Shadow

দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি

দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি

খোঁজ – জয়িতা সরকার

খোঁজ – জয়িতা সরকার

দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি
খোঁজ  জয়িতা সরকার তারপর একদিন বুঝতে পারলাম, আমি আসলে সেই আগুন খুঁজছি, যে বরফ জমাতে পারে। ভালোবাসা প্রতীকায়িত রক্তজালিকার আদারে বাদারে। যদি মনে হয়,করিই বা কি, তবে...তবে আর কিচ্ছু না, তার শীতলপাটির রোয়াকে ক্লান্ত দেহ ছেড়ে দিই। ঘুমের মধ্যে আদর আদর উঠোনে হাঁটতে থাকি, উজ্জ্বল শিশির মাখি। তারপর উড়ে যাই... কিছু কিছু পাখি দেখে হই নাকি পাখি? উড়বার প্রত্যেকটা ডানামেলা অনুচ্চারিত ঝাঁকে ঝাঁকে অনুভূতির অভিজ্ঞতায় থাকে পালক ছেঁড়া যন্ত্রণার খাতা। মন এসে ফুঁ দেয় চুলে,যেই তুলি মাথা। বুলেটবিদ্ধ পেশী ছিঁড়ে ফ্যান্টাসি প্রতিস্থাপিত করা যায় কি? থিসিস উপসংহারে আসে, পার করে হাজার তালবাহানা। অলৌকিক বাতাস-তরঙ্গে আসে তাপ, লৌকিক জমে মাটি,ঝরে জল,ঘাস জন্মায়... মিলে মিশে যায় সব,কিবা পুণ্য কিবা পাপ। তার কাছ থেকে সংগ্রহ করি মানবিক ঘ্রাণ। কখনো কখনো তাকে দেখি, কখনো বা তার তর্জন...
দাম্পত্যের হেমলক – পরিমল মেয়ূর

দাম্পত্যের হেমলক – পরিমল মেয়ূর

দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি
  দাম্পত্যের হেমলক  পরিমল মেয়ূর হেমলকে নেশাগ্রস্ত দম্পতি, নাকি,দাম্পত্যের গভীরে ডুবে যাওয়ার কয়েক ফোঁটা হেমলক! সাপের ছোবল! চোখের নীল দীঘিতে ডুবে যাওয়া, নাকি,অশ্রুর নীল লোনা জলে ডুবে ডুবে জল খাওয়া!  গোলাপি লাভ বাইটের শিরশিরে হিল্লোল!  ছাতের সিঁড়িতে পা ঝুলিয়ে বসে তোমার কিশোরী বেলার প্রেম, নাকি,প্রেমে প্রেমে পায়ে পায়ে পুজো প্যান্ডেল!  ধরা পড়া ভালোবাসার ভীষন কোলাহল!  চমকে তাকানো প্রেমে না প্ৰপোজে, নাকি,তাকিয়ে চমকানো ভরসা মন্থিত সাগরে!  মন্দারের নিংড়ে নেয়া দাম্পত্যের হলাহল!  কথায় কথায় শুধুই মিষ্টি সোহাগ, নাকি,সোহাগে সোহাগে কথার পিঠে মিঠে মিঠে কথা!  নির্ভরতার দাম্পত্যের কলরোল!  তুচ্ছ অভিমানের সাংসারিক খুঁটিনাটি, নাকি,খুঁটিনাটিতে লেগে যাওয়া কয়েকটি জটিল গিঁট!  খুনসুটিতে খুনে হাসির হাস্যরোল!  আজ মোহনায় শান্ত-উত্তাল উদ্দাম নদী, নাকি,জীবন ...

