Shadow

গল্প

গল্প

পৌষ পার্বণ : স্মৃতির জানলা বেয়ে – সোনালী গুহ

পৌষ পার্বণ : স্মৃতির জানলা বেয়ে – সোনালী গুহ

গল্প, বসন্ত সংখ্যা
।। পৌষ পার্বণ : স্মৃতির জানলা বেয়ে।। সোনালী গুহ পৌষ সংক্রান্তিতে শীতের ওম মেখে পিঠে পুলি খাওয়ার মজাই আলাদা। খুব মনে পড়ছে, ছোটবেলায় এইদিনে সকাল থেকেই শুরু হতো আমাদের যাদবপুরের বাড়িতে বাস্তুপুজো। আগের দিন বাগানের একটি জায়গায় মাটি খুঁড়ে উনান বানানো হতো। জায়গাটা লেপা হতো গোবর দিয়ে।সংক্রান্তির ভোরে পুরোহিত মশাই এসে শুকনো ডালপালা, নারকেল পাতা দিয়ে উনান জ্বালাতেন। পৌষ বা মকর সংক্রান্তিকে উত্তরায়ণ সংক্রান্তিও বলে। কারণ, এই দিন থেকে সূর্য উত্তরায়ণের দিকে যাত্রা শুরু করে। উত্তরায়ণ সংক্রান্তিতে বাস্তুপূজার প্রচলন আছে। শঙ্খপাল বঙ্কপাল ক্ষেত্রপাল নাগপালের ধ্যান করে বাস্তুর ধ্যান করা হয় এইদিনে। বাস্তুর প্রণাম মন্ত্র হল,“ওঁ বাস্তুরাজ নমস্তুভ্যং পরমস্থানদায়ক। সর্বভূতজিতস্ত্বঞ্চ বাস্তুরাজ নমোহস্তুতে।“ সেইমতো গৃহ পুরোহিত উনান জ্বালিয়ে পেতলের কড়াইতে পায়েস রান্না করতেন। উপাদেয় সেই পায়েসকে ...
অনাকাঙ্খিত জীবন – ঊর্মি সরকার

অনাকাঙ্খিত জীবন – ঊর্মি সরকার

গল্প, বসন্ত সংখ্যা
আমি সুতপা। বাবা-মায়ের দুই সন্তানের আমি প্রথম। আমার একটা ছোট বোন আছে। তার নাম অনুতপা। আমার শৈশব কাটে মুম্বইয়ে, দাদু-দিদার কাছে। আমার যখন তিন মাস বয়স, তখন মা আমায় রেখে ফিরে যান আমার বাবার সংসারে। পাঁচ বছর পরে আমায় নিয়ে আসা হয় আমার পৈতৃক বাড়িতে। কিন্তু আজকের কথা আমায় নিয়ে নয়। এ কাহিনী আমার মায়ের জীবনের কাহিনী। একটা বয়সের পর থেকে মা কিছুটা আমার বন্ধু হয়ে গেছিলেন। মানে, সেই আমলে, যতটা ফ্রি হওয়া যায়। তখন মা'র কাছেই মা'র নিজস্ব কিছু কথা শুনেছিলাম। কিছু অনুভূতির কথা। সেই কথাই আজ বলতে এসেছি। রেখা অল্প বয়স থেকেই, "বিবাহ" নামক বস্তুটি কে একদম পছন্দ করত না। কোনদিনই বিয়ে করতে চায়নি সে। চেয়েছিল উচ্চশিক্ষা নিয়ে স্বাধীন জীবন যাপন করতে। কিন্তু সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরে এই আবদার মানা হবে কেন? তাই যথা সময়ে, তার বিয়ের কথাবার্তা শুরু হয়। রেখা সুন্দরী ছিলনা মোটেই। তবে সুশ্রী ছিল। উজ্জ্বল শ্যামবর্ণা মেয়েটি পড়াশোনা ...
ব্যথা – কাজরী বসু

