Shadow

প্রথম বর্ষপূর্তি

প্রথম বর্ষপূর্তি

মৃত্যু নগরী – কাকলি সেন

মৃত্যু নগরী – কাকলি সেন

কবিতা, প্রথম বর্ষপূর্তি
মৃত্যু - নগরী কাকলি সেন এ যাবৎ নিভে থাকি বেশ, শূন্য পাতা,না বলা কথা নিয়ে অবশেষ। দুপুর তামাদি হলে, আঁধার ভীড় করে আসে কিছু ভালোবেসে। গাঢ় হয় ,দৃঢ় হয় স্নেহশৃঙ্খল, ধূলি ধূসরিত খাতা,স্মৃতিসম্বল। কথা ছিল নত হবো,দ্রব হবো, আজান ভোরে, দেখা হবে,লেখা হবে কোনো অজানা চত্বরে। নেই তট,নেই ঘাট,নদীও স্হবির, ভাঙন ধরেছে বুকে নেই সেই তীর। অতীত জমছে ক্রমে নস্টালজিয়া হিসেব মেলেনি আজও প্রেম-পরকীয়া। মানুষ একলা শব শূন্য সারনী ভীড় আছে,হাত নেই বুঝতে পারিনি। ধার করা স্মৃতি লেখে প্রেম,প্রাপ্তি,ঋণ, যা কিছু হয়নি বলা গোপন গহীন। শব্দের ভীড় নেই,নিভৃতবাস নয়নে বাস্পবারি শোক জলোচ্ছ্বাস ৷ হে আমার গতজন্ম,আরণ্যক মন, নতজানু হই মোরে দাও উত্তরণ। বিভেদ দূরে থাক করো নির্মোক, পদ্যের সাথে সেই গল্পটা হোক। দেশ বেশভূষা যাক দূরে বহুদূরে, ধার্মিক নিক ছুটি আপাত মন্দিরে। মসজিদে সন্ন্যাসী লালন আওড়া...
জীবনধারা – শুভজিৎ বসু

জীবনধারা – শুভজিৎ বসু

গল্প, প্রথম বর্ষপূর্তি
জীবনধারা   শুভজিৎ বসু পু‌ত্র হরেকৃষ্ণকে নিয়ে ওর মা পঞ্চাশ সালে সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিম দিনাজপুরের হিলি থেকে পঁচিশ কিলোমিটার দূরের এক অখ্যাত গ্রামে বসবাস শুরু করেন। দেশভাগের আগে থেকেই ওদের বেশিরভাগ জমি এদিকে ছিল। যার ফলে বসতবাড়ি ও সামান্য জমি ত্যাগ করে ওদের এখানে আসতে হয়,সব হারিয়ে নয়। মাটির দেওয়ালের দুটি ঘর,মাথায় টিন। বাবা এই মর্মান্তিক দেশভাগের অনেক আগেই মারা যান। এখানে মোট পাঁচ বিঘে জমিই হল ওদের উদরপূর্তির উৎস। মার পক্ষে সব গৃহস্থালি কাজ  করা খুব কষ্টকর হওয়ায় বাড়িতে বৌ আনার কথা ভাবনাতে আসে। খুঁজে পেতে হরেকৃষ্ণকে পাশের পাড়ার মেয়ে সবিতার সঙ্গে মা বিয়ে দেন। দুজনের কেউই পড়াশুনা বেশিদূর করে নি। সবিতার কোন ব্যাপারেই রা নেই। বাড়ির যত কাজই থাক না কেন সবিতা নিজের হাতে আনন্দের সাথেই তা করে । দুঃখ কষ্ট নিত্যসঙ্গী হলেও তারা তিনজনে মানিয়ে নিয়ে দিনাতিপাত করে। ওদের এক কন্যা হয় আটান্ন সালে। সবাই বলত না...
অপরাজিতা – নাজির হোসেন বিশ্বাস

অপরাজিতা – নাজির হোসেন বিশ্বাস

গল্প, প্রথম বর্ষপূর্তি
অপরাজিতা নাজির হোসেন বিশ্বাস "ও রুনাদি তোমার মেয়ের তো খুব সুনাম শুনছি গো! এতদিন পাড়ার লোকে কত গালমন্দ করতো,যেই দেখেছে মেয়েটা একটু নাম কিনেছে,সবাই কেমন পাল্টি খেয়ে গেল। মানুষ হলো গিয়ে সব বেইমানের জাত।" "সাত সকালে তুই কি নিয়ে পড়লি রাধা,লোকে কত কি বলবে সব শুনতে গেলে চলবে? তুই নিজের কাজ কর দেখি,না হলে যে মেয়েটা খেয়ে যেতে পারবে না।" "না দিদি তুমি যাই বলো না কেন,তোমাকে তো কম কথা শুনতে হয়নি? সারা জীবন ধরে কষ্ট করে খেয়ে না খেয়ে,বলতে গেলে যুদ্ধ করে টিকে আছো,কেউ না জানুক আমিতো জানি।" "ঠিক  আছে,তুই বাসনগুলো ধুয়ে,ঝাঁটটা দিয়ে দে আগে,আমি রান্না বসাবো।" বলেই রুনা দূরের নীল আকাশের দিকে চেয়ে রইলো! সেখানে কত ভাঙাগড়া চলছে,ঠিক তার জীবনের মত।  "রুনা,সামনে বার তোকে কিন্তু আরও ভালো রেজাল্ট করতে হবে। তুই কোনো পড়া বুঝতে না পারলে আমাকে বলবি,দেখিয়ে দেব।"  ঘাড় নাড়ে রুনা,"আচ্ছা স্যার" বলেই হাসিহাসি মুখ নিয়ে স্...
বীরপুরুষ – শ্বেতশঙ্খ বোস

