Shadow

কবিতা

কবিতা

আমার প্রেম আছে আলোর কাছে – ডঃ অনুপ দত্ত

আমার প্রেম আছে আলোর কাছে – ডঃ অনুপ দত্ত

কবিতা, কাশবন ২
আমার প্রেম আছে আলোর কাছে ডঃ অনুপ দত্ত আমার প্রেম আছে আলোর কাছে বহুদিন ধরে যত্নে রাখা এই ধন হৃদয়ে সঞ্চয়, তাই হারাই সর্বক্ষণ দানপত্র করে দিতে চাই, কোথায় পাবো সেই জন৷ ০ আমার এক চালাঘর আছে ঝোলায় ভরা অযত্নে রাখা মনের মাঝে গোছানো উঠোন তুলসী মঞ্চ ঘিরে আছে ফুল মাধবী কানন জোনাক জ্বালে সাঁঝের আলো, শ্রাবণ ধারা যেমন৷ ০ আমার এক বোষ্টমী সখা আছে এখানে তার হৃদয় গানে মাধব বেড়ায় হেসে এখানে জীবন অর্থ খোঁজে রবীন্দ্র নজরুল বেশে এখানে সূর্য আপন রঙে হোলি খেলে যায় অনুক্ষণ এখানে যেন ঘরপোড়া গরু হৃদয়ে ভয়,হারাই মন সর্বক্ষণ৷ ৹ এখানে আমার প্রেম আছে আলোর কাছে আলোয় ভরা জোনাক ঘেরা তুলসী মঞ্চে শ্রদ্ধা জোড়া সবই আছে হৃদয়ে দুঃখ হরা, এখানে ভৌগোলিক কাঁটাতার বেশে- আমি শুধু নাই আমার অনন্ত নিরিবিলি দেশে ৷ ************************************************** ডঃ অনুপ দত্ত পরিচিতি: কবি অনুপ ...
বেগুনি রঙের আলো জন্ম – পৃথা রায় চৌধুরী

বেগুনি রঙের আলো জন্ম – পৃথা রায় চৌধুরী

কবিতা, কাশবন ২
বেগুনি রঙের আলো জন্ম  পৃথা রায় চৌধুরী ⁠অ্যাসফল্ট খোবলানো যায় দেখতেই পাচ্ছিস, আর সার সার ফুটপাথ মাখা গাছের নিচে জমে থাকে থ্যাঁতলানো জামের বেগুনি রক্ত... গোটা জাম খাস, আলোকলতা? আলোকলতা, তুই এমন পেঁচিয়ে শাড়ি জড়াস বুকে? চায়ের ঠেকের ভাঁড় চলকে যায় ছলকে ছলকে আসে আনাড়ি দাগ অ্যাম্বুল্যান্স ডাকি, দাগ তুলে ফেলি তড়িঘড়ি তোর কোলে কোন স্পার্ম অফ্‌? মুখে ওড়না বাঁধিস, কোঁচড়ে খুচরো দশ পাঁচ, ইস্কুল গেটের বাইরে হজমিগুলি বিকোয় না এখন অফিস গেট, ডেকার্স লেন, কোথায় কোথায় যাস আলোকলতা? আমি অভিধান মুখে জামের ইংরাজি খুঁজি খুঁজি খসে পড়া হলদে খয়েরি পাতাটাতার ফরাসি শব্দ। আলোকলতা তোর নাম, তাই তো? ************************************************* ড. পৃথা রায় চৌধুরী পরিচিতিঃ জন্মস্থান ভারতবর্ষের ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ শহরে। সাহিত্য চর্চা শুরু, ছোটবেলা স্কুলে থাকতেই। প্রাণীবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ও পরি...
ঝরা পাতার কবিতা – শ্রীময়ী গুহ

