Shadow

প্রথম বর্ষপূর্তি

প্রথম বর্ষপূর্তি

নব কুন্দধবলদলসুশীতলা – স্বর্গশ্রী আদিত্য

কাশবন ২, গান নাচ ও বাদ্য
https://youtu.be/ZujYDxcpfS0 স্বর্গশ্রী আদিত্য পরিচিতি - জন্ম ও পড়াশোনা কোলকাতায়৷ প্রথমে কমার্সে স্নাতক এবং পরে ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে আমেরিকা নিবাসী স্বর্গশ্রী একটি সরকারী সংস্থায় চাকুরীরতা৷ গান শিখেছেন বেঙ্গল মিউজিক কলেজ থেকে৷ এছাড়া তার আগ্রহ রয়েছে অঙ্কনে৷ ছোটবেলা থেকে শিখেছেন সাঁতার,বোয়িং প্রভৃতি৷ বর্তমানে চাকরী করার পাশাপাশি সঙ্গীত ও অঙ্কন চর্চা সমানভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন।...
ভিখনাপাহাড়ি – বিদ্যুৎ পাল

ভিখনাপাহাড়ি – বিদ্যুৎ পাল

কবিতা, কাশবন ২
ভিখনাপাহাড়ি  বিদ্যুৎ পাল কখনো হয়নি, ভিখনাপাহাড়ি ভিক্ষে দেয়নি ভালো। পাহাড় পেরোতে হয়নি, শাক্যপুত্র দিয়েছে আলো। পাঁচমাথার এই মোড় থেকে যায় পাঁচ দিকে রাস্তা, কোথাও না গেলে পাঁচ সমাজের পাতে খাও নাস্তা – মোড়ের পুরোনো ঢাকা সুইট্‌সের সিঙাড়া চা’য়ের ভুখ, বাঙালি, কোইরি, মিয়াঁ, রাজপুত, কুর্মি সবার সুখ।। তেমন মাতালও দিন ছিল, চাঁইটোলায় গাইত রাণা, রাতে লালবাগে দেয়াল লিখতে কারোর শুনিনি মানা। পোস্টারে খুঁড়ে উঠিয়ে দেশের হৃদয় ছড়ানো মণি সামনের ভাঙা পাঁচিলে সাজিয়েছিলাম প্রদর্শনী। পূবে ভাটি, হাট, পুরোনো শহর, দক্ষিণে রেলপথ, নদী উত্তরে, নতুন শহর পশ্চিমে – বাঁধা গৎ ভাঙল হঠাৎ, লড়াই সামনে দেখল দিন কঠিন, টাকা, জাত, আর ধর্মভাগাড়ে চেনা মুখ হল অচিন! আমায় তো আরো বহু কিছুতেই জড়িয়েছে এ হদিশ! বাংলায় দিয়ে বন্ধুত্বের বিহারিয়ানার শিষ, ভালোবেসেছি, নীড় বেঁধেছি, কাঁধে সন্তান নিয়ে, উঠেছি অমৃতে, কুটিল আঁধারে নিজ...
মূল্যায়ন – তপন চন্দ 

মূল্যায়ন – তপন চন্দ 

কাশবন ২, গল্প
মূল্যায়ন  তপন চন্দ  নীলেন্দু আমার পাড়াতুতো ভাই, শান্ত স্বভাবের নম্র। মাঝারি গড়ন, চেহারার মধ্যে কোন চটক না থাকলেও, মোটের ওপর ভালোই দেখতে শুনতে। ভালো চাকরিও করে শুনেছি। আমার ওকে আর একটা কারণে ভালো লাগে, ওর অসাধারণ গানের গলার জন্য। গানটা ছেলেদের প্রেম করার ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে রাখে। কিন্তু প্রেম তো দূরে থাক বিয়েটাই করে উঠতে পারল না এখনও। নাই নাই করে বয়স ছুঁই ছুঁই চল্লিশ। এখনকার দিনে যদিও চল্লিশ তেমন কোন বয়স নয়, মেয়েরাই ফাইনাল ডিসিশন নিতে তিরিশে এসে পৌঁছয়। তবে পাড়ার মহিলা মহলে নীলেন্দু বেশ পপুলার। ওকে পেলেই সবাই এক সঙ্গে বিয়ে নিয়ে চেপে ধরে। উদ্দেশ্য একটাই, দু-একদিন সেজে গুজে গুছিয়ে আড্ডা। সেদিন রাতে দোকান থেকে রুটি নিয়ে ফিরছিল, জিজ্ঞেস করায় বলল- -- মাম্মি বাপী দাদার কাছে মুম্বাই গেছেন। আমি বললাম, -- আর কতদিন মা'কে জ্বালাবে, এবার সিরিয়াসলি ভাবো। পাড়ার সরস্বতী পূজো। পূজো শেষে দুপুরে খিচ...
সম্পর্ক – দিলীপ সাঁতরা

