Shadow

কবিতা

কবিতা

ধ্রুবসত্য – ডা. সুচন্দ্রা মিত্র চৌধুরী

ধ্রুবসত্য – ডা. সুচন্দ্রা মিত্র চৌধুরী

কবিতা, বসন্ত সংখ্যা
ধ্রুবসত্য ডা. সুচন্দ্রা মিত্র চৌধুরী এই পরিবর্তনশীল দুনিয়ায় সবকিছুই পরিবর্তনশীল। সবকিছুই পাল্টায় সময়ের হাত ধরে,নিয়ম করে, তাইতো দিন থেকে কাল,কাল থেকে যুগ,যুগ সাক্ষী হয় ইতিহাসের ।। এই পরিবর্তনশীল দুনিয়ায় মানুষ ও পাল্টায় সময়ের সাথে পা মেলাতে মেলাতে,নিজের খোল-নলচে বদলে ফেলে কখন, তা সে নিজেও জানে না বা জানতে চায় না। সময়ের সাথে চলতে চলতে কেউ বা যায় এগিয়ে কেউ রয়ে যায় পিছনে,আবার কেউ মুখ থুবড়ে পড়ে। টেনে তোলার হাত তখন পাবে,যখন তাদের দলভুক্ত হবে।। মূল‍্যবোধ ও পরিবর্তিত হয়,সময় থাকে তার সাক্ষী।। আজ যা সত্যি কাল তা মিথ্যা আর কাল যা ছিল মিথ্যা আজ তা সত্যি। সত্যি-মিথ্যার চলে লুকোচুরি এখন যা ভালো পরে তা খারাপ,আর এতদিন যা খারাপ ছিল আজ তা ভালো। এ জগতে ধ্রুবসত্য কিছুই নেই,সবকিছু আপেক্ষিক।। এই পরিবর্তনশীল দুনিয়ায় সবাই পাল্টায়,সবকিছুই পাল্টায়,পাল্টায় না শুধু বোকারা। তাই বোকারা একা আর কিছুটা বিভ্...
মৃত্যুঞ্জয় – ধ্রুবজ্যোতি চক্রবর্তী

মৃত্যুঞ্জয় – ধ্রুবজ্যোতি চক্রবর্তী

কবিতা, বসন্ত সংখ্যা
মৃত্যুঞ্জয় ধ্রুবজ্যোতি চক্রবর্তী    জীবন তুমি মৃত্যুকে ছুঁয়ে থাকো ভয়কে জয় করবে তুমি তখনই, জীবন তুমি ভয়কে দূরে রাখো জয়টা তোমার হবেই হবে জানি। জীবন তুমি মানুষকে ভালোবাসো ভালোবাসার মানুষ বড় কাঁদে, চলার পথে থমকে যেয়ো নাকো ভালোবাসা তোমায় বড়ো বাঁধে। বাঁধন পড়া তোমার কর্ম নয় বাঁধন টুটে দিতেই হবে পাড়ি , সঙ্গে থাকুক জীবনমুখী চলা চলার পথে তুমিই তো কান্ডারী। শূন্য হাতের শত বঞ্চনা আসুক শূন্য মানেই শূন্যতা নয়, হতাশার গ্লানি ঝেড়ে পড়ো নির্মোক বিবেকাদর্শে তুমিই মৃত্যুঞ্জয়। জীবন তুমি মৃত্যুকে ছুঁয়ে থাকো মৃত্যু তোমার স্পর্শে জীবন পাক, সত্য নিষ্ঠা সততার জয় হোক দেহটুকু শুধু অগ্নিতে পুড়ে যাক ৷ ********************************* ধ্রুবজ্যোতি  চক্রবর্তী কবি গল্প লেখক ও আবৃত্তিকার। এছাড়াও নাট্যশিল্পী ও নাট্যপরিচালক  ...
মহাশ্বেতা – বন্দনা মিত্র