বীরপুরুষ – শ্বেতশঙ্খ বোস

আবৃত্তি, প্রথম বর্ষপূর্তি
https://youtu.be/FDA_kpDL4tg শ্বেতশঙ্খ বোস পরিচয় শ্বেতশঙ্খ বোস চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। বাবা ডাঃ জয়দীপ্ত বোস, মা সাধনা বোস পেশায় যোগাসন শিক্ষিকা। শ্বেতশঙ্খ ছবি আঁকাতেও পারদর্শী। আবৃত্তির সাথে সাথে ক্রিকেট খেলা ও হাতের কাজ করা তার অন্যতম পছ ন্দের মধ্যে আছে।
মহামারী শেষে – চিন্ময় চক্রবর্তী

মহামারী শেষে – চিন্ময় চক্রবর্তী

কবিতা, প্রথম বর্ষপূর্তি
মহামারী শেষে                                      চিন্ময় চক্রবর্তী                                            আর যারা বাকি ছিল, তারা সব চলে গেল মহামারী পারে। কেউ নেই বাঁধা কোনো তারে, রক্ত বোধ নেই আর। জাত নেই, ধর্ম নেই ৷ নেই কোনো সুতো। একটাই পরিচয়। যুদ্ধ পুরোহিত। আর সব অর্থহীন। অন্য সব কথা। অন্তমিল নেই কোনো। এমন কবিতা। বাকি ছিল যারা সব, পিতৃহারা,মাতাহীন,পরিবার,কিছু নেই কোনো, অন্য ভাষা যদি শোনা যায়, চেষ্টা করো,কান পেতে শোনো। যুদ্ধ মাঠ ভিন্ন ছিলো, অস্ত্র ভিন্ন,ভিন্ন দল, শুধু ছিলো অন্তিমের চাক্ষুষ  ফলাফল। মহামারী পার করে বেঁচে থাকা। প্রকৃতির প্রতিশোধ চেখে দেখা। আর শুধু মিল এক। সবকিছু আলাদার মাঝে, ক্ষুদ্র অসুর এক একা একা রাজে। শত্রু এক। ক্ষুদ্র এক কীট। মানব সভ্যতা মাঝে ছোট্ট এক ভয়ঙ্কর গিঁট , মানুষের অন্ধকার থেকে উঠে  আসা। ভয়াল সে শত্রু বড় খাসা। খাদ্য তার ধর্ম,জাতি,...
হারানো দিনের গল্প – চন্দ্রকান্তি দত্ত

হারানো দিনের গল্প – চন্দ্রকান্তি দত্ত

গল্প, প্রথম বর্ষপূর্তি
হারানো দিনের গল্প চন্দ্রকান্তি দত্ত হারানো দিনের একটা গল্প বলি। গল্পের সময়কাল গত শতকের ছয় ও সাতের দশক। গল্পটা বুঝতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে সেই সময়টাতে। বীরভূমের আহমেদপুর থেকে বর্ধমানের কাটোয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ন্যারোগেজ বা ছোট লাইনের একটা রেলপথ। মাত্র বাহান্ন কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথটা চালু হয়েছিল বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ১৯১৭ সালে। বৃটিশ শাসনাধীন ভারতে লন্ডনের ম্যাকলিয়ড রাসেল এন্ড কোম্পানি সেসময় বাংলায় মোট চারটে ছোট ছোট রেলপথ বানিয়েছিল। এই আহমেদপুর-কাটোয়া রেলপথ তারই মধ্যে একটা। ছোট লাইন,ছোট গাড়ি। গতিও তার তেমনই। মাত্র ১২ কিলোমিটার তার সর্বোচ্চ গতি। তবে ট্রেন কখনও তার সর্বোচ্চ গতিতে  ছুটেছে,একথা অতিবড় নিন্দুকেও বলতে পারবে না। এ সম্পর্কে একটা মজার গল্প আছে। বছর দশ-বারোর একটা ছেলে ট্রেনে চৌহাট্টা থেকে গোপালপুরে তার স্কুলে যাচ্ছে। জানালা দিয়ে দেখে,পাশের রাস্তা ধরে একজন বয়স্কা মহিলা সবজি...

