Shadow

গল্প

গল্প

নাস্তিক – নাজির হোসেন বিশ্বাস

নাস্তিক – নাজির হোসেন বিশ্বাস

গল্প, বসন্ত সংখ্যা
নাস্তিক  নাজির হোসেন বিশ্বাস রাতের নিকষ কালো শামিয়ানা ফুঁড়ে ভোরের রবি সবে আলোর আঁচল বিছিয়ে দিয়েছে কুসুমপুর গ্রামের নরম বুকে। ঘাড়ে কোদাল ফেলে নবীন,মনসুররা খোশ মেজাজে চলেছে ফসলের জমিতে। তাঁদের সঙ্গে দুলু বাগদীও। একই ঘুঁটের আগুনে বিড়ি ধরিয়ে ফুঁকতে ফুঁকতে চলেছে ওরা,এখন যে বীজ ফেলার মরসুম। ঘরে বসে আয়েস করার কিংবা শোক তাপ করার সময় কোথায়? ওদের যেতে দেখে সজল বাবু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। নীলকণ্ঠ পাখি যেন নিমেষে বসন্ত হাওয়ায় ছড়িয়ে দিল অমরাবতীর সুখ। চোখেমুখে একরাশ প্রসন্নতা,মনে মনে ভাবতে লাগলেন, এই তো ক’দিন আগেও গ্রামে মানুষে মানুষে কত বিদ্বেষ,কত রেষারেষি। অথচ কুসুমপুরের  শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য মিলনের ঐক্যতান পাখির ঠোঁটে করে বট ফলের মতোই ছড়িয়ে রয়েছে বহু ক্রোশ ব্যাপ্ত হয়ে, গ্রাম ছাড়িয়ে শহর অবধি। একটা মানুষের অবর্তমানে কত অঘটন ঘটে যেতে পারে,সেটাও চাক্ষুষ করলো কুসুমপুর গ্রামের মানুষ। অনিমেষ বাবু শ...
ডাক্তার – সাথী সেনগুপ্ত

ডাক্তার – সাথী সেনগুপ্ত

গল্প, বসন্ত সংখ্যা
ডাক্তার সাথী সেনগুপ্ত  কথায় বলে ‘পহলে দর্শনধারী,পিছলে গুণ বিচারী’। কথাটা যে কতটা সত্যি সে কথা হাড়ে হাড়ে জানে প্রীতম। অবিশ্যি হাড়ে হাড়ে জানা ছাড়া উপায়ই বা কি? কারণ প্রীতমের দেহে হাড় ছাড়া কিছুই নেই। হাড় আর চামড়া। মাংস কিংবা চর্বি জাতীয় পদার্থ একেবারেই বাদের খাতায়। নাক,চোখ,দাঁতের সেটিং প্রীতমের মন্দ নয়। মাথায় চুলও আছে এক গোছা। গায়ের রঙ ফর্সা না হোক, গায়ে গতরে লাগলে ওতেই বেশ চেকনাই দিত। তাতে টিং টিঙে লম্বা। সব মিলিয়ে কেমন একটা ‘তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে’ ভাব। ওতেও ক্ষতি ছিলনা। প্রীতম যদি বাংলায় এম এ পড়ে,গায়ে কারুকার্য করা ঢলঢলে পাঞ্জাবী গলিয়ে,কাঁধে ঝোলা ব্যাগ ঝুলিয়ে কাব্যি চর্চা করত,কিংবা সাইকেল চালিয়ে এবাড়ি ওবাড়ি গিয়ে করত গানের টিউশনি। কিন্তু মুশকিলটা যে অন্যত্র। আসলে প্রীতমের পেশার সঙ্গে এই কেষ্ট ঠাকুর মার্কা রূপটা একেবারেই খোলতাই হয় না। প্রীতম কয়েক বছর হল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডাক্তারি...
গন্ধমালতী – ডাক্তার (ক্যাপ্টেন) দিলীপ কুমার সিংহ

