Shadow

গল্প

গল্প

আম্মোর রুটি – বিদ্যুৎ পাল

আম্মোর রুটি – বিদ্যুৎ পাল

গল্প, বসন্ত সংখ্যা
  আম্মোর রুটি বিদ্যুৎ পাল গরমের রাত। ছোট্টো বারান্দার কোণে বসে রুটি তৈরি করছে মা। অন্ধকারে উনুনের লাল আলোয় ম্লান দেখাচ্ছে মায়ের মুখটা। এমন মুখ আম্মোর ভালো লাগে না। ও চায়, মা এই ঘরে, যেখানে ও বইখাতা ছড়িয়ে বসে আছে, এখানে, আলোর কাছাকাছি বসে রুটি করুক। ও মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে মাকে অনেক কথা বলবে। আজ বিকেলে কার সঙ্গে ভাব হয়েছে, কার সঙ্গে আড়ি হয়েছে, কার বাড়িতে ইয়া মোটা একজন লোক এসেছে, বলবে। অনেক কথা জিজ্ঞেস করবে। বাবা কখন আসবে, কাকু কখন আসবে, কাকুর বন্ধুরা আসবে কিনা। আম্মো বইখাতা ফেলে রেখে উঠে গেল মায়ের কাছে। পাশে এসে বসে পড়া আম্মোর দিকে একবার তাকাল মা। তারপর আবার উনুনের দিকে নজর দিল। তাওয়া নামিয়ে রুটিটা চিমটে দিয়ে ধরে উনুনের ওপর রাখল। গোল হয়ে ফুলে উঠল রুটিটা, পাশের বাড়ির বাবুয়ার চোখের মত – ভালুক দেখে যেমন গোল হয়ে উঠেছিল সেদিন। রুটিটা এক জায়গায় ফুটো হয়ে ভুস ভুস করে ভাপ বেরুল। উনুনে...
স্বাভিমান – চন্দ্রকান্তি দত্ত

স্বাভিমান – চন্দ্রকান্তি দত্ত

কাশবন ২, গল্প
স্বাভিমান চন্দ্রকান্তি দত্ত "রজতাভ বাড়ি আছো?" উমাপ্রসন্নবাবুর কাঁপা কাঁপা গলা ভেসে এল রজতাভর বাড়ির ঠিক বাইরে থেকে। রজতাভ বাড়িতেই ছিল। কিন্তু সাড়া দিল না। উল্টে সুদীপাকে ফিস্ ফিস্ করে বলল, "ওহ্। আবার বোধহয় টাকার দরকার। বলে দাও, আমি বাড়ি নেই। কোন্নগর গেছি। কালকে ফিরব।" সুদীপার খারাপ লাগল। সামান্য কটা টাকা ধার দেওয়ার ভয়ে কতকগুলো মিথ্যা কথা বলতে হবে। তাও আবার শ্রদ্ধেয় মাস্টারমশাইকে। বলল, "কি দরকার বাপু। হাজার দুয়েক টাকা তো। দিয়ে দাও না। উনি তো শোধ করে দেন।" -"না না। এখন হাতে টাকা নেই। তোমাকে যা বললাম করতো।" সুদীপা অন্তর থেকে জ্বলে-পুড়ে খাক্ হয়ে যাচ্ছিল। তবু স্বামীর মান রাখতে মিথ্যা কথাগুলো বলতে বাধ্য হল। মাস্টারমশাই দাঁড়িয়েছিলেন বারান্দার নীচে জমিতে। বারান্দায় ওঠেন নি। সামান্য দুটো সিঁড়ি ভাঙ্গতেও সাহস হয় না। শরীরটা নড়বড়ে হয়ে গেছে। পড়ে যাবার ভয় থাকে। সুদীপার কথা শুনে বললেন, ...
কালাপানির প্রেম – শুভজিৎ বসু

