Shadow

দেখবো এবার জগৎটাকে

ভ্রমণ সাহিত্য

ইউরোপ ভ্রমণ (সপ্তম পর্ব) : ভেনিস – বিজিত কুমার রায়

ইউরোপ ভ্রমণ (সপ্তম পর্ব) : ভেনিস – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
ইউরোপ ভ্রমণ (সপ্তম পর্ব) : ভেনিস বিজিত কুমার রায় রুটিন ধরে সকাল ৬টায় ওঠা, ৭টাতে ব্রেকফাস্ট আর ৮টার সময় বেরোনো। যদিও ১০-১১ দিনের ক্রমাগত ঘোরাঘুরিতে শরীর একটু টায়ার্ড তবুও কিছু করার নেই। আবার ৫ ঘন্টার বাস জার্নি। তবে বাসে কোনো ঝাঁকুনি না থাকাতে চাইলে পরে ঘুমের কোনো অসুবিধা নেই। সিটগুলিও খুবই আরামপ্রদ। তবে আমার বাইরের দৃশ্য মিস করার কোনো ইচ্ছা ছিল না। আমাদের এই জার্নিতে পুরোটাই আপেল আর অলিভ ক্ষেতের পাশ দিয়ে যাওয়া। আমরা এসে পৌঁছালাম ভেনিস ম্যাস্ত্রো বলে একটি স্থানে যেটি মেনল্যান্ডে। এখানে একটি ভারতীয় রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ সারা হলো। এরপর ২৫ মিনিটের ফেরি সার্ভিসে আমরা ভেনিস পৌঁছালাম। ফেরিঘাটের সামনেই সব হোটেল রেস্তোরাঁ ইত্যাদি আর সবসময়েই যেন হইহই চলছে। বিক্রি হচ্ছে নানা স্যুভেনির, নানা রকমের মুখোশ। এই সামনের রাস্তাটি পুরোটাই যেনো একটি মেলা গ্রাউন্ডের মতো। নানা কিছু বিক্রী হচ্ছে। গান হচ্ছে একর্ড...
ইউরোপ ভ্রমণ (ষষ্ঠ পর্ব) : লুসর্ন হয়ে জার্মানি এক রাত্রি তারপর অস্ট্রিয়া – বিজিত কুমার রায়

ইউরোপ ভ্রমণ (ষষ্ঠ পর্ব) : লুসর্ন হয়ে জার্মানি এক রাত্রি তারপর অস্ট্রিয়া – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
ইউরোপ ভ্রমণ (ষষ্ঠ পর্ব) : লুসর্ন হয়ে জার্মানি এক রাত্রি তারপর অস্ট্রিয়া বিজিত কুমার রায় প্রথম ভাগ সকাল সকাল তৈরি হয়ে, ব্যাগ সুটকেস গুছিয়ে ব্রেকফাস্ট হলে। তারপর ব্রেকফাস্ট সেরে বাসে। সকাল ৭.৩০ মিনিটে বাস ছাড়লো লুসর্নের দিকে। সকাল ১০টার সময়ে পৌঁছালাম একটি সুন্দর লেকে যার চারদিকে বরফে ঢাকা পাহাড়। সুইজারল্যান্ড তার আশ্চর্যজনক হ্রদের জন্য বিখ্যাত। বিশেষ গৌরব হ'ল লুসর্ন হ্রদ, যা প্রায়শই দেশের ভিজিটিং কার্ড নামে পরিচিত। লুসর্ন হ্রদকে অন্যথায় Firvaldstetsky বলা হয়। এটি সুইজারল্যান্ডের একেবারে কেন্দ্রে অবস্থিত। ঐতিহাসিকভাবে, এই জলাশয়ের তীরে চারটি সেনানিবাস ছিল: লুসর্ন, উরি, শোয়েজ এবং আনটারওয়াল্ডেন। এই পুকুরটি প্রায়শই সুইজারল্যান্ডের ভিজিটিং কার্ড নামে পরিচিত কারণ হ্রদটি খুব মনোরম জায়গায় রয়েছে। চারদিক থেকে, লুসর্ন হ্রদ, সুন্দর বন এবং তুষারে ঢাকা পর্বতশৃঙ্গ দ্বারা বেষ্টিত। লেক লুসর্নে...
শ্বেতকালী রাজবল্লভী ও ইতিহাসের রাজবলহাট – ড: স্বয়ংদীপ্ত বাগ

