Shadow

“পার্বণী ১৪৩০”

পৌষ সংখ্যা পার্বণী ১৪৩০

ঈশানচন্দ্র  বন্দ্যোপাধ্যায় – অনির্বান সাহা

ঈশানচন্দ্র  বন্দ্যোপাধ্যায় – অনির্বান সাহা

"পার্বণী ১৪৩০"
ঈশানচন্দ্র  বন্দ্যোপাধ্যায় অনির্বান সাহা ঈশানচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভারতীয় হেডমাস্টার এবং প্রথম ভারতীয় ইংরেজির অধ্যাপক। এছাড়াও তিনি ছিলেন বহু ভাষাবিদ ও বহু বিষয়ের জ্ঞানের অধিকারী,এর সংগে সাহিত্যক্ষেত্রেও তাঁর বিচরণ ছিল অবাধ। তৎকালীন সময়ে তিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট কবি। পলাশীর যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ে বাংলার যথার্থ নবজাগরণ শুরু হয় রামমোহনের কলকাতায় আগমনের পর। সেই সময় সঠিক শিক্ষা এবং জীবন-রহস্য মন্থনের মন্ত্র জনসাধারণের মধ্যে প্রচার ও প্রসারের জন্য যেকয়জন দিকপাল দেশি এবং বিদেশি ব্যক্তিত্বের আবির্ভাব ঘটে,তাঁদের মধ্যে ঈশানচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম সর্বাগ্রে আসা উচিত।এহেন প্রতিভাধর এক পন্ডিত ব্যক্তির জন্ম হয় ১৮ই সেপ্টেম্বর,১৮২০ তারিখে গুপ্তিপাড়ার গঙ্গা-বেহুলার সঙ্গমস্থলে অবস্থিত আয়দা পল্লীর সম্ভ্রান্ত কুলীন ব্রাহ্মণ বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারে। পি...
নয়ন – জলি চক্রবর্তী শীল

নয়ন – জলি চক্রবর্তী শীল

"পার্বণী ১৪৩০"
PC..weddingz নয়ন জলি চক্রবর্তী শীল 'এসো না মা একটা ফটো তুলি'‚সাগ্রহে ডাকে জুনিতা |আজ জুনিতার রিসেপশন | জুনিতার সাথে গোটা দুদিন দেখা হয়নি নয়নের | দুটোদিনে অবশ্য এত কাজ ছিল যে নয়নের দিন কোথা দিয়ে কেটে গেছে নয়ন টেরও পায়নি | শুধু মাঝে মাঝে দু একবার ফোনে কথা হয়েছে মেয়ের সাথে | কে কি দিল আশীর্বাদীস্বরূপ‚সবাই তাকে কতটা আদর দিচ্ছে‚কে কে তাকে কতটা সঙ্গ দিচ্ছে এইসব আর কি ! কিন্তু এই গোটা দুটোদিনে সে অনেকবার জানতে চেয়েছে তার জুনিতা কেমন আছে‚কিন্তু জুনিতার একবারও মনে হয়নি মা'কে একবারের জন্য জিজ্ঞাসা করে‚'মা তুমি খেয়েছ তো? মা তোমার খুব ফাঁকা লাগছে না আমি নেই বলে?' না এসব প্রশ্ন করেনি জুনিতা |একলা হাতে মানুষ করেছে নয়ন মেয়েকে | দুজনের মধ্যে তাই বন্ধনটা খুব দৃঢ় হওয়া উচিত ছিল কিন্তু বাস্তবে এমনটা হয়নি | চিরকাল মেয়ে জেনে এসেছে সে মূল্যবান মা নয় | তাই হয়ত | অবশ্য এসব এখন আর নয়ন ...
কবিতা – বিদ্যুৎ পাল