ব্যথা – কাজরী বসু

গল্প, বসন্ত সংখ্যা
ব্যথা কাজরী বসু দরজাটা সামান্য ফাঁক করে ঈশিতা দেখল হাত মুখ নেড়ে ঋষির সঙ্গে গল্প করছে ঋদ্ধি। ঋষিও শুনছে খুব মন দিয়ে। মধ্যে মধ্যে হেসে উঠছে হো হো করে,ঋদ্ধিও হাসছে পাহাড়ী ঝর্নার মতো কলকলিয়ে,অনাবিল খুশিতে। ঋষিকে কেমন অচেনা লাগছে,শিশুদের সঙ্গে মেলামেশায় এত সাবলীল কবে থেকে হলো ঋষি? ঈশিতা অবাক। কাস্টডি মামলায় ঈশিতা ছেলের দখল পেলেও ডিভোর্সের সময় কোর্টের নির্দেশ ছিল ঋদ্ধিকে সপ্তাহে একবার ওর বাবার কাছে নিয়ে যেতে হবে। ছেলের হেফাজত পেতে খুব লড়েছিল ঋষি। মামলায় হেরে গিয়ে খুব মুষড়ে পড়েছিল সম্ভবত আর তারপরেই চাকরি থেকে দীর্ঘকালীন ছুটি নিয়ে কোথায় যেন উধাও হয়ে যায়। ঋদ্ধিকে যে আনবে,অনেক চেষ্টা করেও ঋষির পাত্তাই পায়নি ঈশিতা। ইতিমধ্যে প্রীতমকে বিয়ে করে নতুন সংসারের গোড়াপত্তন করার কাজটিও মিটে গেছে। দুম করে গতকালই হোয়াতে মেসেজ করে ঋষি জানায় সে ফিরেছে, ঋদ্ধিকে দেখতে চায়। সেই অনুযায়ী বেলতলা রোডের এই ফ্ল্যাটে ...
অতি পরিচিত গল্প – ব্রতী ঘোষ

অতি পরিচিত গল্প – ব্রতী ঘোষ

গল্প, বসন্ত সংখ্যা
অতি পরিচিত গল্প ব্রতী ঘোষ আজকাল অফিস থেকে বাড়ি ফিরতে আমার আর ভালো লাগে না | বাস থেকে নেমে পাড়া দিয়ে হেঁটে যখন বাড়ি ফিরি তখন আমার পা দুটো আর চলে না কারণ বাড়িতে প্রায় প্রতিদিনই লীনা আর মায়ের কথা কাটাকাটি লেগেই থাকে ৷ লীনার  সাথে আমার বিয়ে হয়েছে বছর তিনেক আগে ৷ আমি বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান,মার নয়নের মণি ৷ মা অনেক কষ্ট করে আমাকে মানুষ করেছেন আর সে কথা পাড়া-প্রতিবেশী আত্মীয় স্বজনকে বলতে  বেশ গর্ব বোধ করেন ৷ বাবার ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের বদলির চাকরি-সবে দু বছর হলো অবসর নিয়েছেন ৷ বারো  ক্লাস পর্যন্ত প্রতিদিন মা সাথে করে স্কুলে,টিউশনে নিয়ে গিয়ে বসে থেকেছেন ৷ মার পরিশ্রমের মূল্য আমি দিয়েছি,আইটি সেক্টরে বেশ বড় একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে মোটা মাইনের চাকরি করি আমি ৷ ও হ্যাঁ,বলতে ভুলে গেছি,আমি তন্ময় চক্রবর্তী ৷ চাকরি পেয়ে মার পছন্দ করা সর্বগুণসম্পন্না মেয়েকে বাড়ির বউ করে এনেছ...
সা র প্রা ই জ – প্রত্যুষ সেনগুপ্ত

সা র প্রা ই জ – প্রত্যুষ সেনগুপ্ত

গল্প, বসন্ত সংখ্যা
সা র প্রা ই জ প্রত্যুষ সেনগুপ্ত -আরে? আপনি কে? আপনি আমার প্রোফাইলে ঢুকলেন কীভাবে? চমকে গেলাম।আজ রবিবার।অফিস নেই।রুমমেট একসপ্তাহের জন্য ছুটিতে। বাড়ি গেছে।গতকাল পর্যন্ত বেশ চাপ ছিলো কাজের।আজ শুধু কুঁড়েমি করব।গাড়িটা সার্ভিসিং য়ে গেছে।সকালে দুবার কফি একবার চা হয়েছে।ব্রেকফাস্ট সারা।রান্না করে চলে গেছে যমুনামাসী। ল্যাপটপ খুলে এদিক সেদিকের পর ফেসবুক খুলতেই এমন ঝাঁঝালো সওয়াল।বেগতিক দেখে আঙুলগুলোও যেন তোতলাতে থাকে।আমি লিখলাম -মানে আমিতো কিছুই করিনি।ফ্রেন্ড  রিকোয়েস্ট লিস্ট দেখতে গিয়ে কয়েকটা নামে ক্লিক করেছিলাম কাল রাতে।আপনার নামে করেছি কি না সেটা মনে করতে পারছি না। -কিন্ত আমি কখনোই আপনার কাছে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাইনি তো? বুঝতে পারলাম কোথাও একটা মারাত্মক ভুল হয়েছে।আমি মহিলাদের থেকে একটু দূরে দূরে থাকতেই ভালোবাসি।আমি কিন্ত হিপোক্রিট নই।স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটিতে কো এড্। চাকরিতে ও অনেক মহিলা ...
খড়কুটো – জলি চক্রবর্তী শীল (সুধীর কুমার দত্ত স্মৃতি সাহিত্য প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার প্রাপ্ত গল্প)

