Shadow

কবিতা

কবিতা

মিঠে রোদ – বনানী ভট্টাচার্য 

মিঠে রোদ – বনানী ভট্টাচার্য 

কবিতা, বসন্ত সংখ্যা
মিঠে রোদ   বনানী ভট্টাচার্য  আকাশকুসুম ভাবনা থেকে রোদের জন্ম হোক মিঠে ছোঁয়ায় সকালবিকেল সুখী দুটি চোখ বর্ণহীন এক দিগন্তে সে টানুক রঙের তুলি আমলকী বাগানেও তখন রোদের কোলাকুলি বিচ্ছেদ না, তবুও কোথাও মনের দরজা বন্ধ তারপরেও গোলকধাঁধা, হৃদয়পোড়া গন্ধ! আরও আছে, অভিমানের রঙিন গুঞ্জরণ অপেক্ষা, আর অপেক্ষারই ব্যথার সাতকাহন নীলের সাথে সবুজ মেশার ইশারা আকাশময় ভালো না লাগা ভুলে যদি রোদের জন্ম হয়।। *****************************************    ...
চরৈবেতি – কঙ্কণা সেন

চরৈবেতি – কঙ্কণা সেন

কবিতা, বসন্ত সংখ্যা
চরৈবেতি কঙ্কণা সেন জীবন চলে গড়গড়িয়ে কখনো ডানে কখনো বাঁয়ে কখনো রোদে কখনো ছায়ে কখনো নদীর কলতানে কখনো দ্রুত ছন্দেলয়ে আবার হঠাৎ বিলম্বিতে। জীবন চলে হনহনিয়ে বৃষ্টিফোঁটায় জীবন বাঁচে জলে-ঝড়ে মানুষ কাঁদে জীবন-নদী কভু না থামে মেঘমল্লার মন্দ্রস্বরে বেজেই চলে। ভোরের আজান,মন্ত্রপাঠে উজ্জীবিত হওয়ার সাথে এগিয়ে চলি ভৈরবীতে ভীমপলশ্রী ডাকছে কাছে ইমন বুঝি অপেক্ষাতে--- পূরবীর করুণসুরে গোধূলি বুঝি বিরহ মলিন জীবন-বীণা ওই যে বাজে----- সূর্য দ্যাখো অস্তগামী চলার পথে একলা আমি "কে বলে তুই সঙ্গীহীন! জানিস না রবি অস্তহীন"? রবির আলো মাখব গায়ে মনের কালো করব দূর আর ভয় নাই-------মাভৈঃ মাভৈঃ ডাক পেয়েছি মনের মাঝে একলা চলার ডাক যে ভাই।। ************************************ কঙ্কনা সেন পরিচিতি রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এম এ। ছোট থেকেই কবিতার প্রতি ভালোবাসা।...
অন্ধকারের যাত্রী -অনুপম মাহাতো

অন্ধকারের যাত্রী -অনুপম মাহাতো

কবিতা, বসন্ত সংখ্যা
অন্ধকারের যাত্রী অনুপম মাহাতো অন্ধকারের যাত্রী.... ক্লান্ত হওয়া পথের বাঁকে তোমার বাড়ি, অনন্ত পথের রসদ আমার স্বপ্ন দেখা নিঝুম রাত্রি; তোমায় আড়ি! চোখ ভারি হওয়ার ব্যামো, পিছুটানের বদভ্যাস এবেলা ছাড়ি; অগোছালো গল্পগুলো জড়িয়ে হঠাৎ কোনোদিন স্বপ্ন হয়ে নেমো; থামবে ঘড়ি; খালি পায়ে কাঁকর চোবানো শব্দে বন্ধ চোখে আলতো হেসে সুখের যত দুখের সাথে আড়ি। আবার কোনো শীতের শেষের রাত্রি, আসি বন্ধু,.... অন্ধকারের যাত্রী.... **************************************  ...
খেলব কখন ? – প্র ত্যু ষ সে ন গু প্ত