শ্বেতকালী রাজবল্লভী ও ইতিহাসের রাজবলহাট – ড: স্বয়ংদীপ্ত বাগ

দেখবো এবার জগৎটাকে
শ্বেতকালী রাজবল্লভী ও ইতিহাসের রাজবলহাট ড: স্বয়ংদীপ্ত বাগ বাংলার লোক সংস্কৃতির ইতিহাস অনেকটাই সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলার নানা দেবদেবীর মন্দির ও তাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠান সহ নানান ধর্মী সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে। পশ্চিমবঙ্গে হুগলী জেলার রাজবলহাটে রয়েছে প্রায় আটশো বছরের পুরনো এমনই এক বিখ্যাত মন্দির।  শ্বেতকালী রাজবল্লভী মাতার মন্দির। যাকে কেন্দ্র করে একসময় বিকাশ হয়েছিল রাজবলহাটের মতো একটি সমৃদ্ধ জনপদের। দুর্ভাগ্যক্রমে একের পর এক সংস্কার ও পরিবর্তনের কারণে মন্দিরের কোথাও আজ আর সেই প্রাচীনত্বের ছোঁয়া পাওয়া যায় না। কিন্তু ইতিহাসের পথ ধরে, লোককথার পথ ধরে এর গৌরবোজ্জ্বল অতীতে ফিরে যাওয়া যায় খুব সহজেই...। আনুমানিক ১২৪২ খ্রীষ্টাব্দে, ‘রাজপুর’এ (বর্তমানে হুগলী জেলার রাজবলহাটে) শ্রীশ্রী রাজবল্লভী মায়ের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন রাজা সদানন্দ রায়। অবশ্য মতান্তরে, ষোড়শ শতকে ভূরিশ্রেষ্ঠ রাজ, রা...
ইউরোপ ভ্রমণ (পঞ্চম পর্ব) : সুইস আল্পস দুই রাত্রি – বিজিত কুমার রায়

ইউরোপ ভ্রমণ (পঞ্চম পর্ব) : সুইস আল্পস দুই রাত্রি – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
ইউরোপ ভ্রমণ (পঞ্চম পর্ব) : সুইস আল্পস দুই রাত্রি বিজিত কুমার রায় আমরা রওয়ানা হলাম সুইস আল্পস এর দিকে। ২ ঘন্টা যাত্রার পর পৌছালাম গাস্টাড নামে এক জায়গাতে। যদিও রাস্তাতে খুব বৃষ্টি ছিল তবে হোটেলে আসার পর পরিষ্কার হয়ে গেল। জায়গাটি ছিল একটি শহরতলি মতো তাই সুন্দর গ্রামে হেঁটে ঘুরতে খুব ভাল লাগছিলো। কিন্তু ঠান্ডার চোটে সন্ধ্যার আগে হোটেলে। তারপর কিছু আরাম। ফোনাফুনি। তারপর গরম রাত্রিভোজ সেরে কম্বলের তলায়। আজকের মত শুভরাত্রি! এখানে এতো সুন্দর আবহাওয়া যে এখনো অবধি কারো কোনো শারীরিক অসুবিধা হয়নি যেটা কিনা গ্রূপ ট্যুরের সব থেকে বড় অসুবিধা। কালকে শুনেছি সব থেকে সুন্দর পাহাড়ে যাওয়া হবে। তাই ভাবতে ভাবতে আরামে ঘুম। অবশ্য নিয়ম করে রোজনামচা লিখে রাখতাম। সকালে উঠে স্নান ইত্যাদি সেরে সুন্দর বুফে ব্রেকফাস্ট সেরে সকাল ৮.৩০ মিনিটে বেরোলাম গ্লেসিয়ার ৩০০০ দেখতে। এই ট্রাভেলস মাউন্ট তিতলিসের বদলে এখানে নিয়ে য...
সিধু-কানুর দেশ থেকে রাজমহলঃ ইতিহাসের পথ ধরে – সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়