মহাশ্বেতা – বন্দনা মিত্র

কবিতা, বসন্ত সংখ্যা
মহাশ্বেতা বন্দনা মিত্র বসন্ত পঞ্চমী রাতে ব্যস্ত স্টেশনে দেখেছি বালিকাটিকে। দেখেছি আলোর নীচে একমনে ঝুঁকে পড়া একাগ্র শরীর, খোলা বই, বাসি কাগজের কাটা খাতা। ভ্রূকুঞ্চিত উজ্জ্বল বাদামী মুখে পলাশরেণুর মত গুঁড়ো মাখা জ্ঞা পূর্বক সন প্রত্যয়। প্রত্যয় দেখেছি আমি অপুষ্ট চিবুকে তার, শক্ত পেন্সিল ধরা শীর্ণ হাতে দেখেছি অদৃশ্য বীণা, অনুপম মীড় চোখের আড়াল করা দেদীপ্য ত্রিনয়ন - বসন্ত পঞ্চমী তিথি, শীতার্ত সন্ধ্যায় দেবীকে দেখেছি আমি স্টেশনের ম্লান আলো মেখে সকরুণ জ্ঞানস্বরূপিনী। চলন্ত জানলা থেকে কৌতূহলে প্রশ্ন করি, "কে তুমি! কি নাম তোমার?" উচ্ছল কৌতুক স্বর দূর থেকে ভেসে আসে "সরস্বতী মুর্মু বটে।" **************************************** বন্দনা মিত্র পরিচিতি পেশায় প্রযুক্তিবিদ,ধাতুবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা। একটি পাবলিক সেক্টর সংস্থায় কর্মরতা। ঘোরতর সংসারী। শখের খাতিরে লিখতে শুরু করে ...
কাব্যময়ী – প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

কাব্যময়ী – প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

কবিতা, বসন্ত সংখ্যা
কাব্যময়ী প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়   দিগন্ত উন্মুক্ত, উন্মোচিত, যেন স্থিত বনস্পতিরাজি। সাগর তরঙ্গসম চিন্তন হিল্লোল প্রশান্ত হইল আজি। সাজিল কুসুমে মন, চিত্রার্পিত, আকিঞ্চিত, নির্বাক, অর্দ্ধ-হতচেতন হেন, মূর্ত হইল এবে বিমূর্তের ডাক। যদিবা আসিল, সুপ্ত চেতনাসমষ্টি  হইল জাগ্রত, যথা প্রত্যাখ্যাত, ক্ষতবিক্ষত, প্রেমিকের ব্রত। অবক্ষেপ প্রকটিত চেতনার সুস্পষ্ট ইঙ্গিতে । হউক সঞ্চয়, যথা ললিত নৃত্য, কাব্য তথা সঙ্গীতে স্পন্দিত, ছন্দিত, বন্দিত আপনার হৃত জাগতিক। যেন কলকাকলিকূজিত বিহগ সঙ্গীত তাহারই প্রতীক। তব অজর প্রণয় হৃদয়বিদারী আজি সঞ্চারিগামিনী। ক্ষণে ক্ষণে প্রলম্বিত তব আবিলতা হে রাজেন্দ্রনন্দিনী। আজি অন্তরা উপেক্ষিত, দলিত, মথিত, হে বীক্ষিত নারী। সুদীর্ঘ তিতিক্ষার অবসানে সিঞ্চিল মহা শান্তিবারি এ হৃদি কন্দরে। আজি সজ্জিত কুসুমিত তাই। অনন্তের প্রতীক্ষা যবে সমাপিবে, মিলিব তথায় অন্তি...
বিজনেস – কলমে:- অঙ্কন দন্ড

বিজনেস – কলমে:- অঙ্কন দন্ড

কবিতা, বসন্ত সংখ্যা
“বিজনেস” কলমে:- অঙ্কন দন্ড শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা! এর ব্যবসা ভালো। শিক্ষক তো বিজনেসম্যান, জ্ঞান এল ই ডি জ্বালো। টাকা কড়ি,পড়াশুনা কে বলো তো আগে? না ঝরালে অর্থ থোড়াই জ্ঞানের আলো জাগে? ম্যানেজাররা কোম্পানিতে আনেন নতুন প্ল্যান, শিক্ষা বেচে লাখপতি হয় কত বিজনেস ম্যান। সেফ গেম তারা ভালোই খেলে, স্টুডেন্ট তুই বোকা! বন্দুক তো তোদের ঘাড়েই বুঝলে কিছু খোকা? অযাচিত মেসেজ কেন? কেন কনসেন্ট লেটার? বাঁচিয়ে চল বাপ নিজের পিঠ ইট ইজ ফার বেটার। স্টুডেন্ট সবাই বুঝবে যবে ব্যবসায়ীদের কান্ড, শিক্ষা থাকবে,কেবল হবে ব্যবসা লণ্ডভণ্ড। *********************************** অঙ্কন দণ্ড পরিচিতিঃ জন্ম ২০০৩ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারী। বাসস্থান পুরুলিয়া জেলার আদ্রায়। মাতার নাম বনশ্রী দণ্ড,পিতার নাম স্নেহাশিস দণ্ড। অঙ্কনের লেখালেখির পথ চলা কবিতা দিয়ে। আনন্দবাজার পত্রিকার জেলার পাতা "ছোটদের পাতা" শী...
ফাগের অলি – পাপাই অধিকারী (পদ্মনাভ)

