Shadow

প্রবন্ধ

স্বাধীনতা সংগ্রামে হুগলী জেলা – সুলগ্না চক্রবর্তী

স্বাধীনতা সংগ্রামে হুগলী জেলা – সুলগ্না চক্রবর্তী

কাশবন ৩, প্রবন্ধ
স্বাধীনতা সংগ্রামে হুগলী জেলা      সুলগ্না চক্রবর্তী পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হওয়া  সব দেশেরই  নিজস্ব স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস আছে। কখনো তা সহিংস কখনো অহিংস। কখনো আবার তার নিজের শিকড় চেনানোর জন্য আদর্শের লড়াই। কিন্তু আমাদের দেশের হুগলী জেলাতে এই লড়াই ছিলো ভিন্ন প্রকৃতির। এখানে সহিংস,অহিংস,আধ্যাত্মিক,প্রতিরোধ কৌশলযুক্ত,আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কূটনৈতিক লড়াই  ইত্যাদির মতো বিভিন্ন ধারার সংগ্রাম একসাথে মিলিত হয়েছে। শুনলে অবাক লাগবে যে স্বাধীনতা যুদ্ধের এই ইতিহাস হুগলী জেলাতে শুরু হয়েছিল সিপাহী বিদ্রোহের সময় মানে ১৮৫৭ থেকে। কানপুর থেকে লড়াই করা নানা সাহেব চন্দননগরে আশ্রয় চেয়েছিলেন এবং ব্রিটিশ ভারতের শাসনের বিরুদ্ধে "নেপোলিয়ন বাহাদুর"কে চিঠি লিখেছিলেন যা চন্দননগর থেকে ফ্রান্সে যায়। ফ্রান্সের উত্তর কী ছিলো তা সময়ের  স্রোতে বিলীন। শ্রীরামপুরের ইউরোপিয়ানরা রথের সময় বাজে ঘটনার আশঙ্কা...

সন্ত সুরদাস – মণি ফকির

কাশবন ৩, প্রবন্ধ
সন্ত সুরদাস  মণি ফকির পূর্বাঙ্গ 🙏 ---------------- ১৪৭৮ খ্রীষ্টাব্দে,দিল্লীর কাছে সিহি গ্রামে এক দরিদ্র সারস্বত ব্রাহ্মণের ঘরে সুরদাসের জন্ম হয়। জন্মের পরেই গ্রামের দাই মা আবিষ্কার করেন শিশুটি অন্ধ। বছর তিনেক বয়স হতে না হতেই তাঁর আসল নাম ভুলে সবাই 'সুর' বলে ডাকতে লাগল। যার মানে জন্মান্ধ। শৈশব থেকেই বঞ্চনার শিকার। তদুপরি ভাই,বন্ধুদের  উপহাস ও অত্যাচার ছিল উপরি পাওনা। প্রথাগত ও পারিবারিক শিক্ষা লাভের অধিকার তিনি পাননি। মা বাবার মমতা থেকেও বঞ্চিত থাকলেন। অথচ তাঁর দৃষ্টিহীনতার ওপর তাঁর কোনো দায় ছিলনা। আর জন্মগত অন্ধ হওয়া কোনো অপরাধ নয়। তবু তাঁর কপালে নিঠুর শাস্তিই বরাদ্দ হল। আগামী দিনে যিনি কৃষ্ণ প্রেম অকাতরে দান করবেন,তার শৈশব ছিল বড়ই প্রেমহীন। একদিন সজল নয়নে,বালক সুর বসেছিলেন বারান্দায়। ঠিক সেই সময় কানে এল ভজনের কথা ও সুর। একদল গায়ক সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। তাদের গান শুনে তাঁর আর্ত মন শান্...
“সলিলের গানে দুঃখ-বিরহ” – পল্লব চট্টোপাধ্যায়

