Shadow

চতুর্থ বর্ষপূর্তি

চতুর্থ বর্ষপূর্তি

সম্পাদকীয় – ‘ কুলায় ফেরার  চতুর্থ  বর্ষপূর্তি ‘

সম্পাদকীয় – ‘ কুলায় ফেরার  চতুর্থ  বর্ষপূর্তি ‘

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
  সম্পাদকীয় ' কুলায় ফেরার   চতুর্থ  বর্ষপূর্তি ' তীব্র দহনের দু:সহ একটা লম্বা সময়ের পর বৃষ্টি ধারায় শুষ্ক ধরা অবশেষে শীতল হতে শুরু করেছে। রুক্ষ ফুটিফাটা মাটি, সিক্ত হয়েছে বর্ষণে। ধুলোময়,নোংরা,বিবর্ণ গাছের পাতাগুলো ধারা স্নানে এখন পরিস্কার,চকচকে,সবুজ,প্রাণবন্ত। এই নীলগ্রহের একমাত্র আত্মঘাতী, ভাতৃঘাতী, অকৃতজ্ঞ মানুষরা বিশ্বের সর্বত্রই অরণ্য ধ্বংস করে বসত বিস্তৃত করে চলেছে। এদেশও পিছিয়ে থাকবে কেন? পুষ্করিণী,জলাশয় বুজিয়ে,তোলা হচ্ছে অজস্র বহুতল। বিপন্ন হচ্ছে বন্যপ্রাণী,পাখিকুল। সাগর/সমুদ্রের পৃষ্ঠতলের তাপমাত্রা ও পৃথিবীর পৃষ্ঠতলের তাপমাত্রার মধ্যে ব্যবধান ক্রমশই কমে আসছে,যার জন্য মৌসুমী বায়ু পৃথিবীর পৃষ্ঠতলে প্রবেশ করতে সময় নিচ্ছে। ফল স্বরূপ,বর্ষা দেরীতে শুরু হচ্ছে। আগামী দিনে এই ঘটমান বিষয় আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে চলেছে। বিশ্বের তাপমাত্রা ৬০ ডিগ্রী ছুঁই ছুঁই! তবে এবারের মত বর্ষা এসে য...
আয় তবে সহচরী ……. – ব্রতী ঘোষ

আয় তবে সহচরী ……. – ব্রতী ঘোষ

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
" আয় তবে সহচরী ....... " ব্রতী ঘোষ দীপম স্যারের কোচিং এ আসতে আজকে বেশ দেরি হয়ে গেছে নীলের | কোনরকমে সাইকেলটাকে রেখে হুড়মুড় করে ও যে চেয়ারটা খালি পায় সেটাতেই আজ বসে পড়ে  | দীপন স্যার অঙ্ক করান | এমনিতে স্যার খুব ভালো কিন্তু দেরি করে ক্লাসে ঢুকলে স্যার বেশ রেগে যান | ওদের সবার নির্দিষ্ট চেয়ার আছে। কিন্তু আজ দেরি হয়ে যাওয়াতে নীল সৃজনের খালি চেয়ারটাতে বসে পড়ে। ওর স্যার অঙ্কের বই থেকে চোখটা তুলে একবার নীলকে দেখে নিলেন। নীল একবারও স্যারের দিকে তাকালো না। অঙ্কতে খুব একটা চৌখশ কোনদিনই নয় নীল কিন্তু ওর মুখের দিকে তাকালে স্যারের অদ্ভুত একটা মায়া হয়। আর সেই জন্য নীলকে কিছু বলতে পারেন না উনি। নীল পৌঁছবার আগেই স্যার দুটো অঙ্ক করিয়ে ফেলেছেন | কি হবে এখন ? ক্লাস শেষ হওয়ার পর তড়িঘড়ি ক্লাস থেকে বেরিয়ে নীল স্যারের বাড়ির গেটে দাঁড়িয়ে থাকে। বেশ কিছুক্ষণ পর সম্প্রীতি বেরোয় | 'কি রে ন...
শূন্যতার ফেরিওয়ালা – মণি ফকির