ঝরা পাতার কবিতা – শ্রীময়ী গুহ

কবিতা, কাশবন ২
ঝরা পাতার কবিতা   শ্রীময়ী গুহ কবিতা লেখার জন্য একটু বেদনা লাগে! একটু বালিশ ভেজা কান্না.... আর লাগে এক ছটাক ব্যর্থ প্রণয়! তুমি কিচ্ছু জানো না কবি! কবিতা লিখতে গেলে গরীব হতে হয়। মনে গো মনে! হৃদয়ের অভ্যন্তরে অভূক্ত তৃষ্ণার্ত চাতক হতে হয়! ও গোঁসাই! বাস্তবে নয়..... গরীব হতে হয় শুধু একাকীত্বের আখর খাতায়!! কবিতা লিখতে মন লাগে! একটা গোটা মন! ভাঙা মন হলে আরও ভালো লেখা হয়! আসলে লেখনীতে শব্দ আসেনা; আসেনা নুপূরের বা সেতারের ঝঙ্কার! তাও ভালোবাসার এ এক অলিখিত সেতু পারাবার! একটা কফি হাউস লাগে  জানো! চিলতে কলেজ স্ট্রিট, ছোট্ট চায়ের কেবিন, বা নিদেনপক্ষে.....ট্রামলাইনের অহেতুক হঠাৎই জলেভেজা! অথবা.... কোনো ছাতের পুরোনো চিলেকোঠার  কম্পন চুম্বনে চিঠি দিয়েও, বন্ধনে ডানা ঝাপটানো প্রেমে মুক্তি   খোঁজা! ঘাসজমি ,আলপথ শহরতলীর.... বেফসলা মাঠঘাট, পটভূমি........ একটু তো লাগেই গো! আজ ...
বৃষ্টিনদী – শ্রাবণী বসু 

বৃষ্টিনদী – শ্রাবণী বসু 

কবিতা, কাশবন ২
বৃষ্টিনদী শ্রাবণী বসু  চালচুলোহীন একখানা মেঘ বৃষ্টি হয়েছে তোমার জন্য, কঠিন শিলা উত্তাপে গলে গিয়ে ঝরছে ঝরঝর ...ঝরঝর...ঝরঝর...! এ কী ! ছাদের আড়াল দিলে যে ? মেঘেরা দুঃসাহসী কিন্তু বেহায়া নয়, অদম্য কিন্তু অশালীন নয়।  আকাশের নীচে ভুবন জুড়ে দাঁড়াও শুধু একটা মুহূর্তের জন্য - তুমি আর ক্রন্দসী সমার্থক হয়ে যাও। ওভাবেই দাঁড়িয়ে থাকো- বুকের বোতাম খুলে। তোমার বাদামি বুকে নীল জলের নদী হয়ে যাবে বৃষ্টি । ********************************************** শ্রাবণী বসু পরিচিতি: পেশা শিক্ষকতা। কবিতা যাপনে যে সুখ পান,তেমনটি আর কোথাও পাননা। আর সেই কারণে কবিতা পাঠ করার সাথে সাথে লেখালিখি চলতে থাকে। প্রকাশিত যৌথ কাব্যগ্রন্থ: দ্বিপ্রহর-১ (প্রিয়মুখ প্রকাশনী বাংলাদেশ) ফেলে আসা শহর (বিভা পাবলিকেশন,কলকাতা) দুই বাংলার লতিফা কলস (২০১৭),(২০১৮),(২০১৯) সম্পাদক ডঃ অনুপ দত্ত পাল তুলে দিই কবিতায় ...
ভিখনাপাহাড়ি – বিদ্যুৎ পাল

ভিখনাপাহাড়ি – বিদ্যুৎ পাল

কবিতা, কাশবন ২
ভিখনাপাহাড়ি  বিদ্যুৎ পাল কখনো হয়নি, ভিখনাপাহাড়ি ভিক্ষে দেয়নি ভালো। পাহাড় পেরোতে হয়নি, শাক্যপুত্র দিয়েছে আলো। পাঁচমাথার এই মোড় থেকে যায় পাঁচ দিকে রাস্তা, কোথাও না গেলে পাঁচ সমাজের পাতে খাও নাস্তা – মোড়ের পুরোনো ঢাকা সুইট্‌সের সিঙাড়া চা’য়ের ভুখ, বাঙালি, কোইরি, মিয়াঁ, রাজপুত, কুর্মি সবার সুখ।। তেমন মাতালও দিন ছিল, চাঁইটোলায় গাইত রাণা, রাতে লালবাগে দেয়াল লিখতে কারোর শুনিনি মানা। পোস্টারে খুঁড়ে উঠিয়ে দেশের হৃদয় ছড়ানো মণি সামনের ভাঙা পাঁচিলে সাজিয়েছিলাম প্রদর্শনী। পূবে ভাটি, হাট, পুরোনো শহর, দক্ষিণে রেলপথ, নদী উত্তরে, নতুন শহর পশ্চিমে – বাঁধা গৎ ভাঙল হঠাৎ, লড়াই সামনে দেখল দিন কঠিন, টাকা, জাত, আর ধর্মভাগাড়ে চেনা মুখ হল অচিন! আমায় তো আরো বহু কিছুতেই জড়িয়েছে এ হদিশ! বাংলায় দিয়ে বন্ধুত্বের বিহারিয়ানার শিষ, ভালোবেসেছি, নীড় বেঁধেছি, কাঁধে সন্তান নিয়ে, উঠেছি অমৃতে, কুটিল আঁধারে নিজ...
সম্পর্ক – দিলীপ সাঁতরা