সিধু-কানুর দেশ থেকে রাজমহলঃ ইতিহাসের পথ ধরে – সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
সিধু-কানুর দেশ থেকে রাজমহলঃ ইতিহাসের পথ ধরে সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায় বছর কয়েক আগে এক দুর্গাপুজোর অষ্টমীর সকালে গৌড় এক্সপ্রেস আমাদের ছয়জনকে নামিয়ে দিল পাকুড় স্টেশনে। পূবাকাশে সূর্য তখনও উঁকি দেয়নি। পাখিরা গলা সাধা শুরু করেনি। প্ল্যাটফর্মে ট্রেনের অপেক্ষায় বসে থাকা যাত্রীরা কেউ ঘুমে ঢুলছেন। কেউবা আবার স্টেশন-মাস্টারের ঘরের সামনে ট্রেন আসার সময় জানতে উদগ্রীব। স্টেশনের বাইরের দেওয়ালে লাগানো একটা ইলেকট্রনিক বোর্ড স্থানীয় তাপমাত্রা, আপেক্ষিক আর্দ্রতা ইত্যাদি আবহাওয়া-সংক্রান্ত তথ্যাদির জানান দিচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের এক মফস্বল শহরের স্টেশনে যাত্রী পরিষেবার এই অতিরিক্ত ব্যবস্থা যুগপৎ বিস্মিত ও মুগ্ধ করল। স্টেশন-সংলগ্ন একটি দোকানে চা খেয়ে আমরা রিক্সায় উঠলাম। গন্তব্য পাকুড় রাজবাড়ি। ১৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জুলাই বীর বিপ্লবী সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরবের নেতৃত্বে এক বিরাট সাঁওতাল বাহিনী সামন্ততান্ত্রিক শোষণ ও উৎপীড়ন...
ইউরোপ ভ্রমণ (চতুর্থ পর্ব) – বিজিত কুমার রায়

ইউরোপ ভ্রমণ (চতুর্থ পর্ব) – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
ইউরোপ ভ্রমণ (চতুর্থ পর্ব) বিজিত কুমার রায় ইউরোপ ভ্রমণ - ফরাসি আল্পস এ দুই রাত্রি। আরামের ঘুমটা ভাঙিয়ে দিল খুব সকালে। তারপর তৈরি হয়ে ব্যাগ পত্র নীচে রেখে রেস্টুরেন্টে। সেখানে বেশ জম্পেশ করে ফল, রকমারি ক্রয়েশে আর স্প্যানিশ অমলেটের ব্রেকফাস্ট সেরে বাসে। সকাল ৭টায় ছাড়লো বাস কারণ পাড়ি দেবো ৭ ঘণ্টার রাস্তা। অবশ্য রাস্তা ছিল অনবদ্য সুন্দর দৃশ্যে ভরা সবুজের সমাহার। এই প্যারিস থেকে জিনিভা আসার সময় আমাদের মধ্যে তিনটি ফেমিলি ওরা ইউরোপের বিখ্যাত ট্রেন যাত্রা (ডিডি এলজে খ্যাত) উপভোগ করবে বলে ট্রেনে রওয়ানা হলো। দুপুর ১২টার সময়ে রাস্তাতে একটি গ্যাস স্টেশনে থেমে সঙ্গে করে নেওয়া প্যাকড লাঞ্চ খাওয়া হলো। তারপর দুপুর ২.৩০ নাগাদ জিনিভা সুইজারল্যান্ডে। সেখানে ইউনাইটেড নেশনসের হেড কোয়াটর্স। এছাড়া আছে আইএলও এর অফিস। এখানে ওই বিল্ডিংয়ের সামনে একটি বিশাল চেয়ারের প্রতিমূর্তি রাখা আছে যার একটি পা নেই। শুনলাম বিশ...
ইউরোপ ভ্রমণ (তৃতীয় পর্ব) –  বিজিত কুমার রায়