খড়কুটো – জলি চক্রবর্তী শীল (সুধীর কুমার দত্ত স্মৃতি সাহিত্য প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার প্রাপ্ত গল্প)

গল্প, বসন্ত সংখ্যা
খড়কুটো জলি চক্রবর্তী শীল “পুরুষ কাঁদে” অন্তরে আমাদের মত তোমরা তো কাঁদতে পার না‚ তাই ভেতরে ভেতরে গুমরে মর| প্লীজ মহী সামলে ওঠ|  ' কথাগুলো বলতে বলতে চোখভরা জল উপচে পড়ে| 'আমি ঠিক আছি'| 'না ঠিক নেই তুমি‚ ঠিক নেই| নিজের চেহারাটা আয়নায় দেখেছ? দেড়দিনে কি হাল হয়েছে| এই পরিণতিটা তো তুমি-আমি জানতাম| তবু দুজনের তৃষিত হৃদয়কে বোঝাতে পারিনি সেদিন|' 'তোমার চেহারাটা আয়নায় দেখেছ?' 'আমি ‚ আমি সামলে নেব মহী| আমি ঠিক সামলে নেব| দেখবে একটা সময় চোখের জল শুকিয়ে গেছে| কিন্তু আমার চিন্তা আমাকে নিয়ে নয়‚ তোমাকে নিয়ে'| 'আমি সামলে নিয়েছি'| কথাগুলো যেন মহীরূহকেই ব্যঙ্গ করে| 'সামলে নেওয়া কি এতই সহজ মহী?  হৃদয়ের উত্তাপ দিয়ে এতগুলো বছর ধরে যাকে আগলে আগলে রাখলাম‚ যার সুখ কিসে‚ দুঃখ কিসে‚ ভালো লাগা কিসে এতটাই জানি আমরা দুজনে‚  তার শোক  এত সহজে সামলে ওঠা যায় না| তবু সামলে উঠতে তো হবেই| আমার তো তুমি ছাড়া আর কেউ নেই মহ...
রক্তদান – কবিরুল (রঞ্জিত মল্লিক)

রক্তদান – কবিরুল (রঞ্জিত মল্লিক)

গল্প, বসন্ত সংখ্যা
রক্তদান কবিরুল (রঞ্জিত মল্লিক) "আজ ঝুমরি পড়তে আসেনি কেন রে ? সামনেই তো পরীক্ষা।" "স্যার,আজ কাল দুদিন ও আসবে না বলেছে। শহরে যাবে। রেল লাইনের একটু পরেই বিশাল বড় চৌধুরী বাড়ি। ওখানে রক্তদান হবে।  আর বেশ কিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আছে। দুদিন ধরে চলবে নানা ধরনের প্রতিযোগিতা। ও ওখানে অংশগ্রহণ করবে। তাই ....." বর্ণিল একটু ভেবে ভেবে বলল। "ও ভুলেই গিয়েছিলাম। আজ তো পনেরোই আগষ্ট।" স্টেশনের পাশ দিয়ে যে লাল মোরামের রাস্তা চলে গেছে সেখান থেকে মিনিট পনেরো কুড়ি হাঁটলেই জোড়া দীঘি পড়ে। সেই দীঘির পাশেই বহুদিনের ঐতিহ্যশালী চৌধুরী বাড়ি। এই বাড়ির অতীত গরিমা আজও মানুষকে প্রভাবিত করে। দীঘির ঐ পাড়ে একটা দুটো মাঠ পেরোলেই যে কাঁচা পাকা ঘরগুলো চোখে পড়ে সেখানে বহু মানুষের বাস। ওখান থেকে দিনে পাঁচ বার নামাজের শব্দ আসে। ছেলেদের মাথায় অনেকের ফেজ টুপি। মেয়েদের মুখে কারো কারো বোরখা। ঈদের দিনে গান ভেসে আসে। একটা সময় যেক...
শ্রুতি – ডাঃ সুচন্দ্রা মিত্র চৌধুরী