কালাপানির প্রেম – শুভজিৎ বসু

কাশবন ২, গল্প
কালাপানির  প্রেম শুভজিৎ বসু  হঠাৎ করে ঘোষণা-আপনারা নিজেদের সিটবেল্ট ভালো করে বেঁধে নিন। বাইরের আবহাওয়া ভালো নেই। ওয়াশরুমে আপাতত যাবেন না। প্লেনটা ডানে বাঁয়ে করছে। বছর চল্লিশের সুজয়ের মুখ শুকিয়ে কিসমিস। সবে তো আধ ঘণ্টা, এখনো কম সে কম দু ঘণ্টা, তবেই না পোর্ট ব্লেয়ার। থাকার বলতে মা একাই। আপাতত গোবরডাঙায় থাকবেন। মফস্বলের ছেলে। বিদ্যা বুদ্ধি সবই ঠিক আছে, তবে লোকজনের মধ্যে এখনো সেভাবে সপ্রতিভ নয়। ষোলো বছর ব্যাঙ্কে করণিকের কাজ করছে। অফিসারের দায়িত্বের বোঝা নেবে না বলে পদোন্নতির পরীক্ষায় বসে নি। বর্তমানে ব্যাঙ্কের যা অবস্থা কেরাণীকুল থাকলেও তা টিম টিম করে জ্বলছে। আর বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েরা অফিসার হয়ে এসে তার উপর মুরুব্বিয়ানা করছে। এটা মানতে অসুবিধা হবে ভেবেই হয়ত পরীক্ষায় বসল ও উতরেও গেল। বদলি আন্দামানের পোর্টব্লেয়ারে। ঘরকুনো হলেও খুশি। ইতিহাস, ভূগোলের জ্ঞান যথেষ্ট আছে। তাই ওখানকার ভূগোল, নৃতত্ত...
শিউলি – শ্রাবণী দাশগুপ্ত

শিউলি – শ্রাবণী দাশগুপ্ত

কাশবন ২, গল্প
শিউলি শ্রাবণী দাশগুপ্ত আকাশপ্রদীপ আকশের বুকে ছোট্টো, তীব্র, মিষ্টি হয়ে ফুটে আছে। কেমন গন্ধ। আলোরও বিশেষ গন্ধ হয়। হেমন্তের গন্ধ! জানালার ফাঁক দিয়ে আকাশে কুচোকুচো সাজানো ডায়মণ্ড তারা। একদৃষ্টে দেখার মতো ঝলক নেই। বড্ড মায়া-মায়া। চোখ বুজলেও ছুঁয়ে থাকে। কুঁচকির দুপাশ থেকে আড়ষ্ট অচেনা ব্যথা নেমে যাচ্ছে। বুকের মধ্যে তোলপাড়। অস্থির লাগছে শরীর। বাবার ঘর থেকে গান আসছে – ‘শুধু এই পথ চেয়ে থাকা ভালো কি লাগে’? তানিশক থেকে ওরকম হীরের নেকলেস কিনে দিয়েছিল না অরণ্য? বিয়ের জন্মদিনে? “ডাস্কি স্কিনে ডায়মণ্ড গ্ল্যাম দেখাচ্ছে” বলেছিল। তনু বেঢপ পেটে কাত হয়ে কুঁকড়ে আছে, ফোঁপানির মতো শ্বাস। কান্না আটকে ছাতিতে ব্যথা হচ্ছে। উঠে বসে দম ফেলার চেষ্টায় হাঁকপাক করে। খড়খড়িওয়ালা জানালা হাট করে খুলে ফেলে। পারলে ফাঁক দিয়ে মাথা বের করে দিত। হাঁ করে হাওয়া নিতে গিয়ে চেঁচায়, -মা, ও-মা... মা। হেমন্তের নিঝুম সন্ধ্যেতে জটপাকা...
“ফেরত”   ️কলমে – অঙ্কন দন্ড

“ফেরত” ️কলমে – অঙ্কন দন্ড

কাশবন ২, গল্প
“ফেরত” ️কলমে - অঙ্কন দন্ড রাগে, দুঃখে, অভিমানে নিজের ফোনটা মাটিতে আছাড় মারল অর্ঘ্য। বুকের মধ্যে ফুটছে হতাশার বুদবুদ আর তার গালকে উপত্যকা করে বয়ে চলেছে অশ্রু। বুকের মধ্যে হেরে যাওয়া তীব্র যন্ত্রণা দুমড়ে-মুচড়ে মুখ দিয়ে বেরোচ্ছে নিঃশব্দে। তার নিজের পৃথিবীতে জলভাগের সমান যাকে স্থান দিয়েছিল সেই তিথি তার জীবনকে মরুভূমি করে দিয়ে চলে গেছে। নিজেকে নিঃস্ব, ভিখিরি মনে হল অর্ঘ্যর। সে ভাবল কী লাভ এই জীবন রেখে?  আঘাতে মতিভ্রষ্ট হয়ে উঠে দাঁড়াল সে। অবিবেচকের মতো ঘর থেকে বেরিয়ে গেল আত্মবলিদানে। চোখের জল কে নিয়ন্ত্রণ করে রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছে অর্ঘ্য। চেপে রাখা কান্না ভারী করে তুলেছে তার কণ্ঠ। কান্না চেপে রাখলে হয়তো সেই অবদমিত তরল নাসারন্ধ্র দিয়ে নির্গত হয়। তাই না চাইলেও বারবার মুছতে হচ্ছে নাক। হঠাৎ সে দেখল ফুটপাতের পাশেই বসে কাঁদছে বছর চারেকের একটি ছোট্ট শিশু। অর্ঘ্য সে সব এড়িয়ে এগিয়...
আত্মজ – ব্রতী ঘোষ

