Shadow

বিহানবেলায়

বিহানবেলায়

দিন বদলের গল্প – ব্রতী ঘোষ

দিন বদলের গল্প – ব্রতী ঘোষ

গল্প, বিহানবেলায়
দিন বদলের গল্প ব্রতী ঘোষ অপর্ণা সাতে পাঁচে থাকতে ভালোবাসেন না৷ সংসারটা গুছিয়ে করেছেন বরাবর। তিরিশ বছরের বিবাহিত জীবনে সৌম্যদেব সেন গুপ্তকে সুখী করতে কোন ফাঁক রাখেন নি৷ছেলেকে মানুষ করতে নিজের চাকরি ছেড়েছেন৷যতোদিন শ্বশুর শাশুড়ি ছিলেন তাদের যত্ন করেছেন৷এখনও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত স্বামীর খেয়াল রাখেন৷ঠিক সময়ে প্রেশার,সুগারের ওষুধ তার হাতে তুলে দিতে ভোলেন না৷অপর্ণার এতো সব গুণের মধ্যে ও একটি ভারি দোষ।তিনি মুখে কথা বলেন খুব কম৷যা করার কাজের মধ্যে দিয়েই প্রকাশ করেন৷সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজের মধ্যে দুপুর বেলাটা ওর নিজের জন্য বরাদ্দ।এই সময়টুকু উনি যত্ন করে তুলে রাখেন একান্ত নিজের করে৷এই সময় মনের জানালাটি উনি হাট করে খুলে দেন৷দক্ষিণের বারান্দায় বসে মনের সব গ্লানি ডায়েরীর পাতায় লিখে রাখেন কখনো কবিতায়,কখনো তা গদ্যে৷ সৌম্যদেব একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার উচ্চ পদস্থ কর্মচারী ছিলেন। বত্রিশ বছর চাকরি ক...
চরৈবেতি – কঙ্কণা সেন

চরৈবেতি – কঙ্কণা সেন

কবিতা, বিহানবেলায়
চরৈবেতি কঙ্কণা সেন বিষণ্ণতার বিল-জলে ডুব দিয়ে উঠেছি। আর তাকাবো না ফিরে অতীত,তুমি কবরেই থাকো। প্রতিদিনের চলমান মুহূর্তগুলোকে দু'মুঠিতে আঁকড়ে পা বাড়াব অনাগতের দিকে সে পথ হোক না পিচ্ছিল, ধূলিধূসর,রুক্ষ মরু---কাঁটা বিছানো বা ফুলের।। ********************************************************** কঙ্কনা সেন পরিচিতিঃ রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এম এ। ছোট থেকেই কবিতার প্রতি ভালোবাসা। বিশ্বাস মানবতায়। পেশা-শিক্ষকতা।    ...
ধ্বনিল আহ্বান মধুর গম্ভীর প্রভাত অম্বর মাঝে …… বেহালায় শ্রী এস রঙ্গনাথন

ধ্বনিল আহ্বান মধুর গম্ভীর প্রভাত অম্বর মাঝে …… বেহালায় শ্রী এস রঙ্গনাথন

গান ও বাদ্য, বিহানবেলায়
  ধ্বনিল আহ্বান মধুর গম্ভীর প্রভাত অম্বর মাঝে ...... বেহালায় শ্রী এস রঙ্গনাথন   https://youtu.be/7OjsjJ4hnFI *************************************************** এস রঙ্গনাথনের পরিচিতিঃ তামিল ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান এস রঙ্গনাথনের জন্ম কোলকাতায় ৷ কস্ট অ্যাকাউনটেন্ট রঙ্গনাথন ভারতীয় জীবন বীমা নিগমে ১৯৯১ সাল থেকে কর্মরত৷ তাঁর পারিবারিক ইতিহাস সঙ্গীতময়৷ প্রপিতামহ এ অনন্তকৃষ্ণণের প্রতিষ্ঠিত শ্রী গুরু গুহ গানা বিদ্যালয় ১৯৪৩ সাল থেকে কোলকাতায় এখনও পর্যন্ত সঙ্গীত শিক্ষা বিতরণ করে চলেছে পূর্ণমাত্রায়৷ ছেলেবেলায় মার কাছ থেকে গান শেখার শুরু রঙ্গনাথনের৷ এরপর নব্বই এর দশক থেকে বেহালাতে কর্নাটকী রাগসঙ্গীত শিখতে শুরু করেন৷ বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন শহরে এবং কোলকাতায় বিভিন্ন শিল্পীর সঙ্গে এবং এককভাবে তার বেহালার সুরমূর্ছনায় মানুষকে মুগ্ধ করে চলেছেন৷...
বিস্মৃতির অতল থেকে – প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

