Shadow

আলোকপাত

আলোকপাত

ব্যান্ডেল চার্চ এবং তৎকালীন ইন্ডিয়া – সুলগ্না চক্রবর্তী

ব্যান্ডেল চার্চ এবং তৎকালীন ইন্ডিয়া – সুলগ্না চক্রবর্তী

আলোকপাত, বসন্ত সংখ্যা
ব্যান্ডেল চার্চ এবং তৎকালীন ইন্ডিয়া  সুলগ্না চক্রবর্তী খবর পাওয়া মাত্র মাহমুদ শাহ চোখে অন্ধকার দেখলেন। কী করবেন ভেবে পেলেন না। পশ্চিম থেকে শেরশাহ আসছে তাঁর রাজ্য আক্রমণ করতে। এই আক্রমণ রুখে দেওয়ার মতো লোকবল তাঁর কাছে থাকলেও তা যে খুব একটা কার্যকর হবে না তা তিনি জানতেন। তাই খবর পাঠালেন গোয়াতে পর্তুগীজদের কাছে , সাহায্যের জন্য। পর্তুগীজরা সাহায্য করতে রাজি হলো একটা শর্তে। মাহমুদ শাহ ভেবে দেখলেন আগে তো রাজ্য সামলানো যাক তারপর পর্তুগীজদের ব্যবসা করার অধিকার নিয়ে ভাবা যাবে। রাজি হয়ে গেলেন তিনি। মাহমুদ শাহের রাজ্য আক্রমণ করলেন শেরশাহ বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে। পর্তুগীজদের কিছু করার ছিলো না এবং গৌড় দখল হলো। শেরশাহ প্রচুর স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে গৌড় ছাড়লেন আর এই যুদ্ধে পূর্ব শর্ত অনুযায়ী পর্তুগীজরা গৌড়ে বাণিজ্য করার অধিকার পেলো। যখন সপ্তগ্রামে  পর্তুগীজরা বাণিজ্য করে মোটা লাভের মুখ দেখবো  দেখ...
হায়দার আলি এবং দাক্ষিণাত্যের প্রথম ব্রিটিশ বিরোধী সামরিক জোট – দীপাঞ্জন মাইতি

হায়দার আলি এবং দাক্ষিণাত্যের প্রথম ব্রিটিশ বিরোধী সামরিক জোট – দীপাঞ্জন মাইতি

আলোকপাত, বসন্ত সংখ্যা
হায়দার আলি এবং দাক্ষিণাত্যের প্রথম ব্রিটিশ বিরোধী সামরিক জোট  দীপাঞ্জন মাইতি আজ থেকে প্রায় আড়াই শো বছর আগে ভারতবর্ষ তখন ছোট বড় অজস্র রাজ্য–অঙ্গরাজ্যের সমষ্টি মাত্র। স্বভাবতই নিজের নিজের ক্ষমতা আর রাজত্ব বিস্তারই প্রতিটি রাজার লক্ষ্য। প্রতিবেশী রাজ্যেরা নিজেদের মধ্যে অনবরত যুদ্ধে ব্যস্ত। যুদ্ধ জয়ের অদম্য স্পৃহায় রাজারা বিদেশী বণিক বাহিনীর সাহায্য নিতে লাগলেন। এই সুযোগে বিশেষ করে ব্রিটিশ এবং ফ্রেঞ্চ কোম্পানি বহির্বিশ্বের যুদ্ধ টেনে আনলো ভারতের মাটিতে একাধিক যুদ্ধে যুযুধান রাজাদের পক্ষ নিয়ে মাঠে নামল বিদেশী বণিক বাহিনী। একদিকে জয় পরাজয়ে ক্ষত বিক্ষত হতে লাগলো তৎকালীন ভারতীয় রাজারা আর সবার অলক্ষ্যে একে একে সমস্ত দেশী বিদেশী শক্তিকে পর্যদুস্ত করে ক্রমশ জাঁকিয়ে বসল ব্রিটিশ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এমন সময় যখন আপতদৃষ্টিতে প্রতিবেশী বিদেশীর চেয়ে বড় শত্রু এক রাজা! না ঠিক রাজা হয়ত নয় সেনাপতি,নবাব বা ...
বৃদ্ধাশ্রম : সমস্যা? না সমাধান? – সোনালী গুহ