শ্রুতি – ডাঃ সুচন্দ্রা মিত্র চৌধুরী

গল্প, বসন্ত সংখ্যা
শ্রুতি ডাঃ সুচন্দ্রা মিত্র চৌধুরী সুশোভন বসু ভয়ানক সময়নিষ্ঠ।আর হবেনই বা না কেন? ছোটবেলায় পড়াশোনা করেছেন দুন স্কুলে। যখন বয়স মাত্র ছয়, তখন এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মা মারা যান। মাকে ঠিক করে মনেই করতে পারেন না। কলকাতার একটা ইংরেজী মিডিয়াম স্কুলে ক্লাস ফোর পর্যন্ত পড়াশোনার পর, দুন স্কুলে ক্লাস ফাইভে ভর্তি হন। সেখানে থেকেই  টুয়েলভ পাশ ,এরপর সেন্ট জেভিয়ার্স থেকে ইংলিশ অনার্স করে চলে যান বিদেশে, সেখানে এম বি এ  করে দেশে ফিরে একটি এম এন সি তে যোগ দেন , এখন এই অর্গানাইজেশনেরই সি-ই-ও। জেভিয়ার্সে পড়ার সময়,শ্রীতমার সঙ্গে আলাপ এবং সম্পর্ক। শ্রীতমার,সুশোভনের বাড়িতেও যাতায়াত ছিল।বাবা,পঙ্কজ বসু,সব সময় ছেলেকে সাপোর্ট দিয়ে গেছেন। উনি বুঝতে পারতেন, ওর একটা দিক সবসময়ই কম, মা নেই। কিন্তু সুশোভন কিছুই কাউকে বুঝতে দেন না। ওর খুব আবছা মনে পরে, বাবা ছোটবেলায় বকলে ও যখন কাঁদতে কাঁদতে মা এর কাছে দৌড়ে...
শিউলি তলার রূপকথা – মণি ফকির (সুধীর কুমার দত্ত স্মৃতি সাহিত্য প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত গল্প)

শিউলি তলার রূপকথা – মণি ফকির (সুধীর কুমার দত্ত স্মৃতি সাহিত্য প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত গল্প)

গল্প, বসন্ত সংখ্যা
শিউলি তলার রূপকথা   মণি ফকির এই মাঠ টার নাম কি রে? শিউলি তলার মাঠ, দিদি। ওমা কি সুন্দর নাম। তোদের কি নাম রে? আমি তারক, ও উমা, এ কালাচাঁদ। হাহা, দারুন নাম তোদের। আচ্ছা তোরা এখন যা, আমি ঘুরে আসছি। বেশি দূর যাস না। একসাথে ফিরব। রোজ ভোরে এই কচি কাঁচার দল, ভোরের পাখির মত কিচিরমিচির করে আমার ঘুম ভাঙায়। তারপর এদের সাথে বেড়িয়ে পড়ি চড়তে। দুদিকে সবুজ ধান ক্ষেতের মাঝখানে একফালি রাস্তা। অদ্ভুত সুন্দর এক জায়গা। যত দূর চোখ যায়, মন কেমন করা সবুজ। চার দিকে অপার নিস্তব্ধতা। আমি চলতে চলতে অনেক দূর চলে এসেছি। আমার খুব ভালো লাগছে। কারণ আমার ফেরার তাড়া নেই। কোনো গন্তব্যে পৌঁছানো নেই। কোথাও ফিরে যাওয়া নেই। শুধু চলা আছে। হঠাৎ একটা গাছে হাত লাগল, পাতা গুলো গুটিয়ে গেল। এদের নাম টাচ মি নট। কিন্তু বাংলায় কি যেন বলে কিছুতেই মনে পড়ছেনা। "লজ্জাবতী", একটি মোলায়েম পুরুষ কণ্ঠ কানে এলো। চমকে তাকালাম...
একটি মৃত্যু ও অতঃপর – সুরজিত সরখেল

একটি মৃত্যু ও অতঃপর – সুরজিত সরখেল

গল্প, বসন্ত সংখ্যা
একটি মৃত্যু ও অতঃপর  সুরজিত সরখেল "একদিক থেকে বুঝলে,তোমার মা মারা গেছে ভালই হয়েছে! তুমি এবার ম্যাচিওরড্ হবে!" কথাটা শুনে ভীষণ শক্ খেল সাম্য।কোন সুস্থ মানুষের মুখ থেকে এই কঠিন,নির্মম সময়ে এই রকম নির্লজ্জ দৈববাণী বেরোবে,কল্পনাও করতে পারেনা সে।প্রায় ১১/১২ দিন লড়াই করার পরে হাসপাতালে মা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল।মা বাবা দুজনেরই করোনা পজিটিভ হয়েছে।যেহেতু বহুদিন ধরেই মা সুগার,কিডনির জটিল রোগে ভুগছিল; মাকে নিয়েই ভয় ছিল বেশি।যদিও সেরকম দেখে বোঝার উপায় ছিলনা। অ্যাম্বুলেন্সে করে আসার সময় মুখের ওপর অক্সিজেন মাস্কটা খুলে দিচ্ছিল বারবার।বলছিল আমার লাগবেনা। কোভিড হাসপাতালে ঢোকার আগে বলেছিল বাবাকে কাঁদতে বারণ করিস; দুশ্চিন্তা যেন না করে। আমি তো ফিরে আসবোই! তোকে সিভিল সার্ভিস ক্র্যাক করতে হবে। আমি ফিরে এসে তোর স্যারদের বাড়িতে এনে রান্না করে খাওয়াব। প্রায় একসপ্তাহ লড়াই করতে করতে,কাউকে বিন্দুমাত...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!