শূন্যতার ফেরিওয়ালা – মণি ফকির

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
শূন্যতার ফেরিওয়ালা          মণি ফকির আরো একবার দুচোখ নামিয়ে, দুহাত দিয়েছি বাড়িয়ে। দ্বিধাহীন শূন্যতা দাও ভরিয়ে। অনাবৃষ্টির ফসলী জমির মত। ফিরে যাওয়ার সময় হয়ে এল। মনসুরের বন্ধ দোকান, দীপুর থেমে থাকা টোটো, খোকনের সব্জির ঠেলা, দিগন্তবিস্তৃত অকাল অবসর ঠেলে, আমায় এগোতেই হবে, দ্রুত পা চলিয়ে। যত পারো বেশি করে দিও। শূন্যতা ফেরি হবে, রাত্রির শেষ ট্রেনে। আবছায়া মেখে সুর করে করে। "নেবে নাকি গো?,সস্তায় দেবো। একটার দরে পাঁচ টা।" শুনেছি এ মরসুমের ফলন ভালো। আকাশ ভারী হয়ে এল। এবেলা না বেরোলেই নয়। একটু তাড়াতাড়ি,আরেকটু.... বেআক্কেলে সুসময়, রেল গেট নামিয়ে ফেলার আগে ************************* মণি ফকিরের জন্ম শিল্পনগরী বার্ণপুরে। সাহিত্য চর্চার অভ্যাস ছাত্র জীবন থেকেই। অনুপ্রেরণা মা ও মামার কাছ থেকে। প্রথম কবিতার বই *মণি ফকিরের পদাবলী* প্রকাশিত হয় ২০১৮ পূজোয়। গল্পকারের মূল বৈশিষ্ট্য ...
গালিব – দীপন মিত্র

গালিব – দীপন মিত্র

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
    গালিব     দীপন মিত্র যখনই তোমার কথা ভাবি লাল গোলাপের কথা মনে পড়ে দিল্লির লোকেরা জানত তুমি ছিলে জুয়াড়ি,শরাবি রক্তিম সুরার পাত্র জ্বলে উঠত তখন জ্যোৎস্নায় কবিতার জন্ম হয় বেদনায়,বড় বেদনায় বেদনা কবিকে ধরে,কারাগারে বন্দি করে বিশাল গম্ভীর তার ধ্বনি বাজে শিকড়ে শিকড়ে ভিখিরি,বাঈজি শুধু বুঝেছিল,গেয়েছিল তোমাকে গালিব বিপন্ন জীবনে তুমি ছিলে ধ্রুবতারা তুমি ছিলে করুণার অভ্রান্ত রাকিব দারিদ্র,শোকের দীর্ঘ যন্ত্রণায় রক্তাক্ত ফলের মতো তুমি–মৃত্তিকায় নিয়েছ শরণ কবেকার মৃত এক নক্ষত্রের আলো তোমাকে করেনি অপহরণ? তোমার লেখায় জ্যোৎস্না,তারও বেশি ক্ষত,অশ্রু,ত্রুটি পৃথিবীর পান্থশালা তোমাকে দেবেনা কোনও ছুটি তোমার উজ্জ্বল পাত্রে সোনালি,রক্তিম সুরা পান করে নীলাভ তিমিরে আমি একদিন উড়ে যাব ঝড়ে *****************************...
বন্ধ চিঠি – সহেলী মুখার্জি

বন্ধ চিঠি – সহেলী মুখার্জি

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
বন্ধ চিঠি  সহেলী মুখার্জি মনের গোপন খবর খানি আজ    পাঠিয়ে দেব বন্ধ চিঠি খামে দিনের অন্তরালে যখন একা   পড়িস বসে পুরানো দিনের নামে। স্তব্ধ আকাশ অনুচ্চারিত আলো     শব্দ চয়ন কঠিন ঝড়ের ছায়া হয়তো কোথাও 'কমা' দেওয়ার আগে      পূর্ণচ্ছেদে  কাব্য হারিয়ে যাওয়া। রেখা গুলো যদি লক্ষ্মণ টেনে দিত      থামতে হতো শেষের বহু আগে সমার্থক শব্দ সংযোগে       হারাতো না কেউ ক্লিষ্ট অনুরাগে। ***************************** সহেলী মুখার্জিঃ স্কুল শিক্ষিকা,নিবাস-ব্যান্ডেল/হুগলি,শখ-লেখা এবং গান করা  ...
ডায়াস্পোরা – সুজয় দত্ত