গন্ধমালতী – ডাক্তার (ক্যাপ্টেন) দিলীপ কুমার সিংহ

গল্প, বসন্ত সংখ্যা
গন্ধমালতী ডাক্তার (ক্যাপ্টেন) দিলীপ কুমার সিংহ রাধিকা দেবী পাশ ফিরে শুলেন। কিছুক্ষণ আগে নার্স এসে চান করিয়ে,কাপড় পরিয়ে চুল আঁচড়ে দিয়ে গেছে। যাবার আগে রাধিকা দেবীর পছন্দ মত স্প্রে ছড়িয়ে দিয়েছে। রাধিকা দেবী একটু বেশি সেনসিটিভ গন্ধ নিয়ে | সব গন্ধ সহ্য করতে পারেন না। হয় তিনি নিজের পছন্দ মত পারফিউম ব্যবহার করবেন নাহলে গন্ধহীন থাকবেন। ‘গন্ধহীন’ শব্দটা মনে আসতেই ঠোঁটের কোণে একটু হাসির ছোঁয়া দেখা গেল। পুজোর সময়ে মা নতুন  কাপড়ে অগুরু লাগিয়ে দিতেন। পুজোর কদিন সেই মিষ্টি গন্ধ লেগে থাকত | এছাড়া বিয়ের আগে গন্ধের বিষয়ে কোন জ্ঞান ছিলনা । তবে বিয়ের দিন কনে সাজবার পরে চন্দনের সুগন্ধে সারা মন ভরে গিয়েছিল। সেই প্রথম তাঁর মন একটা গন্ধকে আলাদা করে চিনে ছিল । ফুলশয্যার দিন তাঁর স্বামী অলক বাবু কিছুক্ষণ নিজের কথা বলার পর হঠাৎ তাঁকে জিজ্ঞেস করেন,'একি তুমি গন্ধহীন কেন?' তারপর নিজেই বুঝিয়ে দিলেন যে তাঁর মতে প্রত...
পূর্ণবাবুর জন্মদিন – চন্দ্রকান্তি দত্ত

পূর্ণবাবুর জন্মদিন – চন্দ্রকান্তি দত্ত

গল্প, বসন্ত সংখ্যা
পূর্ণবাবুর জন্মদিন চন্দ্রকান্তি দত্ত পূর্ণবাবুর মন ভাল নেই। ছেলে-বৌমা তাঁর জন্মদিন পালন করবে এই খবরটা পাওয়া অবধি তিনি কিছুটা মুষড়ে পড়েছেন। পূর্ণবাবু তিনদিন পরে,মানে আগামী ২১শে জ্যৈষ্ঠ পঁচাত্তর পেরিয়ে ছিয়াত্তরে পড়বেন। এই বিশেষ দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখতে ছেলে-বৌমা মিলে কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব নিমন্ত্রিত হবেন,কেক কাটা হবে,গান-বাজনা,খাওয়া-দাওয়াও হবে। সেখানেই পূর্ণবাবুর আপত্তি। যদিও তিনি ওদের সে আপত্তির কথা জানান নি। পূর্ণবাবু মনে-প্রাণে নিপাট বাঙালি। ছেলেবেলা থেকে দেখে এসেছেন,বাড়িতে ঘটা করে জন্মদিন পালনের কোন রেওয়াজ ছিল না। জন্মদিনে কোন উপহারও আসত না। মা গোবিন্দভোগ চালের পায়েস রান্না করতেন। যার জন্মদিন সে আগে পায়েস মুখে দিলে অন্যেরা পায়েস পেত। এভাবেই পালিত হত সবার জন্মদিন। পূর্ণবাবু সেই পরিমন্ডলে বড় হয়েছেন। সেই সংস্কৃতিকেই জীবনের চলার পথে আঁকড়ে...
উত্তরাধিকার – অদিতি ঘটক

উত্তরাধিকার – অদিতি ঘটক

গল্প, বসন্ত সংখ্যা
উত্তরাধিকার অদিতি ঘটক ---"নাম-- নাম কি?" লোকটা ফোলা মুখ নিয়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা মাথায় দীপ্তেশ এর  দিকে খানিকক্ষণ চেয়ে থাকে। কি বলছে কিছুই যেন মাথায় ঢুকছে না। আবার দীপ্তেশ বলে,"নাম, নাম কি?" এবার তার সুর একটু কড়া। লোকটা এবার ব্যান্ডেজ বাঁধা মাথায় হাত দিয়ে তার উসকোখুশকো চুলটা চুলকোয়। বোকা বোকা হেসে অতীতের পাতা ঘেঁটে স্মৃতির অতলে তলিয়ে যাওয়া কোনো কিছুকে হাতড়ায়। তারপর হাতড়ে, হাতড়ে যেন বহুদিন আগে ডুবে যাওয়া, শ্যাওলা পড়ে হড়হড়ে হয়ে যাওয়া কোনো কিছুকে তুলে আনে। বলে,"নগেন, ছার, নগেন বেরা।" তার ভাঙাচোরা, ফোলা মুখে একটা আত্ম প্রসাদের হাসি। লাজুক মুখে বলে,"ও নামে তো এখানে কেউ ডাকেনি ছার। তাই মনে ছিলনি" হাবিলদার বিনয় মুখ বেঁকিয়ে ব্যাঙ্গ করে বলে,"তোমায় তাহলে কি নামে ডাকব চাঁদু? মানে এফ. আই. আর. এ কি নাম থাকবে ? নামের পাশে ব্রাকেটে অন্য নাম গুলো লিখতে হয় তো।" লোকটা ব্যাঙ্গটা ঠিক ধরতে পারলো না বা পাশ ক...
নীরব কোলাহলে – সুলগ্না চক্রবর্তী (সুধীর কুমার দত্ত স্মৃতি সাহিত্য প্রতিযোগিতায় তৃতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত গল্প)

