মুক্তি – শাশ্বতী হোসেন
মুক্তি
শাশ্বতী হোসেন
এমন অতিমারীর দাপটের পরেও
যদি বেঁচে উঠি
কিছু না পারি,নিতান্ত ভালোবাসাটুকু নিয়ে ঘরে ফিরব।
অন্ধকারকে দরজার বাইরে রেখে বলব, আর এস না,
এখন আমাদের ডুলুং নদীর বনডুংরি চাঁদ ছুঁয়ে
মেঘের একান্ত লুকোচুরি দেখতে দাও।
কেন না,এই দেখাই আমাদের আশ্বাস,
আমাদের আবেগ।
এতদিন খালি দেখেছি চারদিকে অক্সিমিটার,ভেপার মেশিন,আগুনমাটির স্তুপাকৃতি লাশ,পিপিই কিটস।
রাতের পর রাত কেটেছে না- ঘুমের ভিতর।
মানুষের নষ্টপ্রায় ফুসফুসের ভিতর এখনো গাঙুরের মৃত্যুস্রোত---
তবুও চিতাকাঠ থেকে কারো গামছা
ঝড়ে উড়তে উড়তে বাঁচার স্বপ্ন দেখে যায়
কি করে তাদের ভুলি বলো?
এখন এই অতিমারীর দাপটের পরেও
যদি বেঁচে উঠি
তাহলে ভুলে যাওয়া সুরে গানের কলি সাজিয়ে
এক সংসার ছুঁয়ে থাকব।
প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙতেই
চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে
নতুন জন্মদিনের আনন্দ ভাগ করে নেব।
গোল গোল সস্তার আলু মাখা ঝোল দিয়ে ভাত খেয়ে
মুখ ...