বর্ষা বরণ, বসন্ত বিলাপ – বর্ষা সাহা 

দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি
বর্ষা বরণ  বর্ষা সাহা  মেঘ বরণ কন্যা আমার রূপে রূপবতী, ভোরের আলোয় দস্যি মেয়ে,সাঁঝের আলোয় পার্বতী... রূপের ছটায় এলি ফিরে অসীমের এই বঙ্গদেশে, রামধনু-রঙে না রাঙালে তোকে কি মানায় বর্ণহীন বেশে.... অসীম সাগরে ঢেউ লেগেছে হে সমুদ্র কন্যা, মায়াবী রূপে বৃষ্টি ভাসায় উথাল পাথাল বন্যা.... বাতাসের দোলায় বৃষ্টি-ছন্দে মন হয়ে ওঠে রোমাঞ্চিত, ডালে ডালে কোকিলের কুহুতানে এমন হয় গুঞ্জিত..... বর্ষা রে,তুই আছিস বলে এ বঙ্গ দেশের সূচনা, মনের সাথে আপন মাধুরী মিশিয়ে করেছি তোরে করেছি রচনা....... *************************************** "বসন্ত বিলাপ" বর্ষা সাহা বসন্তের ছোঁয়ায়.... ভোরের স্নিগ্ধতায়.... উত্তুরের মিষ্টি হিমেল হাওয়ায়.... দীপ্ত কুয়াশার স্পর্শে... এ জীবন বর্নে গন্ধে রঙীন হয়ে যায়..... মনের সুপ্ত বাসনা গুলো আবিরের ছোঁয়ায়  পূর্ণতা পায়.... রোমাঞ্চ ভরা আবেগ গুলো শীতের কুয়াশার চা...
জন্মদিন – প্র ত্যু ষ   সে ন গু প্ত

জন্মদিন – প্র ত্যু ষ   সে ন গু প্ত

দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি
জন্মদিন প্র ত্যু ষ   সে ন গু প্ত এক।।       বন্দনা বললো,"ডান দিকের ওই সরু রাস্তাটা ধরে  এগোলেই আমরা মেইন রোডে উঠব।" শুনে রাতুল হাঁ হাঁ করে উঠলো,"ওই দিকে আবার রাস্তা কোথায় দেখলি? আমি তো দেখে এলাম। একটু এগিয়ে গেলে একটা ফাঁকা মসজিদ,রাস্তা শেষ। পিছনে পাহাড়!আর কিচ্ছুটি নেই।" ঐশিকা বললো,"এবার কিন্তু আমার ভয় ভয় করছে। তোরা যা করবি তাড়াতাড়ি কর। দেখছিস না,অন্ধকার নেমে আসছে?" দেবরাজ গাড়ির দরজা খুলে বেরিয়ে এলো। মুখে এক রাশ বিরক্তি। জিপিএস কাজ করছেনা। এখানে মোবাইল টাওয়ার নেই। সিগারেট ধরিয়ে প্রাণপণে ধোঁয়া টেনে রিং ছাড়তে লাগলো। উদাসীন দৃষ্টি। কাছে পাহাড়ের ঢাল ধরে পারমিতা নেমে এলো বাথরুম করে। পিছলে গিয়ে কনুইয়ের ছাল উঠে গেছে। হাঁটু আর বাঁ পায়ের উরুর মাঝে জিনসের উপর শুকনো শ্যাওলার ঘষটানোর দাগ। নরম সরম পারমিতা,"উঃ উঃ" বলে দু হাত ছড়িয়ে  চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লো। দেবলীন গাড়ি থেকে ফাস্ট এড বক্স বের করে নিয়ে ...
বাংলা ও বাঙালির মুড়ি – সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়

বাংলা ও বাঙালির মুড়ি – সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়

দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি
বাংলা ও বাঙালির মুড়ি সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ঔপনিবেশিক যুগ থেকে শুরু করে হাল আমলের বিশ্বায়নের যুগ অবধি বিদেশি জলখাবারের বাড়বাড়ন্তে চিরাচরিত অনেক বাঙালি জলখাবার হারিয়ে গেছে সত্যি। তবু এখনও পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের বাঙালিদের কাছে জলখাবার হিসেবে মুড়ির কদরই আলাদা। এমন নয় যে শুধুমাত্র গ্রাম-মফ:স্বলের লোকজন কিম্বা সস্তায় মেলে বলে গরীব মানুষেরাই মুড়ি খান। অনেক শহুরে অবস্থাপন্ন পরিবারের খাদ্যতালিকাতেও মুড়ি স্বমহিমায় বিরাজিত। তাই তো দেখি কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁর 'হাইওয়ে' কবিতায় লিখেছেন-                               "নদী পেরুলে কোলাঘাট,                          কোলাঘাট ছাড়ালে দেউলিয়াবাজার।                                       সেখানে                                   বাস থেকে নেমে                              উইকএন্ডের শৌখিন বাবুরা                       গোবিন্দ সামন্তের মালিকের দোকান...
কুঁড়ে ঘরে ঝান্সী কি রানী – ভারতী ভট্টাচার্য