ফাগের অলি – পাপাই অধিকারী (পদ্মনাভ)

কবিতা, বসন্ত সংখ্যা
ফাগের অলি  পাপাই অধিকারী (পদ্মনাভ) রঙ পলাশী আদর কাড়া - দৃষ্টি সুখের মনপাখিরা ; দে ছড়িয়ে মনের আবির - ঋতুর ঘরে সৃষ্টিধারা ! ফাগুন আসুক অন্তরালে - মন বিবাগীর কথার বনে ; নীরব ডালে সজীবতা - সুবাস ছুঁয়ে অন্যমনে । বাহার শোভা আলোর ঝিলিক  - স্নিগ্ধ ধারায় আপন দোলা ; আয় দোদুলের শান্তিবারি - আজ রেখেছি দরজা খোলা ! পাহাড় সাজে আপন ঢঙে - রূপ রসে তার প্রফুল্লতা ; ওই মাঠেতে খুশির হাওয়া - মন চাদরে নবীন কথা ।। ********************************* পাপাই অধিকারী (পদ্মনাভ) পরিচিতিঃ প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক:- উত্তরণ ও সংস্কৃতি (সাংস্কৃতিক সমন্বয় কেন্দ্র) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রশিক্ষক:- শিক্ষা সংস্কৃতি পরিষদ আহ্বায়ক:- কবিতা উৎসব যুগ্ম সম্পাদিত বই :- "মানসপটে মীনা রায়" পেশা- পাঠদান, লিপি লেখক (Script writer), সঞ্চালক, কারু ও চিত্র ও শ্রুতিনাটক শিল্পী,  পাঠক। আগ্রহ - কবিতা ,গল্প ,গান...
বইমেলা ও গঙ্গাফড়িং – শচীদুলাল চট্টোপাধ্যায়

বইমেলা ও গঙ্গাফড়িং – শচীদুলাল চট্টোপাধ্যায়

কবিতা, বসন্ত সংখ্যা
বইমেলা                                                                        শচীদুলাল চট্টোপাধ্যায়                    বইমেলাতে বই খুঁজি না চপকাটলেট আবার কি এধার ওধার ঘুরছি সবাই দুই ঠোঁটেতেই হা হা হি। মাথায় ধুলো জামায় ধুলো ধুলোয় বৃন্দাবন ঢুকছে নাকে ধুলোয় ধুলো নাচছে তবু মন। হঠাৎ যদি বন্ধু মেলে জোরসে তাকে চেঁচিয়ে বলি কেমন আছিস ওরে সময় কাটে মেলার মাঠে সন্ধ্যা নামে ঝুপ বাড়ির পথে যে যার মতে নেই কথা নেই চুপ।। __________________   গঙ্গাফড়িং ঘাসের মাথায় গঙ্গাফড়িং তার মাথাতে হিম গঙ্গাফড়িং গঙ্গাফড়িং তুই কী পাড়িস ডিম? লাফাস ঝাঁপাস দ্বিগুণ হাঁফাস সুড়সুড়ি দিস ঘাড়ে এবার আমি বাঁধব তোকে কেই বা তোকে ছাড়ে? দুষ্টুমিটা দে ছেড়ে দে হাতটা বোলাই গায়ে চোখটি বুজে নাড়বি মাথা সবুজ বনের ছায়ে।। *********************************** শচীদুলাল চট্টোপাধ্যায় পরিচিতিঃ মানকুন্ডু স্...
আজ যখন অতীতের কথা ভাবছি – শ্রাবণী বসু

আজ যখন অতীতের কথা ভাবছি – শ্রাবণী বসু

কবিতা, বসন্ত সংখ্যা
আজ যখন অতীতের কথা ভাবছি  শ্রাবণী বসু নিকষ কালো অন্ধকারের ডানায় উড়ে যাচ্ছে আজ,কাল,পরশু। অথচ মানুষ বাঁচতে চেয়েছিল ভালোবাসতে চেয়েছিল। লোভ,হিংসার-অক্লান্ত অধঃপতনের শাস্তি পাচ্ছি আজকাল, খোলসের সিঁড়ি দিয়ে- ক্রমশ নামছি অন্ধকার গর্ভগৃহে। অথচ চড়ুইয়ের ভাঙা বাসা দেখে পাথর হৃদয় কেঁদে উঠেছিল, প্রকৃতির রক্তচক্ষুর কাছে মাথা নত করে বসেছিল। চোখের মণিতে ধ্বংসের নিশান যেদিন থেকে উপনিবেশ গড়লো বাতাসে তাঁবু ফেললো সল্টপিটার গোলাপ ফোটা বন্ধ করে দিল। অথচ পাতার ছাউনিতে মানুষ শান্তির শয়নকক্ষ পেতেছিল। নীবার ধানের গন্ধে নেমে এসেছিলো ক্ষুধা নিবৃত্তির ঈশ্বর। *********************************** পরিচিতি: শ্রাবণী বসু পেশা শিক্ষকতা। কবিতা যাপনে যে সুখ পান,তেমনটি আর কোথাও পাননা। আর সেই কারণে কবিতা পাঠ করার সাথে সাথে লেখালিখি চলতে থাকে। প্রকাশিত যৌথ কাব্যগ্রন্থ: দ্বিপ্রহর-১ (প্রিয়মুখ প্রকাশনী বাং...
বিরহ বসন্ত – সুমনা ভট্টাচার্য

