Shadow

লোকজীবনের বারোমাস্যা

তিরিবাও – প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রথম বর্ষপূর্তি, লোকজীবনের বারোমাস্যা
তিরিবাও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়   তিরিবাও লিহি ফুঁইকছো, উয়ার আবাজ হচেক লাই। তিরিবাও-য়ের মিঠা টান হ মুনে যদহি বাজাই। বীরভূম জেলার রাজনগর ব্লকের এক আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম ছাতিনা। আমার যেমন এলোমেলো ভাবনা, তেমনই এলোমেলো কাজ। ২০১৮-র এক বসন্তের সকালে চললাম সেই গ্রামে। সেখানে গিয়ে কি দেখবো, কি শুনবো, কোথায় বেড়াবো, কিছুরই ঠিক ঠিকানা নেই। সাধারণত এমনটা আমি করিনা। কোথাও যাওয়ার আগে সেই জায়গার ইতিহাস, ভূগোল মায় প্রকৃতি বিজ্ঞানও পারলে ঠোঁটস্থ করে তবেই যাই। কিন্তু ছাতিনার বেলা সেসবের ধার ধারিনি। সবে ফাল্গুনের মাঝামাঝি। তাই,বিকেলের পরে হালকা কুয়াশা নেমে এসেছিল ক্ষেতের ওপর। তবুও সর্ষে ক্ষেতের মাঝ দিয়ে পথ করে এগিয়ে চললাম ধামসা আর মাদলের শব্দ লক্ষ্য করে। একমাত্র সঙ্গী, বছর চল্লিশের টোটো চালক মনোজ। সে তার টোটো নিয়ে সেই পথেই এগিয়ে চললো। তার মাথাতেও যে আমারই মতো পোকা আছে,তা তখনও বুঝিনি। খানিক যাওয়...

বাংলার পুতুল : ঐতিহ্যময় জীবনশৈলীর অঙ্গ – রঞ্জন চক্রবর্ত্তী

প্রথম বর্ষপূর্তি, লোকজীবনের বারোমাস্যা
বাংলার পুতুল : ঐতিহ্যময় জীবনশৈলীর অঙ্গ রঞ্জন চক্রবর্ত্তী পৃথিবীর সর্বত্রই পুতুলের ইতিহাস অত্যন্ত বৈচিত্রপূর্ণ। আদিম প্রপিতামহদের যাদুবিশ্বাসকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা কর্মধারা থেকেই এক সময় পুতুলের উদ্ভব হয়। মানুষের জীবন তখন ছিল অনিশ্চয়তায় ভরা। কেবলমাত্র জীবনধারণের তাগিদ থেকেই বিভিন্ন অতিপ্রাকৃত শক্তিকে বশীভূত করার জন্য পুতুলের সাহায্য নেওয়া হত। মানবসভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে কৃষিভিত্তিক সভ্যতার হাত ধরে আদিম কৌমসমাজের বিবর্তন হতে শুরু করে। স্থায়ী বসতি বিস্তারের সঙ্গে মানুষের মনে নান্দনিক চিন্তা আসতে শুরু করে। তার এই সৃষ্টিশীল মনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে গাছ, ফুল, লতা-পাতা, পশু-পাখি প্রভৃতি প্রকৃতির নানা সম্পদ। এভাবেই নান্দনিক উৎকর্ষপূর্ণ দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসের পাশাপাশি শিশুর বিনোদনের নানা খেলনাও তৈরি হয়। বিভিন্ন স্থানে প্রত্নতাত্বিক উৎখনন ও হঠাৎ আবিষ্কারের ফলে উর্বরতা-কেন্দ্রিক ধর্মধারায় ব্যবহৃ...
রাঢ়ের ‘গাজন’ ও দত্তবরুটিয়াঃ একটি মূল্যায়ন – অনুপ মুখার্জি

রাঢ়ের ‘গাজন’ ও দত্তবরুটিয়াঃ একটি মূল্যায়ন – অনুপ মুখার্জি

লোকজীবনের বারোমাস্যা
রাঢ়ের 'গাজন' ও দত্তবরুটিয়াঃ একটি মূল্যায়ন অনুপ মুখার্জি সুপ্রাচীন ঐতিহ্যানুসারী প্রতিটি লোক সমাজের নিজস্ব চেতনা সম্পন্ন সংস্কৃতি রয়েছে। অনেকে একে প্রান্তিক, প্রতিবর্গ বা গ্রামীন সমাজ বলে অভিহিত করেন। সার্বজনীন প্রতিনিধিত্ব এই সমাজে  শুধু মুখ্যই নয়,ব্যক্তি বিশেষের প্রজ্ঞা সমাজের সবার অভিজ্ঞতার নির্যাস হয়ে ওঠে। তাতে আত্মগোপন করে থাকে তাদের বেঁচে থাকার রসদটি অর্থাৎ জীবন জীবিকা। যার প্রকাশের মধ্য দিয়ে তাদের মানসিক উৎকর্ষতার রূপটি ফুটে ওঠে। নেই ব্যক্তি পুজো। সমাজ স্রষ্টা হওয়ায় সৃষ্টিকর্তার চোখ রাঙানি নেই। প্রাচীন মানুষের এই সম্মিলিত কালোত্তীর্ণ দর্শন-ই লোকায়ত দর্শন বা সংস্কৃতি। বলা বাহুল্য প্রাচীন মানুষের এই সংস্কৃতির আবরণ অবশ্যই ধর্মীয়, যেমন 'গাজন'। কিন্তু তাতেই লেগে রয়েছে বহু যুগ অতিক্রমণের ফল স্বরূপ একাধিক ধর্মীয় সংঘাত ও সমন্বয়ের নানাবিধ প্রলেপ। অনুসন্ধিৎসু মন এবং বিশ্লেষণী চেতনা সূত্র ধরে...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!