আত্মজ – ব্রতী ঘোষ

কাশবন ২, গল্প
আত্মজ ব্রতী ঘোষ  পাশের ফ্ল্যাট থেকে মাঝেমধ্যেই হাসির শব্দ ভেসে আসছে ৷  মায়া বসে আছে প্রতিমা দেবীর মাথার কাছে ৷  মাঝে মাঝে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে ৷  "তুমি কাঁদছো ?" "নারে মা !! বয়স হলে এমনিতেই চোখ দিয়ে জল পড়ে ৷" মায়া বুঝতে পারে এই চোখের জলের কারণ ৷  আজ মাসিমার ছোট ছেলের জন্মদিন ৷ থাকে পাশের ফ্ল্যাটেই ৷ লোকজনের হাসি হুল্লোড়ের শব্দ ভেসে আসছে সেই সন্ধ্যে থেকে ৷ মুখে না বললে কি হবে মায়া জানে মাসিমা সেই সকাল থেকে অপেক্ষা করে আছে কখন তার ছোট ছেলে আসবে মার সাথে দেখা করতে !! আজ বছর চারেক হল মায়া প্রতিমাদেবীকে  দেখাশোনার কাজ নিয়েছে ৷ সপ্তাহে এক দিন শনিবার সন্ধ্যা বেলা বাড়ি যায় আবার রোববার সকালেই ফিরে আসে ৷ "মায়া হাতটা একটু ধর তো !!" মায়া সাবধানে হাতটা ধরে আরামকেদারায় বসিয়ে দেয় ৷ "জানিস !! যখন তোর মেসোমশাইয়ের সংসারে আমি আসি তখন আমার মাত্র ঊনিশ বছর বয়স ৷ সেই ছোটবেলায় মাকে হা...
বন্ধু – ডঃ গৌতম সরকার

বন্ধু – ডঃ গৌতম সরকার

কাশবন ২, গল্প
বন্ধু ডঃ গৌতম সরকার এদিকটায় নন্দ আগে কখনও আসেনি। কয়েকটা বাড়িঘর, একটা বড় মাঠ আর পুকুর পেরিয়ে জঙ্গল শুরু হয়েছে। নন্দর আজ এতটাই মনখারাপ যে বেখেয়ালে জঙ্গুলে পথ পেরিয়ে অনেকটা ভিতরে চলে এসেছে৷ যত এগোচ্ছে জঙ্গল আরও ঘন হচ্ছে, বড় বড় গাছগুলো মাথার ওপর যেন চাঁদোয়া খাটিয়ে রেখেছে। রোদ প্রায় ঢুকতেই পারছেনা। ভরা দুপুরেও জায়গাটা বেশ ঠান্ডা। পাখির ডাক শোনা যাচ্ছে। পরিষ্কার জায়গা দেখে একটা গাছের গায়ে হেলান দিয়ে বসে পড়লো। স্কুলের ব্যাগটা পায়ের কাছে নামিয়ে রাখলো। কিছুদিন আগে নন্দ কৃষ্ণনগরে মাসির বাড়ি গিয়েছিল। সেখানেই প্রথম স্মার্টফোন দেখে। এত তাক লেগে গিয়েছিল, বাড়ি ফিরে বহুদিন ঘ্যানঘ্যান করেছে ওরকম একটা মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার জন্যে। মোবাইল তো জোটেইনি, উল্টে বাবার হাতে বেদম পেটানি জুটেছে। আজ ক্লাসে বিপিনের হাতে স্মার্টফোন দেখে পুরোনো দুঃখটাই চাগিয়ে উঠেছিল। তাতাইদার কাছে সে ফোনের অনেক ফাংশন শিখেছিল। আজ বিপনে...
অবশেষে – জলি চক্রবর্তী শীল