কবিতা – বিদ্যুৎ পাল

"পার্বণী ১৪৩০"
PC: Facebook বনভোজন বিদ্যুৎ পাল বহুদিন হয়ে গেল ভাড়াবাড়ি বদল করি না।নিজের বাড়িতে আছি; ফ্ল্যাটবাড়ি। ফোনে,“কুম্‌হ্রার? মানে সেই পুরাতত্ত্ব বিভাগের পার্ক,অশোকের দরবার?”                শুনে বলি,হ্যাঁ,দাদা,সাম্রাজ্য তাঁহার!পার্ক মানে অনেকেরি মধুস্মৃতি বনভোজনের!যদিও যাইনি সে পার্কে বনভোজনে কোনোদিন।বনভোজন সবার কপালে থাকে না।                                             কবে আসেসে সময় যখন সবাই,মানে যে ক’জন হলে,আশৈশব,বলতে পারি সবাই,পৌঁছেছি কোথাও একসাথে?   &n...
ব্যাখ্যাহীন মনস্তত্ত্ব – অর্চনা মহান্তি

ব্যাখ্যাহীন মনস্তত্ত্ব – অর্চনা মহান্তি

"পার্বণী ১৪৩০"
ছবি: ফেসবুক ব্যাখ্যাহীন মনস্তত্ত্ব                          অর্চনা মহান্তি অসহ্য অস্থিরতায় খাবি খায় প্রত্যেকটি দিনরাত,বিরক্তিবোধে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে মন,বিতৃষ্ণা গজিয়ে ওঠে ভালো লাগার সবুজ উপত্যকায়।এভাবে কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছে ক্রমশ বেঁচে থাকা,হতাশার কালো মেঘ থেকে বিষাক্ত বৃষ্টি ঝরে অবিরাম,অসহনীয় হয়ে উঠেছে যার নাছোড়বান্দা ছোবল,তবু প্রাত্যহিক কান্নার অবসর মেলে কই? ইদানিং যুদ্ধের ময়দানটাই গৃহস্থালিঅদৃশ্য শত্রুর সঙ্গে অসম মোকাবিলাই জীবনযাপনতারপরও কি করে জানিনা,পড়তে ভালো লাগে ভালোবাসার সাতসমুদ্র-তেরো নদী রূপকথা।এ কেমন রহস্য!************************************ অর্চনা মহান্তি পরিচিতি: বাঁকুড়া জেলার হিড়বাঁধ গ্রামে জন্ম। বাবা শ্রী ফ...
কবিতা – অঙ্কন দন্ড

কবিতা – অঙ্কন দন্ড

"পার্বণী ১৪৩০"
PC: meng.ru ব্রেক-আপ অঙ্কন দন্ড পাঁচিলের গায়ে শ্যাওলার মতোমিশে থাকো আমার সাথে।কোন এক প্রবল বর্ষার সময়তুমি আমি এক হয়েছিলাম।বাড়ির মালিক বহুবার ঘষে ঘষেতোমাকে আমার থেকে আলাদা করেছে। কিন্তু আবার আমার অঙ্গে অঙ্গেশ্যামলতায় ছেয়ে গেছো তুমি। মাঝে মাঝে ভাবি কত ভালোবাসো আমাকে!রোদে যখন তুমি লাল হয়ে যাওভাবি হয়তো আমার জোরালো প্রেমের লজ্জা। আমার নিজের কোনো রঙ নেই,তোমার রঙেই আমার পরিচয়। হঠাৎ একদিন বাড়ির মালিকআমাকে প্লাস্টার করে রঙ করে দিল। সেদিন থেকে তুমি আর আমার কাছে আসো না। হ্যাঁ,এখন আমি দেখতে সুন্দর হয়েছি,শরীরেও বেড়েছে শক্তি। কিন্তু তুমি ছাড়া বড়ো একা লাগে। হয়তো তুমিও অন্য কোনো দেওয়ালে নিজেকে সাজিয়ে তুলেছো। ************************************ প্রত্যাখ্যান                   &...
মিলিয়ে যাওয়া – সুবীর গুহ