ইউরোপ ভ্রমণ (তৃতীয় পর্ব) – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
ইউরোপ ভ্রমণ (তৃতীয় পর্ব) বিজিত কুমার রায় ইউরোপ ভ্রমণ, ফ্রান্স (প্যারিস) দুই দিন। সকাল সকাল উঠে চেক আউটের জন্য তৈরি। ব্রেকফাস্ট খেয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করা হলো সামনের রাস্তাতে। তারপর প্যারিস রওয়ানা ৪ ঘন্টার রাস্তা। তবে এখানে বাস জার্নি গায়ে লাগেনা কারণ সুন্দর আরামদায়ক মার্সিডিজ বাস আর রাস্তাও মাখনের মতো। আকাশের রং ঝকঝকে নীল। দেখলেই মনে আনন্দ আসে। দুপুর বারোটাতে এক গ্যাস স্টেশনে বাস থামল ডিজেল নেয়ার জন্য ও আমাদের পেটে কিছু দেওয়ার জন্য। স্যান্ডউইচ ফ্রিটার্টস ইত্যাদি খাওয়া হলো। এরপর একটা নাগাদ প্যারিসের কাছে এলো। আমরা ম্যানেজারের সাথে আলোচনা করে কালকের টাইট শিডিউল থেকে লুভর মিউসিয়াম আজকে নিয়ে এলাম। হোটেল যাওয়ার আগে ওখানে থামা হলো দুই ঘণ্টার জন্য। লুভ্‌র জাদুঘরটি লুভ্‌র প্রাসাদে অবস্থিত। ফ্রান্সের রাজা ২য় ফিলিপ প্রাসাদটিকে আদিতে ১২শ থেকে ১৩শ শতকে একটি দুর্গ হিসেবে নির্মাণ করেছিলেন। জাদুঘরে...
ইউরোপ ভ্রমণ (দ্বিতীয় পর্ব) : ক্রুসে যাত্রা আর হল্যান্ড, ব্রুসেলস ভ্রমণ – বিজিত কুমার রায়

ইউরোপ ভ্রমণ (দ্বিতীয় পর্ব) : ক্রুসে যাত্রা আর হল্যান্ড, ব্রুসেলস ভ্রমণ – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
ইউরোপ ভ্রমণ (দ্বিতীয় পর্ব) : ক্রুসে যাত্রা আর হল্যান্ড, ব্রুসেলস ভ্রমণ বিজিত কুমার রায় পরের দিন খুব সকালে উঠে তৈরি হয়ে চা খেয়ে রুম থেকে বেরোনো হলো। বাইরের ডেকে গিয়ে হুহু করে কাঁপতে কাঁপতে বাইরের দৃশ্য দেখলাম ও কিছু ছবি তোলা হলো। তারপর রেস্টুরেন্টে গিয়ে ভালো রকম প্রাত:রাশ হলো। এরপর মালপত্র (ছোট ব্যাগ, কারণ বড়ো সুটকেস ইত্যাদি বাসেই ছিল) নিয়ে বেরোনোর রাস্তাতে হল্যান্ডে ঢোকার ইমিগ্রেশন। বাসে উঠে আমাদের প্রথম গন্তব্য ছিল "মাদুরোদম" একটা মিনিয়েচার সিটি। হল্যান্ডের রাস্তা ছিল খুব সুন্দর আর মাঝে মাঝে চোখে পড়ছিল পুরোনো উইন্ড মিল। মাদুরদমের ভেতরে পুরো একটা শহর যেন মিনিয়েচার স্কেলে তৈরি করা আছে। মজা লাগে দেখতে অনেকটা গালিভার ট্রাভেলসের মতো। কিছু ছবি তোলা হলো। এরপরের গন্তব্য ছিল একটি চিজ তৈরির ফেক্টরিতে। সেখানে যদিও চীজ তৈরি দেখলাম কিন্তু গন্ধে প্রাণ যায়। তারপর দেখলাম হল্যান্ডের কাঠের জুতা তৈরির ফ...
ইউরোপ ভ্রমণ (প্রথম পর্ব) –  বিজিত কুমার রায়