অবশেষে – জলি চক্রবর্তী শীল

কাশবন ২, গল্প
অবশেষে জলি চক্রবর্তী শীল 'চলো এবার বিয়েটা করে ফেলা যাক'| অমিত্র ঘাসের ওপর শরীরটাকে এলিয়ে দিয়ে কথাগুলো বলে। ডিসেম্বরের শেষ বিকেলের আলো তখন নিভু নিভু হয়ে আসছে| সামনের ঝিলের জলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হাওয়ায় তিরতিরে ঠান্ডা মাঝে মাঝেই  তীব্রভাবে অনুভুত হচ্ছে| একটা বছর যেন তালেগোলে কিভাবে কেটে যেতে চলল‚ আর কটা দিন পরেই শেষ হবে অভিশপ্ত বিষে বিশ বছরটি| যদিও করোনা আবহ পুরোপুরি কাটেনি‚ তবু পার্কের ভিতরের ভিড় দেখে কে বলবে যে এখনো চারিদিকে বিধিনিষেধ বহাল? মাস্ক ছাড়া পার্কে প্রবেশ নিষেধ ঠিকই‚ তবে পার্কে প্রবেশের পর অনেকের মুখেই মাস্কের বালাই নেই| সুপ্তি আজ দ্বিতীয়বার এই পার্কে এল অমিত্রর আহ্বানে সাড়া দিয়ে| এর আগে এসেছিল প্রিয় বান্ধবী রিঙ্কার সাথে| উত্তরাখন্ডে অমিত্র একটি কোম্পানীতে কাজ করে| দিনকয়েকের জন্য কলকাতায় এসেছে| উঠেছে রিঙ্কার বাড়িতে| রিঙ্কার বরের বন্ধু|   ভিড় এড়িয়ে ওরা একটা ফাঁকা জায়গাতেই বসেছ...
রায়পুর জমিদারবাড়ি – পরাগ ভূষণ ঘোষ

রায়পুর জমিদারবাড়ি – পরাগ ভূষণ ঘোষ

কাশবন ২, গল্প
রায়পুর জমিদারবাড়ি পরাগ ভূষণ ঘোষ মনুষ্য ধর্ম বিশেষত আমাদের মতো সাধারণ বাঙালী হঠাৎ কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হতে না পারলে যখন দিশাহীন অবস্থায় হাবুডুবু খান, সেই সময়েই ত্রাণকর্তা রূপে গুরুদেব, শান্তিনিকেতন, বোলপুরকে আঁকড়ে ধরে পরিত্রাণ পাওয়ার চিরাচরিত প্রথা আমিও অনুসরণ করতে বাধ্য হলাম। বন্ধুবর ব্যানার্জীমশাইয়ের অনুরোধকে (যেটাকে আমি আদেশ বলেই মেনে নিয়েছি) উপেক্ষা করার ধৃষ্টতা আমার নেই। বীরভূমের নামের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে চলে আসে লালমাটি, মাদল, ধামসা, বিশ্বকবি, শান্তিনিকেতন, দশমহাবিদ্যা, একান্ন পিঠ, সোনাঝুড়ি হাট ইত্যাদি। এই তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর এবং ক্রমবর্ধমান। কিন্তু, না জানা বা স্বল্প জানা ইতিহাসের পাতাও ছড়িয়ে আছে এই জেলায়। সেরকমই একটি গ্রামের নাম রাইপুর বা রায়পুর। ভৌগলিক ভাবে বোলপুর স্টেশন থেকে ইলামবাজার যেতে সাত আট কিমি দূরে এই গ্রাম। অপরপক্ষে ইলামবাজার থেকে চোদ্দ পনেরো কিমি। রায়পুর-সুপুর ...
মূল্যায়ন – তপন চন্দ 

মূল্যায়ন – তপন চন্দ 

কাশবন ২, গল্প
মূল্যায়ন  তপন চন্দ  নীলেন্দু আমার পাড়াতুতো ভাই, শান্ত স্বভাবের নম্র। মাঝারি গড়ন, চেহারার মধ্যে কোন চটক না থাকলেও, মোটের ওপর ভালোই দেখতে শুনতে। ভালো চাকরিও করে শুনেছি। আমার ওকে আর একটা কারণে ভালো লাগে, ওর অসাধারণ গানের গলার জন্য। গানটা ছেলেদের প্রেম করার ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে রাখে। কিন্তু প্রেম তো দূরে থাক বিয়েটাই করে উঠতে পারল না এখনও। নাই নাই করে বয়স ছুঁই ছুঁই চল্লিশ। এখনকার দিনে যদিও চল্লিশ তেমন কোন বয়স নয়, মেয়েরাই ফাইনাল ডিসিশন নিতে তিরিশে এসে পৌঁছয়। তবে পাড়ার মহিলা মহলে নীলেন্দু বেশ পপুলার। ওকে পেলেই সবাই এক সঙ্গে বিয়ে নিয়ে চেপে ধরে। উদ্দেশ্য একটাই, দু-একদিন সেজে গুজে গুছিয়ে আড্ডা। সেদিন রাতে দোকান থেকে রুটি নিয়ে ফিরছিল, জিজ্ঞেস করায় বলল- -- মাম্মি বাপী দাদার কাছে মুম্বাই গেছেন। আমি বললাম, -- আর কতদিন মা'কে জ্বালাবে, এবার সিরিয়াসলি ভাবো। পাড়ার সরস্বতী পূজো। পূজো শেষে দুপুরে খিচ...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!