বিস্মৃতির অতল থেকে – প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

আলোকপাত, বিহানবেলায়
PC: Wikimedia Commons বিস্মৃতির অতল থেকে প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সে অনেকদিন আগের কথা। গোয়া-র একটি ছোট্ট গ্রাম কুর্দি। বর্ধিষ্ণু এই গ্রাম ছিল কৃষিসম্পদে সম্পন্ন। প্রায় সাড়ে চারশ পরিবারে আনুমানিক তিন হাজার জনবসতির এই গ্রামে এক কৃষক পরিবারে জয়শ্রীবাঈ-এর গর্ভে জন্ম নেয় এক কন্যা সন্তান। তখন বৃটিশ শাসন। সময়কাল ১৯০৩ খ্রীষ্টাব্দ। জয়শ্রী তাঁর আদরের মেয়ের নাম রাখলেন মোগু। জয়শ্রী নিজে ছিলেন সুমিষ্ট ও সুরেলা কণ্ঠের অধিকারিণী। ছোট্ট মোগুর সুরের প্রতি প্রগাঢ় প্রেম দেখে জয়শ্রী মোগুকে উচ্চাঙ্গ সংগীত শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন মনস্থ করেন। তাছাড়া, অমন প্রত্যন্ত গ্রামে সেসময় সেভাবে পৌঁছয়নি শিক্ষার আলো। নিজের অপ্রাপ্তি তিনি কন্যার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়ার দৃঢ় সংকল্পে মাত্র দশ বছর বয়সের মোগু কে পার্শ্ববর্তী জাম্বোলিম গ্রামের মন্দিরে রেখে আসেন, যাতে সেখানে মোগু সংগীত শিক্ষার প্রাথমিক পাঠ প্রাপ্ত হয়। জাম্বোলিমে এক ভ...
ভাবনার পরিসর – প্রতিভা পাল সেন

ভাবনার পরিসর – প্রতিভা পাল সেন

কবিতা, বিহানবেলায়
  ভাবনার পরিসর প্রতিভা পাল সেন ঝুরঝুরে ভাবনার শরীরে ঘুণপোকার দৌরাত্ম্য,ক্লান্ত অবসরে; স্মৃতির রেলিং ধরে উদাস হওয়া মনের-বাঁক! পরিবর্তনের খেলায় সামিল,অভিযোজিত আগামীর অলি-গলি; স্পর্শক বরাবর হেঁটে চলা জীবন হঠাৎ থমকে দাঁড়িয়ে বলে,- 'স্বপ্ন'রা আজীবন মনেই বেঁচে থাক!' বন্ধ চোখের কোণ-জমা আর্দ্রতা,নীল-শূন্যতায় বাষ্পীভূত হতে চায়; ভোরের আলোর-স্নিগ্ধতায় আশার কিরণ লেখে,নতুন-সুরের স্বরলিপি! ব্যস্ততার ভীষণ-ভিড়ে তপ্ত রোদের দুপুর-ছোঁয়া অনুরাগ- গোধূলির আলোকবর্তিকায় আঁকে,আঁধার রাতের প্রতিচ্ছবি! কথা ছিল আবেগের মিছিলে সামিল হবে না পিচ্ছিল কোনও অনুভব; হিসেবের পাকদণ্ডী বেয়ে,সাজানো হবে কল্পনার পরিবৃত্ত! গুটিগুটি পায়ে যখন তারা'রা জ্বলে ওঠে আকাশের বুকে- এলোমেলো শহর তখন ভাঙা-চাঁদের জ্যোৎস্না মেখে সম্পৃক্ত! বাস্তবে,জীবন-পরিসর ভাবনার রঙে আবৃত!! *************************************************...
শান্তিনাথবাবুর বোধোদয় – চন্দ্রকান্তি দত্ত