“সলিলের গানে দুঃখ-বিরহ” – পল্লব চট্টোপাধ্যায়

কাশবন ২, প্রবন্ধ
“সলিলের গানে দুঃখ-বিরহ” পল্লব চট্টোপাধ্যায় সলিল চৌধুরি এ দেশের সংগীতজগতে এক বিস্ময়কর প্রতিভা। তাঁর গানের বিশেষত্ব নিয়ে বহু আলোচনা করেছেন বহু গুণীজন। আমার আজকের আলোচনা সলিলের গানের গতিময়তা নিয়ে। গতিময়তা বলতে এক্ষেত্রে ভাষা, সুর বা লয়ের লঘুতার কথা বলছি না, সলিল গীত-সংগীতের প্রতিটা বিভাগে রেখেছেন নিজস্বতার স্বাক্ষর। জীবন যে চলার নাম, তা কখনও থেমে থাকে না, দুঃখ-মৃত্যু-বিরহ আসে দুনিয়ার স্বাভাবিক নিয়মেই এই জিনিষ কথায় আর সুরে বুঝিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ, অতুল, দ্বিজেন, রজনীকান্ত আর নজরুল। এবার সুর-ছন্দ-লয়ের বৈচিত্র্য  আর যন্ত্রানুষঙ্গের দ্বারা এক নতুন সুষম আঙ্গিক যোগ করলেন সলিল চৌধুরি। এ প্রসঙ্গে আলোচ্য সলিলের একটি জনপ্রিয় গান। প্রসঙ্গক্রমে এসে পড়ে আরো নানান কথা,‘সলিল-সমাধি’ ঘটেছে এমন কিছু গুণী ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনার সংযোজন। ভূমিকা আমাদের দেশের সংগীতে গানের কথা বা বিষয় অনুসারে গানের স্বভাব, গতি...
কাপুরুষ – ডাঃ দিলীপ কুমার সিংহ

কাপুরুষ – ডাঃ দিলীপ কুমার সিংহ

কাশবন ২, প্রবন্ধ
কাপুরুষ ডাঃ দিলীপ কুমার সিংহ আমার মেডিকেল কলেজ পাশ করার দু বছর পরে বাংলা দেশের যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধ শুরু হবার এক বছর আগে থেকেই আর্মি মেডিকেল কোর, নানান মেডিকেল কলেজে ডাক্তারদের রিক্রুটমেন্ট শুরু করে দিয়েছিল। আমি মেডিকেল কলেজে চার বছর এন.সি.সি করে তারপরে ফাইনাল ইয়ারে, আর্মি এটাচমেন্ট ক্যাম্প করায়, আর্মি লাইফের প্রতি তীব্র আকর্ষণ অনুভব করতাম। এবারে মেডিকেল কলেজে থেকেই আর্মিতে ডাক্তার হিসাবে যোগ দেবার ও যুদ্ধ দেখার সুযোগ পেয়ে, আর নিজেকে সামলে রাখতে পারিনি। লাইনে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলাম। রাঁচির পাশেই নামকুম মিলিটারি হাসপাতালে প্রথম পোস্টিং। দিনের বেলায় মিলিটারী হাসপাতালে রুগী দেখে আর রাতের বেলায় যুদ্ধের বিষয়ে ফার্স্ট হ্যান্ড কিছু জ্ঞান অর্জন করে নিয়ে, দুমাসের মাথায়, হাতে কাগজ পেলাম যে পোস্টেড টু কমান্ড হসপিটাল, ক্যালকাটা। সেখান আরো কিছু বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে একদিন রাত্রিবেলা, তিরিশটা থ্রী টন, কুড়ি...

তিরিবাও – প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রথম বর্ষপূর্তি, লোকজীবনের বারোমাস্যা
তিরিবাও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়   তিরিবাও লিহি ফুঁইকছো, উয়ার আবাজ হচেক লাই। তিরিবাও-য়ের মিঠা টান হ মুনে যদহি বাজাই। বীরভূম জেলার রাজনগর ব্লকের এক আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম ছাতিনা। আমার যেমন এলোমেলো ভাবনা, তেমনই এলোমেলো কাজ। ২০১৮-র এক বসন্তের সকালে চললাম সেই গ্রামে। সেখানে গিয়ে কি দেখবো, কি শুনবো, কোথায় বেড়াবো, কিছুরই ঠিক ঠিকানা নেই। সাধারণত এমনটা আমি করিনা। কোথাও যাওয়ার আগে সেই জায়গার ইতিহাস, ভূগোল মায় প্রকৃতি বিজ্ঞানও পারলে ঠোঁটস্থ করে তবেই যাই। কিন্তু ছাতিনার বেলা সেসবের ধার ধারিনি। সবে ফাল্গুনের মাঝামাঝি। তাই,বিকেলের পরে হালকা কুয়াশা নেমে এসেছিল ক্ষেতের ওপর। তবুও সর্ষে ক্ষেতের মাঝ দিয়ে পথ করে এগিয়ে চললাম ধামসা আর মাদলের শব্দ লক্ষ্য করে। একমাত্র সঙ্গী, বছর চল্লিশের টোটো চালক মনোজ। সে তার টোটো নিয়ে সেই পথেই এগিয়ে চললো। তার মাথাতেও যে আমারই মতো পোকা আছে,তা তখনও বুঝিনি। খানিক যাওয়...