সম্পর্ক – দিলীপ সাঁতরা

কবিতা, কাশবন ২
সম্পর্ক  দিলীপ সাঁতরা আমাদের সম্পর্ক গুলো হোক মধুরময় আরও নিবিড় হোক সম্পর্ক ভালোবাসা ময় করোনা যতদিনই দূরত্বে রাখুক তবু বন্ধন সকলের সুন্দরতম থাকুক।  নিজস্ব সীমানার বাইরের মানুষকে চেনা পরিধিতে আনি নিজেরাই সকলকে দেখা না হয় যদি আরও কিছু দিন ফোনে আলাপ করে মনে করি অতীতের দিন।  সম্পর্ক গড়ে ওঠে মানুষের আত্মীয়তায় শুধু নেওয়া দেওয়ার জন্য সম্পর্ক তো নয় বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ভালোবাসায় দেওয়ার থাকলে দিও-পাওয়ার আশায় নয়।  অতীতের ফেলে আসা দিনের বন্ধুকে মনে পড়লে কথা বলবে নিশ্চয়ই ফোন নম্বর পাওয়া গেলে দেখো কথা বললেই হয়তো দূরত্ব ঘুচে যাবে স্মৃতি রোমন্থনে নিজেরই তখন ভালো লাগবে।  তাই সম্পর্ক গুলো আবার ঝাঁকানো যাক নিজস্ব সীমানার একাকিত্ব ঘোচানো যাক জানি শেষের দিনে সে জন কেউ রবে না আপন তবু বন্ধুও যে আপন হয় সম্পর্ক রাখবে যেমন। **************************************************...

সম্পাদকীয় – দেবদত্ত বিশ্বাস

প্রথম বর্ষপূর্তি
সম্পাদকীয় দেবদত্ত বিশ্বাস বর্ষপূর্তি উদযাপনের এই পুণ্য মুহূর্তে কুলায় ফেরা Webzine-এর পক্ষ থেকে সকল স্তরের লেখক,পাঠক, শুভানুধ্যায়ী কে জানাই সম্পাদকের হার্দিক শুভেচ্ছা। একটা বছর সময়টা খুব একটা কম নয়।তবুও নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়েও 'কুলায় ফেরা' কিন্তু  থেমে থাকেনি। প্রকাশ করেছে শারদীয়া সংখ্যা 'কাশবন' বাংলা নববর্ষ সংখ্যা 'বিহানবেলায়' এবং বর্ষপূর্তিতে  বিশেষ সংখ্যা। এছাড়াও স্বাধীনতা দিবসের,ভাষা দিবসের বিশেষ সংখ্যা। অমোঘ ঋতুচক্রের অন্যতম একটি পর্যায় হলো বর্ষাঋতু। এর অবিরাম বারি ধারায় উব্দেলিত হয়ে ওঠে কবিমন।তাই বর্ষার অনুপম সৌন্দর্যে বিমোহিত রূপকল্পনার কাব্যিক মনোজগতে কুলায় ফেরা সংযোজন করেছে তিন পর্বে "শাওন গগনে" শীর্ষক সাংস্কৃতিক এক বিচিত্রানুষ্ঠান। সৃষ্টিশীলতা  যে সীমাহীন,একথা আবার নতুন করে প্রমাণ করেছে কুলায় ফেরার বর্ষাবরণ অনুষ্ঠান "শাওন গগনে"। সম্প্রতি জুলাই মাসের তিন রবিবার,চার,এগার...
কবির বিস্মরণ? – অগ্নিমিত্র ভট্টাচার্য্য