এসো শ্যামল সুন্দর – রেশমি দত্ত

গান নাচ ও বাদ্য, প্রথম বর্ষপূর্তি
https://youtu.be/cK0s76FK7kA রেশমি দত্ত  জন্ম ও পড়াশোনা কোলকাতায় ৷ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর  - পেশায় শিক্ষিকা রেশমির অবসরের বিনোদন হলো বইপড়া ৷ শৈশব থেকে  বাবার অনুপ্রেরণায় গল্প ও কবিতা লেখার শুরু ৷ শিশুদের সঙ্গে সময় কাটানো এবং ভ্রমণ ওর প্রিয় বিষয় ৷  
খেলব কখন ? – প্র ত্যু ষ সে ন গু প্ত

খেলব কখন ? – প্র ত্যু ষ সে ন গু প্ত

কবিতা, প্রথম বর্ষপূর্তি
খেলব কখন ? প্র ত্যু ষ সে ন গু প্ত সবাই গভীর ঘুমে এখন আড়মোরা দেয় সুয্যিমামা এই ভোরে মা ডাকছো কেন? স্কুলে যাবো? ভাল্লাগে  না ৷ ইচ্ছে যে হয় শুয়ে পড়ি চুপটি করে বাবার কোলে উপায় আছে? স্কুলের গাড়ি ঐ বুঝি মা এলো চলে ! দু'চোখে মা ঘুম জড়িয়ে তার মাঝেতেই ব্রাশ যে দাঁতে জামা জুতো ব্যাজ টাই পরিয়ে - দুধের গ্লাসটা ধরাও হাতে ৷ দুই কাঁধে মা দারুণ ব্যথা - বইয়ের বোঝায় ধরছে যে হাঁপ - খেলব কখন ? সময় কোথা ? পড়াশোনার ভীষণ যে চাপ৷ অ্যাত্তোগুলো বই খাতা আর - হোমটাস্কেই হারায় খেলা ! কাড়ছো কেন তোমরা আমার এমন সাধের ছেলেবেলা ? **************************************************** প্র ত্যু ষ সে ন গু প্ত পরিচিতিঃ সরকারী বেসরকারী মিলিয়ে নানা রকম চাকরী করে এখন বেলাশেষে কলম ধরেছেন। প্রথম চাকরী এক ওষুধ কোম্পানীতে। তারপর চা বাগানে। এরপর দু'দুটি খবরের কাগজে সাব এডিটর। শেষ পর্বে গোপনীয়তায় ভরা সরকারী চাকর...
“আহ্বান” – কঙ্কণা সেন

“আহ্বান” – কঙ্কণা সেন

কবিতা, প্রথম বর্ষপূর্তি
"আহ্বান" কঙ্কণা সেন              সমুদ্র ডাকছে মাসকাবারি গণিত দিচ্ছে বাধা। উথাল পাথাল ঢেউ উদাস করা হাওয়া মনের নেই কোনো খেই গলাটিপে হত্যা করা ইচ্ছেগুলোর শব শুধু ভেসে বেড়ায়।               পাহাড় ডাকছে বৃদ্ধ অঙ্গুলি আর তর্জনী করে শাসন। হিসেব মেলে না যে! প্রতিদিনের নামতা পড়তে পড়তে সব গরমিল। টিকে থাকা ইচ্ছেগুলোকে লাগাম পরালাম।                    অরণ্য ডাকছে--- যাব।যাবই আমি তোমার কাছে। কিন্তু কবে জানি না। সবুজে সবুজ হতে শরীর মনে রঙিন হতে এতো বাধা কেন? দু'হাতে নিত্য কর্মের বাধা ঠেলে বড়ো দেরী কেন যে হয়?                    আকাশ ডাকছে আমার প্রণতি গ্রহণ করো-------- নীলিমায় নীল করে দাও আমায়। এই গ্রহের বাইরে সব গাণিতিক সীমা ছাড়ায়ে আমার সবটুকুকে তুমি নাও মহাকাশ।। ************************************************* কঙ্কনা সেন পরিচিতি: রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহ...
ভেঙে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে – রাজর্ষি গুহ

ভেঙে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে – রাজর্ষি গুহ

গান নাচ ও বাদ্য, প্রথম বর্ষপূর্তি
https://youtu.be/O-ZN_XZ_N9g রাজর্ষি গুহ পরিচিতি: পেশায় একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হলেও,রাজর্ষি ছোটবেলা থেকেই সংগীতের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। অবশ্য ছবি তোলা হোক বা খুন্তি নাড়া,সবই অত্যন্ত প্রিয়। কলকাতার বেহালাতে ছোট থেকে বড়ো হওয়া। শিল্পের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছানো এবং সকলকে নিয়ে এক ইতিবাচক স্বপ্ন দেখাই ওর এক নিরলস অভ্যাস।...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!