সম্পর্ক – দিলীপ সাঁতরা

কবিতা, কাশবন ২
সম্পর্ক  দিলীপ সাঁতরা আমাদের সম্পর্ক গুলো হোক মধুরময় আরও নিবিড় হোক সম্পর্ক ভালোবাসা ময় করোনা যতদিনই দূরত্বে রাখুক তবু বন্ধন সকলের সুন্দরতম থাকুক।  নিজস্ব সীমানার বাইরের মানুষকে চেনা পরিধিতে আনি নিজেরাই সকলকে দেখা না হয় যদি আরও কিছু দিন ফোনে আলাপ করে মনে করি অতীতের দিন।  সম্পর্ক গড়ে ওঠে মানুষের আত্মীয়তায় শুধু নেওয়া দেওয়ার জন্য সম্পর্ক তো নয় বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ভালোবাসায় দেওয়ার থাকলে দিও-পাওয়ার আশায় নয়।  অতীতের ফেলে আসা দিনের বন্ধুকে মনে পড়লে কথা বলবে নিশ্চয়ই ফোন নম্বর পাওয়া গেলে দেখো কথা বললেই হয়তো দূরত্ব ঘুচে যাবে স্মৃতি রোমন্থনে নিজেরই তখন ভালো লাগবে।  তাই সম্পর্ক গুলো আবার ঝাঁকানো যাক নিজস্ব সীমানার একাকিত্ব ঘোচানো যাক জানি শেষের দিনে সে জন কেউ রবে না আপন তবু বন্ধুও যে আপন হয় সম্পর্ক রাখবে যেমন। **************************************************...
মৃত্যু নগরী – কাকলি সেন

মৃত্যু নগরী – কাকলি সেন

কবিতা, প্রথম বর্ষপূর্তি
মৃত্যু - নগরী কাকলি সেন এ যাবৎ নিভে থাকি বেশ, শূন্য পাতা,না বলা কথা নিয়ে অবশেষ। দুপুর তামাদি হলে, আঁধার ভীড় করে আসে কিছু ভালোবেসে। গাঢ় হয় ,দৃঢ় হয় স্নেহশৃঙ্খল, ধূলি ধূসরিত খাতা,স্মৃতিসম্বল। কথা ছিল নত হবো,দ্রব হবো, আজান ভোরে, দেখা হবে,লেখা হবে কোনো অজানা চত্বরে। নেই তট,নেই ঘাট,নদীও স্হবির, ভাঙন ধরেছে বুকে নেই সেই তীর। অতীত জমছে ক্রমে নস্টালজিয়া হিসেব মেলেনি আজও প্রেম-পরকীয়া। মানুষ একলা শব শূন্য সারনী ভীড় আছে,হাত নেই বুঝতে পারিনি। ধার করা স্মৃতি লেখে প্রেম,প্রাপ্তি,ঋণ, যা কিছু হয়নি বলা গোপন গহীন। শব্দের ভীড় নেই,নিভৃতবাস নয়নে বাস্পবারি শোক জলোচ্ছ্বাস ৷ হে আমার গতজন্ম,আরণ্যক মন, নতজানু হই মোরে দাও উত্তরণ। বিভেদ দূরে থাক করো নির্মোক, পদ্যের সাথে সেই গল্পটা হোক। দেশ বেশভূষা যাক দূরে বহুদূরে, ধার্মিক নিক ছুটি আপাত মন্দিরে। মসজিদে সন্ন্যাসী লালন আওড়া...
মহামারী শেষে – চিন্ময় চক্রবর্তী