কবির বিস্মরণ? – অগ্নিমিত্র ভট্টাচার্য্য

পাকাচুলের কলমে, প্রথম বর্ষপূর্তি
  কবির বিস্মরণ ? অগ্নিমিত্র ভট্টাচার্য্য রবীন্দ্রসঙ্গীতে নিবেদিতপ্রাণ, সঙ্গীতসাধক শ্রী শৈলজারঞ্জন মজুমদার মহাশয় তাঁর অসামান্য স্মৃতিকথা "যাত্রাপথের আনন্দগান" গ্রন্থে তাঁর জীবনে রবীন্দ্র সান্নিধ্যের বিভিন্ন ঘটনার বিবরণ লিপিবদ্ধ করেছেন। সকল ঘটনাই যদিও  বহুপঠিত,তবু বার বার ,বিশেষ বিশেষ  কিছু ঘটনার কথা পড়লে শৈলজাবাবু ও রবীন্দ্রনাথের ঘনিষ্ট ও সহজ সম্পর্কের মধুর ছবি মনে ভেসে ওঠে। সেই সব অনুপম মুহুর্তের ঘটনাবলীর  মধ্যে সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক হল শান্তিনিকেতনে ১৯৩৯ সালের বর্ষামঙ্গল অনুষ্ঠানের জন্য কবির কাছ থেকে  শৈলজাবাবুর পছন্দের ও ফরমায়েশের একাধারে পনেরটি গান সুকৌশলে আদায় করে নেবার কাহিনী!  সেই বহুপঠিত পনেরটি গান রচনার পুঙ্খানুপুঙ্খ  বর্ণনার মধ্যে না গিয়ে, আমি আজ কেবল একটি মাত্র  গান রচনার ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করবো , তার প্রেক্ষিতে আমার ব্যক্তিগত অভিমত ব্যক্ত করবো এবং পরিশেষে পাঠককুলের নিরপেক...

তিরিবাও – প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রথম বর্ষপূর্তি, লোকজীবনের বারোমাস্যা
তিরিবাও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়   তিরিবাও লিহি ফুঁইকছো, উয়ার আবাজ হচেক লাই। তিরিবাও-য়ের মিঠা টান হ মুনে যদহি বাজাই। বীরভূম জেলার রাজনগর ব্লকের এক আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম ছাতিনা। আমার যেমন এলোমেলো ভাবনা, তেমনই এলোমেলো কাজ। ২০১৮-র এক বসন্তের সকালে চললাম সেই গ্রামে। সেখানে গিয়ে কি দেখবো, কি শুনবো, কোথায় বেড়াবো, কিছুরই ঠিক ঠিকানা নেই। সাধারণত এমনটা আমি করিনা। কোথাও যাওয়ার আগে সেই জায়গার ইতিহাস, ভূগোল মায় প্রকৃতি বিজ্ঞানও পারলে ঠোঁটস্থ করে তবেই যাই। কিন্তু ছাতিনার বেলা সেসবের ধার ধারিনি। সবে ফাল্গুনের মাঝামাঝি। তাই,বিকেলের পরে হালকা কুয়াশা নেমে এসেছিল ক্ষেতের ওপর। তবুও সর্ষে ক্ষেতের মাঝ দিয়ে পথ করে এগিয়ে চললাম ধামসা আর মাদলের শব্দ লক্ষ্য করে। একমাত্র সঙ্গী, বছর চল্লিশের টোটো চালক মনোজ। সে তার টোটো নিয়ে সেই পথেই এগিয়ে চললো। তার মাথাতেও যে আমারই মতো পোকা আছে,তা তখনও বুঝিনি। খানিক যাওয়...
বাজি – ব ন্দ না  মি ত্র

বাজি – ব ন্দ না মি ত্র

গল্প, প্রথম বর্ষপূর্তি
বাজি ব ন্দ না  মি ত্র সমুদ্রের তীর থেকে একটু ভেতরে সরু জেলে ডিঙিটা ঢেউএর তালে ব্যালান্স করছিল বলাই,শক্ত তামাটে পেশিবদ্ধ দুই হাতে বৈঠা ফেলছিল স্রোতের ওঠা পড়া বুঝে। গা চিট চিট করছে নোনা ঘামে,সুয্যি মাথায় উঠেছে দু প্রহর হল, এখনও তেমন মাছ পড়ে নি আজ। এই সময় অন্যদিন ঝাঁক বেঁধে রূপচাঁদা,লইট্যা,ম্যাকারেল,সার্ডিন,করাতি,চিংড়ি, এমনকি ইলিশও জালে উঠে পড়ে,আজ পূর্ণিমা,জোয়ারের হেতু জল বেড়েছে-মাছ মোটেই আসছে না ধারে কাছে। এমন চললে ও আজ নিজেই বা কি  নেবে আর ওর সাকরেদ শম্ভুকেই বা কি দেবে! সেই সকাল থেকে ওর সঙ্গে রয়েছে ছেলেটা, খাই খরচ বলেও তো দশ বিশ টাকার মাছ হাতে তুলে দিতে হবে! মেজাজ ভাল নেই বলাইএর। কোমর হাতড়ে বিড়ির প্যাকেটটা বের করল - যাঃ শালা, মাত্র একটা বিড়ি পড়ে আছে! সামনে একটা সাদা পাল খাটানো বড় নৌকা ভাসছে, পালের ডগায় একটা মাছরাঙা। বলাই হাঁক দেয়," শম্ভু, বল তো পাখিটা কোন দিকে বাঁক নেবে? বলতে পারলে শেষ বি...
বোধন – শ্রুতি দত্ত  রায়