নীরব কোলাহলে – সুলগ্না চক্রবর্তী (সুধীর কুমার দত্ত স্মৃতি সাহিত্য প্রতিযোগিতায় তৃতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত গল্প)

গল্প, বসন্ত সংখ্যা
নীরব কোলাহলে  সুলগ্না চক্রবর্তী গভীর রাত। গোটা শহর ঘুমের অতলে তলিয়ে গেছে। শুধু তঁলেরু বসে আছে সদ্য তৈরী করা প্রাসাদের মতো বাড়ীর বারান্দার চেয়ারে। চরাচর ভেসে যাচ্ছে পূর্ণিমার আলোতে, সামনে বয়ে চলা গঙ্গাতে ভেসে যাচ্ছে চাঁদ খণ্ড খণ্ড হয়ে,আর তঁলেরুর দুই চোখ ভেসে যাচ্ছে জলে। ফ্রান্স থেকে যে চিঠি দুটো এসেছে সেগুলো পাশের ছোট্ট টেবিলটাতে রাখা। তঁলেরুর বাবা জানিয়েছে তার মতো ছেলের বাবা হওয়ার জন্য সে লজ্জিত। প্রেমিকা সিলভিয়া জানিয়েছে এই তাঁর শেষ চিঠি তঁলেরুকে। সে,ফ্রান্সের ব্রিটন অঞ্চলের লজ্জা নয়, গোটা ফরাসী সাম্রাজ্যের লজ্জা। তার জন্যই ব্রিটিশদের কাছে সাঁদেরনগর হারাতে হলো তাদের। কি এমন হয়েছিলো যে তঁলেরু আজ শেষ হয়ে গেলো? সাঁদেরনগর মানে চন্দননগর দখল করা প্রায় দুষ্কর ছিলো রবার্ট ক্লাইভের পক্ষে। অথচ চন্দননগর দখল না করলে কোম্পানীর বাংলার নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে হারানো প্রায় অসম্ভব ছিলো। নবাবে...
যমালয়ে জীবন্ত মানুষ – পরাগ ভূষণ ঘোষ

যমালয়ে জীবন্ত মানুষ – পরাগ ভূষণ ঘোষ

গল্প, বসন্ত সংখ্যা
যমালয়ে জীবন্ত মানুষ  পরাগ ভূষণ ঘোষ যুদ্ধ না বলে মহাযুদ্ধ বলাই সঠিক। ছত্রিশ বছর হলো এই মহাযুদ্ধ অতিক্রান্ত। আত্মীয় পরিজন,বন্ধুবান্ধব অনেকেই আজ আর নেই। সমরক্ষেত্রেই প্রাণ গিয়েছে। যুদ্ধ প্রারম্ভে যারা ছিলেন যুবক তাঁরা আজ বৃদ্ধ হয়েছেন। শিশুরা হয়েছে যুবক। দুপক্ষের মৃত্যু মিছিলে সাম্রাজ্য আজ প্রায় জনশূন্য। হস্তিনাপুরের সিংহাসন যুধিষ্ঠির প্রায় প্রৌঢ়ত্বে এসে লাভ করেছিলেন। এখন তার ভ্রাতারা ও দ্রৌপদীও বার্ধক্যে পদার্পণ করেছেন। ইতিমধ্যে যদুবংশ ধ্বংস হয়েছে মুসল নামক এক অভিশাপের কারণে। এ প্রসঙ্গে  দুটি প্রাসঙ্গিক কথা উল্লেখ করতে হচ্ছে। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পরে দ্বারকায় যাদব বংশীয়দের মধ্যে চরম অরাজকতা সৃষ্টি হয়। দুর্নীতি,বিদ্বেষ চারদিকে ঘিরে ধরে। এই সময়ে কৃষ্ণ বলরামের গৃহে কিছু মুনি ঋষির আগমন ঘটে। অরাজকতা কাটিয়ে শান্তি,সততার বীজ প্রতিষ্ঠা করার মূল লক্ষ্য নিয়ে। বলরামের পুত্র সারণ ও আরও কয়েকজন সমবয়সী যা...
দিন বদলের গল্প – ব্রতী ঘোষ