ইউরোপ ভ্রমণ (প্রথম পর্ব) – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
ইউরোপ ভ্রমণ (প্রথম পর্ব) বিজিত কুমার রায় যাত্রা শুরু, বিমান যাত্রা ও লন্ডন ভ্রমণ (প্রথম ও দ্বিতীয় দিন) আর সব বাঙালিদের মতো আমাদেরও পায়ের তলায় সর্ষে। আর আমার কর্মসূত্রে বহু প্রদেশেই যেতে হয়েছে আর অর্ধাঙ্গিনীকেও প্রায় সব জায়গাতেই নিয়ে গিয়েছি। তবে তুলনামূলক ভাবে উঁচু পদে থাকার জন্য আর বিশেষ কর্মে নিযুক্ত থাকাতে লম্বা ছুটি পাওয়া বেশ মুশকিল ছিল। তবুও সাহসে ভর করে বড় সাহেবের কাছে দিন কুড়ির ছুটি চেয়ে পাওয়াতে হাতে স্বর্গ পেলাম। আর সাহসে ভর করে বেরিয়ে পড়লাম ১৬ দিনের ইউরোপ ভ্রমণে ২০১০ সালে এপ্রিল মাসে। যদিও এর জন্য ট্রাভেল গ্রূপ বাছাই ইত্যাদি আগেই শুরু হয়েছিল। আর খরচ আমাদের মাথাপিছু ১.২৫ লাখ একটু চাপের ছিল বিশেষ করে নামকরা ট্রাভেল এজেন্সির সাথে যাওয়াটা ঠিক করার জন্য। কিন্তু এদের ব্যবস্থা সাধারণত flawless হয়, টাই আপ বিদেশি হোটেল ইত্যাদির সাথে খুবই ভালো হয় তাই এই ডিসিশন। সবরকম ফর্মালিটি মানে ভিস...
জ্যোতিরলিঙ্গ নাগেশ্বর – বিজিত কুমার রায়

জ্যোতিরলিঙ্গ নাগেশ্বর – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
জ্যোতিরলিঙ্গ নাগেশ্বর বিজিত কুমার রায় গুজরাট ভ্রমণের সময় বেট দ্বারকা দর্শন করে ফিরে এলাম নাগেশ্বর শিব দর্শনে যা কোনো কোনো মতে বারো জ্যোতিরলিঙ্গের একটি। ভিড় ছিলোনা তাই সুন্দর দর্শন হলো। কথিত আছে এখানেই পূরাণে বর্ণিত দ্বারুকবন ছিল আর যেখানে বালখিল্য মুনিদের বাস ছিল। শিব পুরাণ অনুসারে, এই অঞ্চলে পুরাকালে দারুক নামে এক রাক্ষস রাজত্ব করত। দারুকের উৎপাতে সব মানুষ পরিত্রাণের জন্য ভগবান শিবের শরণাপন্ন হয়। দারুকের পত্নী ছিল দারুকী। দারুকী দেবী পার্বতীর উপাসিকা ছিল। পার্বতী দারুকীর প্রতি সন্ত্তষ্ট হয়ে তাঁদের রাজত্ব করা অরণ্যটির নাম দারুকবন আখ্যা দেন। সঙ্গে এই আশীর্বাদ প্রদান করেন যে, দারুকী যেখান দিয়েই যাবে দারুকবনও সেই স্থান দিয়ে গমন করবে। পরবর্তী সময়ে দেবতারা দারুকের রাজ্য আক্রমণ করায় দারুক নিজ পত্নীকে পার্বতীর বরদান সুপ্রয়োগ করার জন্য আদেশ দেয়। সেই হিসাবে দারুকী সাগরতীর দিয়ে পলায়ন করে...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!