বোধন – শ্রুতি দত্ত  রায়

গল্প, প্রথম বর্ষপূর্তি
"বোধন" শ্রুতি দত্ত  রায় ডাইনিং টেবিলে ব্রেকফাস্ট সাজাতে সাজাতে ভাবছিল মৌলি। আজ কথাটা অগ্নিকে বলতেই হবে। তিনদিন আগে ফোনটা আসার পর থেকে বলবো-বলবো করে বলাই হচ্ছে না। উপযুক্ত সময় সুযোগ কোনটাই জুটছে না। তাছাড়া কথাটা শুনে অগ্নি কিভাবে রিয়্যাক্ট করবে সেটাও ঠিক বুঝতে পারছে না মৌলি। অবশ্য গতকাল অফিস ফেরার পর থেকে এখনও পর্যন্ত অগ্নির মুড ভাল আছে বলেই তো মনে হচ্ছে। আজ বোধহয় প্রমোশন অর্ডারটা হাতে পাবে। কদিন ধরে ওর অফিসের আবহাওয়া মনে হয় অনুকূলেই আছে। অবশ্য সেটা অনুকূলে আনতে অগ্নিকে কম পরিশ্রম করতে হয়নি। নিজেকে কোম্পানীর হাতে পুরোপুরি সঁপে দিয়েছে তো বটেই,তার সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে বাগে আনতে অনেক কাঠখড় পুড়িয়েছে। আর তাই উন্নতির সিঁড়িগুলো টপকাতে পেরেছে সহজেই। এখন বাকি একটি মাত্র ধাপ। ওটা পেরোতে পারলেই কেল্লা ফতে করবে মৌলির সুদর্শন,স্মার্ট,উচ্চাকাঙ্খী স্বামী অগ্নিমিত্র সেন,যিনি বিখ্যাত রায় এন্ড রা...
মাতৃত্বের চতুষ্কোণ – রেশমি দত্ত

মাতৃত্বের চতুষ্কোণ – রেশমি দত্ত

গল্প, প্রথম বর্ষপূর্তি
মাতৃত্বের চতুষ্কোণ রেশমি দত্ত কাল সারা রাত দু চোখের পাতা এক করতে পারেনি অনুরাধা | সকাল হতেই একটা উবের ডেকে কোলকাতা এয়ারপোর্টের দিকে রওনা দিল ,আজ পাঁচ বছর পর তার একমাত্র মেয়ে রুমি দেশে ফিরবে | প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি তে পড়ার সুযোগ পেয়ে রুমি পাড়ি দিয়েছিল আমেরিকা | তারপর রোজ মায়ের সঙ্গে অনলাইনে কথা হতো,একদিনও মেয়ের ভুল হয়নি | অনেকক্ষণ কথা বললেও যখন বলতো,"মা! আজ রাখি তাহলে?" তখনই অনুরাধার মনে হতো,"আরো একটু কথা বল না মা |" এই ভাবেই কেটেছে পাঁচটি বছর | ফ্লাইট এসে পৌঁছোবে দশটায়,কিন্তু পাছে রাস্তায় জ্যাম হয় এই ভেবে অনুরাধা সকাল সাতটায় বেরিয়ে পড়ল বাড়ি থেকে | এক্সট্রিম সাউথ থেকে যাবে সে | ট্যাক্সিতে যেতে-যেতে অনুরাধার মনে পড়ছিল অনেক কিছু,সেই কোন ছোটবেলায়-তার বাবা-মায়ের কথা | অনুরাধার বাবা-মা "অনু" নামেই তাকে ডাকত | তখন কতই বা বয়স হবে? এই বছর পাঁচ কি ছয়,প্রতি রবিবার মা-বাব...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!