কুঁড়ে ঘরে ঝান্সী কি রানী – ভারতী ভট্টাচার্য

দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি
কুঁড়ে ঘরে  ঝান্সী কি রানী  ভারতী ভট্টাচার্য “আরে.. আরে.. আরে.. করিস কি ! করিস কি ! ঠাকুরের আসনটা ঝাড়ু দিয়ে ঝাঁটিয়ে দিচ্ছিস যে ! ছি..ছি..ছি ছুঁয়ে ধরে একাকার করে দিলো গো,বলি তোর আক্কেলটা  কি রে রমা ? রোজ একই কথা তোকে কত বার বলবো বল দেকিনি ? আর তোর বৌদির এখন কোন বাপের শ্রাদ্ধ আটকে আছে যে তোকে একটু নজর রাখতে পারে না? নিজের বাপ্-মাকে তো কবেই খেয়ে এসেছে,বাকি আছি আমি। তা আমাকে খাবার জোগাড় করছে বুঝি? কি কুক্ষণে এই অলক্ষুণে মেয়েটাকে আমার ছেলেটা দয়া দেখিয়ে বিয়ে করে এনেছিল|  সবে মাত্র স্নানটা সেরে এসেছি,কই একটু শ্রদ্ধা ভরে ঠাকুরকে ডাকবো,তারও একটু উপায় নেই ! বলি নবাবনন্দিনীর কানে যাচ্ছে না কিছু? কালা হলে নাকি? দয়া করে একবার দেখে যাও,তোমার অনাসৃষ্টি ননদিনীটি,কি অনাচার করেছে !!!" শাশুড়ির চিৎকার শুনে রেবতী রান্না ঘর থেকে দৌড়ে এসে  জিজ্ঞেস করলো,"মা,কি হয়েছে বলুন ?" শাশুড়ি - ( মুখ ঝামটা দিয়ে )"বলি মহা...
চীনের নারী যোদ্ধা ‘মুলান’ – তানিশা গুহ

চীনের নারী যোদ্ধা ‘মুলান’ – তানিশা গুহ

দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি
মুলান চীনের কিংবদন্তি নারী যোদ্ধা "মুলান", প্রতিটি মেয়ের জন্য অনুপ্রেরণা।  খোঁজে, ছোট্ট তানিশা গুহ ********************************   তানিশা গুহর ভাবনা থেকে ভারতীয় পতাকা সবদিক থেকে সুন্দর এবং সর্বত্র,মহাকাশেও। আমরা ভারতীয় হিসেবে গর্বিত! **********************************************
লাল সবুজের মেলা‌ – সাত্যকি লাহিড়ি

লাল সবুজের মেলা‌ – সাত্যকি লাহিড়ি

দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি
লাল সবুজের মেলা‌  সাত্যকি লাহিড়ি একটি ছোট্ট মেয়ে ছিল দিঠি। সে তার মায়ের সাথে থাকতো। তার যখন মাত্র তিন বছর বয়স সে তখন তার বাবাকে হারায়। তার এখন বয়স নয়। মায়ের সাথে সে একলা থাকতো। একদিন দিঠি তার বন্ধুদের কাছ থেকে জানলো যে কোন এক জায়গায় একটা মেলা বসেছে,নাম লাল সবুজের মেলা। শুনে দিঠি মার কাছে আবদার করলো মেলায় যাবার। সে যখন মা কে গিয়ে কথাটা বলল তখন মা তো রাজি হলেনই না বরং দিঠিকে বকুনি দিয়ে ঘরে পাঠিয়ে দিলেন। বেচারী দিঠি আর কি করে,মনমরা হয়ে ঘরে ফিরে গেল। মা দিঠি কে একলা যেতে দিতে চাননি,পাছে দিঠি হারিয়ে যায়। গোধূলি বেলায় দিঠির বন্ধু মায়া দিঠিকে ডাকতে এলো,"কি রে দিঠি লাল সবুজের মেলায় যাবি না?" "না রে! মা বারণ করেছে।" দিঠি বলল। মায়া একটু দুঃখ পেয়ে চলে গেল। পরেরদিন মা দিঠি কে আদর করে খেতে ডাকলেন,দিঠি অভিমান করে থাকলে,মা বললেন,"সন্ধ্যেবেলায় মেলায় যাব আমি,তোকে নিয়ে যাব না ৷" শুনে সে তড়াক কর...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!