বিরহ বসন্ত – সুমনা ভট্টাচার্য

কবিতা, বসন্ত সংখ্যা
বিরহ বসন্ত সুমনা ভট্টাচার্য বিরহ ও মিলনের মাঝে থাকে অপেক্ষা.. নিবিড় সময়ের স্পর্শে,দূরত্বের অন্ধকারময় হৃদয়ের আলিঙ্গনে স্মৃতির সাঁকো এ মুহূর্তে বড় ধুলোময়,, আবীরের লাল রঙের স্রোতে ভেসে চলে ব্যর্থতার উপাচার। জীবন মৃত্যুর ছায়াপথ বেয়ে চৈত্র কিরণ তাই ফিকে করে দেয় ভালবাসার সাধনাকে। হলদে রোদ বিচ্ছুরিত আলো- আকাশ ভেদ করে মনের দুয়ারে দেয় রঙিন আলপনা... তবু অমেয় দিন আর রাত ঢেউয়ের প্রতিকূলতায়, ক্রমাগত অবদমিত হয়ে আসে প্রেম...নববসন্তের পুষ্পরাজিও বেদনায় আকুল হয় মৃদু আর্তনাদে ॥ অহিংসতার উদ্দাম বৈভব-তখনই রক্ত শাণিত আলেয়া শিখায় আকৃতি নেয় প্রণয় জোনাকির। ঈর্ষার লাল রঙের আড়ালে হারিয়ে যায় হৃদয়ের উষ্ণতা ॥ মৃত্তিকার গর্ভ ভেদ করে অস্তক্ত সূর্যও ঘুমিয়ে পড়েছে তখন... ফুরিয়ে আসে পৃথিবীতে ভালবাসা নামের বিচ্ছুরিত দিগন্ত ধীরে ধীরে। ফাল্গুনের শিমুল পলাশে,নদীর জলে,বিকেলবেলার পড়ন্ত একফালি আলোর সিঁড়িতে  নিস্তব...
সেই নারী – অনুপ দত্ত

সেই নারী – অনুপ দত্ত

কবিতা, বসন্ত সংখ্যা
          সেই নারী ডঃ অনুপ দত্ত সেই এক পুরুষ যে ঈশ্বর মানে না, সে কাঁদে অন্তরে বয়ঃসন্ধি কালে উষ্ণ রঙ মাখানো কোনও এক বিকেলে সেই পুরুষ সবে’তে রঙ চড়ায়, দ্যাখে সব সাঁঝ-লাগা বিকেলে৷ ৹ সেই এক পুরুষ যে ঈশ্বর মানে না,সে কাঁদে অন্তরে করতালি দিয়ে কেন হেসে ওঠে জটা-খোপা বোষ্টমী হরিদাসী গানে, ঢলে পড়লে হেঁটে যায় আঁশজলে উলঙ্গ কাপড়ে যেন অশুচি নিষ্ফলা সব,রেখেছে মানত্ অনন্ত সব পাথর ও পাথরে৷ ৹ সেই এক পুরুষ যে ঈশ্বর মানে না,সে কাঁদে অন্তরে হে পুরুষ,তুমি পালাও তবে পালাবার আগে বলে দিয়ে যাও কেন তুমি ঈশ্বর মানো না শয়তান’ও মানে জানি… কারণ শয়তান ও তোমাদের মাঝে যে ঈশ্বর সে বড় কঠিন,এবং তিনি সেই নারী! ***************************************** ডঃ অনুপ দত্ত পরিচিতি: কবি অনুপ দত্ত-র জন্ম কালীতলা হাট, বগুড়া শহর, বাংলাদেশ৷ ওপার বাংলায় ইশকুল শেষে বিশ্ববিদ্য...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!