ডায়াস্পোরা – সুজয় দত্ত

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
                 ডায়াস্পোরা                   সুজয় দত্ত এই পৃথিবীর গোলকধাঁধায় অনেক বছর কাটিয়ে শেষে সাত সাগর আর তেরো নদী,পথ-প্রান্তর পেরিয়ে এসে হঠাৎ সেদিন শুনতে পেলাম পুরোনো এক চেনা গলায় ডাক দিল কেউ,বলল "থামো। অন্তবিহীন এ পথ চলায় শ্রান্ত তুমি। একটু জিরোও। একটু তাকাও পিছন ফিরে। অনেক হল। এবার খানিক কাটাও সময় আপন নীড়ে -- যেখান থেকে যাত্রা শুরু। স্মৃতিমেদুর,স্বপ্নমাখা, ফেলে আসা দিনগুলো সব যত্ন করে বাঁচিয়ে রাখা নিজের শহর,নিজের বাড়ি,ছেলেবেলার খেলার মাঠে -- গলির মোড়ের আড্ডাতে আর মুখচেনা সব দোকানপাটে।" যেই না শোনা,উঠল নেচে বুকের খাঁচায় বন্দী পাখি, ঘরে ফেরার নেশায় মাতাল,সাধ্য কী তায় আটকে রাখি? অগত্যা এক দিন সাত সকালে তল্পিতল্পা গুটিয়ে নিয়ে, সব পিছুটান ছিন্ন করে,হিসেবনিকেশ মিটিয়ে দিয়ে রওনা দিলাম জন্মভূমির উষ্ণ আলিঙ্গনের আশায়। থাকব কাছে আপনজনের,বলব কথা নিজের ভাষায় -- এই ভেবে মন ...
যদি পার একটি বার – দীপান্বিতা দত্ত

যদি পার একটি বার – দীপান্বিতা দত্ত

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
যদি পার একটি বার  দীপান্বিতা দত্ত "অনন্ত মরণ কে"---আলিঙ্গন করে ওগো "অন্তরযামী"-------- জীবন আর মৃত্যুর মাঝখানে সুসজ্জিত মালা চন্দন পরে দাঁড়িয়ে আছো বিশ্বচরাচরে। পঁচিশে বৈশাখের শুভ লগ্নে আকাশের আলোক সমীরণে উজাড় করে দিয়েছো তোমার আপন বাণী, ভরা যৌবনের যাদু মন্ত্রে ভরা ছন্দ জালে সার্থক লেখনী। জীবনকে সাজিয়েছো নানা অলংকারে পূজা,প্রেম,প্রকৃতির বিচিত্র সাজে মহৎ বার্তা দিয়েছো অগণিত মানবেরে। তোমার সৃষ্টির মাঝে ছন্দে,গানে,সাধনায় যদি পার একটি বার চরণে দিও ঠাঁই তুমি আছো থাকবে হৃদয়ের মণিকোঠায়। --------------------------------------------- জাগ্রত হোক নারীশক্তি দীপান্বিতা দত্ত এ লড়াই তোমার-আমার-আমাদের মা-বোন-আত্মজা-গৃহবধূর এ লড়াই নারীর আত্মসম্মানের। পৌরাণিক যুগ থেকে রবীন্দ্র যুগ প্রতিবাদ,ক্ষমতায় চিরকালেই কখনো স্বেচ্ছাচারী,কখনো একঘরে কর্পোরেটের শীর্ষে কখনো দিনমজুর...
আজ যে সূর্যম্পশ্যা – অর্চনা মহান্তি 

আজ যে সূর্যম্পশ্যা – অর্চনা মহান্তি 

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
আজ যে সূর্যম্পশ্যা অর্চনা মহান্তি  সূর্যের দিকে মুখ করে হাঁটিনি কখনো; এক আঁজলা আধুনিক-আলোও মাখা হয়নি এখনো আমার পূর্ণ অধিকারে সামাজিক বিধানের ভারে। সনাতনী সংস্কারে---আজন্মের অসূর্যম্পশ‍্যা আমি; বড় সাধারণ,পরিচিতি হীনা সস্তা-অনামী। বরাবর সূর্যকে আড়ালে রেখে হেঁটে চলেছি নিজের সমাধি ক্ষেত্রের  নির্জন নিস্তব্ধতায়, বিষণ্ন মমতায়। কখনো আবার গেছি ভগ্ন কোন উপাসনা মন্দিরের পাথরের দেবতার প্রসন্নতায় কৃতার্থ হতে, একমুঠো প্রসাদী খই আশীর্বাদ পেতে। যে মন্দিরে আজ দেবতাই নেই আদৌ,বা  ছিলনা কোনদিন,কোনকালে; আমিই দেবদাসী সেজে নেচে গেছি তালে-বেতালে। অপদেবতা খেয়ে গেছে ভোগের  আলোচাল,দুধ-কলা-মধু,  পড়ে আছে শুকনো ফুল,মালা,বেলপাতা শুধু। দেবতাকে উৎসর্গীকৃত স্বল্প ভোগে মেটেনি তার দানবীয় খিদের তাড়না বুভুক্ষু অনন্ত খিদের বাসনা । প্রচণ্ড উষ্মায় বিখন্ডিত করেছে আমাকে বিদ্বেষের ধারালো কুঠারে;  নিষ্ঠুর-নির্মম প্...
বন বাংলো – মধুমিতা মিত্র