বৃদ্ধাশ্রম : সমস্যা? না সমাধান? – সোনালী গুহ

আলোকপাত, কাশবন ২
বৃদ্ধাশ্রম : সমস্যা? না সমাধান? সোনালী গুহ  বৈদিক ভারতবর্ষে চতুরাশ্রমের কথা পাওয়া যায়। প্রৌঢ়ত্বে বাণপ্রস্থে যাবার রীতি ছিল। সংসার থেকে  স্বেচ্ছায় নির্বাসন।সংসারের সব  কাজ সেরে নিজের মতো জীবন যাপন করতে বাণপ্রস্থের পথে এগিয়ে যেতেন তখন সকলে।সংসার ত্যাগ করে ঈশ্বর চিন্তায় দিন অতিবাহ করার জন্য এই ব্যবস্থা। "পঞ্চাশোর্ধে বনং ব্রজেৎ।" বাণপ্রস্থে এইরকমই নিয়ম ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "কণিকা" কাব্যগ্রন্থের "শাস্ত্র" কবিতায় কবি যদিও বলেছেন, "পঞ্চাশোর্ধে বনে যাবে এমন কথা শাস্ত্রে বলে, আমরা বলি বাণপ্রস্থ যৌবনেতেই ভালো চলে।" .....          কিন্তু বিষ্ণুপুরাণে আছে,যখন গৃহস্থের নিজ দেহে বলি ও পলিত  উপস্থিত হবে এবং যখন পৌত্র ভূমিষ্ঠ হবে,তখন বনে গমন করা কর্তব্য। "Retirement from household life."  সংসারে তখন সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করে,তাদের হাতে সব ছেড়ে বাণপ্রস্থে যাওয়াই শ্রেয়। কিন্তু আমাদের ব...
স্ত্রীধন – ডঃ পর্ণশবরী ভট্টাচার্য্য

স্ত্রীধন – ডঃ পর্ণশবরী ভট্টাচার্য্য

আলোকপাত, বিহানবেলায়
স্ত্রীধন : প্রাচীন ভারতে নারীদের সম্পত্তির অধিকার সম্পর্কিত মতবাদ ডঃ পর্ণশবরী ভট্টাচার্য্য মানুষের সামাজিক পদমর্যাদা ও গুরুত্ব নির্ধারিত হয় মূলতঃ তার অর্থনৈতিক অবস্থানের প্রেক্ষিতে৷ আর সেই অবস্থান যদি শাস্ত্রসম্মত ভাবে  স্বীকৃত হয় তাহলে সেটাই প্রতিষ্ঠিত বিধি| প্রাচীনতম সাহিত্যিক উপাদান বৈদিক সাহিত্য থেকে শুরু করে আদি মধ্য যুগ পর্যন্ত যেসব শাস্ত্রীয় গ্রন্থ এবং তাদের টীকা ভাষ্য আছে,তার সবগুলিতেই বিধিবদ্ধ আইনের কথা পাওয়া যায়৷সম্পত্তির অধিকার (property right) নিয়ে এই সব গ্রন্থে বিশদ আলোচনা,নির্দেশাবলি, অনুশাসন আছে,যদিও সেই অধিকার-বিশেষভাবে পৈত্রিক সম্পত্তির উত্তরাধিকার~কেবলমাত্র পুরুষের৷ ফলে অর্থনৈতিক ভাবে তাদের একটি সুরক্ষাবলয়  তৈরি হয়েছিল,কিন্তু বঞ্চিত ছিল নারীরা| সমাজে নারীর ভূমিকা এবং তার যথার্থ স্থানটিকে চিহ্নিত করতে গিয়ে দেখাযায়,শিক্ষা,রাজনীতি,দর্শন,কলাবিদ্যা,বিভিন্ন সামাজিক ব...
বিস্মৃতির অতল থেকে – প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

বিস্মৃতির অতল থেকে – প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

আলোকপাত, বিহানবেলায়
PC: Wikimedia Commons বিস্মৃতির অতল থেকে প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সে অনেকদিন আগের কথা। গোয়া-র একটি ছোট্ট গ্রাম কুর্দি। বর্ধিষ্ণু এই গ্রাম ছিল কৃষিসম্পদে সম্পন্ন। প্রায় সাড়ে চারশ পরিবারে আনুমানিক তিন হাজার জনবসতির এই গ্রামে এক কৃষক পরিবারে জয়শ্রীবাঈ-এর গর্ভে জন্ম নেয় এক কন্যা সন্তান। তখন বৃটিশ শাসন। সময়কাল ১৯০৩ খ্রীষ্টাব্দ। জয়শ্রী তাঁর আদরের মেয়ের নাম রাখলেন মোগু। জয়শ্রী নিজে ছিলেন সুমিষ্ট ও সুরেলা কণ্ঠের অধিকারিণী। ছোট্ট মোগুর সুরের প্রতি প্রগাঢ় প্রেম দেখে জয়শ্রী মোগুকে উচ্চাঙ্গ সংগীত শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন মনস্থ করেন। তাছাড়া, অমন প্রত্যন্ত গ্রামে সেসময় সেভাবে পৌঁছয়নি শিক্ষার আলো। নিজের অপ্রাপ্তি তিনি কন্যার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়ার দৃঢ় সংকল্পে মাত্র দশ বছর বয়সের মোগু কে পার্শ্ববর্তী জাম্বোলিম গ্রামের মন্দিরে রেখে আসেন, যাতে সেখানে মোগু সংগীত শিক্ষার প্রাথমিক পাঠ প্রাপ্ত হয়। জাম্বোলিমে এক ভ...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!