Shadow

শ্লোক থেকে ব্লগ

সাহিত্য বিভাগ, প্রবন্ধ গল্প ও কবিতা

স্মরণে বরণে কিংবদন্তী সুরকার ও শিল্পী শৈলেন মুখোপাধ্যায় – রাজেশ দত্ত

স্মরণে বরণে কিংবদন্তী সুরকার ও শিল্পী শৈলেন মুখোপাধ্যায় – রাজেশ দত্ত

সংস্কৃতির বৈঠক
‘বারে বারে কে যেন ডাকে আমারে? কার ছোঁয়া লাগে যেন মনোবীণা তারে?’ স্মরণে বরণে কিংবদন্তী সুরকার ও শিল্পী শৈলেন মুখোপাধ্যায় শৈলেন মুখোপাধ্যায় (জন্ম: ১২ সেপ্টেম্বর, ১৯৩১ — মৃত্যু: ৮ নভেম্বর, ১৯৭৮) ছিলেন বিশ শতকের পাঁচের দশকের শেষার্ধ থেকে সাতের দশক পর্যন্ত সময়কালে বাংলা স্বর্ণযুগের গানের জগতের এক অগ্রগণ্য সুরস্রষ্টা ও শিল্পী। সুদর্শন, সৌম্যকান্তি, সদাশয় ও মিষ্টভাষী এই মানুষটি ছিলেন একাধারে গায়ক, সুরকার এবং সংগীত শিক্ষক। মাত্র সাতচল্লিশ বছরের স্বল্প আয়ুষ্কালে এমন সব কালোত্তীর্ণ গান সৃষ্টি করেছিলেন যে, আজও সেই গানগুলি সংগীতপ্রেমী বাঙালিদের বিমোহিত করে। এছাড়া তাঁর সুমধুর ও অনিন্দ্যসুন্দর রোম্যান্টিক আবেশে পরিপূর্ণ দরদি কণ্ঠের গানগুলিও বাংলা গানের চিরায়ত সম্পদ। ১৯৫৭ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে জীবনের প্রথম রেকর্ডেই তাঁর কণ্ঠে ‘স্বপ্ন আমার ওগো সপ্তরঙের প্রজাপতির পাখা’ এবং ‘স্বাতী তারা ডুবে গেল’ গান ...
রামগড় পর্বত শিখরে – অগ্নিমিত্র ভট্টাচার্য্য

রামগড় পর্বত শিখরে – অগ্নিমিত্র ভট্টাচার্য্য

পাকা চুলের কলমে
রামগড় পর্বত শিখরে অগ্নিমিত্র ভট্টাচার্য্য সম্প্রতি সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে যে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শাখা খুলবার সিদ্ধান্ত সরকারী অনুমোদন লাভ করেছে এবং সেই শাখাটি  স্থাপিত হতে চলেছে উত্তরাখণ্ড প্রদেশের কুমায়ুন অঞ্চলের অন্তর্গত "রামগড়"* নামক একটি স্থানে। এই আপাত অখ্যাত "রামগড়" স্থানটিতে বিশ্বভারতীর দ্বিতীয় শাখা নির্বাচনের তাৎপর্য্য সাধারণ পাঠককুলকে অবগত করাতেই আমার এই নিবেদন। আর তার জন্য বর্তমান সময় থেকে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে প্রায় এক শতাব্দীরও কিছু বেশী সময় আগে। আসুন আমরা সেই অতীতের পথে কালান্তরে ভ্রমণ শুরু করি। কাহিনীর শুরু এক কিশোরের পথচলা দিয়ে। কলকাতার এক অভিজাত পরিবারের সেই কিশোরের পিতা তাঁর পুত্রকে এক আদর্শ  ব্রহ্মচর্যাশ্রমে প্রতিপালিত করে তুলতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাই তিনি তাঁর পুত্রকে ব্রহ্মচর্যাশ্রমের কঠোর জীবনের প্রত্যক্ষ অনুভবের স্পর্শে দীক্ষিত করার উদ্দেশ্যে পদব্রজে তীর্থ...
দশাবতার তাসঃ এক লুপ্তপ্রায় শিল্প ও খেলার উৎস সন্ধানে – সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়

