Shadow

বোধিবৃক্ষ

আধ্যাত্মিকতা সংক্রান্ত যা কিছু

জীবন্মুক্তির অজানা তথ্য – অমৃতা লাহিড়ী

জীবন্মুক্তির অজানা তথ্য – অমৃতা লাহিড়ী

বোধিবৃক্ষ
জীবন্মুক্তির অজানা তথ্য অমৃতা লাহিড়ী হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা সম্পর্কে আমরা সকলে অবহিত। কিন্তু গীতার অনেকগুলো ভাগ আছে এবং সেই ভাগ সম্বন্ধে আমরা অনেকেই অবহিত নই। আমি যে গীতার ভাগ নিয়ে উপস্থিত হয়েছি, তার নাম "শিবগীতা"। এই গীতা হয়তো অনেকেরই অজানা। সেই অজানাকে জানার জন্য আমার আলোচ্য বিষয় "শিবগীতা"।  সনাতন হিন্দু ধর্মে বিয়াল্লিশ রকমের গীতা আছে। গীতা বলতে আমরা যা বুঝি তা হ’ল কোন ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক জ্ঞান যা গীত বা সুরারোপ করে গুরু শিষ্যকে প্রদান করেন। বাস্তব জীবনে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে পন্ডিত ব্যক্তি গীতা পাঠের মাধ্যমে সেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে থাকেন। এই বিয়াল্লিশ রকমের গীতার অধিকাংশ মহাভারত থেকে সংকলিত।  ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখ নিঃসৃত ভগবদ্গীতা, আর শিব এর মুখারবিন্দ থেকে নিঃসৃত শিবগীতা। মহাভারতের ভীষ্মপর্ব থেকে উৎপত্তি ভগবদ্গীতা, আঠারো অধ্যায় সমন্বিত। এই ভাবে পদ্মপুরাণ...
ভালোবাসা – ননীগোপাল মহারাজ

ভালোবাসা – ননীগোপাল মহারাজ

বোধিবৃক্ষ
                                                                                          ভালোবাসা    ননীগোপাল মহারাজ বেলুড়মঠে স্বামীজীর নির্দেশে রাত চারটের সময় ঘন্টা বাজিয়ে সবাইকে জাগিয়ে দেওয়া হতো। সাধু ব্রহ্মচারীরা সবাই ঘুম থেকে উঠে প্রস্তুত হয়ে এসে ঠাকুরঘরে ধ্যান জপ করতেন। তাঁর প্রখর শাসনে এই নিয়মের কোন নড়চড় হওয়ার উপায় ছিল না। স্বামীজী কঠোর নিয়ম করেছিলেন, যে সাধু বা ব্রহ্মচারী নির্দিষ্ট সময়ে ঠাকুর ঘরে আসতে পারবে না, তাকে সেদিন বাইরে থেকে ভিক্ষা করে এনে খেতে হবে। সেদিন সে মঠে খেতে পাবে না। একদিন মহাপুরুষ মহারাজ স্বামী শিবানন্দ কোন কারণে নির্দিষ্ট সময়ে ঠাকুর ঘরে আসতে পারলেন না। স্বামীজী তাঁর কাছে গিয়ে বললেন, “তারকদা (স্বামী শিবানন্দ, পূর্বাশ্রমের নাম ছিল তারক) আমরা একটা নিয়ম করেছি যে, নির্দিষ্ট সময়ে ঠাকুর ঘরে এসে সাধন-ভজন না করতে পারলে তাকে সেদিন বাইরে ভিক্ষা করে খেতে ...
স্ব-অন্বেষণ – পিয়ালী ভট্টাচার্য্য

স্ব-অন্বেষণ – পিয়ালী ভট্টাচার্য্য

বোধিবৃক্ষ
স্ব-অন্বেষণ পিয়ালী ভট্টাচার্য্য কবিগুরুর কথায়, "যে পথে যেতে হবে সে পথে তুমি একা, নয়নে আঁধার রবে ধেয়ানে আলোকরেখা"। এই আলোক রেখার পথ ধরে আমাদের পৌঁছতে হবে লক্ষ কোটি চন্দ্রপ্রভা স্নিগ্ধ আলোর উৎসে, আলোকের ঝর্ণাধারায় সিঞ্চিত হতে। এই যে পরিক্রমা, তাতে দুটি সত্ত্বা বিদ্যমান। প্রথমতঃ আমি, দ্বিতীয়তঃ আলোকবর্তিকা রূপী সত্ত্বা। আর যাত্রাপথ হলো ভিন্ন ভিন্ন। ঠাকুর বলেছেন, "যতো মত, তত পথ"। বিভিন্ন পথেই আমরা যেতে পারি আলোর খোঁজে। তবে শুধু অনুকরণ করলেই চলবে না, গভীর বোধের সাথে অনুসন্ধিৎসু হয়েই সত্যের পথের অনুসরণ আমাদের করতে হবে। পথের ঠিকানা পাবার আগে পূর্বোল্লিখিত দুটি সত্ত্বা সম্পর্কে বিশেষ জানা প্রয়োজন। প্রথম সত্ত্বা হলো, আমি। আমি কে? আমি বলতে প্রথমেই আসে নামরূপ ধারী এক প্রাণসত্ত্বা।এখন এই মানুষ আমি বলতে আমার নাম, শরীর, পরিচয়, রূপ ইত্যাদি প্রাধান্য পায়। সেটা কিন্তু প্রকৃত আমি নয়, এরা সব...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!