বাংলার পুতুল : ঐতিহ্যময় জীবনশৈলীর অঙ্গ – রঞ্জন চক্রবর্ত্তী

প্রথম বর্ষপূর্তি, লোকজীবনের বারোমাস্যা
বাংলার পুতুল : ঐতিহ্যময় জীবনশৈলীর অঙ্গ রঞ্জন চক্রবর্ত্তী পৃথিবীর সর্বত্রই পুতুলের ইতিহাস অত্যন্ত বৈচিত্রপূর্ণ। আদিম প্রপিতামহদের যাদুবিশ্বাসকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা কর্মধারা থেকেই এক সময় পুতুলের উদ্ভব হয়। মানুষের জীবন তখন ছিল অনিশ্চয়তায় ভরা। কেবলমাত্র জীবনধারণের তাগিদ থেকেই বিভিন্ন অতিপ্রাকৃত শক্তিকে বশীভূত করার জন্য পুতুলের সাহায্য নেওয়া হত। মানবসভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে কৃষিভিত্তিক সভ্যতার হাত ধরে আদিম কৌমসমাজের বিবর্তন হতে শুরু করে। স্থায়ী বসতি বিস্তারের সঙ্গে মানুষের মনে নান্দনিক চিন্তা আসতে শুরু করে। তার এই সৃষ্টিশীল মনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে গাছ, ফুল, লতা-পাতা, পশু-পাখি প্রভৃতি প্রকৃতির নানা সম্পদ। এভাবেই নান্দনিক উৎকর্ষপূর্ণ দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসের পাশাপাশি শিশুর বিনোদনের নানা খেলনাও তৈরি হয়। বিভিন্ন স্থানে প্রত্নতাত্বিক উৎখনন ও হঠাৎ আবিষ্কারের ফলে উর্বরতা-কেন্দ্রিক ধর্মধারায় ব্যবহৃ...
দশাবতার তাসঃ এক লুপ্তপ্রায় শিল্প ও খেলার উৎস সন্ধানে – সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়

দশাবতার তাসঃ এক লুপ্তপ্রায় শিল্প ও খেলার উৎস সন্ধানে – সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রবন্ধ
দশাবতার তাসঃ এক লুপ্তপ্রায় শিল্প ও খেলার উৎস সন্ধানে সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘সর্বনাশা’ তকমা জুটলেও ‘রঙ্গে ভরা’ বঙ্গদেশে তাসখেলার জনপ্রিয়তায় কোনোদিনই ভাঁটা পড়েনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নষ্টনীড়’-এর চারুলতা ও মন্দাকিনীর মতো অন্তঃপুরে নারীরা এখন আর বিশেষ তাস খেলেনা সত্য। কিন্তু শহর-মফস্বলে ভিড়ে ঠাসা লোকাল ট্রেনের এক চিলতে বসার আসনে বা গ্রামের বুড়ো বটতলায় কি ভাঙা মন্দির-চত্বরে ছেলে-বুড়োর দল জমিয়ে বসে তাস খেলছে, এ ছবি দুর্লভ নয়। যদিও ইউরোপীয়রা এদেশে নোঙর ফেলার আগে সাহেব-বিবি-গোলামের বাহান্ন তাসের সঙ্গে ভারতীয়দের পরিচয় ছিলনা। পঞ্চদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে জার্মানীতে জোহানেস গুটেনবার্গের আবিষ্কৃত যন্ত্র মুদ্রণ ব্যবস্থায় বিপ্লব আনলে ইউরোপে বিপুল পরিমানে কাগজের তাস তৈরি হতে থাকে। ফলে সেখানকার বিভিন্ন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও তাসখেলা ছড়িয়ে পড়ে। ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে আমাদের দেশের বাজারেও আসতে শুর...
প্রকৃতির সন্তান – সোমনাথ দাস অধিকারী

প্রকৃতির সন্তান – সোমনাথ দাস অধিকারী

প্রবন্ধ
প্রকৃতির সন্তান (ওলট চন্ডাল- gloriosa superba) সোমনাথ দাস অধিকারী মনে হয় মানব শিশু মাতৃস্তন্য পান করেছিল বলে পানীয়কে এত ভালবাসে ,শরীরের ৭৫% ভাগ জলীয় অংশ মাত্র ২৫% শক্ত বস্তু। হ্যাঁ কথা হচ্ছিল পানীয় নিয়ে, আমরা মানুষ নানান রকম পানীয় ব্যবহার করি, নানা জাতের স্বাদে-গন্ধে ভিন্ন ভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন নামে। সপ্তসতী চন্ডীকে দেবী দুর্গা বলেছেন, --"গর্জ  গর্জ ক্ষণং মূঢ়"। "মধু যাবৎ পীবামহ্যৎ"  এই বাক্য দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করার আগে, শক্তি সঞ্চয় পূর্বক দেবী মধু রূপে সুরা পান করেছিলেন। এই ঘটনা অনেক প্রাচীন। অতীতে শক্তির উৎস হিসেবে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন আদিম জাতির ভিন্ন ভিন্ন পানীয় ছিল। আজকে খুব প্রাচীন সাঁওতাল জাতির প্রিয় পানীয় "হেঁড়্য/হাড্ডি" সম্বন্ধে বলছি। ওদের সমাজে বিবাহ সবচেয়ে বড় আনন্দদায়ক উৎসব। মেয়ের বাড়িতে ছেলেরা তাদের পরিবারের সমস্ত সদস্য/ সদস্যা, প্রতিবেশী সহ দলবেঁধে ধা...
রাঢ়ের ‘গাজন’ ও দত্তবরুটিয়াঃ একটি মূল্যায়ন – অনুপ মুখার্জি