দশাবতার তাসঃ এক লুপ্তপ্রায় শিল্প ও খেলার উৎস সন্ধানে – সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রবন্ধ
দশাবতার তাসঃ এক লুপ্তপ্রায় শিল্প ও খেলার উৎস সন্ধানে সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘সর্বনাশা’ তকমা জুটলেও ‘রঙ্গে ভরা’ বঙ্গদেশে তাসখেলার জনপ্রিয়তায় কোনোদিনই ভাঁটা পড়েনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নষ্টনীড়’-এর চারুলতা ও মন্দাকিনীর মতো অন্তঃপুরে নারীরা এখন আর বিশেষ তাস খেলেনা সত্য। কিন্তু শহর-মফস্বলে ভিড়ে ঠাসা লোকাল ট্রেনের এক চিলতে বসার আসনে বা গ্রামের বুড়ো বটতলায় কি ভাঙা মন্দির-চত্বরে ছেলে-বুড়োর দল জমিয়ে বসে তাস খেলছে, এ ছবি দুর্লভ নয়। যদিও ইউরোপীয়রা এদেশে নোঙর ফেলার আগে সাহেব-বিবি-গোলামের বাহান্ন তাসের সঙ্গে ভারতীয়দের পরিচয় ছিলনা। পঞ্চদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে জার্মানীতে জোহানেস গুটেনবার্গের আবিষ্কৃত যন্ত্র মুদ্রণ ব্যবস্থায় বিপ্লব আনলে ইউরোপে বিপুল পরিমানে কাগজের তাস তৈরি হতে থাকে। ফলে সেখানকার বিভিন্ন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও তাসখেলা ছড়িয়ে পড়ে। ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে আমাদের দেশের বাজারেও আসতে শুর...
প্রকৃতির সন্তান – সোমনাথ দাস অধিকারী

প্রকৃতির সন্তান – সোমনাথ দাস অধিকারী

প্রবন্ধ
প্রকৃতির সন্তান (ওলট চন্ডাল- gloriosa superba) সোমনাথ দাস অধিকারী মনে হয় মানব শিশু মাতৃস্তন্য পান করেছিল বলে পানীয়কে এত ভালবাসে ,শরীরের ৭৫% ভাগ জলীয় অংশ মাত্র ২৫% শক্ত বস্তু। হ্যাঁ কথা হচ্ছিল পানীয় নিয়ে, আমরা মানুষ নানান রকম পানীয় ব্যবহার করি, নানা জাতের স্বাদে-গন্ধে ভিন্ন ভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন নামে। সপ্তসতী চন্ডীকে দেবী দুর্গা বলেছেন, --"গর্জ  গর্জ ক্ষণং মূঢ়"। "মধু যাবৎ পীবামহ্যৎ"  এই বাক্য দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করার আগে, শক্তি সঞ্চয় পূর্বক দেবী মধু রূপে সুরা পান করেছিলেন। এই ঘটনা অনেক প্রাচীন। অতীতে শক্তির উৎস হিসেবে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন আদিম জাতির ভিন্ন ভিন্ন পানীয় ছিল। আজকে খুব প্রাচীন সাঁওতাল জাতির প্রিয় পানীয় "হেঁড়্য/হাড্ডি" সম্বন্ধে বলছি। ওদের সমাজে বিবাহ সবচেয়ে বড় আনন্দদায়ক উৎসব। মেয়ের বাড়িতে ছেলেরা তাদের পরিবারের সমস্ত সদস্য/ সদস্যা, প্রতিবেশী সহ দলবেঁধে ধা...
বলা যায় – অনুপ ঘোষাল

বলা যায় – অনুপ ঘোষাল

কবিতা
বলা যায় অনুপ ঘোষাল নিভৃতের দিকে হেঁটে গেলে বৃষ্টিরা বৃষ্টির সাথে মিশে যায়। মেঘেরাও ফেলে আসে নামডাক, আদরে জড়িয়ে ধরে কুয়াশা গন্ধমাখা মিহি সন্ধ্যার গান। এলানো দুপুরগুলো রাখা থাকে নোঙরবিহীন। গাছে গাছে এলোমেলো শীত ফুটে থাকে! বড় বেশি মিঠে লাগে কাকভেজা বিডিও অফিস। একটু বাঁদিকে গেলেই বোধগম্য নদী-ঋণ, ধোয়ামোছা জাতীয় সড়ক। এরা সব মুখ বুজে থাকে অবুঝ তালুর ভিতর। শেষ বাস চলে গেলে দৃষ্টি সরিয়ে রাখে মাইলফলক। একসাথে ভিজে যায় ঝুঁকে থাকা ল্যাম্পপোস্ট, আনমনা বীজধান আর অনর্গল চাঁদ। নোনা দেওয়ালের গায়ে সযত্নে আঁক কেটে যায় কেউ। ফেলে যায় দোরগোড়া কিছু। তাঁকেই সম্পূর্ণ ভাবি! ভেবে ফেলি শূন্যতর সুখ! সেই ভুলে, নিজেকে সাজিয়ে রাখি সম্পন্ন তাঁবুর আড়ালে। ঠিক যেন তোমাদের পাড়া। মুড়ে নিতে চাই সবটুকু মায়া সোহাগী থলিতে। তারপর চড়ে বসি অলীকের পিঠে অবুঝ শিশুর মতো। রেডিওটা বেয়াদপ বড়! বারবার বলে চলে - ...
ঘুষ – মধুমিতা ভট্টাচার্য্য