মিলিয়ে যাওয়া – সুবীর গুহ

"পার্বণী ১৪৩০"
pc.. News 18 Bengali মিলিয়ে যাওয়া সুবীর গুহ সেই কবেকার ছোট্ট কথা    আজো তাকে দগ্ধ করে,সেই কবেকার মলিন স্মৃতি     হৃদয়-জোড়া, সংগোপনে।অনেক কথায় সায় ছিল না     আকাশে তার মুক্তি ছিল,অনেক কথা,কথার কথা     তবুও তার যুক্তি ছিল।হাতে তখন অনেক তুলি     রংয়ের বাহার হৃদয় জোড়া,হাতের ভাগ্য কপাল ছুঁয়ে     সবাই অশ্বমেধের ঘোড়া।  গড়ের মাঠে রোদ পোহানো     শীতের দুপুর অলস সময়,সবই এখন ছবির মতো     এখনও দুই চোখের কোনায়।গান গেয়েছি--কি গান গাব?      রবীন্দ্রগান আমার প্রিয়,চারদিকে যা ছড়িয়ে আছে     সেখান থেকেই একটু দিও। চোখের শিরায় অনেক অসুখ-     সেই কবিতাও পাঠ করেছি,আধেক ধরা পড়েছিলাম      আধেক...
রিংচিংটন – শ্রুতি দত্ত রায়

রিংচিংটন – শ্রুতি দত্ত রায়

"পার্বণী ১৪৩০"
"রিংচিংটন,,,,,,,একটি ব্যক্তিগত অনুভব"    শ্রুতি দত্ত রায় আশ্বিনের মাঝামাঝি যেই না ঢাকে কাঠি পড়ে আর আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়ায় "ড্যাড্ড্যানাকুড়" বোল,অমনি আপামর বাঙালির মন হু হু করে ওঠে। মনে হয়, বারমাসের রোজনামচার একঘেয়ে টানাপোড়েনের থেকে রেহাই নিয়ে লাগাম ছাড়া কটা দিন কাটিয়ে আসি,অন্য কোথাও,অন্য কোনখানে। তা সে পাহাড়,সমুদ্র,জঙ্গল,মরুভূমি কিংবা সুমেরু মহাদেশও হতে পারে।        বাঙালি হিসেবে আমি এবং আমার পরিবারও তার ব্যতিক্রম নই। কাজেই এবারও  পুজোর রূপ-রস-গন্ধে প্রকৃতি যখন মাতোয়ারা হয়ে উঠল,আমাদের মনও দৈনন্দিন জীবনের রুটিন থেকে ছুটি নিতে চাইল। তবে এবারে বাধ সাধল ছেলের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি এবং আমার কর্তার অফিসের ইমার্জেন্সী ডিউটি। তা বলে কি মনের ইচ্ছের পায়ে শেকল পড়িয়ে ঘরবন্দী থাকা যায়? কাজেই ঠিক হল একসাথে "রথ দেখা ও কলা বেচা" দুটোই করা যাক। চাকরির...
শঙ্করদার বিয়ে – চন্দ্র কান্তি দত্ত

