জীবনে। আমি চোখে কাজল লেপতে এলে তোমার চুলের সিঁথি সোজা হতো না, মুখে কপট বিরক্তি নিয়ে সরে জেতে দাম্পত্যের রোজনামচায়। রোজ সকালে বাসি বিছানা গোছানোর সময়, সাহায্যের হাত না বাড়ানোর অকর্মণ্যতা বোঝাতে গিয়ে যখন রাগে নীতিবাক্য আউরেছি, তুমি তখন না শুনেই সরে গেছো অকাজের অছিলায়। তবু জীবন তৃপ্ত থাকে বিছানা গোছানোয়। দাম্পত্য বেঁচেছে এভাবেই। তোমার অফিস মোজা আর আমার মুখ মোছা রুমাল, একসাথে কেচে ধুয়ে রোদে শুকিয়েছে, তারপর আবার জলেও ভিজেছে অনেকগুলো বছর। যেভাবে পাশাপাশি থেকে যায় দাম্পত্যের আলোছায়া। একসাথে পথে বেরিয়ে হেঁটেছ একগজ আগে নয়তো একগজ পিছে। মনে হয়েছে এর চেয়ে একলা চলাই ছিল ভালো। তবু খানিক পথ পেরিয়ে দাঁড়িয়েছ অপেক্ষায়, যেভাবে বহু পথ অতিক্রম করা যায় কোন এক স...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!