ঘুষ – মধুমিতা ভট্টাচার্য্য

গল্প
ঘুষ  মধুমিতা ভট্টাচার্য্য মই মেধোলাল মাহাতো। জন্ম হইছিল একুনকার ঝাড়খন্ডে মানে তকুনকার বিহারে পেরায় দুকুড়ি-পাঁচ বচর আগে। দু-বচরের হতিই ঠাকুদ্দা তেনার পরিবার নে কলকেতায় চলি আসেছেল। পত্থমে হাওড়া-ইস্টেশনের পেলাটফরম, পরে ইদিক-সিদিক কত্তি কত্তি এখেনে। বড় হতিই বেবাক কাজকামের ধান্দায় নানান ঘাটের জল খেইয়ে মুর মুখের ভাষাটুকও জগাখেচুড়ি হই গিচে। আপাতক ঠিকনা খাস কলকেতায় না হলিও কলকেতাতেই বলতি পার। হুই-ই সোনারপুরের উদিকটায়। সেখেনেই ইস্টেশনের হাতায় আমার ছ’ট্ট চা-দ’কান। সক্কালে গেই তোলা উলুনটো ধরাই, ছচপ্যান-টচপ্যান ধোই চায়ের জল চাপাই। তার পিছে দুধ, চিনি ঢেলি চা বেনাই। দ’কানের সম্পত্তি বলতি কয়টা লড়বড়া বেঞ্চি আর এট্টা টুল, ব্যস। ভাঙ্গা কাঁচের পাল্লাওলা ছোটোমোটো লজঝড়ে বাস্কটোতে লেড়ো বিস্‌কুট, সস্তা চানাচুরের পাকিট আর গোটাকয় বিড়ির বাণ্ডিল রাকি। দ’কানের এক কোণে ঝুলাই দি আগুন মাথাওলা রসি। লোকজন সিটুর থিকে বিড়...
ভূত ও অদ্ভুত কাহিনী – অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়

ভূত ও অদ্ভুত কাহিনী – অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়

ছেঁড়া দস্তাবেজ
ভূত ও অদ্ভুত কাহিনী অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেক লেখারই একটা গোড়ার কথা থাকে। আমার এই লেখায় গোড়ার কথাটা নিজের ভাষায় না লিখে উদ্ধৃত করে দিচ্ছি। তার কারণ এই উদ্ধৃতির মধ্যেই আমার ভূত সম্বন্ধে ধ্যানধারনা, অভিজ্ঞতা বা অনভিজ্ঞতা সবই লুকিয়ে আছে। পন্ডিতপ্রবর সুকুমার সেন মহাশয়ের লেখা একটা বই আছে যার নাম ‘কলিকাতার কাহিনী’। সেই বইয়ের ৫৪ পাতায় একটি প্রবন্ধ আছে ‘ভূত ও ভীতি’ নামে। এই প্রবন্ধের গোড়ায় সুকুমার বাবু লিখছেন, ডঃ শ্রীসুভদ্র কুমার সেন কিছুদিন আগে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন “কলকাতার ভূত” নামে সেটি এখানে উদ্ধৃত করছি। “নানান চরিত্রের মানুষের নানান ধরনের মৃত্যুর নীরব সাক্ষী এই শহর। অনাগত ভবিষ্যৎ একদিন বর্তমান হয়েছে এবং তারপর প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে সেই বর্তমান আবার এক সময়ে ভূত হয়েছে। আর ভূত কাল যখন নিজেকে বর্তমানে প্রক্ষেপ করে তখনই ভৌতিক সত্তা আত্মপ্রকাশ করে এবং ভীতির সঞ্চার করে। তবে অনেক কিছুর মতোই ভ...
রাঢ়ের ‘গাজন’ ও দত্তবরুটিয়াঃ একটি মূল্যায়ন – অনুপ মুখার্জি