মহামারী শেষে – চিন্ময় চক্রবর্তী

কবিতা, প্রথম বর্ষপূর্তি
মহামারী শেষে                                      চিন্ময় চক্রবর্তী                                            আর যারা বাকি ছিল, তারা সব চলে গেল মহামারী পারে। কেউ নেই বাঁধা কোনো তারে, রক্ত বোধ নেই আর। জাত নেই, ধর্ম নেই ৷ নেই কোনো সুতো। একটাই পরিচয়। যুদ্ধ পুরোহিত। আর সব অর্থহীন। অন্য সব কথা। অন্তমিল নেই কোনো। এমন কবিতা। বাকি ছিল যারা সব, পিতৃহারা,মাতাহীন,পরিবার,কিছু নেই কোনো, অন্য ভাষা যদি শোনা যায়, চেষ্টা করো,কান পেতে শোনো। যুদ্ধ মাঠ ভিন্ন ছিলো, অস্ত্র ভিন্ন,ভিন্ন দল, শুধু ছিলো অন্তিমের চাক্ষুষ  ফলাফল। মহামারী পার করে বেঁচে থাকা। প্রকৃতির প্রতিশোধ চেখে দেখা। আর শুধু মিল এক। সবকিছু আলাদার মাঝে, ক্ষুদ্র অসুর এক একা একা রাজে। শত্রু এক। ক্ষুদ্র এক কীট। মানব সভ্যতা মাঝে ছোট্ট এক ভয়ঙ্কর গিঁট , মানুষের অন্ধকার থেকে উঠে  আসা। ভয়াল সে শত্রু বড় খাসা। খাদ্য তার ধর্ম,জাতি,...
“আহ্বান” – কঙ্কণা সেন

“আহ্বান” – কঙ্কণা সেন

কবিতা, প্রথম বর্ষপূর্তি
"আহ্বান" কঙ্কণা সেন              সমুদ্র ডাকছে মাসকাবারি গণিত দিচ্ছে বাধা। উথাল পাথাল ঢেউ উদাস করা হাওয়া মনের নেই কোনো খেই গলাটিপে হত্যা করা ইচ্ছেগুলোর শব শুধু ভেসে বেড়ায়।               পাহাড় ডাকছে বৃদ্ধ অঙ্গুলি আর তর্জনী করে শাসন। হিসেব মেলে না যে! প্রতিদিনের নামতা পড়তে পড়তে সব গরমিল। টিকে থাকা ইচ্ছেগুলোকে লাগাম পরালাম।                    অরণ্য ডাকছে--- যাব।যাবই আমি তোমার কাছে। কিন্তু কবে জানি না। সবুজে সবুজ হতে শরীর মনে রঙিন হতে এতো বাধা কেন? দু'হাতে নিত্য কর্মের বাধা ঠেলে বড়ো দেরী কেন যে হয়?                    আকাশ ডাকছে আমার প্রণতি গ্রহণ করো-------- নীলিমায় নীল করে দাও আমায়। এই গ্রহের বাইরে সব গাণিতিক সীমা ছাড়ায়ে আমার সবটুকুকে তুমি নাও মহাকাশ।। ************************************************* কঙ্কনা সেন পরিচিতি: রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহ...
ঘরবন্দী খেলা – বৈদেহী সাধুখাঁ

ঘরবন্দী খেলা – বৈদেহী সাধুখাঁ

কবিতা, প্রথম বর্ষপূর্তি
ঘরবন্দী খেলা বৈদেহী  সাধুখাঁ সকাল থেকে এখন শুধুই          ঘরের ভেতর থাকা, ভুলেই  গেছি খেলাধুলো,      নাচ আর ছবি আঁকা!  ঘরেই খেলা, ঘরেই পড়া,        দিনটা ঘরেই কাটে বিকেল বেলায় কেউ ছোটে না      বাড়ির পাশের মাঠে! স্কুলের দোরে তালা আঁটা,           অনলাইনে পাঠ  বন্ধ দাদুর সকাল বিকেল          হাঁটা,ঘোরার পাট। টিনা, মিনি, রোহন, টুকাই        সব কথা হয় ফোনে স্কুলের গেট আর লাইব্রেরীটা,         আবছা পড়ে মনে। পয়লা বোশেখ উধাও,কোথায়            জন্মদিনের গান? হাত ধুয়ে,মাস্ক লাগিয়ে মুখে          হাঁপিয়ে ওঠে প্রাণ! গানের দিদি আসেন না আর           অনেকদিন যে হলো  কারাটের সব বন্ধুরা যে         হারিয়ে কোথায় গেল? কাজের মাসি, দুধের কাকু   নেই বাগানের মালী সকাল দুপুর কাজের চাপে              মায়ের চোখে কালি!            বছরটা যে ফুরিয়ে এলো বদ্ধ করে শ্বাস- চলছে লড়াই, কার সাথে? ...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!