শঙ্করদার বিয়ে – চন্দ্র কান্তি দত্ত

"পার্বণী ১৪৩০"
PC .. Shutterstock শঙ্করদার বিয়ে চন্দ্র কান্তি দত্ত আমাদের অফিসের শঙ্করদা একটা বর্ণময় চরিত্র। সুদর্শন,সুঠাম,অধিকাংশ সময় হাস্যময় রসিক এবং কখনো সখনো প্রয়োজনের তাগিদে অত্যন্ত কঠোর। অর্থাৎ কোমলে,কঠোরে চোখে পড়ার মত একজন মানুষ। সাধারণতঃ প্রফুল্ল মনেই থাকতেন। শঙ্করদা হৃষ্টচিত্তে আছেন কিনা বোঝা যেত তাঁর কথাবার্তায়। তখন প্রায় সব কথাতেই তাঁর ভব্য রসিকতা প্রকাশ পেত।অফিসের দৈনন্দিন স্টেশনারির দায়িত্ব সামলাতেন শঙ্করদা। একদিন দেখলাম আমার পেনসিল কার্বন পেপারগুলো আর ব্যবহারযোগ্য নেই। আমি শঙ্করদাকে বললাম,"শঙ্করদা,আমার এক বাক্স কার্বন দরকার।"শঙ্করদা নিজের কাজ করতে করতে গম্ভীর মুখে বললেন,"এটা অফিস। তুমি চাইলেও আমি কারো বোনকে ডাকতে পারব না।"সবাই হাসছে। আমি হঠাৎ এরকম জবাব শুনে একটু অপ্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলাম। যাই হোক সামলে নিয়ে বললাম,"শঙ্করদা,একবার কানের ডাক্তারের কাছে যান। কি বলছি আর কি শু...
সংসার সীমান্তে – সম্পা চক্রবর্তী

সংসার সীমান্তে – সম্পা চক্রবর্তী

"পার্বণী ১৪৩০"
ছবিঃ ব্রতী ঘোষ সংসার সীমান্তে সম্পা চক্রবর্তী       "নন্দিনী—পাগলভাই,এই বন্ধ গড়ের ভিতরে কেবল তোমার-আমার মাঝখানটাতেই একখানা আকাশ বেঁচে আছে। বাকি আর সব বোজা।    বিশু—সেই আকাশটা আছে বলেই তোমাকে গান শোনাতে পারি।                     গান তোমায় গান শোনাব,  তাইতো আমায় জাগিয়ে রাখ    ওগো ঘুমভাঙানিয়া ! বুকে চমক দিয়ে তাই তো ডাক     ওগো দুখজাগানিয়া......।"      এই পর্যন্ত পড়তেই মেয়ের ডাকে  ঘড়ির দিকে  তাকায় নন্দিনী। একটু একটু করে কখন যেন রাত বেড়ে গেছে তার খেয়ালও নেই। স্নেহের কন্ঠে বলে—"ঘুম পেয়েছে? চল খেতে দেব।" &nb...
সাদা কালো – দেবাশিস দণ্ড

সাদা কালো – দেবাশিস দণ্ড

"পার্বণী ১৪৩০"
PC: মা Samprotik Deshkal সাদা কালো দেবাশিস দণ্ড অবশেষে বাড়িটা ছেড়ে বেরিয়ে এলাম নরম খড়ের বিছানায় শুয়ে।আমার কতদিনের শখ পূরণ হল-- একটা মৃত্যু এবং একটা নরম খড়ের বিছানা।জীবদ্দশায় কতবার পুড়েছি কেউ দেখেনি।প্রেমে অপ্রেমে ব্যর্থতায়... এমনকি সাফল্যেও।মানুষ তো দাহ দেখতে আসে দহন নয়। আমি নিম্নবিত্ত হয়ে বেঁচেছিলাম মরেও তো কোন রাজা বাদশা হয়ে যাইনি।অতএব শহরের শেষ প্রান্তে কাঠকুটোর চিতায় তোলা হল।দহন অনেক সয়েছি  এবার দাহ।কুণ্ডলি পাকিয়ে বাতাসে উড়ছে সাদা ধোঁয়া কালো ধোঁয়া।জীবদ্দশায় অর্জিত  যা কিছু অমল ভালোবাসাকবিতার মতো আমার সাজানো বর্ণমালা যা কিছু শুদ্ধ স্পর্শ ---আজ সাদা ধোঁয়া হয়ে উড়ে যাচ্ছে বাসাহীন ঠিকানায়।বীভৎস প্রবঞ্চনার মুখে দাঁড়িয়েও যা যা বলতে একদিন ভয় পেয়েছি যা কিছু চিৎকার হয়ে জমেছিল বুকে--- এবং যা কিছু সঞ্চিত অবহেলার নুড়িপাথর--- আজ কালো ধোঁয়ার পাক হয়ে আকাশ ছুঁতে...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!