দিন বদলের গল্প – ব্রতী ঘোষ

গল্প, বিহানবেলায়
দিন বদলের গল্প ব্রতী ঘোষ অপর্ণা সাতে পাঁচে থাকতে ভালোবাসেন না৷ সংসারটা গুছিয়ে করেছেন বরাবর। তিরিশ বছরের বিবাহিত জীবনে সৌম্যদেব সেন গুপ্তকে সুখী করতে কোন ফাঁক রাখেন নি৷ছেলেকে মানুষ করতে নিজের চাকরি ছেড়েছেন৷যতোদিন শ্বশুর শাশুড়ি ছিলেন তাদের যত্ন করেছেন৷এখনও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত স্বামীর খেয়াল রাখেন৷ঠিক সময়ে প্রেশার,সুগারের ওষুধ তার হাতে তুলে দিতে ভোলেন না৷অপর্ণার এতো সব গুণের মধ্যে ও একটি ভারি দোষ।তিনি মুখে কথা বলেন খুব কম৷যা করার কাজের মধ্যে দিয়েই প্রকাশ করেন৷সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজের মধ্যে দুপুর বেলাটা ওর নিজের জন্য বরাদ্দ।এই সময়টুকু উনি যত্ন করে তুলে রাখেন একান্ত নিজের করে৷এই সময় মনের জানালাটি উনি হাট করে খুলে দেন৷দক্ষিণের বারান্দায় বসে মনের সব গ্লানি ডায়েরীর পাতায় লিখে রাখেন কখনো কবিতায়,কখনো তা গদ্যে৷ সৌম্যদেব একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার উচ্চ পদস্থ কর্মচারী ছিলেন। বত্রিশ বছর চাকরি ক...
শান্তিনাথবাবুর বোধোদয় – চন্দ্রকান্তি দত্ত

শান্তিনাথবাবুর বোধোদয় – চন্দ্রকান্তি দত্ত

গল্প, বিহানবেলায়
শান্তিনাথবাবুর বোধোদয় চন্দ্রকান্তি দত্ত শান্তিনাথবাবু ও আদিনাথবাবু। এঁরা পাশাপাশি দুটি ঘরে বাস করেন। তবে এঁরা দুজন একে অপরের আত্মীয় নন। শান্তিনাথবাবুর আদি বাড়ি ঢাকা জেলার বারদি গ্রামে। আদিনাথবাবুর বাড়ি বহরমপুরে। দুজনেই কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন এবং যদুনাথ পুততুন্ড সেকেন্ড বাই লেনের বিখ্যাত সমাজসেবী শ্রীবনোয়ারীলাল তম্বাকুওয়ালার বাড়ির চারতলায় পাশাপাশি ভাড়ায় থাকেন। এঁদের বাসাদুটি আলাদা,কিন্তু সামনে বেশ বড় একটা খোলা ছাদ আছে যেটা দুভাগে ভাগ করা নেই। ছাদের এই খোলা অংশটা শুধু এঁরাই ব্যবহার করেন। অন্য বাসিন্দারা এই ছাদে আসতে পারেন না। কারণ,ছাদে আসতে হয় এঁদের কারও বাসার মধ্য দিয়ে। অন্য কোন পথ নেই। শান্তিনাথবাবু বন্দরে ঠিকাদারী করেন। অগাধ পয়সা করেছেন। তবে বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি হয়ে গেলেও দার পরিগ্রহ করেন নি। কারণটা দ্বিবিধ-অল্প বয়সে পয়সা রোজগারের যুদ্ধে সময় হয়ে ওঠে নি। পরে যখন সময় হল, তখন মা-...
শেষ চিঠি – দেবলীনা দে

শেষ চিঠি – দেবলীনা দে

গল্প, বিহানবেলায়
শেষ চিঠি দেবলীনা দে  নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে কোনো স্বপ্ন দেখা এভারেস্ট জয়ের থেকে কোনো অংশে কম নয়। কোনো স্বপ্ন পূরণ করতে সেখানে ঘাত প্রতিঘাত ত্যাগ অনেক কিছুই সইতে হয়। রোহিণীকেও করতে হয়েছে,সইতে হয়ছে অনেক ঝড়। বাংলা ভাষার প্রতি টান ভালবাসা তার অনেক দিনের। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়,মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তার গুলে খাওয়া। বাবার গ্রামে ছোটো কেরানীর দোকান। মায়ের অধীনে বাড়ির বাকি দায়িত্ব। রোহিণীর এক বোন আছে, ঋতিকা। চারজনের এই ছোট্ট সংসারে অভাব অনটন চিরদিনের। তাও সব বাধা অতিক্রম করে জীবন নিজ নিয়ম মেনে চলতে থাকে।বাবার স্বল্প আয়ের কথা দুই বোনেই খুব ছোটো থেকে অবগত। তাই সেভাবে দুজনের কোনো আবদার বা বায়না ছোটো থেকেই নেই।কিন্তু চোখে স্বপ্ন আছে অনেক। দুই কন্যা নিয়ে রথীনবাবু ও রমাদেবীর ছোটো সংসার ভালই চলছিল। মানুষের জীবন বড়ই বিচিত্র। সুখ দুঃখের খেলা লেগেই থাকে। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হলো সুখ আর...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!