খেলব কখন ? – প্র ত্যু ষ সে ন গু প্ত

কবিতা, প্রথম বর্ষপূর্তি
খেলব কখন ? প্র ত্যু ষ সে ন গু প্ত সবাই গভীর ঘুমে এখন আড়মোরা দেয় সুয্যিমামা এই ভোরে মা ডাকছো কেন? স্কুলে যাবো? ভাল্লাগে  না ৷ ইচ্ছে যে হয় শুয়ে পড়ি চুপটি করে বাবার কোলে উপায় আছে? স্কুলের গাড়ি ঐ বুঝি মা এলো চলে ! দু'চোখে মা ঘুম জড়িয়ে তার মাঝেতেই ব্রাশ যে দাঁতে জামা জুতো ব্যাজ টাই পরিয়ে - দুধের গ্লাসটা ধরাও হাতে ৷ দুই কাঁধে মা দারুণ ব্যথা - বইয়ের বোঝায় ধরছে যে হাঁপ - খেলব কখন ? সময় কোথা ? পড়াশোনার ভীষণ যে চাপ৷ অ্যাত্তোগুলো বই খাতা আর - হোমটাস্কেই হারায় খেলা ! কাড়ছো কেন তোমরা আমার এমন সাধের ছেলেবেলা ? **************************************************** প্র ত্যু ষ সে ন গু প্ত পরিচিতিঃ সরকারী বেসরকারী মিলিয়ে নানা রকম চাকরী করে এখন বেলাশেষে কলম ধরেছেন। প্রথম চাকরী এক ওষুধ কোম্পানীতে। তারপর চা বাগানে। এরপর দু'দুটি খবরের কাগজে সাব এডিটর। শেষ পর্বে গোপনীয়তায় ভরা সরকারী চাকর...
আঁধার গাছ – মধুমিতা ভট্টাচার্য

আঁধার গাছ – মধুমিতা ভট্টাচার্য

কবিতা, প্রথম বর্ষপূর্তি
আঁধার গাছ মধুমিতা ভট্টাচার্য আমাদের আঁধার-গাছে রক্তফুল ফোটে জোনাকি বিছন দেয় হিমকুঁড়ি পাতায় পাতায় ডালপালা ছুঁয়ে থাকে পালকের চাবি পিউকাঁহা ভালবাসার মেঠো গান গায়  আমাদের কুয়াশা বাগানে অবাক ভৈরবী শিকড়ে ব্যথাবিধুর কোমল জলগান জলের ভেতর ঘুমে থাকে স্নেহমন আশ্চর্য মোহময় তাদের রূপটান আমাদের আঁধার-গাছে আলোর সংযম জলতরঙ্গের মত জ্যোৎস্না উপচায় হাওয়ার বাসরঘরে আনন্দ বিন্যাস মায়াজন্ম খসে পড়ে শুকনো পাতায় । ****************************************************** মধুমিতা ভট্টাচার্য পরিচিতিঃ জন্ম আসানসোলে,সেখানেই স্কুলবেলা শেষ হলে শান্তিনিকেতনে বাকি পড়াশুনো। লেখালিখির ভালোবাসা হাত ধরে লিখিয়ে নেয় কবিতা,ছোটগল্প বা প্রবন্ধ। একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্বে থাকায় ছোটদের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ তাই খুব ভালোলাগা ছোটদের জন্যে ছড়া বা গল্প লেখা। গান শোনা ও দু-চার কলি কন্ঠে সাজাতে ভালো ল...
ভালোবাসারা ভেসে যায়  – গীর্বাণী চক্রবর্তী 

ভালোবাসারা ভেসে যায়  – গীর্বাণী চক্রবর্তী 

কবিতা, প্রথম বর্ষপূর্তি
ভালোবাসারা ভেসে যায়  গীর্বাণী  চক্রবর্তী  আকাশ নামা আদুর প্রান্তরে চলে দুঃসহ তাপপ্রবাহ……. গোছানো ছিমছাম স্বপ্নেরা পলাতক। চোরাস্রোত তীব্রতর রঙিন জলে, যৌথ ধ্বনি ঘরে ঘুরপাক খায়। পাতা ঝরে যায়,পাখিরাও নিশ্চুপ, এমন তো ছিলে না তুমি প্রিয়তমা! স্বপ্ন দেখিয়েছিলে বউ কথা কও পাখির ডাক দিয়ে যাওয়া রামধনু বাসরের ৷  হাতছানি দিয়ে যাওয়া খোলা মাঠের উতল হাওয়ার,দূর নীলাকাশের। টুকরো টুকরো ভালোবাসারা স্রোতের টানে ভেসে যায় ;  গতির তীব্রতা বাড়ে। কখনও আবার অস্তিত্বের শেকড় ধরে জোরে টান মারে ভেতরের সুপ্রাচীন মান্ধাতার শ্যাওলা ধরা অমোঘ হাত…… জীবনের শতফুল আনন্দ বড় বিষণ্ন আজ। ************************************************************* গীর্বাণী চক্রবর্তী পরিচিতি জলপাইগুড়ি শহরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা, পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন শিক্ষকতাকে। প্রায় তিন দশক ছুঁয়ে আছে তার সাহিত্য সৃজন। ইতিমধ্যে অসংখ্য পত্র পত্রিকায়...
চরৈবেতি – কঙ্কণা সেন