শান্তিনাথবাবুর বোধোদয় – চন্দ্রকান্তি দত্ত

গল্প, বিহানবেলায়
শান্তিনাথবাবুর বোধোদয় চন্দ্রকান্তি দত্ত শান্তিনাথবাবু ও আদিনাথবাবু। এঁরা পাশাপাশি দুটি ঘরে বাস করেন। তবে এঁরা দুজন একে অপরের আত্মীয় নন। শান্তিনাথবাবুর আদি বাড়ি ঢাকা জেলার বারদি গ্রামে। আদিনাথবাবুর বাড়ি বহরমপুরে। দুজনেই কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন এবং যদুনাথ পুততুন্ড সেকেন্ড বাই লেনের বিখ্যাত সমাজসেবী শ্রীবনোয়ারীলাল তম্বাকুওয়ালার বাড়ির চারতলায় পাশাপাশি ভাড়ায় থাকেন। এঁদের বাসাদুটি আলাদা,কিন্তু সামনে বেশ বড় একটা খোলা ছাদ আছে যেটা দুভাগে ভাগ করা নেই। ছাদের এই খোলা অংশটা শুধু এঁরাই ব্যবহার করেন। অন্য বাসিন্দারা এই ছাদে আসতে পারেন না। কারণ,ছাদে আসতে হয় এঁদের কারও বাসার মধ্য দিয়ে। অন্য কোন পথ নেই। শান্তিনাথবাবু বন্দরে ঠিকাদারী করেন। অগাধ পয়সা করেছেন। তবে বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি হয়ে গেলেও দার পরিগ্রহ করেন নি। কারণটা দ্বিবিধ-অল্প বয়সে পয়সা রোজগারের যুদ্ধে সময় হয়ে ওঠে নি। পরে যখন সময় হল, তখন মা-...
প্রেমপাহাড় – অর্কজ্যোতি মজুমদার

প্রেমপাহাড় – অর্কজ্যোতি মজুমদার

কবিতা, বিহানবেলায়
প্রেমপাহাড় অর্কজ্যোতি মজুমদার গাছের পাতায় লিখব উপন্যাস মনের ক্ষত কলম তো চিকন সরু মুখ বৃষ্টি তবে কালির আঁধার অমোঘ নীরবতায় ভিজছে টাপুর টুপুর। উপন্যাসের পুরুষ চরিত্র মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকা মেঘের গায়ে পাহাড় চূড়া যেমন‌ পুরুষ ঘরেতে ধৈর্য পাহাড় আনমনা। গল্পের নারী চরিত্র ঝর্ণা ঝোরা শীতল জল নরম কথা, ঘরে যেমন মুখ বুজে আহ্লাদী নারী আলতো মুখে সব কিছু মেনে নেওয়া। পাহাড় চিরেই ঝর্ণা বেরোয় সামনে এগোয় সব সহ্য'তায় ঘাত প্রতিঘাত পাথর বুকে ঝর্ণা তবু তবুও সে শব্দ করে গল্প বলে তার প্রেমের আলাপ পাহাড় কি আদৌ বুঝতে জানে? ঝর্ণা আছে কর্তব্যে বহুদুর অর্কিড পাইন দেবদারু বড় হয় সবুজ সাথী সম্বল সেই ঝর্ণার জল গভীর হয় গল্প তখন আচম্বিতে প্রেমের দাবি। সব গাছ হাতের উপর হাত কোলাকুলি রাত নহবৎ পাহাড় অবিচল গাম্ভীর্যে পারবে কি বলে উঠতে  সুন্দরের আরশি ঝর্ণা তুমি কেমন আছো আজকের ...
শেষ চিঠি – দেবলীনা দে