বন বাংলো – মধুমিতা মিত্র

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
বন বাংলো   মধুমিতা মিত্র সুকুমারের আজ বড়ো আনন্দের দিন। কলেজ থেকে বেরোনো-চাকরি পাবার পর প্রথম বার তিন বন্ধুতে মিলে চলেছে পাহাড় পরিক্রমণে। নানা!--পরি ক্র ম ণ নয় তো ! যাচ্ছে ওরা পাহাড় পরিভ্রমণে;তা ও কিন্তু যে সে পাহাড় নয়। ভারতবর্ষের উত্তর পূর্বাঞ্চলের অরুণাচল প্রদেশ,যার উচ্চতা,দুর্গমতা,সৌন্দর্য গোটা দেশের আলোচনার,আকর্ষণের বিষয় সেই অরুণাচলেই তারা তিনমূর্তি চলেছে আনন্দ ভ্রমণে।উফফফ বলাই হয় নি-এই তিন মূর্তিও কিন্তু কলেজেরও খুব আলোচনার বিষয় ছিল কারণ এদের মধ্যে এক মূর্তি যে শ্রী নয়,সে তো শ্রী ম তী.. শত্তুরের মুখে ছাই দিয়েও এই তিন মূর্তি কিন্তু পুরো কলেজ কালটাই এক আত্মা,এক প্রাণ হয়ে সবার চোখ-মন টাটিয়ে তাদের সখ্যতাকে দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর ক'রে এবং এই কলেজ উত্তর কালেও একজোট হ'য়ে আবার চলেছে দেশ ভ্রমণে! তা যাই হোক সুকুমার কপাল গুণে বাড়ীর কাছেই কর্মস্হল জোটাতে পেরেছে কিন্তু বিশ্ব আর এষা ! তার...
প্রেয়ার ফ্ল্যাগ – শাঁওলি দে

প্রেয়ার ফ্ল্যাগ – শাঁওলি দে

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
প্রেয়ার ফ্ল্যাগ শাঁওলি দে পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে গ্রামগুলো ছবির মতো সাজানো। অনেক বেশি উচ্চতায় উঠে নিচের দিকে তাকালে মনে হয় কালী পূজায় নিজস্ব ছোট্ট পাহাড় বানিয়েছে পাড়ার কচিকাঁচারা। রাতের বেলা ঘরে ঘরে বাতি জ্বলে উঠলেই ঠিক যেন দীপাবলীর সাজ,একেবারে মনোমুগ্ধকর। নিজের চার চাকায় একটু একটু করে ওপরে উঠছে অনির্বাণ। পাহাড় ওকে ইদানিং পাগলের মতো টানে,যখনই এক দু’দিনের ছুটিছাটা ম্যানেজ করা যায় তখনই পাহাড়ের আনাচেকানাচে ঘুরে বেড়ায় ও। এ যে কী এক নেশা কাউকে বলে বোঝাতে পারে না সে। বাড়িতে এই নিয়ে অশান্তিও কম হয় না। কিন্তু পাহাড় ডাকলে সে ডাকে সাড়া না দিয়ে ওর কোনো উপায় থাকে না। ওর এই পাহাড়ের টান কাউকে কি বোঝানো সম্ভব ? এবারে ছুটিটা একটু লম্বাই হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার একটা ছুটি পড়েছে,শনিবারটা ম্যানেজ করলেই শুক্র,শনি আর রবি তিনদিন টানা পাওয়া যায়। সোমবার সকালে নেমে দিব্য অফিস ধরা যাবে। সুতরাং আর নিজেকে বেঁধে রাখার কো...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!