রাঢ়ের ‘গাজন’ ও দত্তবরুটিয়াঃ একটি মূল্যায়ন – অনুপ মুখার্জি

লোকজীবনের বারোমাস্যা
রাঢ়ের 'গাজন' ও দত্তবরুটিয়াঃ একটি মূল্যায়ন অনুপ মুখার্জি সুপ্রাচীন ঐতিহ্যানুসারী প্রতিটি লোক সমাজের নিজস্ব চেতনা সম্পন্ন সংস্কৃতি রয়েছে। অনেকে একে প্রান্তিক, প্রতিবর্গ বা গ্রামীন সমাজ বলে অভিহিত করেন। সার্বজনীন প্রতিনিধিত্ব এই সমাজে  শুধু মুখ্যই নয়,ব্যক্তি বিশেষের প্রজ্ঞা সমাজের সবার অভিজ্ঞতার নির্যাস হয়ে ওঠে। তাতে আত্মগোপন করে থাকে তাদের বেঁচে থাকার রসদটি অর্থাৎ জীবন জীবিকা। যার প্রকাশের মধ্য দিয়ে তাদের মানসিক উৎকর্ষতার রূপটি ফুটে ওঠে। নেই ব্যক্তি পুজো। সমাজ স্রষ্টা হওয়ায় সৃষ্টিকর্তার চোখ রাঙানি নেই। প্রাচীন মানুষের এই সম্মিলিত কালোত্তীর্ণ দর্শন-ই লোকায়ত দর্শন বা সংস্কৃতি। বলা বাহুল্য প্রাচীন মানুষের এই সংস্কৃতির আবরণ অবশ্যই ধর্মীয়, যেমন 'গাজন'। কিন্তু তাতেই লেগে রয়েছে বহু যুগ অতিক্রমণের ফল স্বরূপ একাধিক ধর্মীয় সংঘাত ও সমন্বয়ের নানাবিধ প্রলেপ। অনুসন্ধিৎসু মন এবং বিশ্লেষণী চেতনা সূত্র ধরে...
বাংলা ভাষায় শিক্ষার সূচনাপর্ব এবং বিদ্যাসাগর (প্রথম ভাগ) – রঞ্জন চক্রবর্ত্তী

বাংলা ভাষায় শিক্ষার সূচনাপর্ব এবং বিদ্যাসাগর (প্রথম ভাগ) – রঞ্জন চক্রবর্ত্তী

ধারাবাহিক, প্রবন্ধ
  বাংলা ভাষায় শিক্ষার সূচনাপর্ব এবং বিদ্যাসাগর রঞ্জন চক্রবর্ত্তী (প্রথম ভাগ) ত্রয়োদশ শতকে বাংলা মুসলমান সুলতানদের শাসনাধীন হওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে এদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় অবক্ষয় দেখা দেয়। এরপর ঔপনিবেশিক শাসকদের আমলে ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে ওয়ারেন হেস্টিংস গভর্ণর জেনারেল হন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন ভারতে ব্রিটিশ শাসনকে দৃঢ় করতে হলে স্থানীয় মানুষদের আয়ত্বে রাখতে হবে এবং তাদের মনোভাব বুঝতে হবে। এজন্য স্থানীয়দের ভাষা, রীতিনীতি, ধর্ম ও আচার-ব্যবহার জানা দরকার। এই উদ্দেশ্য তিনি যে সংস্কারমূলক কাজগুলি শুরু করেছিলেন তার মধ্যে অন্যতম ছিল বাঙালীর ভাষা ও সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দেওয়া। প্রশাসনিক কাজে সহায়তা ছাড়াও এর পিছনে একটি পরোক্ষ কারণ ছিল। খ্রিষ্টান মিশনারীরা বুঝেছিলেন দেশীয় মানুষদের খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত করতে হলে তাদের ভাষা ও ধর্ম জানা আবশ্যক। ইংল্যাণ্ড থেকে যেসব কর্মচারীরা প্রশাসনিক কাজের জন্য এদেশে ...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!