চরৈবেতি – কঙ্কণা সেন

কবিতা, বিহানবেলায়
চরৈবেতি কঙ্কণা সেন বিষণ্ণতার বিল-জলে ডুব দিয়ে উঠেছি। আর তাকাবো না ফিরে অতীত,তুমি কবরেই থাকো। প্রতিদিনের চলমান মুহূর্তগুলোকে দু'মুঠিতে আঁকড়ে পা বাড়াব অনাগতের দিকে সে পথ হোক না পিচ্ছিল, ধূলিধূসর,রুক্ষ মরু---কাঁটা বিছানো বা ফুলের।। ********************************************************** কঙ্কনা সেন পরিচিতিঃ রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এম এ। ছোট থেকেই কবিতার প্রতি ভালোবাসা। বিশ্বাস মানবতায়। পেশা-শিক্ষকতা।    ...
ভাবনার পরিসর – প্রতিভা পাল সেন

ভাবনার পরিসর – প্রতিভা পাল সেন

কবিতা, বিহানবেলায়
  ভাবনার পরিসর প্রতিভা পাল সেন ঝুরঝুরে ভাবনার শরীরে ঘুণপোকার দৌরাত্ম্য,ক্লান্ত অবসরে; স্মৃতির রেলিং ধরে উদাস হওয়া মনের-বাঁক! পরিবর্তনের খেলায় সামিল,অভিযোজিত আগামীর অলি-গলি; স্পর্শক বরাবর হেঁটে চলা জীবন হঠাৎ থমকে দাঁড়িয়ে বলে,- 'স্বপ্ন'রা আজীবন মনেই বেঁচে থাক!' বন্ধ চোখের কোণ-জমা আর্দ্রতা,নীল-শূন্যতায় বাষ্পীভূত হতে চায়; ভোরের আলোর-স্নিগ্ধতায় আশার কিরণ লেখে,নতুন-সুরের স্বরলিপি! ব্যস্ততার ভীষণ-ভিড়ে তপ্ত রোদের দুপুর-ছোঁয়া অনুরাগ- গোধূলির আলোকবর্তিকায় আঁকে,আঁধার রাতের প্রতিচ্ছবি! কথা ছিল আবেগের মিছিলে সামিল হবে না পিচ্ছিল কোনও অনুভব; হিসেবের পাকদণ্ডী বেয়ে,সাজানো হবে কল্পনার পরিবৃত্ত! গুটিগুটি পায়ে যখন তারা'রা জ্বলে ওঠে আকাশের বুকে- এলোমেলো শহর তখন ভাঙা-চাঁদের জ্যোৎস্না মেখে সম্পৃক্ত! বাস্তবে,জীবন-পরিসর ভাবনার রঙে আবৃত!! *************************************************...
প্রেমপাহাড় – অর্কজ্যোতি মজুমদার

প্রেমপাহাড় – অর্কজ্যোতি মজুমদার

কবিতা, বিহানবেলায়
প্রেমপাহাড় অর্কজ্যোতি মজুমদার গাছের পাতায় লিখব উপন্যাস মনের ক্ষত কলম তো চিকন সরু মুখ বৃষ্টি তবে কালির আঁধার অমোঘ নীরবতায় ভিজছে টাপুর টুপুর। উপন্যাসের পুরুষ চরিত্র মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকা মেঘের গায়ে পাহাড় চূড়া যেমন‌ পুরুষ ঘরেতে ধৈর্য পাহাড় আনমনা। গল্পের নারী চরিত্র ঝর্ণা ঝোরা শীতল জল নরম কথা, ঘরে যেমন মুখ বুজে আহ্লাদী নারী আলতো মুখে সব কিছু মেনে নেওয়া। পাহাড় চিরেই ঝর্ণা বেরোয় সামনে এগোয় সব সহ্য'তায় ঘাত প্রতিঘাত পাথর বুকে ঝর্ণা তবু তবুও সে শব্দ করে গল্প বলে তার প্রেমের আলাপ পাহাড় কি আদৌ বুঝতে জানে? ঝর্ণা আছে কর্তব্যে বহুদুর অর্কিড পাইন দেবদারু বড় হয় সবুজ সাথী সম্বল সেই ঝর্ণার জল গভীর হয় গল্প তখন আচম্বিতে প্রেমের দাবি। সব গাছ হাতের উপর হাত কোলাকুলি রাত নহবৎ পাহাড় অবিচল গাম্ভীর্যে পারবে কি বলে উঠতে  সুন্দরের আরশি ঝর্ণা তুমি কেমন আছো আজকের ...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!