Shadow

ভ্রমণ কাহিনী

ভ্রমণ কাহিনী

দারুশিল্পীদের গ্রাম নতুনগ্রামের ইতিকথা – সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়

দারুশিল্পীদের গ্রাম নতুনগ্রামের ইতিকথা – সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়

বসন্ত সংখ্যা, ভ্রমণ কাহিনী
দারুশিল্পীদের গ্রাম নতুনগ্রামের ইতিকথা                              সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায় রংবেরঙের বিচিত্র গড়নের বিভিন্ন রকমের পুতুল। সবই কাঠের পুতুল। উজ্জ্বল নানা রঙের বৈভবে গোল গোল চোখওয়ালা তিন কোণা ছোটো-বড় পেঁচাগুলো সবার আগে নজর কাড়ত। রাজা-রানী,বর-বউ বা উদ্বাহু নৃত্যরত গৌর-নিতাই পুতুলগুলো দেখেও মজা পেতাম। নিজের হাতে বানানো এইসব পুতুল ঝুড়িতে সাজিয়ে বিক্রি করতেন এক ফেরিওয়ালা। জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় চন্দননগর স্টেশন রোডে শ্যাম মাস্টারের গলির কাছে। প্রতি বছর মোটামুটি একই জায়গায় তিনি তাঁর পসরা নিয়ে বসতেন। তাঁকে দেখলেই 'ভানু পেলো লটারী' ছবিতে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'লিপ'-এ শ্যামল মিত্রের গাওয়া 'পুতুল নেবে গো পুতুল' গানটা মনে পড়ে যেত। গানটা সেইসময় রেডিওতে প্রায়ই বাজানো হত। 'সেইসময়' বলতে আমার তখন শৈশবকাল। স্কুলে নীচু ক্লাসে পড়তাম। একবার একটা পেঁচা কিনেছিলাম। আর একবার একটা বউপুতুল। সেটিকে দেখতে অনে...
রাবড়ি গ্রামের কড়চা – সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়

রাবড়ি গ্রামের কড়চা – সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়

বিহানবেলায়, ভ্রমণ কাহিনী
রাবড়ি গ্রামের কড়চা সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায় গত শতকের দ্বিতীয়ার্দ্ধের ঘটনা। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রমঞ্চে এক স্বনামধন্য সাহিত্যিকের সংবর্ধনার ব্যবস্থা হয়েছে। তাঁর পাশে উপবিষ্ট সভার অন্যতম বক্তা শিশুসাহিত্যিক অখিলবন্ধু নিয়োগী। ‘স্বপনবুড়ো’ নামে যাঁর অধিক পরিচিতি। মঞ্চে মানপত্র পাঠ হল। বক্তারা একে একে বলছেন। কিন্তু যাঁকে ঘিরে এত আয়োজন, তাঁর মন উশখুশ। একসময় অস্থির হয়ে স্বপনবুড়োকে তিনি বলেই ফেললেন,“এসব মানপত্রটত্র দিয়ে আমার কী হবে? ঘরের দেওয়ালে টাঙানোর জায়গা নেই। আর পেরেকই বা কে এনে দেবে?” স্বপনবুড়ো আশ্বস্ত করলেন তাঁকে। বললেন,“সে পেরেকের ব্যবস্থা না হয় করে দেওয়া যাবে।”এবার তিনি আরও অসহিষ্ণু। বললেন,“ধুর মশাই,পেরেক আনানোর বদলে একটু রাবড়িটাবড়ি আনলে… বেজায় খিদে পেয়েছে।”শেষে তাঁর জন্য রাবড়ি এল। মঞ্চে বসেই শিবনেত্র হয়ে তিনি তা খেতে শুরু করে দিলেন। এই না হলে তিনি শিবরাম চক্রবর্তী! রাবড়ি খেতে খুব ভ...
অজানা অচেনা গিরিবর্ত্মের পথে পথে – বিজিত কুমার রায়

অজানা অচেনা গিরিবর্ত্মের পথে পথে – বিজিত কুমার রায়

বিহানবেলায়, ভ্রমণ কাহিনী
অজানা অচেনা গিরিবর্ত্মের পথে পথে    বিজিত কুমার রায় কাশ্মীর হয়ে লেহ লাদাখ  আর হিমাচল হয়ে ফেরত। স্বর্গ যদি কোথাও থাকে তা আছে এখানে। ২০১৬ সালে বেরিয়ে ছিলাম শ্রীনগর হয়ে লেহ লাদাখের পথে প্রান্তরে। কলকাতা থেকে আমাদের ২২ জনের দল বেরিয়েছে কয়েক দিন আগে ট্রেনে পাঠানকোট পাটনিটপ হয়ে তারা আজ শ্রীনগর পৌঁছোবে  । আর আমরা এসেছি আজ সকালের বিমানে কলকাতা দিল্লী শ্রীনগর। লাদাখ বেড়াতে গেলে কিছু বিষয় অবশ্যই চিন্তা ভাবনা করতে হবে৷ প্রথমতঃ আপনি কোথা থেকে শুরু করবেন? লাদাখ তিন দিক দিয়ে শুরু করতে পারেন৷ ১) জম্মু থেকে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক ধরে  শ্রীনগর হয়ে বা দিল্লী -শ্রীনগর  ফ্লাইটে গিয়ে শ্রীনগর হয়ে ২) দিল্লী - লেহ ফ্লাইটে গিয়ে ৩) মানালী -লেহ জাতীয় সড়ক ধরে ৷ মনে রাখতে হবে শ্রীনগর লেহর রাস্তা মে মাসের মাঝামাঝি খুললেও মানালীর রাস্তা মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহের  আগে খোলে না৷ এটা নির্ভর করছে ঐ বছর কি পরিমাণ ব...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!