রাঢ়ের ‘গাজন’ ও দত্তবরুটিয়াঃ একটি মূল্যায়ন – অনুপ মুখার্জি

লোকজীবনের বারোমাস্যা
রাঢ়ের 'গাজন' ও দত্তবরুটিয়াঃ একটি মূল্যায়ন অনুপ মুখার্জি সুপ্রাচীন ঐতিহ্যানুসারী প্রতিটি লোক সমাজের নিজস্ব চেতনা সম্পন্ন সংস্কৃতি রয়েছে। অনেকে একে প্রান্তিক, প্রতিবর্গ বা গ্রামীন সমাজ বলে অভিহিত করেন। সার্বজনীন প্রতিনিধিত্ব এই সমাজে  শুধু মুখ্যই নয়,ব্যক্তি বিশেষের প্রজ্ঞা সমাজের সবার অভিজ্ঞতার নির্যাস হয়ে ওঠে। তাতে আত্মগোপন করে থাকে তাদের বেঁচে থাকার রসদটি অর্থাৎ জীবন জীবিকা। যার প্রকাশের মধ্য দিয়ে তাদের মানসিক উৎকর্ষতার রূপটি ফুটে ওঠে। নেই ব্যক্তি পুজো। সমাজ স্রষ্টা হওয়ায় সৃষ্টিকর্তার চোখ রাঙানি নেই। প্রাচীন মানুষের এই সম্মিলিত কালোত্তীর্ণ দর্শন-ই লোকায়ত দর্শন বা সংস্কৃতি। বলা বাহুল্য প্রাচীন মানুষের এই সংস্কৃতির আবরণ অবশ্যই ধর্মীয়, যেমন 'গাজন'। কিন্তু তাতেই লেগে রয়েছে বহু যুগ অতিক্রমণের ফল স্বরূপ একাধিক ধর্মীয় সংঘাত ও সমন্বয়ের নানাবিধ প্রলেপ। অনুসন্ধিৎসু মন এবং বিশ্লেষণী চেতনা সূত্র ধরে...
ফ্লুরিজ – বিজিত কুমার রায়

ফ্লুরিজ – বিজিত কুমার রায়

গল্প
ফ্লুরিজ - সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের একটি লেখা বিজিত কুমার রায় ফ্লুরিজ। বাইরে থেকে কাচের দরজা ঠেলে সোজা ভেতরে টেবিলে এসে বসুন। অনেকেই বসেছেন আপনার মতো কফি নিয়ে। ফ্লুরিজ আসলে ছোটহাজরি জীবন যাপনের তরিকার একটা অংশ। কী রকম? জলখাবার খায় সকলেই। তবে যাঁরা ফ্লুরিজে সেরে বেরোন, তাঁরাই ঢাক ঢোল পিটিয়ে সে কথা আত্মীয় বন্ধুদের জানান। সে বড় সাহেবি আয়োজন। বরাবরই কলকাত্তাইয়া সাহেবিয়ানার যে ক’টি খাস প্রতিষ্ঠান, ফ্লুরিজ তার অন্যতম। একটু ওপরতলার সঙ্গেই তার গা মাখামাখি, ওতপ্রোত সম্পর্কই বলা যায়। খেয়াল করলে দেখতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয় যে ছাদ থেকে মেঝে অবধি স্বচ্ছ কাচের জানালা থাকা সত্ত্বেও ভেতরে যাঁরা বসেন, তাঁরা বাইরের কলরোলের পানে তাকিয়ে, পরিচিতদের মুখ খোঁজার চেষ্টার ফাঁকে আলগোছে মুচমুচে সেঁকা পাঁউরুটির ওপর মাখনের পুরু আস্তরণে গোলমরিচের গুঁড়ো ছড়ান না। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যান যাঁরা, তাঁদের মাঝে ফ্লুরিজে জলখাবার খা...
স্বাধীনতা দিবস আর রূপান্তীর গপ্পো – শ্রুতি দত্ত রায়

স্বাধীনতা দিবস আর রূপান্তীর গপ্পো – শ্রুতি দত্ত রায়

গল্প
স্বাধীনতা দিবস আর রূপান্তীর গপ্পো শ্রুতি দত্ত রায় (১) সকাল থেকেই আজ বাড়িতে ব্যস্ততার শেষ নেই। সেই কোন কাকভোরে উঠে কাকিমণি স্নান-টান সেরে পুজো দিয়ে রান্নাঘরে ঢুকেছে।আর কাকিমণির সাথে রূপান্তীকেও ঘুম ঘুম চোখে বিছানা ছাড়তে হয়েছে। ওকে ছাড়া কাকিমণির এক সেকেন্ডও চলে না যে। "রূপান্তী শিগগির বাসি ঘর ঝাড়ু দে"... "বাথরুমে গিজার অন কর"..."কাকুর জুতো জোড়া পালিশ করলি?"..."ময়দাটা তাড়াতাড়ি মেখে, লুচি কটা একটু বেলে দে তো"....সকাল থেকে একটার পর  একটা ফরমায়েশ চলছে তো চলছেই, দম ফেলার সময় নেই আজ। আর হবে নাই বা কেন? কাকু, কাকিমণি আর তিতলিকে যে সকাল আটটার মধ্যেই তৈরী হয়ে বেরিয়ে পড়তে হবে। তার আগে কাকিমণির বাড়তি কাজ হলো তিতলিকে সাজিয়ে গুজিয়ে নাচের অনুষ্ঠানের জন্য তৈরী করা। আজ "ইনডিপিনডিন"..না কি যেন একটা বিশেষ দিন। কদিন ধরেই আলোচনা চলছে এ বাড়িতে। তিতলিসোনা নাচবে ঐদিন একটা বড়ো অনুষ্ঠানে। খুব ত...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!