শেষ চিঠি – দেবলীনা দে

গল্প, বিহানবেলায়
শেষ চিঠি দেবলীনা দে  নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে কোনো স্বপ্ন দেখা এভারেস্ট জয়ের থেকে কোনো অংশে কম নয়। কোনো স্বপ্ন পূরণ করতে সেখানে ঘাত প্রতিঘাত ত্যাগ অনেক কিছুই সইতে হয়। রোহিণীকেও করতে হয়েছে,সইতে হয়ছে অনেক ঝড়। বাংলা ভাষার প্রতি টান ভালবাসা তার অনেক দিনের। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়,মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তার গুলে খাওয়া। বাবার গ্রামে ছোটো কেরানীর দোকান। মায়ের অধীনে বাড়ির বাকি দায়িত্ব। রোহিণীর এক বোন আছে, ঋতিকা। চারজনের এই ছোট্ট সংসারে অভাব অনটন চিরদিনের। তাও সব বাধা অতিক্রম করে জীবন নিজ নিয়ম মেনে চলতে থাকে।বাবার স্বল্প আয়ের কথা দুই বোনেই খুব ছোটো থেকে অবগত। তাই সেভাবে দুজনের কোনো আবদার বা বায়না ছোটো থেকেই নেই।কিন্তু চোখে স্বপ্ন আছে অনেক। দুই কন্যা নিয়ে রথীনবাবু ও রমাদেবীর ছোটো সংসার ভালই চলছিল। মানুষের জীবন বড়ই বিচিত্র। সুখ দুঃখের খেলা লেগেই থাকে। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হলো সুখ আর...
প্রশ্ন – বিয়াস মুখার্জি

প্রশ্ন – বিয়াস মুখার্জি

আবৃত্তি, বিহানবেলায়
প্রশ্ন  আবৃত্তিতে বিয়াস মুখার্জি https://youtu.be/89vZDcEdC64 ***************************************************************** বিয়াস মুখার্জী পরিচিতি: বছর দশেকের বিয়াস মুখার্জী পড়ে কলকাতার শ পাবলিক স্কুলে৷ ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্রী হলেও ভালোবাসে বাংলা কবিতা পড়তে ও আবৃত্তি করতে৷ ছোট্ট বিয়াসের আর এক ভালোবাসা হলো নাচ | সে ভারতনাট্যম শেখে এথনিক ডান্স স্কুলের গুরু দ্রাবিন চ্যাটার্জীর কাছে৷...
মেঘেরা দল বেঁধে যায় – অরা ও অর্নি

মেঘেরা দল বেঁধে যায় – অরা ও অর্নি

গান ও বাদ্য, বিহানবেলায়
মেঘেরা দল বেঁধে যায় অরা ও অর্নি https://youtu.be/qng-7Uz2lts অরা ও অর্ণি পরিচিতিঃ অরা চন্দ্র, নবম শ্রেণীর ছাত্রী। শখ: গল্পের বই পড়া। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের শিক্ষা শুরু ৬ বছর বয়স থেকে। পাশাপাশি চলে পিয়ানো, গিটারের তালিম। বিগত দুই বছর ধরে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি এস্রাজ ও তবলার তালিম চলছে। অনেকটা পথ চলা বাকি। সকলের আশীর্বাদ হোক ওর সেই পথের পাথেয়। অর্ণি চন্দ্র, ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। শখ: নানা রকম রান্না করা। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের শিক্ষা শুরু ৫ বছর বয়স থেকে। পাশাপাশি চলে পিয়ানো,তবলা ও গিটারের তালিম। অনেকটা পথ চলা বাকি। সকলের আশীর্বাদ হোক ওর সেই পথের পাথেয়।  ...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!